Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ৭ই শাওয়াল, ১৪৪৩ হিজরি।। ৮ই মে, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ৭ই শাওয়াল, ১৪৪৩ হিজরি।। ৮ই মে, ২০২২ ঈসায়ী।

    বিহারের হিন্দুত্ববাদী বিধায়কের উগ্র বিদ্বেষী বক্তব্য : “মুসলিমদের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া উচিত”


    ভারতে মুসলিম বিদ্বেষের আগুন জ্বলছে, চলছে মুসলিম গণহত্যার চূড়ান্ত প্রস্তুতি। আর সেই আগুনে নিয়মিত ঘি ঢেলে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন দল ও সংঘটনের নেতা কর্মীরা।

    সেই ধারাবাহিকতায় এবার বিহারের বিজেপি বিধায়ক হিন্দুত্ববাদী হরিভূষণ ঠাকুর বাচৌল “মুসলিমদের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া উচিত” বলে উগ্র মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্য করেছে। সে বলেছে, দশেরার উৎসবে হিন্দুরা যেমন রাবণের কুশপুত্তলিকা পোড়ায়, তেমনি মুসলমানদেরও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া উচিত।

    এ উগ্র হিন্দুত্ববাদী আরো বলেছে, “আমাদের একজন হনুমান জি দরকার, যাতে আমাদের যুবকরা শক্তিশালী হতে পারে, আমাদের দেশের মানুষ শক্তিশালী হতে পারে। যেমন রাবণের লঙ্কা হনুমান জি দ্বারা পোড়ানো হয়েছিল, তেমনি রাবণ-সদৃশ (মুসলিমদের) রাবণদের, যারা বিহার এবং দেশ জুড়ে ঘোরাফেরা করছে, তাদেরও পোড়ানো উচিত।”

    সাংবাদিক বিহারে ‘রাবণ’রা কোথায় জানতে চাইলে বাচাউল বলেছে, “তুমি গিয়ে দেখ কিষাণগঞ্জে কী হচ্ছে, পূর্ণিয়া, আরারিয়া, জোকিহাটে কী হচ্ছে…”

    বিহারের কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, পূর্ণিয়া এবং কাটিহার জেলাগুলি সীমাঞ্চল অঞ্চলের অংশ ছিল এবং এই অঞ্চলে ৪৭% মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে। সে বিহারের মুসলমান ও মুসলিম জনবহুল অঞ্চলের কথাও বলেছে।

    এমনিভাবে, মধুবনী জেলার বিজেপি বিধায়ক বিসফির মুসলিম বিদ্বেষী ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার জন্য পরিচিত।

    গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের সে বলেছে, যে ভারতে বসবাসকারী মুসলমানদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া উচিত এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে আচরণ করা উচিত।
    “যেহেতু ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় মুসলমানদের একটি পৃথক দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাই তাদের পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত। আর ভারতে থাকলে তাদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মতো জীবনযাপন করা উচিত। আমরা সরকারকে মুসলমানদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার আহ্বান জানাই।

    কিছুদিন আগে হায়দরাবাদে বিজেপি বিধায়ক রাজা সিং রাম নবমী উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি সমাবেশে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছে।

    হিন্দুত্ববাদী রাজা সিং বলেছে, “উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এখন দেশকে পরিষ্কার করতে বুলডোজার ব্যবহার করবেন এবং “খুব শীঘ্রই এটিকে একটি হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করবেন।” বিশ্লেষকদের মতে সে বুলডোজার দ্বারা মুসলিম গণহত্যা চালানোকেই বুঝিয়েছে।

    হিন্দুত্ববাদী বিধায়ক আরও বলেছে, ‘যে রাম নাম নেবে না, তাকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে’।
    ভারতে শীঘ্রই একটা মুসলিম গণহত্যা শুরু হতে যাচ্ছে এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশ্বের গণহত্যা বিশেষজ্ঞগন। এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে মুসলিমদের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন আলেমগণ।

    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1.Bihar BJP MLA’s hate speech: “Muslims should be set ablaze…”
    https://tinyurl.com/yeyu9hmp
    2. Hindutva speech during Ram Navami rally
    https://tinyurl.com/mry6x3wd
    3. video link:
    https://tinyurl.com/59fdjve7
    Last edited by Al-Firdaws News; 05-10-2022, 06:28 AM. Reason: উম্মাহ নিউজ#| ৭ই শাওয়াল, ১৪৪৩ হিজরি।। ৯ই মে, ২০২২ ঈসায়ী।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আফগানিস্তান | ৯ মাসে ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণে রেকর্ড, চমক আছে পর্যটন খাতেও


    দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নানান কৌশল প্রণয়নের পাশাপাশি, অর্থনীতির অনতম চালিকাশক্তি অবকাঠামো উন্নয়নেও সমান মনোযোগী ইসলামি ইমারত আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। কেবল এক হেলমান্দ প্রদেশেই গত আগস্ট থেকে নিয়ে ৪ টি বড় সেতু এবং ১১৬ টি কালভার্ট মেরামত করা হয়েছে।

    এছাড়াও, গত ৮ অক্টোবর হেলমান্দ প্রদেশের ‘পবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট’এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, তারা এরই মধ্যে আরও ৩ টি সেতু ও ১১৬ টি কালভার্ট পুনঃনির্মাণ করেছেন। কর্মকর্তারা তাই আশা প্রকাশ করে বলেছেন যে, হেলমান্দ সরা দেশে নবনির্মিত এবং নির্মিতব্য এসকল ব্রিজ-কালভার্ট জনভোগান্তি নিরসন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বেগবান করতে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।



    এছাড়া দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছেন ইসলামি ইমারত আফগানিস্তানের তালিবান কর্তৃপক্ষ। এর প্রমাণও পাওয়া গেলো হাতে-নাতে, এই ঈদ-উল-ফিতরের সময়।
    ঈদ মৌসুম উপলক্ষে এক বামিয়ান প্রদেশেই প্রায় ১৩ হাজার দর্শনার্থী বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমন করেছেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বামিয়ান প্রদেশের কর্মকর্তাগণ।

    এভাবেই সকল খাতকে উপযুক্ত গুরুত্ব দিয়ে দেশ, জনগণ ও উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে নিরলস পরিশ্রম করে জচ্ছেন তালিবান উমারাগং এবং কর্মকর্তাবৃন্দ।

    তথ্যসূত্র :
    ———

    1. 3 brises amon tens of culvarts repaired in Helmand
    https://tinyurl.com/2uhp2zb8
    2. Over 13,000 tourists visited Bamyan on Eid-ul-Fitr
    https://tinyurl.com/y2d9tvbu
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ঐতিহাসিক বাবরির মতো এবার তাজমহলও গ্রাসের চেষ্টায় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা


      অযোধ্যার বাবরি মসজিদের মতো এবার আগ্রার তাজমহলও গ্রাস করার চেষ্টা করছে ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার। এই হেরিটেজ স্থাপত্যে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কর্মকর্তাদের দিয়ে তদন্ত করে দেখানোর আর্জি নিয়ে পিটিশন দায়ের করেছে হিন্দু্ত্ববাদী ওই দলটির এক উগ্র নেতা।

      তাজমহলের ২০টি বন্ধ ঘরে কী রয়েছে জানতে এবার এলাহাবাদ হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছে ওই পিটিশন। একাংশের দাবি, তাজমহলের বন্ধ ঘরগুলির ভিতর হিন্দু দেবদেবীদের মূর্তি লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এই দাবির সত্যতা খোঁজার আর্জি নিয়েই এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ ভারতীয় জনতা দলের অযোধ্যার মিডিয়া ইন-চার্জ ডঃ রজনীশ সিং। কেসটি আদালতের সামনে পেশ করেছে অ্যাডভোকেট রুদ্র বিক্রম সিং।

      রজনীশ সিংয়ের উদ্ভট দাবি, ”তাজমহলের ওই ২০ রুমে কী রয়েছে তা নিয়ে বহুদিন ধরেই চলে আসছে বিতর্ক। ওই ২০ ঘরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। আমাদের স্থির বিশ্বাস ওই ঘরগুলিতে হিন্দু দেবদেবী ও হিন্দু ভাস্কর্য তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে।” মামলা দায়ের প্রসঙ্গে সে বলেছে, ”আমি হাইকোর্টে একটি পিটিশন ফাইল করে আর্জি জানিয়েছি, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া-কে দিয়ে ঘরগুলি খুলে দেখানো হোক। কিছু না থাকলে বিতর্কের ঝড় থামাতে ওই ঘরগুলির খুলতে তো কোনও বাধা নেই।”

      রজনীশের দায়ের করা ওই পিটিশন অনুযায়ী এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। দাবি, আদালত রাজ্য সরকারকে এএসআই কর্মকর্তাদের দিয়ে তাজমহলের ওই ঘরগুলি খুলিয়ে তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দিক। একইসঙ্গে ঘরগুলিতে কোনও হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি, ভাস্কর্য কখনও রাখা হয়েছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হোক। সত্য যাচাইয়ে কোনও ক্ষতি নেই বলে দাবি বিজেপি নেতার।

      তাজমহলকে ঘিরে এই বিবাদ কিছুটা পুরনো। ২০১৫ সালে আদালতে ৬ জন আইনজীবী মামলা দায়ের করে আরও উদ্ভট এক দাবি করেছিল। তারা তখন বলেছিল যে, তাজমহল নাকি ছিল একটি শিব মন্দির। ২০১৭ সালে বিজেপি নেতা বিনয় কাটিয়ার একই দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দ্বারস্থ হয় এবং তাকে স্বশরীরে তাজমহলে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আর্জি জানায়। আবার ২০১৯ সালে বিজেপি নেতা অনন্ত কুমার হেগড়ের দাবি ছিল আরও হাস্যকর। সে দাবি করেছিল, তাজমহল আসলে শাহজাহান তৈরিই করেননি! তিনি নাকি রাজা জয়সিনহার থেকে এটা কেড়ে এনেছিলেন।

      প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে এই সব বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে একটি এফিডেফিট ফাইল করে বলে তাজমহল একটি স্মৃতিসৌধ, যা মোঘল সম্রাট শাহজাহান তার পত্নী বেগম মুমতাজের স্মৃতিতে তৈরি করিয়েছিলেন।

      সম্প্রতি তাজমহলে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল অযোধ্যার ছাবনি এলাকার হিন্দুত্ববাদী পরমহংসাচার্য মহারাজকে। তার তিন শিষ্যকে নিয়ে সে তাজমহল দর্শনে পৌঁছলে ওই সাধুর পথ আটকায় নিরাপত্তারক্ষীরা। তার দাবি, তাজমহলের নাম নাকি ছিল, ‘তেজো মহালয়।’

      জগৎগুরু পরমহংসাচার্য মহারাজ সংযোজন করে, ”এটি তাজমহল নয়। এটি আসলে ভগবান শিবের মন্দির। মোগলরা এটিকে তাজমহল বলা শুরু করেছিলেন। যা সম্পূর্ণ ভুল।”

      উল্লেখ্য, ভারতজুড়ে মুসলিমদের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী হিসেবে ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ইসলামিক স্থাপনা। মুসলিম শাসনের ৬০০ বছরে মুসলিমরা ভারতীয় উপমহাদেশকে একটি সভ্য, সমৃদ্ধ ও উন্নত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। আর এখন সেই ইতিহাসকে বিকৃত করতে, সেগুলো ভেঙ্গে ফেলতে হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী ₹১৩,৪৫০ কোটিরও বেশি রুপি ব্যয়ে আইকনিক সেন্ট্রাল ভিস্তা পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে।

      প্রতিবেদক : মাহমুদ উল্লাহ্‌



      তথ্যসূত্র :
      তথ্যসূত্র :

      ১। বাবরির মতো এবার তাজমহলও গ্রাসের চেষ্টায় হিন্দুত্ববাদীরা
      https://tinyurl.com/3dk3y4tz
      ২। The Hindutva Project To Rewrite History And Destroy Historic Architecture
      https://tinyurl.com/zukd4856
      ৩। প্রত্নতাত্ত্বিক দেয়ালেও ছিল মসজিদের বৈশিষ্ট্য – https://tinyurl.com/2p87ufxw

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X