বিহারের হিন্দুত্ববাদী বিধায়কের উগ্র বিদ্বেষী বক্তব্য : “মুসলিমদের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া উচিত”
ভারতে মুসলিম বিদ্বেষের আগুন জ্বলছে, চলছে মুসলিম গণহত্যার চূড়ান্ত প্রস্তুতি। আর সেই আগুনে নিয়মিত ঘি ঢেলে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন দল ও সংঘটনের নেতা কর্মীরা।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার বিহারের বিজেপি বিধায়ক হিন্দুত্ববাদী হরিভূষণ ঠাকুর বাচৌল “মুসলিমদের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া উচিত” বলে উগ্র মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্য করেছে। সে বলেছে, দশেরার উৎসবে হিন্দুরা যেমন রাবণের কুশপুত্তলিকা পোড়ায়, তেমনি মুসলমানদেরও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া উচিত।
এ উগ্র হিন্দুত্ববাদী আরো বলেছে, “আমাদের একজন হনুমান জি দরকার, যাতে আমাদের যুবকরা শক্তিশালী হতে পারে, আমাদের দেশের মানুষ শক্তিশালী হতে পারে। যেমন রাবণের লঙ্কা হনুমান জি দ্বারা পোড়ানো হয়েছিল, তেমনি রাবণ-সদৃশ (মুসলিমদের) রাবণদের, যারা বিহার এবং দেশ জুড়ে ঘোরাফেরা করছে, তাদেরও পোড়ানো উচিত।”
সাংবাদিক বিহারে ‘রাবণ’রা কোথায় জানতে চাইলে বাচাউল বলেছে, “তুমি গিয়ে দেখ কিষাণগঞ্জে কী হচ্ছে, পূর্ণিয়া, আরারিয়া, জোকিহাটে কী হচ্ছে…”
বিহারের কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, পূর্ণিয়া এবং কাটিহার জেলাগুলি সীমাঞ্চল অঞ্চলের অংশ ছিল এবং এই অঞ্চলে ৪৭% মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে। সে বিহারের মুসলমান ও মুসলিম জনবহুল অঞ্চলের কথাও বলেছে।
এমনিভাবে, মধুবনী জেলার বিজেপি বিধায়ক বিসফির মুসলিম বিদ্বেষী ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার জন্য পরিচিত।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের সে বলেছে, যে ভারতে বসবাসকারী মুসলমানদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া উচিত এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে আচরণ করা উচিত।
“যেহেতু ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় মুসলমানদের একটি পৃথক দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাই তাদের পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত। আর ভারতে থাকলে তাদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মতো জীবনযাপন করা উচিত। আমরা সরকারকে মুসলমানদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার আহ্বান জানাই।
কিছুদিন আগে হায়দরাবাদে বিজেপি বিধায়ক রাজা সিং রাম নবমী উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি সমাবেশে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছে।
হিন্দুত্ববাদী রাজা সিং বলেছে, “উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এখন দেশকে পরিষ্কার করতে বুলডোজার ব্যবহার করবেন এবং “খুব শীঘ্রই এটিকে একটি হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করবেন।” বিশ্লেষকদের মতে সে বুলডোজার দ্বারা মুসলিম গণহত্যা চালানোকেই বুঝিয়েছে।
হিন্দুত্ববাদী বিধায়ক আরও বলেছে, ‘যে রাম নাম নেবে না, তাকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে’।
ভারতে শীঘ্রই একটা মুসলিম গণহত্যা শুরু হতে যাচ্ছে এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশ্বের গণহত্যা বিশেষজ্ঞগন। এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে মুসলিমদের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন আলেমগণ।
তথ্যসূত্র:
——-
1.Bihar BJP MLA’s hate speech: “Muslims should be set ablaze…”
– https://tinyurl.com/yeyu9hmp
2. Hindutva speech during Ram Navami rally
3. video link:
ভারতে মুসলিম বিদ্বেষের আগুন জ্বলছে, চলছে মুসলিম গণহত্যার চূড়ান্ত প্রস্তুতি। আর সেই আগুনে নিয়মিত ঘি ঢেলে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন দল ও সংঘটনের নেতা কর্মীরা।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার বিহারের বিজেপি বিধায়ক হিন্দুত্ববাদী হরিভূষণ ঠাকুর বাচৌল “মুসলিমদের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া উচিত” বলে উগ্র মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্য করেছে। সে বলেছে, দশেরার উৎসবে হিন্দুরা যেমন রাবণের কুশপুত্তলিকা পোড়ায়, তেমনি মুসলমানদেরও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া উচিত।
এ উগ্র হিন্দুত্ববাদী আরো বলেছে, “আমাদের একজন হনুমান জি দরকার, যাতে আমাদের যুবকরা শক্তিশালী হতে পারে, আমাদের দেশের মানুষ শক্তিশালী হতে পারে। যেমন রাবণের লঙ্কা হনুমান জি দ্বারা পোড়ানো হয়েছিল, তেমনি রাবণ-সদৃশ (মুসলিমদের) রাবণদের, যারা বিহার এবং দেশ জুড়ে ঘোরাফেরা করছে, তাদেরও পোড়ানো উচিত।”
সাংবাদিক বিহারে ‘রাবণ’রা কোথায় জানতে চাইলে বাচাউল বলেছে, “তুমি গিয়ে দেখ কিষাণগঞ্জে কী হচ্ছে, পূর্ণিয়া, আরারিয়া, জোকিহাটে কী হচ্ছে…”
বিহারের কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, পূর্ণিয়া এবং কাটিহার জেলাগুলি সীমাঞ্চল অঞ্চলের অংশ ছিল এবং এই অঞ্চলে ৪৭% মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে। সে বিহারের মুসলমান ও মুসলিম জনবহুল অঞ্চলের কথাও বলেছে।
এমনিভাবে, মধুবনী জেলার বিজেপি বিধায়ক বিসফির মুসলিম বিদ্বেষী ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার জন্য পরিচিত।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের সে বলেছে, যে ভারতে বসবাসকারী মুসলমানদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া উচিত এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে আচরণ করা উচিত।
“যেহেতু ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় মুসলমানদের একটি পৃথক দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাই তাদের পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত। আর ভারতে থাকলে তাদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মতো জীবনযাপন করা উচিত। আমরা সরকারকে মুসলমানদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার আহ্বান জানাই।
কিছুদিন আগে হায়দরাবাদে বিজেপি বিধায়ক রাজা সিং রাম নবমী উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি সমাবেশে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছে।
হিন্দুত্ববাদী রাজা সিং বলেছে, “উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এখন দেশকে পরিষ্কার করতে বুলডোজার ব্যবহার করবেন এবং “খুব শীঘ্রই এটিকে একটি হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করবেন।” বিশ্লেষকদের মতে সে বুলডোজার দ্বারা মুসলিম গণহত্যা চালানোকেই বুঝিয়েছে।
হিন্দুত্ববাদী বিধায়ক আরও বলেছে, ‘যে রাম নাম নেবে না, তাকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে’।
ভারতে শীঘ্রই একটা মুসলিম গণহত্যা শুরু হতে যাচ্ছে এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশ্বের গণহত্যা বিশেষজ্ঞগন। এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে মুসলিমদের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন আলেমগণ।
তথ্যসূত্র:
——-
1.Bihar BJP MLA’s hate speech: “Muslims should be set ablaze…”
– https://tinyurl.com/yeyu9hmp
2. Hindutva speech during Ram Navami rally
3. video link:
Comment