Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১১ই রজব, ১৪৪৩ হিজরি।। ১৩ই ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১১ই রজব, ১৪৪৩ হিজরি।। ১৩ই ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

    কথিত নিরপেক্ষবাদীদের এ কেমন রায়!


    কর্ণাটকে স্কুল-কলেজ ছাত্রীদের হিজাব নিষিদ্ধ করা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। কলেজ প্রাঙ্গণে গত মঙ্গলবার উগ্রবাদী গেরুয়া বাহিনীর হেনস্থার শিকার হন বোরকা পরিহিতা কলেজ ছাত্রী মুসকান। হেনস্থার প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন স্থানে মুসলিম ছাত্র ছাত্রীদের উপর হিন্দুত্ববাদী পুলিশ ও গেরুয়াধারী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে।

    শিক্ষার্থীদের হিজাব বিতর্কে জঘন্য সিদ্ধান্ত দিয়ে মুসলিম বিদ্বেষের আগুনে ঘি ঢেলেছে কর্ণাটকের হিন্দুত্ববাদী আদালত। কর্ণাটকের হিন্দুত্ববাদী হাইকোর্ট নির্দেশনা অনুযায়ী,মুসলিম শিক্ষার্থীদের আপাতত হিজাব বা যেকোনো ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। অথচ, এ আদেশ তাদের রচিত সংবিধানেরও বিরোধী।
    আর মুসলিম নারীদের হিজাব এটাও কোন ঐচ্ছিক বিষয় নয়। পর্দা আল্লাহ তায়ালার বিধান। আদালত মনগড়া আদেশ দিয়ে দিলেই মুসলিম নারীরা তা মানতে পারবে না।
    এতদিন মুসলিম নারীরা হিজাব পরাতে কোন সমস্যা হয়নি,হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা নতুন করে সমস্যা তৈরী করেছে। হিজাব মুসলিম নারীদের ধর্মীয় বিধানের পাশাপাশি সাংবিধানিক অধিকার। এক্ষেত্রে আদালত যদি আসলেই নিরপেক্ষ হতো, তাহলে যারা সাংবিধানিক অধিকারে বাধা দিচ্ছে তাদের শাস্তি দেওয়ার কথা। কিন্তু না! হিন্দুত্ববাদী আদালত বরাবরের মতোই মুসলিমদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

    গত বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কর্ণাটকের প্রধান হিন্দুত্ববাদী বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থি, বিচারপতি কৃষ্ণা দিক্ষিত ও বিচারপতি জেএম খাজিকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চে হিজাব-কাণ্ডের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

    বিচারপতি অবস্থি বলেছে, ঝামেলা না মেটা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক পরে থাকতে কারও জোর করা উচিত নয়। আমরা আদেশ দেবো। স্কুল-কলেজ খুলে দেন। কিন্তু বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীর ধর্মীয় পোশাক পরা উচিত হবে না বলে মনে করি।

    তবে আবেদনকারীদের আইনজীবী দেবদত্ত কামাত আদালতকে অনুরোধ করেছে, এ ধরনের আদেশ ২৫ অনুচ্ছেদের অধীনে তার মক্কেলের কথিত সাংবিধানিক অধিকারও ক্ষুন্ন করা হবে। এটারও কোন জবাব দিতে পারে নি হিন্দুত্ববাদী আদালত।

    শিক্ষার্থীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে আদালতে বলেছে, কর্ণাটকের শিক্ষা আইনের কোথাও ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক বিষয়টি উল্লেখ নেই। ইস্যুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগে কলেজগুলোতে এর বাধ্যবাধকতাও ছিল না। সকলেই তাদের ধর্মীয় পোষাক পরে আসতে পারতো।

    তথ্যসূত্র:
    —–
    ১/আপাতত হিজাব না পরার নির্দেশ কর্ণাটক হাইকোর্টের


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এবার পশ্চিমবঙ্গেও হিজাব পরায় স্কুলে ঢুকতে হিন্দুত্ববাদীদের বাধা


    ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে হিজাব নিষিদ্ধ হওয়ার পর এবার পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদেও হিজাব বিদ্বেষ দেখা যাচ্ছে।

    হিজাব-পরা শিক্ষার্থীদেরকে স্কুলে ঢুকতে দেয়নি দীনবন্ধু মিত্র নামের এক উগ্র হিন্দু শিক্ষক।
    শুক্রবার ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সুতি ব্লকের বহুতালি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এ ঘটনা ঘটেছে।

    অভিভাবকরা জানান, শুক্রবার স্থানীয় বহুতালি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক দীনবন্ধু মিত্র ছাত্রীদের হিজাব পরে স্কুলে না-আসার নির্দেশ দেয়। মাথায় ওড়নাও না দিতে বলে। প্রধানশিক্ষকের নির্দেশের কথা বাড়ি ফিরে অভিভাবকদের জানান মুসলিম শিক্ষার্থীরা।

    শনিবার ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন।
    জানা যায়, শিক্ষার্থীদের হিজাব পড়তে নিষেধ করায় সেখানে উত্তাল পরিস্থিতির তৈরী হয়। এ সময় তাকে উদ্ধারের জন্য হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনের বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে। প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ থেকে সরিয়ে দিতে মুসলিমদের উপর লাঠিচার্জ ও অনবরত গুলি চালায়।

    এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধের ঘটনায় কর্নাটকের মুসলিম ছাত্রীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কলকাতায়ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে। পার্ক সার্কাসে হাজার হাজার মুসলিম শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছেন।

    এ সময়ে ‘হিজাব আমাদের অধিকার’ বলে তারা স্লোগান দেন।
    শবনম খাতুন নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, “আমরা হিজাব পরতে চাই। তাতে তাদের আপত্তি কেন? হিজাব আমাদের প্রগতির পথে অন্তরায় না। কীভাবে অধিকার আদায়ে লড়াই করতে হয়, তা আমরা জানি।”

    তিনি আরও বলেন, ‘মুসলিম ছাত্রীরা সব দিক থেকে এগিয়ে। তারা প্রকৌশলী, বিমানচালক ও পুলিশ সার্ভিসেও কাজ করেন। হিজাব আমাদের পরিচয়, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা নিষিদ্ধ করতে পারে না।’

    হক্কানি উলামাগণ তাই এই সত্য মুসলিমদেরকে অনুধাবন করতে বলেছেন যে, বিধর্মীদেরকে তুষ্টিকরণ বা নিজের দ্বীনে ছাড় দেওয়া – এসবের কিছুই তাদেরকে হিন্দুত্ববাদের প্রবল স্রোত থেকে রক্ষা করতে পারবে না। পাশাপাশি উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মুসলিমদেরকে তাদের অধিকার আদায়ে আরও সোচ্চার হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

    তথ্যসূত্র :

    ১। হিজাব নিষিদ্ধ করায় মুর্শিদাবাদের স্কুলে বিক্ষোভ


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বেপরোয়া ইসরাইল এক মাসে গ্রেফতার ৫০৪ জন ফিলিস্তিনি



      ২০২২ সালের প্রথম মাসেই ৫০৪ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে দখলদার জায়নিস্ট ইসরাইল। তাদের মধ্যে ৫৪ জন শিশু ও ৬ জন নারী রয়েছে। বেশিরভাগই গ্রেফতার করা হয়েছে দখলকৃত জেরুজালেম থেকে।সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ৪৫০০ ফিলিস্তিনিকে বন্দী করে রেখেছে সন্ত্রাসী ইসরাইল। তাদের মধ্যে ৩৪ জন নারী এবং ১৮০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু।এছাড়াও বিনা বিচারে আটকে রাখা হয়েছে ৫০০ ফিলিস্তিনিকে। বছরের পর বছর পার হলেও আদালতে তুলা হচ্ছে না তাদের।বন্দী ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৪৯৯ জনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫৪৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাকীদের বিভিন্ন মেয়াদে বন্দী করে রেখেছে সন্ত্রাসী ইসরাইল।কথিত উন্নতি আর পুঁজিবাদী বিশ্ব ব্যবস্থা জালিমদের করেছে আরও বর্বর আগ্রাসী ও হিংস্র। এসব জুলুম আগ্রাসন রুখে দিতে মুসলিম যুব সমাজকে নববী মানহাজের অনুসরণের জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই আহ্বান জানিয়ে আসছেন উম্মাহ দরদি আলিমরা।

      তথ্যসূত্র:
      =====
      In January 2022, ‘Israel’ arrested 504 Palestinians, including 54 children- https://tinyurl.com/yckrwexv





      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আল্লাহ মুসলিম ভাই বোনদের হেফাজত করুন। আমিন
        হায়!কবে ভাঙ্গবো তাদের লাল কেল্লা;আর উড়াবো কালেমার পতাকা।

        Comment

        Working...
        X