পাকিস্তানের জয় উদযাপনের শাস্তি : ১০০ দিনেরও বেশি সময় জেলে বন্দী কাশ্মীরি ছাত্ররা।
গত ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয় উদযাপনকে কেন্দ্র করে গোটা ভারতে মুসলিমদের ওপর চড়াও হয় হিন্দুত্ববাদীরা। এরই জের ধরে গত অক্টোবর মাসে উত্তর প্রদেশে ৩ জন কাশ্মীরি মুসলিম ছাত্রকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে তাদের জেলে বন্দী করে রেখেছে মুসলিম বিদ্বেষী উগ্র যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন।
কেমন আছে তাদের পরিবার?
বন্দীদের একজন ইনায়েত আলতাফ এর মা ওয়াহিদা বলেন যে তাঁর স্বামী একজন কাঠমিস্ত্রি এবং অক্ষম ব্যক্তি। আর দারিদ্রতার কারণে কোর্টে এখন তাদের সন্তানের জন্য মামলা লড়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন যে, তাঁর ছেলে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ছিলেন না।
আরেকজন বন্দী আরশিদ ইউসুফের মা হানিফা বলেন- “দুই দশক আগে আমার স্বামী মারা গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর পর আমি মানুষের ঘরে থালাবাসন ধোয়া, গরুর গোবর পরিষ্কার করা, বাগানে কাজ করা সহ বিভিন্ন রকম কাজ করেছি। প্রায় রাতেই আমি খালি পেটে শুতে যাই। দারিদ্রতার জন্য আমার বড় মেয়েকে স্কুলে পড়াতে পারিনি। এতো বছর ধরে আমরা খুবই দরিদ্র অবস্থায় দিনাতিপাত করেছি। আমার ছেলেই আমার শেষ আশা ছিলো”।
অসহায় হানিফা একটি এক রুমের বাসায় তাঁর দুই মেয়ে নিয়ে থাকেন, যাদের আয়ের কোন উৎস নেই।
তৃতীয় বন্দী শওকত আহমাদ গানাই এর বাবা মুহাম্মাদ শাবান গানাই (৬০) পেশায় একজন শ্রমিক। শওকতের ঘরে তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা এবং দুই বোন আছে, যারা তাদের ভাইয়ের মুক্তির জন্য মরিয়া হয়ে আছে। মামলা লড়ার জন্য তাঁরা তাদের গরু বিক্রি করে দিয়েছেন এবং প্রতিবেশিদের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেছেন।
কোন আইনজীবীই লড়তে চায় নি মুসলিম ছাত্রদের পক্ষেঃ
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একজন উগ্র হিন্দু এবং চরম মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে সুপরিচিত। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয় উদযাপন করলে তাদের ওপর রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে রেখেছিলো এই লোকটা। আর এই কারণে উত্তর প্রদেশের কোন আইনজীবীই লড়তে চায় নি সেই অসহায় কাশ্মীরি ছাত্রদের পক্ষে।
বিশ্লেষকরা কি বলছেন?
বিশ্লেষকদের মতে সেই ছাত্রদের মূলত গ্রেপ্তার করা হয়েছে হিন্দুত্ববাদী ভারতের চরম মুসলিম বিদ্বেষী নীতির কারণেই। ভারতে এখন কোন মুসলিমই নিরাপদ নয়। চাই হোক সে কথিত উদারমনা বা মডারেট বা ‘দ্বীন মেনে চলা’ মুসলিম। তাই মুসলিমদের এখন সময় হয়েছে ইতিহাস এবং সাম্প্রতিক সময়ের অবস্থাকে বিচার-বিশ্লেষণ করার এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবার। আর সেই সাথে দল-মত সবকিছু ভুলে ঐক্যবদ্ধ হবার।
—–
তথ্যসূত্রঃ
১। Kashmir men spend over 100 days in jail for cheering Pakistan win –
গত ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয় উদযাপনকে কেন্দ্র করে গোটা ভারতে মুসলিমদের ওপর চড়াও হয় হিন্দুত্ববাদীরা। এরই জের ধরে গত অক্টোবর মাসে উত্তর প্রদেশে ৩ জন কাশ্মীরি মুসলিম ছাত্রকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে তাদের জেলে বন্দী করে রেখেছে মুসলিম বিদ্বেষী উগ্র যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন।
কেমন আছে তাদের পরিবার?
বন্দীদের একজন ইনায়েত আলতাফ এর মা ওয়াহিদা বলেন যে তাঁর স্বামী একজন কাঠমিস্ত্রি এবং অক্ষম ব্যক্তি। আর দারিদ্রতার কারণে কোর্টে এখন তাদের সন্তানের জন্য মামলা লড়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন যে, তাঁর ছেলে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ছিলেন না।
আরেকজন বন্দী আরশিদ ইউসুফের মা হানিফা বলেন- “দুই দশক আগে আমার স্বামী মারা গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর পর আমি মানুষের ঘরে থালাবাসন ধোয়া, গরুর গোবর পরিষ্কার করা, বাগানে কাজ করা সহ বিভিন্ন রকম কাজ করেছি। প্রায় রাতেই আমি খালি পেটে শুতে যাই। দারিদ্রতার জন্য আমার বড় মেয়েকে স্কুলে পড়াতে পারিনি। এতো বছর ধরে আমরা খুবই দরিদ্র অবস্থায় দিনাতিপাত করেছি। আমার ছেলেই আমার শেষ আশা ছিলো”।
অসহায় হানিফা একটি এক রুমের বাসায় তাঁর দুই মেয়ে নিয়ে থাকেন, যাদের আয়ের কোন উৎস নেই।
তৃতীয় বন্দী শওকত আহমাদ গানাই এর বাবা মুহাম্মাদ শাবান গানাই (৬০) পেশায় একজন শ্রমিক। শওকতের ঘরে তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা এবং দুই বোন আছে, যারা তাদের ভাইয়ের মুক্তির জন্য মরিয়া হয়ে আছে। মামলা লড়ার জন্য তাঁরা তাদের গরু বিক্রি করে দিয়েছেন এবং প্রতিবেশিদের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেছেন।
কোন আইনজীবীই লড়তে চায় নি মুসলিম ছাত্রদের পক্ষেঃ
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একজন উগ্র হিন্দু এবং চরম মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে সুপরিচিত। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয় উদযাপন করলে তাদের ওপর রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে রেখেছিলো এই লোকটা। আর এই কারণে উত্তর প্রদেশের কোন আইনজীবীই লড়তে চায় নি সেই অসহায় কাশ্মীরি ছাত্রদের পক্ষে।
বিশ্লেষকরা কি বলছেন?
বিশ্লেষকদের মতে সেই ছাত্রদের মূলত গ্রেপ্তার করা হয়েছে হিন্দুত্ববাদী ভারতের চরম মুসলিম বিদ্বেষী নীতির কারণেই। ভারতে এখন কোন মুসলিমই নিরাপদ নয়। চাই হোক সে কথিত উদারমনা বা মডারেট বা ‘দ্বীন মেনে চলা’ মুসলিম। তাই মুসলিমদের এখন সময় হয়েছে ইতিহাস এবং সাম্প্রতিক সময়ের অবস্থাকে বিচার-বিশ্লেষণ করার এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবার। আর সেই সাথে দল-মত সবকিছু ভুলে ঐক্যবদ্ধ হবার।
—–
তথ্যসূত্রঃ
১। Kashmir men spend over 100 days in jail for cheering Pakistan win –
Comment