Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ০৫ই জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ২৭শে জুন, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ০৫ই জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ২৭শে জুন, ২০২০ঈসায়ী।

    বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় আসামিদের ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের আয়োজন করতে ব্যর্থ এনআইসি



    বিজেপির বাবরি মসজিদ ধ্বংসে জড়িত সন্ত্রাসীদের মামলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল ভিডিয়ো কনফারেন্সে৷ লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলিমনোহর যোশী, উমা ভারতী, ধ্বংসের সময়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং ও শ্রী রামজন্ম ভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মহন্ত নিত্য গোপাল দাসকে সিবিআই কোর্ট এ ব্যাপারে নির্দেশ জারি করেছিল৷

    তবে যাদেরকে এই কনফারেন্সের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেই ন্যাশনাল ইনফরমেটিকস সেন্টার ভিডিয়ো কনফারেন্সের আয়োজনে ব্যর্থ হয়েছে৷ কোভিড-১৯ ও লকডাউনের জন্যই এমন ব্যবস্থা নেবার কথা ভাবা হয়েছিল৷ কিন্তু মঙ্গলবার বিশেষ আদালত এনআইসির ব্যর্থতা নিয়ে উদবেগ প্রকাশ করেছে৷ সিবিআই কোর্ট বিষয়টি নিয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্য সচিবকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছে৷

    ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর সাড়ে চারশো বছরের অধিক সময় ধরে অযোধ্যাতে দাঁড়িয়ে থাকা মুসলমানদের ঐতিহাসিক ইমারত বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয় উন্মত্ত করসেবক সন্ত্রাসীরারা৷ সেই সময় ঘটনাস্থলের কাছেই আদবানি, উমা ভারতীরা হাজির থেকে মসজিদ ভাঙতে ইন্ধন জুগিয়েছে। তারই মামলাতে হাজিরা দেবার জন্য আদবানিসহ ১০ জনকে ভিডিয়ো লিঙ্কের মাধ্যমে তার নয়াদিল্লির বাসস্থান থেকেই হাজিরা দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এন আই সিকে৷ কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত তারা কোনও সাড়া দেয়নি কোর্টকে৷ এ নিয়ে মালাউনদের বিশেষ আদালত কার্যত হতাশ৷


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/27/39179/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এবার ভারতকে পানি দেয়া বন্ধ করলো ভুটান, বিপাকে ২৬টি গ্রামের হাজারো কৃষক



    কাশ্মীর নিয়ে পাক-ভারত বিরোধ তো দীর্ঘদিনের। এর মধ্যে নতুন সংযোগ হলো চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত। আরেকদিকে নেপাল। এ তালিকায় এবার যুক্ত হলো আরেক প্রতিবেশী ভুটান। হঠাৎ করেই ভারতে পানি প্রবাহ আটকে দিয়েছে দেশটি। এতে বিপাকে পড়েছে আসামের এই জেলাটির ২৬টি গ্রামের ৬ হাজারেরও বেশি কৃষক। হঠাৎ করে এই পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে এই কৃষকরা। এরই মধ্যে, জেলার কৃষক এবং অন্যান্য পেশার মানুষেরা এক হয়ে গত সোমবার বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ।

    জি নিউজের প্রতিবেদনের ভাষ্য, ‘দুই প্রতিবেশী দেশের উৎপাতে অতিষ্ঠ ভারত। চীন ও নেপাল, দুই দেশই ভারতীয় সীমান্তে একের পর এক বেআইনি কাজ করে চলেছে। চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। ওদিকে বিহারের লাগোয়া সীমান্তে নেপাল পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন সাধারণ এক ভারতীয়। গুরুতর আহত হয়েছিলেন আরও তিনজন। চীন ও নেপালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এবার উৎপাত করে চলেছে ভুটান। তবে চীন ও নেপালের সঙ্গে ভারতের বিবাদের মাঝে ভুটানের কাণ্ড তেমন একটা প্রকাশ পায়নি। কিন্তু আড়ালে-আবডালে তারাও এবার ভারতীয় চাষীদের জল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।’

    খবরে বলা হয়েছে, ১৯৫৩ সাল থেকে কৃত্রিমভাবে তৈরি এই নালা (স্থানীয়ভাবে ‘ডং’ নামে পরিচিত) দিয়ে আসা পানি দিয়ে ফসল ফলায় আসামের এই জেলাটির ২৬টি গ্রামের ৬ হাজারেরও বেশি কৃষক। হঠাৎ করে এই পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে এই কৃষকরা। এরই মধ্যে, জেলার কৃষক এবং অন্যান্য পেশার মানুষেরা এক হয়ে গত সোমবার একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বিক্ষোভে বক্তারা ভুটান সরকারের এই পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
    এদিকে ভুটান সরকার পানি বন্ধের কোনও কারণ উল্লেখ করেনি। কেন চ্যানেলের পানি প্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে তা নিয়ে কর্মকর্তাদেরও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/27/39165/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতার ফাঁকা বুলি বনাম বাস্তবতা



      ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কথিত বোকাদের দিনে, ১৮৯৫ সালের ১ এপ্রিল, এখন থেকে ১২৫ বছর আগে ওই সময়ের উপমহাদেশের ব্রিটিশ শাসক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাধ্যমে। ইন্ডিয়ান আর্মি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল কোম্পানির অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা করা, প্রতিবেশী রাজ্যগুলো জয় করা, বিদ্রোহ দমন, স্থানীয়দের দমন করা, ব্রিটিশ শাসকদের মর্যাদা রক্ষা করা, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য দেখাশুনা করা ইত্যাদি।

      সাউথ এশিয়ান মনিটরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর ইন্ডিয়ান আর্মি বর্তমান সময়ের ভারতীয় সেনাবাহিনীতে পরিণত হয়। তবে মতাদর্শ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একই থাকে। একই ধরনের প্রশিক্ষণ অব্যাহত থাকে, একই ঐতিহ্য বহাল থাকে। অধিকন্তু, এখন পর্যন্ত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রায় একই ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। গোয়া, সিকিম, হায়দরাবাদ, জুনাগর ও আরো কয়েকটি স্বাধীন রাজ্য তারা দখল করেছে। তারা এখনো আসাম, মাওবাদী বিদ্রোহী, নাগাল্যান্ড, কাশ্মির, শিখ ইত্যাদি জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তারা এখনো পাঞ্জাব, হরিয়ানা, আসাম, বিহার, কাশ্মিরে স্থানীয় লোকজন এবং মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, দলিত ও নিম্নবর্ণের হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদেরকে দমন করে যাচ্ছে।

      বস্তুত, অবস্থার আরো অবনতি ঘটে যখন মুসলিমদেরকে সরিয়ে রাখে। সশস্ত্র বাহিনীতে তাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করা হয় না। অবশ্য, তারা কিছু আলংকারিক ভিত্তি দেয়, কিন্তু ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর থেকে কমান্ড, ক্ষমতা বা উচ্চ পদে মুসলিমদের রাখা হয় না। আবার ১৯৮০-এর দশকে শিখদের স্থান স্বর্ণমন্দিরে হামলার পর শিখদের বিরুদ্ধেও একই অবস্থান গ্রহণ করা হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনীতে শিখদের আর বিশ্বাস করা হয় না, তাদের গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডে রাখা হয় না। সম্প্রতি ভারতীয় সেনাপ্রধান গুর্খাদের সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে গুর্খা রেজিমেন্টগুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। গুর্খারা মূলত নেপালি। ব্রিটিশরা তাদেরকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ভর্তি করিয়েছে। তাদেরকে তারেদকে সেরা লড়াকু সৈনিক বিবেচনা করা হতো। তারা সারা ভারতে গুর্খাদের মোতায়েন করেছিলো, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও তাদের সারা দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছিলো। এখনো ভারতীয় সেনাবাহিনীতে তাদের বিরাট অংশ আছে এবং সাহসিকতার জন্য তারা পরিচিত। তা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনাপ্রধানের লজ্জাজনক মন্তব্য তাদেরকে আহত করেছে। গুর্খাদের ব্যাপারে ভারত সরকারের নীতি কী হবে তাও অনিশ্চিত।

      নিজেদের লোকদের দমন করার ব্যাপারে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুখ্যাতিও ব্যাপকভাবে জানা বিষয়। তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। নিরপেক্ষ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, মানুষের ইতিহাসে ভারত সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। বিশেষ করে কাশ্মির, পাঞ্জাব, আসাম, বিহার, নাগাল্যান্ডে তাদের রেকর্ড সবচেয়ে খারাপ।

      কাশ্মির ও অন্য কয়েকটি রাজ্যে যুদ্ধাপরাধের জন্য ভারতের সামরিক ব্যক্তিদের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। বস্তুত, আমি নিশ্চিত, আগে হোক আর পরে হোক, যুদ্ধাপরাধে জড়িততের শান্তি পেতেই হবে। ভারতীয় বাহিনীতে বেতন, ভাতা, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদির দিক থেকে উচ্চ পদস্থ অফিসার ও সাধারণ সৈনিকদের মধ্যকার ব্যবধান বিপুল। নিম্ন পদের সৈনিকদের যে পোশাক, জুতা, খাবার দেয়া হয়, তা মর্মান্তিক। অস্ত্র ও গোলাবারুদ সেকেলে। যুদ্ধ-মেশিনগুলো অকার্যকর। অকার্যকর যুদ্ধ-মিশন নিয়ে বিক্ষুব্ধ সশস্ত্র বাহিনী সুসজ্জিত, সুপ্রশিক্ষিত, সুপরিচর্যায় থাকা চীনা বাহিনীর সামনে টিকতে পারবে না।

      ভারত ও চীনের দুই বাহিনীর মেজর জেনারেল পর্যায়ের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে উচ্চতর পর্যায়ে তথা লে. জেনারেল পর্যায়ে পরবর্তী আলোচনা হয়। লাদাখে ভারত ও চীনাদের মধ্যে সংঘাত নিয়ে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করতে জনসাধারণের সামনে আসছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় মিডিয়া চুপসে গেছে, বিষয়টি নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করছে না। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছুটা রক্ষণশীল, তারা যেকোনো ধরনের কড়া বিবৃতি প্রদান থেকে সংযত রয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় মিডিয়া ও সশস্ত্র বাহিনীর আগ্রাসী মনোভাব চীনের ক্ষেত্রে বিলীন হয়ে গেছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতার বাস্তবতা ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/27/39166/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সীমান্তে চলমান হত্যাকান্ড দিল্লির প্রতি নতজানু রাজনীতির প্রতিদান : ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী



        লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা সীমান্তে চীনের হাতে পর্যুদস্ত ভারত। সেখানে দেশটির ২৩ সেনা নিহত হয়েছে। ১০ জনকে ধরে নিয়ে গিয়ে পরে ছেড়ে দিয়েছে চীন। বিহার রাজ্যের নেপাল সীমান্তে ভারতের নির্মাণাধীন নদীভাঙন রোধে বাঁধ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে নেপাল। এমনকি ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন ওই এলাকা নিজেদের দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে নেপাল। যা মোদী সরকারের যোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। ডং চ্যানেলের পানি দিয়ে আসাম রাজ্যের বাকসা জেলার ২৬টি গ্রামের কৃষক চাষাবাদ করেন। যুগের পর যুগ ধরে চলা ডংয়ের সেই পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে ভুটান। ছোট-বড় সব প্রতিবেশির সীমান্তে যখন ভারত মার খাচ্ছে; তখন সব ঝাঁঝ যেন মেটাচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্তে। সীমান্তে একের পর এক হত্যাকান্ড চালিয়েই যাচ্ছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী (বিএসএফ)। গতকালও লালমনিরহাটের পাটগ্রামে সীমান্তে একজন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ। সীমান্ত হত্যা নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র গতকালও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

        রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, এটা দিল্লির প্রতি নতজানু রাজনীতির প্রতিদান। সরকারের ভারত তোষণনীতির কারণে সীমান্ত হত্যা হচ্ছে। নেপাল, ভুটানের মতো দেশের সঙ্গে ভারত পেরে উঠছে না। অথচ সীমান্তে বাংলাদেশিদের একের পর এক হত্যা করেছে। রাজনৈতিক কারণেই সরকার ও বিরোধী দলগুলো ভারতের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না। এ দায় সীমান্তে জীবন দিয়ে দিতে হচ্ছে নাগরিকদের।

        গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শমসেরনগর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে গতকাল মিজানুর রহমান মিজান (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হন। নিহত মিজান পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের মুংলিবাড়ী গ্রামের ভুট্টু মিয়ার ছেলে। উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের শমসেরনগর সীমান্ত দিয়ে গরু নিয়ে ফেরার পথে বিএসএফ ১৪০ ব্যাটালিয়নের চুয়াংগারখাতা ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত মিজানকে সঙ্গীরা উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে সে মারা যায়। রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের শমসেরনগর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সুলতান হোসেন জানান, বিএসএফের গুলিতে মিজানের মৃত্যু হয়েছে।

        কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের চিরদিনের শত্রুতা। সম্পর্কটা সাপে-নেউলে। দুই দেশের সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীর হাতে একজন পাকিস্তানী নিহত হলে পরের দিনই পাকিস্তান সীমান্ত রক্ষীরা দুই জন ভারতীয়কে হত্যা করে বদল নেয়।

        আগে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনের সৈন্যদের হাতে ভারতের একজন সিনিয়র সেনা অফিসারসহ ২৩ জন সেনা সদস্যকে প্রাণ দিতে হয়। ১০ জন ভারতীয় সেনা সদস্যকে চীনের সেনারা ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ভারত সীমান্তে সৈন্য বৃদ্ধিসহ যুদ্ধের হম্বিতম্বি করলেও শেষমেষ সমঝোতা করতে বাধ্য হন। দীর্ঘদিন নেপাল প্রতিবেশি ভারতের আগ্রাসী নীতির শিকার হয়েছে। এখন নেপাল কঠোরভাবে ভারতকে চোখ রাঙাচ্ছে। ভারতীয় পণ্য বর্জন এবং ভারতের চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে। বিহার সীমান্তে নেপাল ভারতের ভূমি নিজেদের দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে। নেপালের এই নতুন মানচিত্র নিয়ে নিজ দেশের বিরোধী দলের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে গেছে মোদী সরকার।

        হিন্দুত্ববাদী ভারত প্রতিবেশি সব দেশের সীমান্তে যখন বিপদে; তখন একমাত্র বাংলাদেশের সীমান্তে দাদাগিরি দেখাচ্ছে। দুই দেশ সীমান্ত হত্যা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের ঘোষণা দিলেও বিএসএফ একের পর এক বাংলাদেশিকে হত্যা করছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুতেই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ১৯ জনে পৌঁছেছে। তাদের মতে, ২০১৩ সালে মোট ২৭ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ। ২০১৪ সালে হত্যা করা হয়েছে ৩৩ জন বাংলাদেশিকে। আহত হয়েছেন ৬৮ জন। ২০১৫ সালে বিএসএফ হত্যা করেছে ৪৫, ২০১৭ সালে ২৪, ২০১৮ সালে নিহত হয়েছেন ১৪ জন ও ২০১৯ সালে সীমান্তে ৪৩ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। তাদের মধ্যে গুলিতে ৩৭ এবং নির্যাতনে ছয়জন। অপহৃত হয়েছেন ৩৪ জন।

        মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর তথ্যানুযায়ী ২০০০ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে গত ২০১২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এক হাজার ৬৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে বিএসএফ। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুসারে ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পযন্ত ছয় বছরে বিএসএফ গুলি ও শারীরিক নির্যাতনে হত্যা করেছে ৪২ বাংলাদেশিকে। অন্য এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সীমান্তে ৩১২ বার হামলা চালানো হয়। এতে ১২৪ বাংলাদেশি নিহত হন। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে ১৩০টি হামলায় ১৩, ১৯৯৭ সালে ৩৯টি ঘটনায় ১১, ১৯৯৮ সালে ৫৬টি ঘটনায় ২৩, ১৯৯৯ সালে ৪৩টি ঘটনায় ৩৩, ২০০০ সালে ৪২টি ঘটনায় ৩৯ জন নিহত হন। ভারত প্রতিনিয়তই সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/27/39174/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতের মালদহে মুসলিম পরিবারের উপর হিন্দুত্ববাদী দুষ্কৃতিকারীদের বর্বরোচিত হামলায় আহত ৩



          ভারতের মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় একদল হিন্দু দুষ্কৃতিকারী এক গৃহস্থ মুসলিম বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।

          সংবাদ মাধ্যম বেঙ্গল নিউজ সূত্রে জানা যায়, গতো রবিবার দুপুরে হিন্দুত্ববাদীরা সাদ্দাম হোসেন, সরজেমা বিবি, সোনাভান খাতুনকে তলোয়ার ও ভোজালি দিয়ে আক্রমণ করে।

          সাদ্দামের পেটের নাড়িভুড়ি বের করে ফেলে। তাঁর মাথাতেও আঘাত করেছে। এক মুসলিম মহিলার স্তন তলোয়ার দিয়ে কেটে দেয়। এমনকি দুষ্কৃতিদের হাত থেকে রেহাই পায়নি সাদ্দামের গর্ভবতী স্ত্রী সোনা ভান বিবিও।

          হামলার পর সকলকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভালুকা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থা খারাপ দেখে কর্তব্যরত ডাক্তাররা মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/27/39173/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারতে মাটি খুঁড়ে মিললো আরবিতে খোদাই করা ‘আল্লাহ্ ছাড়া কোনও উপাস্য নেই’ স্বর্ণমুদ্রা



            ভারেতের তামিলনাড়ুর প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে শিবগঙ্গাই জেলার কালাইয়ার কয়েলের কাছে এলানধাক্কারাইয়ে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করেছে সিরীয় সোনার মুদ্রা। এই স্বর্ণমুদ্রায় আরবিতে খোদাই করা আছে ‘আল্লাহ্ ছাড়া কোনও উপাস্য নেই।’ এই মুদ্রা ষষ্ঠ শতকের বলে অনুমান করা হচ্ছে। মাদুরাই শহরতলির অদূরে কিঝাড়ি ও শিবগঙ্গাই জেলার সীমান্তে খননকার্য শুরু হয়েছিল চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি।

            লকডাউনের আগে উদ্বোধন করেছিলেন ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পালানিসামি। লকডাউনের জেরে কাজ বন্ধ থাকলেও আবার তা চালু হয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক কর্মী জেমিনি রমেশ বলেছেন, ‘এই মুদ্রা প্রমাণ করে মাদুরাই অঞ্চলে ইসলাম ধর্ম অনেক আগে প্রসার লাভ করেছিলো।’ শিক্ষাবিদরা এই এলাকাকে ভাইগাই উপত্যকা সভ্যতার অংশ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

            ২৩০০ বছর আগের এই সভ্যতার হদিশ মেলার পর ২০১৫ সালে এখানে খননকার্য শুরু হয়। মাদুরাইয়ের বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী মুহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, ১৪ শতকে মালিক কাফুরের মাদুরাই জয়ের আগেই ইসলাম পৌঁছেছিলো এখানে। আরবের সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল আর পান্ড্য রাজত্ব মুক্তোর জন্য প্রসিদ্ধ ছিলো। তাঁর ধারণা, ইসলামের অস্তিত্ব যে এখানে বহু আগে থেকেই ছিল তা খনন চালিয়ে গেলে ক্রমশ প্রকাশিত হবে।
            সূত্র: পুবের কলম


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/27/39187/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              যজ্ঞের বেদির ছক থেকেই আবিষ্কার হয়েছে জ্যামিতির’ মন্তব্য নির্বোধ বিজেপি সাংসদের



              যজ্ঞের বেদি স্থলে আঁকা ছক থেকেই আবিষ্কার হয়েছে জ্যামিতি এবং ত্রিকোণমিতির, এমনটাই দাবি নদিয়ার রানাঘাট লোকসভার বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের (Jagannath Sarkar)। তাঁর কথায়, “এখন অনেক বিজ্ঞানীকেই ডক্টরেট, ডিএসসি উপাধি দেওয়া হয়, কিন্তু ভারতবর্ষের প্রাচীন মুনি-ঋষিরা প্রকৃত বৈজ্ঞানিক। আধুনিক বিজ্ঞানের যুগেও পুরনো রীতি-নীতি নিয়ে চর্চা হচ্ছে। তাই প্রাচীন মুনি-ঋষিদের দেখানো পথেই চলা উচিত।”

              করোনা (CoronaVirus) আতঙ্কে কাঁটা গোটা বিশ্ব। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে সাংসদ জগন্নাথ সরকারের পরামর্শ নিয়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা নদিয়ার শান্তিপুরের নৃসিংহপুরে গঙ্গার পাড়ে আয়োজন করেছিলেন বিরাট যজ্ঞের। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে সম্পূর্ণ বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে সেখানে যজ্ঞ করা হয়। আহুতি দেন জগন্নাথ সরকার স্বয়ং যজ্ঞস্থলে হাজির ছিলেন একাধিক বিজেপি কর্মী -সমর্থক।

              যজ্ঞ প্রসঙ্গে তার যুক্তি, “মুনি-ঋষিরা আদতে বিজ্ঞানভিত্তিকই সবকিছু করতেন। যজ্ঞ করার আগে বেদি স্থলে আঁকা ছকই থেকেই পরবর্তীকালে জ্যামিতি এবং ত্রিকোনামিতির জন্ম। এটা বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয়, কুসংস্কার নয়।” জগন্নাথবাবুর কথায়, “যজ্ঞের মাধ্যমে নীরবতা পালন করা হয়। নীরবতা পালন কংগ্রেস, সিপিএম, সকলেই করেন। করোনা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রার্থনার জন্য এই যজ্ঞের অনুষ্ঠান। চিনা সৈনিকদের হাতে ভারতের কুড়িজনের আত্মার উদ্দেশ্যেও এই যজ্ঞের আয়োজন।”

              ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতির পরম্পরামূলক ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি কোনও অপরাধ করেননি বলেই সাফ জানিয়েছেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। পালটা বিধেঁছেন সমালোচকদের। বলেন, “অল্পবিদ্যায় ভয়ংকরী হয়ে যারা এটাকে ভ্রান্তচিন্তা বলে সমালোচনা করছেন, তাঁরা অজ্ঞতা থেকেই করছেন


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/27/39191/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                সৎ মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টায় ধরা খেলো আওয়ামী শ্রমিক লীগ নেতা



                সাভারে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আশুলিয়া থানা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজা মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার রাজা মোল্লা ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন।

                গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজা মোল্লাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, তার স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

                বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, ওই নারী তার প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার পর ৫ বছর বয়সী কন্যা সন্তান নিয়ে ২০১৩ সালে রাজা মোল্লাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর রাজা মোল্লা তার প্রথম ঘরের কন্যাকে নানা সময়ে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো।

                সর্বশেষ গত ১৫ মে রাতে ওই নারী তার প্রথম ঘরের কন্যাসহ রাজা মোল্লাকে নিয়ে প্রতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে পড়ে। মাঝরাতে ওই নারী শৌচাগারে যাওয়ার জন্য রুম থেকে বের হলে রাজা মোল্লা তার সৎ মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। এ সময় মেয়ের চিৎকারে তার রুমে গিয়ে মেয়েকে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করেন মা। পরে রাজা মোল্লা তাকে ও তার মেয়েকে ভয়-ভীতি দেখালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আমাদের সময়


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/27/39180/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  সুবহানাল্লাহ্! হে আল্লাহ্ ভারত আমাদেরকে আবার ফিরিয়ে দিন,
                  মালু মুক্ত ভারত গড়বো বিইজনিল্লাহ্, আবার স্বর্ণ মুদ্রা চালু হবে ইনশাআল্লাহ্।
                  সম্মানীত মিডিয়ার সকল ভাইকে নিরাপদ রাখুন, আমীন।

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by Rumman Al Hind View Post
                    সুবহানাল্লাহ্! হে আল্লাহ্ ভারত আমাদেরকে আবার ফিরিয়ে দিন,
                    মালু মুক্ত ভারত গড়বো বিইজনিল্লাহ্, আবার স্বর্ণ মুদ্রা চালু হবে ইনশাআল্লাহ্।
                    সম্মানীত মিডিয়ার সকল ভাইকে নিরাপদ রাখুন, আমীন।
                    আমীন,,,,ছুম্মা,,, আমীন।
                    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by Rumman Al Hind View Post
                      সুবহানাল্লাহ্! হে আল্লাহ্ ভারত আমাদেরকে আবার ফিরিয়ে দিন,
                      মালু মুক্ত ভারত গড়বো বিইজনিল্লাহ্, আবার স্বর্ণ মুদ্রা চালু হবে ইনশাআল্লাহ্।
                      সম্মানীত মিডিয়ার সকল ভাইকে নিরাপদ রাখুন, আমীন।
                      আমীন,,ইয়া রাব্বাল আলামীন।



                      [
                      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                      Comment

                      Working...
                      X