মুসলিমদের হুমকি হিন্দুত্ববাদী মন্ত্রীর – ‘হিন্দুদের ধৈর্যের একটা সীমা আছে’
ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের নির্মূল করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কেবল একটি অযুহাত দাঁড় করানোর অপেক্ষায় আছে। যার মাধ্যমে তারা মুসলিমদের গণহত্যাকে বৈধ্যতা দিতে পারে। মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদীরা একেরপর এক উসকানীমূলক ভাষণ বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছে।
এবার কর্ণাটকের গ্রামীণ উন্নয়ন এবং পঞ্চায়েতি রাজ হিন্দুত্ববাদীরা মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা, গত শনিবার (০৫/০৩/২২) হিন্দুদের ধৈর্যের সীমা আছে বলে মুসলিমদের হুমকি দিয়েছে। এই মন্ত্রী তার মুসলিম বিরোধী মন্তব্যের জন্য বিতর্কিত এই প্রথমবার নয়। প্রকৃতপক্ষে, সে তার মুসলিম বিরোধী মানসিকতার জন্যই পরিচিত।
গত বৃহস্পতিবার মেগান হাসপাতালে রানৈতিক কারণে দুর্বৃত্তদের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রমণকারীদের এখনও শনাক্ত করা হয়নি, তবুও আগের মতই মন্ত্রীর এই ঘটনাটিকে মুসলিম বিরুধী রঙ দিয়েছে।
সে মন্তব্য করেছে, “হিন্দু সম্প্রদায়ের ধৈর্যের একটা সীমা আছে। যদি সীমা অতিক্রম করা হয়, তাহলে এটি সমাজে সত্যিকারের বিভাজন হতে পারে।”
আসলে ভারতে মুসলিমদের অবস্থানই তাদের কাছে সহ্য হচ্ছে না। তাই বারবার মিথ্যে অভিযোগ তুলে মুসলিমদের উপর দোস চাপানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কয়েকদিন আগেও “গত ২০শে ফেব্রুয়ারাী হর্ষ জিঙ্গাদে নামে একজন বজরং দলের সদস্য শিবমোগা সিগেহাট্টিতে নিহত হয়। তারপর কোন ধরণের যাচাই বাচাই তদন্ত ছাড়াই হিন্দুত্ববাদী ঈশ্বরাপ্পা মুসলিমদের দায়ী করে। পরপরই, প্রধানত হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় মুসলিমদের সহিংসতা শুরু হয়। অনেক মুসলিমদের বাড়িঘর, ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গচুর করে। মুসলিমদের অটোতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তাদের উগ্রতা এমন সীমায় পৌছে গেছে তারা যেকোন সময় মুসলিমদের গণহারে খুন করতে পারে। তাই ভয়ে নিজেদের জীবন বাঁচাতে মুসলিমরা বাড়িঘর,ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
হিন্দুত্ববাদী মন্ত্রী কেএস ঈশ্বরাপ্পা আরো বলেছিল, ভবিষ্যতে গেরুয়া পতাকাই দেশের (ভারতের) জাতীয় পতাকা হয়ে যাবে।
হিন্দুত্ববাদীরা এখন ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ খুলে প্রকাশ্যে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর ঘোষণা দিচ্ছে। ভারতকে তারা এমন এক কট্টর হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর শপথ নিচ্ছে, যে রাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা হবে গেরুয়া পতাকা। সেখানে অন্য কোন জাতি ধর্মের মানুষ থাকতে পারবে না। এর জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুর প্রস্তুতি চালাচ্ছে গেরুয়া সন্ত্রাসীরা। যার চূড়ান্ত রুপ প্রকাশ পেতে যাচ্ছে গণহত্যার মাধ্যমে।
আর কিছুদিন আগেই একদল বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজের নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারা ২৬ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ‘ইন্ডিয়া অন দ্য ব্রিঙ্ক: প্রিভেনটিং জেনোসাইড’ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য একত্রিত হয়েছেন।
কার্যত, ঐ তিন দিনের বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলনে ঘৃণাত্মক বক্তব্য এবং গণহত্যা নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে- যেহেতু গণহত্যা একটি প্রক্রিয়া এবং একবারের ঘটনা নয়, তাই বলা যেতে পারে যে ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই হিন্দুত্ববাদীরা গণহত্যা শুরু করে দিয়েছে।
সেখানে কম্বোডিয়ার জেনোসাইড ডকুমেন্টেশন সেন্টারের একজন গবেষক মং জার্নি বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি যে, ভারত কেবল দ্বারপ্রান্তে নয়- বরং ইতিমধ্যেই একটি প্রকাশ্য গণহত্যার প্রক্রিয়ায় রয়েছে৷ হিন্দুত্ববাদী হত্যাকারীরা দুর্বল জনগোষ্ঠীকে তাদের ধর্মের নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে চিত্রিত করেছে। যখন কোন দেশে এই মানবনির্মূলীকরণ শুরু হয়, তখন ঐ দেশ ইতিমধ্যেই গণহত্যা প্রক্রিয়ার গভীরে চলে যায়। যদিও পূর্ণ মাত্রায় হত্যাকাণ্ড শুরু হতে কিছুটা দেরী হতে পারে।”
আর শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজকদের দ্বারা জারি করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটরের বিশেষ উপদেষ্টা অ্যাডামা ডিয়েং বলেছেন, “… কিন্তু বর্তমানে হিন্তুত্ববাদীদের মুসলিম বিদ্বেষ বেড়ে গণহত্যার রুপ নিয়েছে।”
এমন মুহূর্তে তাই সরকারের আনুগত্যের সবক দেওয়া ব্যক্তিদের দৃঢ়ভাবে এড়িয়ে যেতে ও নিজেদের প্রতিরক্ষার ব্যাপারে ফিকির করার পরামর্শ দিয়েছেন হক্কপন্থী উলামাগণ।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Harsha Murder: Shivamogga Muslims Leave Homes, Businesses Behind for Safety
2. ‘There is a limit to patience of Hindus’, says K’taka Minister
3. ভবিষ্যতে গেরুয়াই ভারতের জাতীয় পতাকা হতে পারে : বিজেপি মন্ত্রী –
ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের নির্মূল করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কেবল একটি অযুহাত দাঁড় করানোর অপেক্ষায় আছে। যার মাধ্যমে তারা মুসলিমদের গণহত্যাকে বৈধ্যতা দিতে পারে। মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদীরা একেরপর এক উসকানীমূলক ভাষণ বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছে।
এবার কর্ণাটকের গ্রামীণ উন্নয়ন এবং পঞ্চায়েতি রাজ হিন্দুত্ববাদীরা মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা, গত শনিবার (০৫/০৩/২২) হিন্দুদের ধৈর্যের সীমা আছে বলে মুসলিমদের হুমকি দিয়েছে। এই মন্ত্রী তার মুসলিম বিরোধী মন্তব্যের জন্য বিতর্কিত এই প্রথমবার নয়। প্রকৃতপক্ষে, সে তার মুসলিম বিরোধী মানসিকতার জন্যই পরিচিত।
গত বৃহস্পতিবার মেগান হাসপাতালে রানৈতিক কারণে দুর্বৃত্তদের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রমণকারীদের এখনও শনাক্ত করা হয়নি, তবুও আগের মতই মন্ত্রীর এই ঘটনাটিকে মুসলিম বিরুধী রঙ দিয়েছে।
সে মন্তব্য করেছে, “হিন্দু সম্প্রদায়ের ধৈর্যের একটা সীমা আছে। যদি সীমা অতিক্রম করা হয়, তাহলে এটি সমাজে সত্যিকারের বিভাজন হতে পারে।”
আসলে ভারতে মুসলিমদের অবস্থানই তাদের কাছে সহ্য হচ্ছে না। তাই বারবার মিথ্যে অভিযোগ তুলে মুসলিমদের উপর দোস চাপানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কয়েকদিন আগেও “গত ২০শে ফেব্রুয়ারাী হর্ষ জিঙ্গাদে নামে একজন বজরং দলের সদস্য শিবমোগা সিগেহাট্টিতে নিহত হয়। তারপর কোন ধরণের যাচাই বাচাই তদন্ত ছাড়াই হিন্দুত্ববাদী ঈশ্বরাপ্পা মুসলিমদের দায়ী করে। পরপরই, প্রধানত হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় মুসলিমদের সহিংসতা শুরু হয়। অনেক মুসলিমদের বাড়িঘর, ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গচুর করে। মুসলিমদের অটোতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তাদের উগ্রতা এমন সীমায় পৌছে গেছে তারা যেকোন সময় মুসলিমদের গণহারে খুন করতে পারে। তাই ভয়ে নিজেদের জীবন বাঁচাতে মুসলিমরা বাড়িঘর,ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
হিন্দুত্ববাদী মন্ত্রী কেএস ঈশ্বরাপ্পা আরো বলেছিল, ভবিষ্যতে গেরুয়া পতাকাই দেশের (ভারতের) জাতীয় পতাকা হয়ে যাবে।
হিন্দুত্ববাদীরা এখন ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ খুলে প্রকাশ্যে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর ঘোষণা দিচ্ছে। ভারতকে তারা এমন এক কট্টর হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর শপথ নিচ্ছে, যে রাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা হবে গেরুয়া পতাকা। সেখানে অন্য কোন জাতি ধর্মের মানুষ থাকতে পারবে না। এর জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুর প্রস্তুতি চালাচ্ছে গেরুয়া সন্ত্রাসীরা। যার চূড়ান্ত রুপ প্রকাশ পেতে যাচ্ছে গণহত্যার মাধ্যমে।
আর কিছুদিন আগেই একদল বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজের নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারা ২৬ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ‘ইন্ডিয়া অন দ্য ব্রিঙ্ক: প্রিভেনটিং জেনোসাইড’ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য একত্রিত হয়েছেন।
কার্যত, ঐ তিন দিনের বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলনে ঘৃণাত্মক বক্তব্য এবং গণহত্যা নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে- যেহেতু গণহত্যা একটি প্রক্রিয়া এবং একবারের ঘটনা নয়, তাই বলা যেতে পারে যে ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই হিন্দুত্ববাদীরা গণহত্যা শুরু করে দিয়েছে।
সেখানে কম্বোডিয়ার জেনোসাইড ডকুমেন্টেশন সেন্টারের একজন গবেষক মং জার্নি বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি যে, ভারত কেবল দ্বারপ্রান্তে নয়- বরং ইতিমধ্যেই একটি প্রকাশ্য গণহত্যার প্রক্রিয়ায় রয়েছে৷ হিন্দুত্ববাদী হত্যাকারীরা দুর্বল জনগোষ্ঠীকে তাদের ধর্মের নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে চিত্রিত করেছে। যখন কোন দেশে এই মানবনির্মূলীকরণ শুরু হয়, তখন ঐ দেশ ইতিমধ্যেই গণহত্যা প্রক্রিয়ার গভীরে চলে যায়। যদিও পূর্ণ মাত্রায় হত্যাকাণ্ড শুরু হতে কিছুটা দেরী হতে পারে।”
আর শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজকদের দ্বারা জারি করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটরের বিশেষ উপদেষ্টা অ্যাডামা ডিয়েং বলেছেন, “… কিন্তু বর্তমানে হিন্তুত্ববাদীদের মুসলিম বিদ্বেষ বেড়ে গণহত্যার রুপ নিয়েছে।”
এমন মুহূর্তে তাই সরকারের আনুগত্যের সবক দেওয়া ব্যক্তিদের দৃঢ়ভাবে এড়িয়ে যেতে ও নিজেদের প্রতিরক্ষার ব্যাপারে ফিকির করার পরামর্শ দিয়েছেন হক্কপন্থী উলামাগণ।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Harsha Murder: Shivamogga Muslims Leave Homes, Businesses Behind for Safety
2. ‘There is a limit to patience of Hindus’, says K’taka Minister
3. ভবিষ্যতে গেরুয়াই ভারতের জাতীয় পতাকা হতে পারে : বিজেপি মন্ত্রী –
Comment