Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# | ২৩শে জামাদিউস সানী, ১৪৪৩ হিজরি।। ২৭শে জানুয়ারী, ২০২২

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# | ২৩শে জামাদিউস সানী, ১৪৪৩ হিজরি।। ২৭শে জানুয়ারী, ২০২২

    ফিলিস্তিনি বাড়িঘর ধ্বংস ও উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত : পূর্ব তিমুরে হস্তক্ষেপ করলেও ফিলিস্তিনে নিরব কথিত জাতিসংঘ

    অধিকৃত জেরুজালেমের ব্যাপকভাবে বাড়িঘর ধ্বংস করে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করছে দখলদার ইসরাইল।

    গত ২৫ জানুয়ারি আল-তুর এলাকায় বাড়িঘর ধ্বংস করার সময় ৯ জন ফিলিস্তিনিকে গুলিতে আহত করে এবং ৩ জনকে ধরে নিয়ে যায় সন্ত্রাসী ইসরাইল। এ সময় সাংবাদিকদের উপরও হামলা চালায় সন্ত্রাসী ইসরাইলের সেনাবাহিনী।

    এর আগে বাড়িটি থেকে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বের করে দেয়া হয়। হামলা চালানো হয় মহিলাদের উপর। পুরুষরা প্রতিবাদ জানালে কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।

    আল-তুর এলাকায় দখলদার ইসরাইলের জন্য একটি রোড প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ ব্যয় করবে আমেরিকা। এ লক্ষ্যে এ এলাকায় ২৪০টিরও বেশি ফিলিস্তিনি বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল।

    এছাড়াও, আল-আরাকিব মরু এলাকায় একটি ফিলিস্তিনি গ্রামে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ইসরাইল। সম্প্রতি আরবে তিব্র শীতে পড়েছে। আর এ শীতেই ফিলিস্তিনিদের ঘরছাড়া করেছে বর্বর ইসরাইল। গুড়িয়ে দিয়েছে গ্রামের অসংখ্য তাবু।

    ইসরাইল ১৯৮০ সাল থেকে জেরুজালেমে ইহুদিদের জন্য বসতি নির্মাণ শুরু করে। তখন থেকেই ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে মুসলিমদের ভূমি দখলকারী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। যা এখন পর্যন্ত চলছে। বিপরীতে গড়ে তুলতে অসংখ্য ইহুদি বসতি। বর্তমানে জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে ৭ লাখ ইহুদি জোর পূর্বক অবৈধভাবে বসবাস করেছে।

    জোর পূর্বক ভূমি দখল ও বাড়িঘর ধ্বংস করে দখলদারিত্ব স্থাপন করা জাতিসংঘের তথাকথিত আন্তর্জাতিক আইনে পুরোপুরি অবৈধ ও অন্যায়।
    তবুও ফিলিস্তিনের ব্যাপারে ১৯৮০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত টু শব্দটি করেনি জাতিসংঘ।

    উল্লেখ যে, জাতিসংঘ খ্রিস্টান অধ্যুষিত অঞ্চল পূর্ব তিমুরকে ইন্দোনেশিয়ার দখলদারিত্বের অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ দিতে থাকে। ১৯৯৯ সালে ইন্দোনেশিয়া সরকার বাধ্য হয় এলাকাটি ছেড়ে দিতে। পরে এলাকাটিকে স্বাধীন খ্রিস্টান রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ।

    জাতিসংঘ এশিয়া, আফ্রিকাসহ পুরো বিশ্বজুড়ে যেখানেই ইহুদি-খ্রিস্টান ও মুশরিকদের সুবিধা দেয়ার প্রয়োজন পড়েছে, সেখানেই নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে।

    কিন্তু আরাকান, কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনের মুসলিমদের ব্যাপারে বরাবরই দু’একটা ঠুনকো বিবৃতি মিডিয়ায় ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করে মুসলিমদের ধোঁকা দিয়েছে। এছাড়া বাস্তবসম্মত সমাধানের কোন পদক্ষেপ নেয়নি কথিত এ সংস্থাটি।

    জাতিসংঘের এসব ধোঁকা থেকে মুসলিম জাতিকে দীর্ঘ দিন ধরেই সচেতন করে আসছেন উম্মাহ দরদি আলিমরা। তাই এসব সংস্থা বা পশ্চিমা বিশ্বের কাছে সমাধান কামনা না করে মুসলিমদের ভূমি মুসলিমদেরই উদ্ধার করার বাস্তব পরিকল্পনা গ্রহণের কথা সবসময়ই বলছেন তাঁরা।

    তথ্যসূত্র:
    ——
    ১. Israeli forces injure 9 Palestinians, arrest 3 others while demolishing Karama family home in Jerusalem-


    ২. ভিডিও লিংক-




    ৩. For 197th time, Israeli occupation forces demolish Al-Araqib Bedouin village-



    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ইসরাইলকে নিয়ে তুরস্কের নতুন যুগের সূচনা হতে পারে: এরদোয়ান


    ধীরে ধীরে মুসলিমদের সামনে স্পষ্ট হচ্ছে সেক্যূলার তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের আসল চেহারা। ইহুদীদের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করে সে বলেছে, “ইসরাইলের রাষ্ট্রপতি হারজোগ ফেব্রুয়ারির শুরুতে তুরস্ক সফর করবে। এই সফরের মধ্যদিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা হতে পারে।”

    তুর্কি সংবাদমাধ্যম ‘Mepa News’ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারির শুরুতেই তুরস্ক সফরে আসতে যাচ্ছে ইসরায়েলের রাষ্ট্রপতি হারজোগ। ইতিমধ্যে, ইসরাইল এ বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে এরদোয়ান বলে, “আমরা এই ক্ষেত্রে ইসরায়েলের সাথে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।”

    প্রকৃতপক্ষে, মুসলিমদের পবিত্র ভূমি ও আল-আকসার দখলদার ইহুদিদের সাথে তুরস্কের এই বন্ধুত্ব অনেক পুরনো হলেও, তা ছিল এতদিন পর্যন্ত অনেকটাই লোকচক্ষুর আড়ালে। তুরস্ক মাঝে মাঝেই ইসরায়েল ইরদ্ধে বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে মুসলিমদের ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে এবার তুরস্কের ইহুদিপ্রীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আনারই স্পষ্ট বার্তা দিল মিঃ এরদোয়ান।

    এরদোয়ান আরও জোর দিয়ে বলেছে যে, তারা ফিলিস্তিনী মুসলিমদের রক্ত প্রবাহকারী ও পবিত্র ভূমির দখলদার ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট হারজোগের সফরকে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখছে।

    সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্লেষকরা তাই বলেছেন, এসকল ঘটনা ধীরে ধীরে বিশ্ববাসীর কাছে সত্য-মিথ্যা স্পষ্ট করে দিচ্ছে। তাছাড়া বিশ্ববাসী ধীরে ধীরে ২টি শিবিরে ভাগ হয়ে যাচ্ছে বলেও মনে করেন অনেকে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X