ফিলিস্তিনি বাড়িঘর ধ্বংস ও উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত : পূর্ব তিমুরে হস্তক্ষেপ করলেও ফিলিস্তিনে নিরব কথিত জাতিসংঘ
অধিকৃত জেরুজালেমের ব্যাপকভাবে বাড়িঘর ধ্বংস করে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করছে দখলদার ইসরাইল।
গত ২৫ জানুয়ারি আল-তুর এলাকায় বাড়িঘর ধ্বংস করার সময় ৯ জন ফিলিস্তিনিকে গুলিতে আহত করে এবং ৩ জনকে ধরে নিয়ে যায় সন্ত্রাসী ইসরাইল। এ সময় সাংবাদিকদের উপরও হামলা চালায় সন্ত্রাসী ইসরাইলের সেনাবাহিনী।
এর আগে বাড়িটি থেকে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বের করে দেয়া হয়। হামলা চালানো হয় মহিলাদের উপর। পুরুষরা প্রতিবাদ জানালে কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
আল-তুর এলাকায় দখলদার ইসরাইলের জন্য একটি রোড প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ ব্যয় করবে আমেরিকা। এ লক্ষ্যে এ এলাকায় ২৪০টিরও বেশি ফিলিস্তিনি বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল।
এছাড়াও, আল-আরাকিব মরু এলাকায় একটি ফিলিস্তিনি গ্রামে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ইসরাইল। সম্প্রতি আরবে তিব্র শীতে পড়েছে। আর এ শীতেই ফিলিস্তিনিদের ঘরছাড়া করেছে বর্বর ইসরাইল। গুড়িয়ে দিয়েছে গ্রামের অসংখ্য তাবু।
ইসরাইল ১৯৮০ সাল থেকে জেরুজালেমে ইহুদিদের জন্য বসতি নির্মাণ শুরু করে। তখন থেকেই ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে মুসলিমদের ভূমি দখলকারী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। যা এখন পর্যন্ত চলছে। বিপরীতে গড়ে তুলতে অসংখ্য ইহুদি বসতি। বর্তমানে জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে ৭ লাখ ইহুদি জোর পূর্বক অবৈধভাবে বসবাস করেছে।
জোর পূর্বক ভূমি দখল ও বাড়িঘর ধ্বংস করে দখলদারিত্ব স্থাপন করা জাতিসংঘের তথাকথিত আন্তর্জাতিক আইনে পুরোপুরি অবৈধ ও অন্যায়।
তবুও ফিলিস্তিনের ব্যাপারে ১৯৮০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত টু শব্দটি করেনি জাতিসংঘ।
উল্লেখ যে, জাতিসংঘ খ্রিস্টান অধ্যুষিত অঞ্চল পূর্ব তিমুরকে ইন্দোনেশিয়ার দখলদারিত্বের অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ দিতে থাকে। ১৯৯৯ সালে ইন্দোনেশিয়া সরকার বাধ্য হয় এলাকাটি ছেড়ে দিতে। পরে এলাকাটিকে স্বাধীন খ্রিস্টান রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ এশিয়া, আফ্রিকাসহ পুরো বিশ্বজুড়ে যেখানেই ইহুদি-খ্রিস্টান ও মুশরিকদের সুবিধা দেয়ার প্রয়োজন পড়েছে, সেখানেই নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে।
কিন্তু আরাকান, কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনের মুসলিমদের ব্যাপারে বরাবরই দু’একটা ঠুনকো বিবৃতি মিডিয়ায় ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করে মুসলিমদের ধোঁকা দিয়েছে। এছাড়া বাস্তবসম্মত সমাধানের কোন পদক্ষেপ নেয়নি কথিত এ সংস্থাটি।
জাতিসংঘের এসব ধোঁকা থেকে মুসলিম জাতিকে দীর্ঘ দিন ধরেই সচেতন করে আসছেন উম্মাহ দরদি আলিমরা। তাই এসব সংস্থা বা পশ্চিমা বিশ্বের কাছে সমাধান কামনা না করে মুসলিমদের ভূমি মুসলিমদেরই উদ্ধার করার বাস্তব পরিকল্পনা গ্রহণের কথা সবসময়ই বলছেন তাঁরা।
তথ্যসূত্র:
——
১. Israeli forces injure 9 Palestinians, arrest 3 others while demolishing Karama family home in Jerusalem-
২. ভিডিও লিংক-
৩. For 197th time, Israeli occupation forces demolish Al-Araqib Bedouin village-
অধিকৃত জেরুজালেমের ব্যাপকভাবে বাড়িঘর ধ্বংস করে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করছে দখলদার ইসরাইল।
গত ২৫ জানুয়ারি আল-তুর এলাকায় বাড়িঘর ধ্বংস করার সময় ৯ জন ফিলিস্তিনিকে গুলিতে আহত করে এবং ৩ জনকে ধরে নিয়ে যায় সন্ত্রাসী ইসরাইল। এ সময় সাংবাদিকদের উপরও হামলা চালায় সন্ত্রাসী ইসরাইলের সেনাবাহিনী।
এর আগে বাড়িটি থেকে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বের করে দেয়া হয়। হামলা চালানো হয় মহিলাদের উপর। পুরুষরা প্রতিবাদ জানালে কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
আল-তুর এলাকায় দখলদার ইসরাইলের জন্য একটি রোড প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ ব্যয় করবে আমেরিকা। এ লক্ষ্যে এ এলাকায় ২৪০টিরও বেশি ফিলিস্তিনি বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল।
এছাড়াও, আল-আরাকিব মরু এলাকায় একটি ফিলিস্তিনি গ্রামে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ইসরাইল। সম্প্রতি আরবে তিব্র শীতে পড়েছে। আর এ শীতেই ফিলিস্তিনিদের ঘরছাড়া করেছে বর্বর ইসরাইল। গুড়িয়ে দিয়েছে গ্রামের অসংখ্য তাবু।
ইসরাইল ১৯৮০ সাল থেকে জেরুজালেমে ইহুদিদের জন্য বসতি নির্মাণ শুরু করে। তখন থেকেই ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে মুসলিমদের ভূমি দখলকারী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। যা এখন পর্যন্ত চলছে। বিপরীতে গড়ে তুলতে অসংখ্য ইহুদি বসতি। বর্তমানে জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে ৭ লাখ ইহুদি জোর পূর্বক অবৈধভাবে বসবাস করেছে।
জোর পূর্বক ভূমি দখল ও বাড়িঘর ধ্বংস করে দখলদারিত্ব স্থাপন করা জাতিসংঘের তথাকথিত আন্তর্জাতিক আইনে পুরোপুরি অবৈধ ও অন্যায়।
তবুও ফিলিস্তিনের ব্যাপারে ১৯৮০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত টু শব্দটি করেনি জাতিসংঘ।
উল্লেখ যে, জাতিসংঘ খ্রিস্টান অধ্যুষিত অঞ্চল পূর্ব তিমুরকে ইন্দোনেশিয়ার দখলদারিত্বের অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ দিতে থাকে। ১৯৯৯ সালে ইন্দোনেশিয়া সরকার বাধ্য হয় এলাকাটি ছেড়ে দিতে। পরে এলাকাটিকে স্বাধীন খ্রিস্টান রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ এশিয়া, আফ্রিকাসহ পুরো বিশ্বজুড়ে যেখানেই ইহুদি-খ্রিস্টান ও মুশরিকদের সুবিধা দেয়ার প্রয়োজন পড়েছে, সেখানেই নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে।
কিন্তু আরাকান, কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনের মুসলিমদের ব্যাপারে বরাবরই দু’একটা ঠুনকো বিবৃতি মিডিয়ায় ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করে মুসলিমদের ধোঁকা দিয়েছে। এছাড়া বাস্তবসম্মত সমাধানের কোন পদক্ষেপ নেয়নি কথিত এ সংস্থাটি।
জাতিসংঘের এসব ধোঁকা থেকে মুসলিম জাতিকে দীর্ঘ দিন ধরেই সচেতন করে আসছেন উম্মাহ দরদি আলিমরা। তাই এসব সংস্থা বা পশ্চিমা বিশ্বের কাছে সমাধান কামনা না করে মুসলিমদের ভূমি মুসলিমদেরই উদ্ধার করার বাস্তব পরিকল্পনা গ্রহণের কথা সবসময়ই বলছেন তাঁরা।
তথ্যসূত্র:
——
১. Israeli forces injure 9 Palestinians, arrest 3 others while demolishing Karama family home in Jerusalem-
২. ভিডিও লিংক-
৩. For 197th time, Israeli occupation forces demolish Al-Araqib Bedouin village-
Comment