Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৫ই রজব, ১৪৪৩ হিজরি।। ১৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৫ই রজব, ১৪৪৩ হিজরি।। ১৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

    পাকিস্তানের জয় উদযাপনের শাস্তি : ১০০ দিনেরও বেশি সময় জেলে বন্দী কাশ্মীরি ছাত্ররা।

    গত ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয় উদযাপনকে কেন্দ্র করে গোটা ভারতে মুসলিমদের ওপর চড়াও হয় হিন্দুত্ববাদীরা। এরই জের ধরে গত অক্টোবর মাসে উত্তর প্রদেশে ৩ জন কাশ্মীরি মুসলিম ছাত্রকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে তাদের জেলে বন্দী করে রেখেছে মুসলিম বিদ্বেষী উগ্র যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন

    কেমন আছে তাদের পরিবার?

    বন্দীদের একজন ইনায়েত আলতাফ এর মা ওয়াহিদা বলেন যে তাঁর স্বামী একজন কাঠমিস্ত্রি এবং অক্ষম ব্যক্তি। আর দারিদ্রতার কারণে কোর্টে এখন তাদের সন্তানের জন্য মামলা লড়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন যে, তাঁর ছেলে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ছিলেন না।

    আরেকজন বন্দী আরশিদ ইউসুফের মা হানিফা বলেন- “দুই দশক আগে আমার স্বামী মারা গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর পর আমি মানুষের ঘরে থালাবাসন ধোয়া, গরুর গোবর পরিষ্কার করা, বাগানে কাজ করা সহ বিভিন্ন রকম কাজ করেছি। প্রায় রাতেই আমি খালি পেটে শুতে যাই। দারিদ্রতার জন্য আমার বড় মেয়েকে স্কুলে পড়াতে পারিনি। এতো বছর ধরে আমরা খুবই দরিদ্র অবস্থায় দিনাতিপাত করেছি। আমার ছেলেই আমার শেষ আশা ছিলো”।
    অসহায় হানিফা একটি এক রুমের বাসায় তাঁর দুই মেয়ে নিয়ে থাকেন, যাদের আয়ের কোন উৎস নেই।

    তৃতীয় বন্দী শওকত আহমাদ গানাই এর বাবা মুহাম্মাদ শাবান গানাই (৬০) পেশায় একজন শ্রমিক। শওকতের ঘরে তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা এবং দুই বোন আছে, যারা তাদের ভাইয়ের মুক্তির জন্য মরিয়া হয়ে আছে। মামলা লড়ার জন্য তাঁরা তাদের গরু বিক্রি করে দিয়েছেন এবং প্রতিবেশিদের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেছেন।

    কোন আইনজীবীই লড়তে চায় নি মুসলিম ছাত্রদের পক্ষেঃ

    উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একজন উগ্র হিন্দু এবং চরম মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে সুপরিচিত। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয় উদযাপন করলে তাদের ওপর রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে রেখেছিলো এই লোকটা। আর এই কারণে উত্তর প্রদেশের কোন আইনজীবীই লড়তে চায় নি সেই অসহায় কাশ্মীরি ছাত্রদের পক্ষে।

    বিশ্লেষকরা কি বলছেন?

    বিশ্লেষকদের মতে সেই ছাত্রদের মূলত গ্রেপ্তার করা হয়েছে হিন্দুত্ববাদী ভারতের চরম মুসলিম বিদ্বেষী নীতির কারণেই। ভারতে এখন কোন মুসলিমই নিরাপদ নয়। চাই হোক সে কথিত উদারমনা বা মডারেট বা ‘দ্বীন মেনে চলা’ মুসলিম। তাই মুসলিমদের এখন সময় হয়েছে ইতিহাস এবং সাম্প্রতিক সময়ের অবস্থাকে বিচার-বিশ্লেষণ করার এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবার। আর সেই সাথে দল-মত সবকিছু ভুলে ঐক্যবদ্ধ হবার।
    —–

    তথ্যসূত্রঃ

    ১। Kashmir men spend over 100 days in jail for cheering Pakistan win –


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    উত্তরপ্রদেশে হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদ বিক্ষোভে মুসলিম নারীদের উপর হিন্দুত্ববাদী পুলিশের হামলা


    হিন্দুত্ববাদী ভারত নিজেকে বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ দাবি করে। মুসলিমদের গণতান্ত্রিক ধোঁকায় ফেলে বোকা বানিয়ে রেখেছে যুগ যুগ ধরেকথিত বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা এখন ভয়ংকর রূপ ধারণ করে প্রকাশ্যে আসছে।

    মুসলিমদের অধিকার তারা জোরপূর্বক হরণ করবে। আর এজন্য কোন অপরাধিকেই কোন শাস্তি বা বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না, কারণ তারা হিন্দু। কিন্তু অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদ করলেই হিন্দুত্ববাদী পুলিশ মুসলিমদের উপর হামলা চালাচ্ছে।

    ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বোরকা পরিহিত মুসলিম নারীদের বিক্ষোভে পুলিশ নির্মমভাবে লাঠিপেটা করেছে।
    ওই বিক্ষোভের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ লাঠি দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে। এ সময় এক নারী বিক্ষোভকারী পুলিশের লাঠিচার্জ থামানোর চেষ্টা করছেন।

    কর্ণাটকের একটি কলেজে প্রথম হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর কর্ণাটকসহ দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভ চলছে। হিজাব নিষিদ্ধের বিষয়টি নিয়ে দেশটির উচ্চ আদালতে শুনানি চলছে। ভিডিওটি সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে কিছু মানুষ পুলিশের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন।


    এদিকে, প্রকাশ্যে হিজাব পরা সহ্য করা হবে না বলে হুমকি দিয়েছে ভারতের মধ্য প্রদেশের ভোপালের বিজেপির সাংসদ হিন্দুত্ববাদী প্রজ্ঞা ঠাকুর। গতকাল বুধবার মধ্য প্রদেশের একটি মন্দিরের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সে এমন মুসলিম বিদ্বেষী বক্তৃতা দিয়েছ

    এমন পরিস্থিতিতে হিন্দুত্ববাদীদের জিঘাংসা যেহেতু দিনকে দিন তীব্র আকার ধারন করছে, মুসলিমদেরকেও তাই নিজেদের প্রতিরক্ষা নিশ্চিতকরণে পাল্টা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আসছেন উম্মাহদরদী আলেমগণ।

    তথ্যসূত্র:
    —–
    ১। উত্তরপ্রদেশে হিজাবধারী নারীদের বিক্ষোভে পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ

    ২। প্রকাশ্যে হিজাব পরা সহ্য করা হবে না : বিজেপির সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      এবার মধ্যপ্রদেশেও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ‘দুর্গা বাহিনীর’ চাপে হিজাব নিষিদ্ধ

      ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের চাপে কর্নাটকে হিজাব নিষিদ্ধ করা নিয়ে তোলপাড় চলছে। এরই মধ্যে মধ্যপ্রদেশের একটি কলেজে নিষিদ্ধ হল হিজাব। গত মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের দাতিয়া জেলার এক সরকারি কলেজে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহিলা মোর্চা‘দুর্গা বাহিনী’র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হিন্দুত্ববাদী ‘দুর্গা বাহিনী’র দাবি, কলেজ ক্যাম্পাসে মুসলিম ছাত্রীরা হিজাব পরে আসতে পারবেন না। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হল নয়া বিতর্ক।

      গত সোমবার দুই কলেজছাত্রী হিজাব পরে ক্লাসে ঢোকার পর আন্দোলন শুরু করে হিন্দুত্ববাদী ‘দুর্গা বাহিনী’। তাদের দাবি, কলেজ ক্যাম্পাসে হিজাব নিষিদ্ধ করতে হবে। তার পরেই কলেজ কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত নেয়।
      উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে সাতনার একটি কলেজে হিজাব পরে আসার ‘কারণে’ এক ছাত্রীকে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিতে বলে প্রিন্সিপাল।

      এ নিষেধাজ্ঞাকে মুসলিমদের কোণঠাসা করার উপায় হিসেবেই মনে করছেন বিশ্লেষকগণ। কারণ হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতের ১৩৫ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ মুসলিম।
      উত্তরপ্রদেশে, দেশের উত্তরে এবং নয়াদিল্লির সীমান্তবর্তী, দুই ডজনেরও বেশি হিন্দুত্ববাদী যুবকের একটি দল সোমবার আলিগড় জেলার ধর্ম সমাজ কলেজে পৌঁছে এবং এর আধিকারিকদের কাছে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করেছে যাতে হিজাবের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

      তাদের গলায় ছিল গেরুয়া শাল যা বিজেপি সমর্থিত হিন্দুরা পরে থাকে। কলেজের প্রধান প্রক্টর মুকেশ ভরদ্বাজ বলেছে, তিনি লোকেদের চিনতে পারেননি।
      ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হিন্দুত্ববাদী একদল যুবক বলছে আমরা আদালতের মাধ্যমে হিজাব নিষিদ্ধ করাবো। পরে মাইকে আযান দেওয়া নিষেধ করাবো। নামায পড়া নিষেধ করাবো। এভাবেই মুসলিমদের কোণঠাসা করতে থাকবো।
      তারা আরো বলেছে, সেদিন মুসলিম ছাত্রী মুসকান গেরুয়া হিন্দু যুবকদের সামনে আল্লাহু আকবার তাকবীর দিয়ে জীবন নিয়ে ফিরে গেছে এটাই বেশি। উচিৎ ছিল সেখানেই শেষ করে দেওয়া। তারা বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর মুসলিম হামলা চালায় বলে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ভারতে মুসলিমদের উপর চলমান হামলাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

      উত্তরপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল থেকে হিন্দুত্ববাদী সন্ন্যাসী যোগী আদিত্যনাথ শাসন করে। যেখানে বর্তমানে বিধানসভা নির্বাচন চলছে এবং হিন্দু-মুসলিম বিরোধ প্রায়ই রাজ্যে রাজনৈতিক ফায়দা লাভের জন্য ব্যবহৃত হয়।

      এর আগে গত সোমবার হাইকোর্ট স্কুল ও কলেজগুলোতে হিজাব বা অন্য কোনো ধর্মীয় পোশাকের অনুমতি না দেয়ার অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছে। সেই অন্তর্বর্তী আদেশ এ বিষয়ে চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট।

      এদিকে, হিজাব নিয়ে রাজ্যের কিছু অংশে অপ্রীতিকর ঘটনার পর গত বুধবার থেকে বন্ধ থাকার পর সোমবার কর্ণাটকের উচ্চ বিদ্যালয়গুলো আবার চালু হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে উদুপি, দক্ষিণ কন্নড় এবং বেঙ্গালুরু জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

      উদুপি জেলায় সোমবার শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর যে, উচ্চ বিদ্যালয়গুলো আবার খুলেছে। হিজাব পরে স্কুল ক্যাম্পাসে আসা মুসলিম মেয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে প্রবেশের আগেই তা খোলতে বাধ্য করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোতেও এদিন নির্ধারিত পরীক্ষা চলেছে। উদুপি শহরে এবং স্কুলের কাছাকাছি পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। যেন কেউ হিজাব খুলতে না চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

      উদুপি জেলা প্রশাসন সোমবার থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলার সমস্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ মিটার ব্যাসার্ধে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
      সোমবার থেকে স্কুল পুনরায় খোলা হলেও কিছু ছাত্রীকে হিজাব খুলতে বাধ্য করে স্কুলে ঢোকার দৃশ্য সামনে আসতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জনবহুল রাস্তার মাঝেই হিন্দু শিক্ষিকারা ছাত্রীদের হিজাব খুলতে বাধ্য করছে। ক্লাসরুমে হিজাব পরা নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে সোমবার শিক্ষার্থীরা যুক্তি দিয়েছিল যে তাদের এটি করতে নিষেধ করার মতো কোনো আইন নেই। তাদের পক্ষ থেকে শীর্ষ আইনজীবী দেবদত্ত কামাত জানিয়েছিলেন যে, হিজাব পরার অধিকার সংবিধান দ্বারা প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার অধীনে সুরক্ষিত। কিন্তু শুধু মুসলিম বিদ্বেষের কারণে তারা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে মুসলিম নারীদের হিজাব খুলতে বাধ্য করছে।

      তথ্যসূত্র:
      —–
      The move to ban Muslim girls and women from wearing the hijab at school has now sprewfrom Karnataka to Madhya Pradesh to Uttar Pradesh,
      ১/ ভিডিও লিঙ্ক: https://tinyurl.com/25mfsyrw
      ২/উত্তর প্রদেশে পৌঁছেছে হিজাব বিরোধ


      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X