মুসলিম হামলার জেরে পুলিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার হুমকি : ধরা-ছোঁয়ার আরো বাইরে উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীরা
ভারতে কথিত আইন আছে, ধরপাকড়ও আছে। তবে তা শুধু মুসলিমদের বেলায়। মুসলিমরা অপরাধ না করেও আইনের মারপ্যাচে বছরের পর বছর কারাগারে কাটাতে হয়। অন্যদিকে উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীরা, প্রকাশ্য দিবালোকে মুসলিমদের উপর হামলা চালিয়েও হিন্দুত্ববাদের আর্শীর্বাদে বহাল তবিয়তে থেকে যায়।
গত শনিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে হিন্দুদের একটি ধর্মীয় মিছিল থেকে স্থানীয় মুসলিমদের উপরে হামলা চালায় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় মুসলিম ব্যক্তি আহত হন।
হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা চলাকালীন পাথর ছোড়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলে মুসলিমদের উপর হিন্দুত্ববাদীরা হামলা চালায়। এলাকার মুসলিম বাসিন্দারা জানিয়েছেন হিন্দুরা শোভাযাত্রা করে আসার সময় অশান্তি তৈরি করে।
সেই হিন্দুত্ববাদী দল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে বলেছে, যদি দিল্লি পুলিশ জাহাঙ্গীরপুরা মুসলিমদের উপর হামলার ঘটনায় হনুমান জয়ন্তীতে অংশগ্রহণকারী তাদের কোনাে কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে তারা দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণা করবে; যদিও হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন তাদেরকে রক্ষার জন্যই কাজ করে যায়। তবে মাঝে মাঝে লোক দেখানোর জন্য তাদের আটক করা হত। এখন থেকে এটা না করার জন্যও হুমকি দিয়েছে তারা।
হিন্দুত্ববাদী বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হুমকিতে পুলিশ তাদের অবস্থান বদল করেছে। ফলে এখন থেকে হিন্দুত্ববাদীরা যখন যা ইচ্ছে মুসলিমদের সাথে তাই করতে পারবে। আর মুসলিমদের সাথে হচ্ছেও তাই।
এমন পরিস্থিতিতে মুসলিমদেরকেই তাদের নিজেদের প্রতিরক্ষা জোরদারের তাগিদ দিয়ে আসছেন বিশ্লেষকরা। কেননা তাদের রক্ষার কোন ইচ্ছা ও সামর্থ্য নেই এখন হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনের। আর হিন্দুত্ববাদী সরকার, প্রশাসন ও উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী – সকলেই চাইছে যেকোন অজুহাতে অতি দ্রুত মুসলিম গণহত্যা শুরু করে দিতে, যেন স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের কল্পিত অখণ্ড ভারত কায়েম করে ফেলা যায়।
তথ্যসূত্র:
1. Hours after VHP’s warning, Delhi Police retracts statement naming VHP regarding Jahangirpuri case
ভারতে কথিত আইন আছে, ধরপাকড়ও আছে। তবে তা শুধু মুসলিমদের বেলায়। মুসলিমরা অপরাধ না করেও আইনের মারপ্যাচে বছরের পর বছর কারাগারে কাটাতে হয়। অন্যদিকে উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীরা, প্রকাশ্য দিবালোকে মুসলিমদের উপর হামলা চালিয়েও হিন্দুত্ববাদের আর্শীর্বাদে বহাল তবিয়তে থেকে যায়।
গত শনিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে হিন্দুদের একটি ধর্মীয় মিছিল থেকে স্থানীয় মুসলিমদের উপরে হামলা চালায় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় মুসলিম ব্যক্তি আহত হন।
হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা চলাকালীন পাথর ছোড়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলে মুসলিমদের উপর হিন্দুত্ববাদীরা হামলা চালায়। এলাকার মুসলিম বাসিন্দারা জানিয়েছেন হিন্দুরা শোভাযাত্রা করে আসার সময় অশান্তি তৈরি করে।
সেই হিন্দুত্ববাদী দল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে বলেছে, যদি দিল্লি পুলিশ জাহাঙ্গীরপুরা মুসলিমদের উপর হামলার ঘটনায় হনুমান জয়ন্তীতে অংশগ্রহণকারী তাদের কোনাে কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে তারা দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণা করবে; যদিও হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন তাদেরকে রক্ষার জন্যই কাজ করে যায়। তবে মাঝে মাঝে লোক দেখানোর জন্য তাদের আটক করা হত। এখন থেকে এটা না করার জন্যও হুমকি দিয়েছে তারা।
হিন্দুত্ববাদী বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হুমকিতে পুলিশ তাদের অবস্থান বদল করেছে। ফলে এখন থেকে হিন্দুত্ববাদীরা যখন যা ইচ্ছে মুসলিমদের সাথে তাই করতে পারবে। আর মুসলিমদের সাথে হচ্ছেও তাই।
এমন পরিস্থিতিতে মুসলিমদেরকেই তাদের নিজেদের প্রতিরক্ষা জোরদারের তাগিদ দিয়ে আসছেন বিশ্লেষকরা। কেননা তাদের রক্ষার কোন ইচ্ছা ও সামর্থ্য নেই এখন হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনের। আর হিন্দুত্ববাদী সরকার, প্রশাসন ও উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী – সকলেই চাইছে যেকোন অজুহাতে অতি দ্রুত মুসলিম গণহত্যা শুরু করে দিতে, যেন স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের কল্পিত অখণ্ড ভারত কায়েম করে ফেলা যায়।
তথ্যসূত্র:
1. Hours after VHP’s warning, Delhi Police retracts statement naming VHP regarding Jahangirpuri case
Comment