কথিত নিরপেক্ষবাদীদের এ কেমন রায়!
কর্ণাটকে স্কুল-কলেজ ছাত্রীদের হিজাব নিষিদ্ধ করা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। কলেজ প্রাঙ্গণে গত মঙ্গলবার উগ্রবাদী গেরুয়া বাহিনীর হেনস্থার শিকার হন বোরকা পরিহিতা কলেজ ছাত্রী মুসকান। হেনস্থার প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন স্থানে মুসলিম ছাত্র ছাত্রীদের উপর হিন্দুত্ববাদী পুলিশ ও গেরুয়াধারী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের হিজাব বিতর্কে জঘন্য সিদ্ধান্ত দিয়ে মুসলিম বিদ্বেষের আগুনে ঘি ঢেলেছে কর্ণাটকের হিন্দুত্ববাদী আদালত। কর্ণাটকের হিন্দুত্ববাদী হাইকোর্ট নির্দেশনা অনুযায়ী,মুসলিম শিক্ষার্থীদের আপাতত হিজাব বা যেকোনো ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। অথচ, এ আদেশ তাদের রচিত সংবিধানেরও বিরোধী।
আর মুসলিম নারীদের হিজাব এটাও কোন ঐচ্ছিক বিষয় নয়। পর্দা আল্লাহ তায়ালার বিধান। আদালত মনগড়া আদেশ দিয়ে দিলেই মুসলিম নারীরা তা মানতে পারবে না।
এতদিন মুসলিম নারীরা হিজাব পরাতে কোন সমস্যা হয়নি,হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা নতুন করে সমস্যা তৈরী করেছে। হিজাব মুসলিম নারীদের ধর্মীয় বিধানের পাশাপাশি সাংবিধানিক অধিকার। এক্ষেত্রে আদালত যদি আসলেই নিরপেক্ষ হতো, তাহলে যারা সাংবিধানিক অধিকারে বাধা দিচ্ছে তাদের শাস্তি দেওয়ার কথা। কিন্তু না! হিন্দুত্ববাদী আদালত বরাবরের মতোই মুসলিমদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কর্ণাটকের প্রধান হিন্দুত্ববাদী বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থি, বিচারপতি কৃষ্ণা দিক্ষিত ও বিচারপতি জেএম খাজিকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চে হিজাব-কাণ্ডের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
বিচারপতি অবস্থি বলেছে, ঝামেলা না মেটা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক পরে থাকতে কারও জোর করা উচিত নয়। আমরা আদেশ দেবো। স্কুল-কলেজ খুলে দেন। কিন্তু বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীর ধর্মীয় পোশাক পরা উচিত হবে না বলে মনে করি।
তবে আবেদনকারীদের আইনজীবী দেবদত্ত কামাত আদালতকে অনুরোধ করেছে, এ ধরনের আদেশ ২৫ অনুচ্ছেদের অধীনে তার মক্কেলের কথিত সাংবিধানিক অধিকারও ক্ষুন্ন করা হবে। এটারও কোন জবাব দিতে পারে নি হিন্দুত্ববাদী আদালত।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে আদালতে বলেছে, কর্ণাটকের শিক্ষা আইনের কোথাও ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক বিষয়টি উল্লেখ নেই। ইস্যুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগে কলেজগুলোতে এর বাধ্যবাধকতাও ছিল না। সকলেই তাদের ধর্মীয় পোষাক পরে আসতে পারতো।
তথ্যসূত্র:
—–
১/আপাতত হিজাব না পরার নির্দেশ কর্ণাটক হাইকোর্টের
কর্ণাটকে স্কুল-কলেজ ছাত্রীদের হিজাব নিষিদ্ধ করা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। কলেজ প্রাঙ্গণে গত মঙ্গলবার উগ্রবাদী গেরুয়া বাহিনীর হেনস্থার শিকার হন বোরকা পরিহিতা কলেজ ছাত্রী মুসকান। হেনস্থার প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন স্থানে মুসলিম ছাত্র ছাত্রীদের উপর হিন্দুত্ববাদী পুলিশ ও গেরুয়াধারী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের হিজাব বিতর্কে জঘন্য সিদ্ধান্ত দিয়ে মুসলিম বিদ্বেষের আগুনে ঘি ঢেলেছে কর্ণাটকের হিন্দুত্ববাদী আদালত। কর্ণাটকের হিন্দুত্ববাদী হাইকোর্ট নির্দেশনা অনুযায়ী,মুসলিম শিক্ষার্থীদের আপাতত হিজাব বা যেকোনো ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। অথচ, এ আদেশ তাদের রচিত সংবিধানেরও বিরোধী।
আর মুসলিম নারীদের হিজাব এটাও কোন ঐচ্ছিক বিষয় নয়। পর্দা আল্লাহ তায়ালার বিধান। আদালত মনগড়া আদেশ দিয়ে দিলেই মুসলিম নারীরা তা মানতে পারবে না।
এতদিন মুসলিম নারীরা হিজাব পরাতে কোন সমস্যা হয়নি,হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা নতুন করে সমস্যা তৈরী করেছে। হিজাব মুসলিম নারীদের ধর্মীয় বিধানের পাশাপাশি সাংবিধানিক অধিকার। এক্ষেত্রে আদালত যদি আসলেই নিরপেক্ষ হতো, তাহলে যারা সাংবিধানিক অধিকারে বাধা দিচ্ছে তাদের শাস্তি দেওয়ার কথা। কিন্তু না! হিন্দুত্ববাদী আদালত বরাবরের মতোই মুসলিমদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কর্ণাটকের প্রধান হিন্দুত্ববাদী বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থি, বিচারপতি কৃষ্ণা দিক্ষিত ও বিচারপতি জেএম খাজিকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চে হিজাব-কাণ্ডের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
বিচারপতি অবস্থি বলেছে, ঝামেলা না মেটা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক পরে থাকতে কারও জোর করা উচিত নয়। আমরা আদেশ দেবো। স্কুল-কলেজ খুলে দেন। কিন্তু বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীর ধর্মীয় পোশাক পরা উচিত হবে না বলে মনে করি।
তবে আবেদনকারীদের আইনজীবী দেবদত্ত কামাত আদালতকে অনুরোধ করেছে, এ ধরনের আদেশ ২৫ অনুচ্ছেদের অধীনে তার মক্কেলের কথিত সাংবিধানিক অধিকারও ক্ষুন্ন করা হবে। এটারও কোন জবাব দিতে পারে নি হিন্দুত্ববাদী আদালত।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে আদালতে বলেছে, কর্ণাটকের শিক্ষা আইনের কোথাও ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক বিষয়টি উল্লেখ নেই। ইস্যুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগে কলেজগুলোতে এর বাধ্যবাধকতাও ছিল না। সকলেই তাদের ধর্মীয় পোষাক পরে আসতে পারতো।
তথ্যসূত্র:
—–
১/আপাতত হিজাব না পরার নির্দেশ কর্ণাটক হাইকোর্টের
Comment