Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৪ঠা যিলহজ্ব, ১৪৪৩ হিজরি।। ০৪ঠা জুলাই, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৪ঠা যিলহজ্ব, ১৪৪৩ হিজরি।। ০৪ঠা জুলাই, ২০২২ ঈসায়ী।

    ভারতে আরও এক নবী-অবমাননাকারীর পাওনা মিটিয়ে দিলেন নবী (ﷺ) প্রেমীক যুবকরা



    উদয়পুরের হামলারও কয়েকদিন আগে মুসলিম উম্মাহর হৃদয় উষ্ণকারী ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য। যেখানে নুপুর শর্মার সমর্থনকারী আরও এক শাতেমে রাসূলকে তার পাওনা মিটিয়ে দিয়েছিলেন মুসলিম যুবারা।

    দেশটির ‘এনডিটিভি’র সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যটির ‘অমরাবতী’ এলাকায় আরও একটি ঐতিহাসিক টার্গেট কিলিং অপারেশন চালানো হয়েছে। যেখানে ৫৪ বছর বয়সী আমিশ প্রহ্লাদ নামক এক ব্যবসায়ীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনা প্রকাশের পর অনেকটাই ভীতসন্ত্রস্ত হয়েছে পড়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জুন রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। যখন রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরার জন্য দোকানের পাশের সরু রাস্তা হয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই উক্ত রাস্তায় আগে থেকেই অপেক্ষমাণ দুই যুবক তার গর্দান বরাবর গভীর ছুরিকাঘাত করে। আর সেখানেই সে মারা যায়।

    পরে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দেশটির ‘এনআইএ’ বিভাগ। এবং কুখ্যাত UPA আইনের অধীনে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। এই ঘটনার কিছুদিন পর সন্দেহবাজন ৭ যুবককে বন্দী করে দেশটির হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।

    জিজ্ঞাসাবাদে দুই মুসলিম যুবক হত্যার বিষয়টি গর্বের সাথে স্বীকার করেন। এবং হত্যার কারণ সম্পর্কে তাঁরা জানান যে, উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মা কর্তৃক রাসূল মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে নিয়ে জঘন্য মন্তব্যের সমর্থনের জেরেই তাঁরা এই টার্গেট কিলিং অপারেশনটি চালিয়েছেন। কেননা নিহত ঐ উগ্র হিন্দু ব্যবসায়ীও নুপুর শর্মার পথ ধরে রাসূল (ﷺ) এর শানে অবমাননাকর মন্তব্য শেয়ার করেছে, এবং নুপুরের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্টও করেছে।

    একইভাবে গত ২৮ জুন দিবালোকে রাজস্থানে এক শাতেমে রাসূলের পাওনা মিটিয়ে দিয়েছিলেন এমনই আরও ২ মুসলিম যুবক। যাকে কুপিয়ে হত্যা করে তার ভিডিও ধারণ করেন ঐ যুবকরা।

    উল্লেখ্য যে, সাম্প্রতিক সময়ে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে একটি টিভি সাক্ষাৎকারে জঘন্য ভাষায় অবমাননাকর মন্তব্য করে বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মা। এরপর পুরো মুসলিম বিশ্ব এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং নুপুর শর্মার কঠিন শাস্তি দাবি করে। কিন্তু উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার তাকে শাস্তি না দিয়ে নিরাপত্তা দিতে থাকে। অপরদিকে প্রতিবাদকারী মুসলিমদের ঘরবাড়ি ভাঙা এবং তাদেরকে গণহারে গ্রেফতার করতে থাকে।

    উগ্র হিন্দুরা ভেবেছিল তাদের এসব কর্যক্রমের ফলে এই ঝড় থেমে যাবে। তারা এটি হয়তো ভাবতেই পারেনি যে, এই ভূমিতে মুহাম্মদ বীন মাসলামার উত্তরসূরীরা ধীরে ধীরে জাগতে শুরু করেছে। ফলশ্রুতিতে উগ্র হিন্দুরা পর পর ২টি বরকতময় হামলার সাক্ষী হল।



    এই হামলাগুলোর মাধ্যমে তাঁরা শুধু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পবিত্রতা রক্ষার চেষ্টাই করেন নি, বরং ২০০ কোটি মুসলিমানের হৃদয়কে শীতল করেছেন। ইসলামি চিন্তাবিদগণ বলছেন, ঐ যুবকরা গোস্তাখে রাসূলদের হত্যার মধ্যমে এই ভূমিকে বাতিলের বিরুদ্ধে আরও উর্বর করে তুলেছেন; আর এই উর্বর ভূমিতেই উম্মাহর যুবকরা একদিন বরকতময় হিন্দের যুদ্ধের মাধ্যমে তাওহীদের ঝান্ডা উড্ডিন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। আর এই ঘটনাগুলোকে হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে উপমহাদেশের মুসলিমদের জাগরণ হিসেবেই দেখছেন হক্কানী উলামায়ে কেরাম।



    ভিডিও লিংকঃ

    1. https://archive.org/details/vid-20220704-201321-471

    2. https://t.me/Ghazwa_E_Hind_313/139?single

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মুসলিমদের উপর অর্থনৈতিক বয়কট কার্যকর করতে গ্রাম পর্যায়ে কমিটি গঠনের আহ্বান


    হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিম গণহত্যায় সকল শ্রেণীর হিন্দুদের শামিল করতে ভারতের আনাচে কানাচের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছে। হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করতে শহরগুলো পাশপাশি গ্রামেও চলছে বহুমুখী আয়োজন।

    গত ০৩ জুলাই রবিবার হরিয়ানার মানেসারের একটি মন্দিরে জমা হওয়া একটি পঞ্চায়েত হিন্দু সমাজকে মুসলিমদের উপর নেতৃত্ব দেওয়ার দাবি করে। পঞ্চায়েত থেকে “মুসলিম দোকানদার এবং বিক্রেতাদের” অর্থনৈতিক বয়কটের আহ্বান জানানো হয়। পঞ্চায়েত হিন্দুদের নিজ নিজ গ্রামে বয়কট কার্যকর করার জন্য গ্রাম-স্তরের কমিটি গঠনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

    পঞ্চায়েতে হিন্দুত্ববাদী উগ্র বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) সদস্য সহ ২০০ এরও বেশি উগ্র হিন্দু অংশ নিয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মানেসার, ধারুহেরা এবং গুরগাঁওয়ের কাছাকাছি গ্রামের হিন্দুরা বেশি ছিল। পঞ্চায়েত উগ্র হিন্দুরা একজন ​​ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করেছে, যাতে বলা হয়েছে যে কথিত অবৈধ তকমা লাগানো মুসলিমদের অবশ্যই উচ্ছেদ করতে হবে।

    ভিএইচপি মানেসার-এর সাধারণ সম্পাদক উগ্রবাদী দেবেন্দর সিং বলেছে, “পঞ্চায়েতকে এই অঞ্চলের হিন্দু সমাজের পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছিল যেন “ধর্মীয় মৌলবাদ” এবং “জিহাদি শক্তির” বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা যায়। সে হিন্দুদের ক্ষেপিয়ে তুলতে বলেছে, “হিন্দুদের হত্যা করা হচ্ছে… অনেক রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি এমনকি পাকিস্তানিও তাদের আসল পরিচয় গোপন করে গুরগাঁও এবং মানেসারে অবস্থান করছে। তারা বিভিন্ন সেক্টরে ব্যবসা গড়ে তুলেছে। আমরা প্রশাসনকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি তদন্ত করতে এবং তাদের চিহ্নিত করতে… যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে হিন্দু সমাজ ব্যবস্থা নেবে। আরেকটি পঞ্চায়েত বৃহত্তর পরিসরে ডাকা হবে এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে।”

    পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন বক্তা মুসলিম বিক্রেতাদের অর্থনৈতিক বয়কটের আহ্বান জানিয়ে মানেসারে মুসলমানদের দ্বারা পরিচালিত অনেক জুসের দোকান এবং এবং সেলুনগুলো বর্জনের ডাক দিয়েছে। সে বলেছে, “অর্থনৈতিক বয়কটই একমাত্র সমাধান। তাদের ধর্মীয় মৌলবাদ ও জিহাদের কথা বিবেচনা করে আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গ্রামে কমিটি গঠন করতে হবে যারা আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরা ইতিমধ্যে মানেসার থেকে এটি শুরু করেছি।”

    হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের নির্মূল করার লক্ষ্যে সকল আয়োজন সম্পন্ন করছে। মুসলিম গণহত্যা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। তাই চিন্তাশীল উলামায়ে কেরাম উপমহাদেশের মুসলিমদেরকেও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    তথসূত্র:

    1. ‘Run with names of Hindu deities’: Panchayat in Manesar calls for economic boycott of Muslim businesses
    https://tinyurl.com/3kue7jzj

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতে আরও এক নবী-অবমাননাকারীর পাওনা মিটিয়ে দিলেন নবী (ﷺ) প্রেমীক যুবকরা
      لِلّٰهِ تَكْبِيْر
      اَللّٰهُ أَكْبَر
      হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

      Comment


      • #4
        এই সকল যুবকদেরকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে কারণ এদের দ্বারা ভবিষ্যতে আরো অনেক শাতীমকে হত্যা করা যাবে । আমাদের জিহাদ ছেড়ে দেওয়া চলবেনা কারণ মাইরের চেয়ে বড় কোন ঔষধ নেই। কারণ জিহাদের কারণে যে সব বিপর্যয় তৈরি হয় জিহাদ না করলে আরো বড় বিপর্যয় তৈরি হবে তাই জিহাদ করাই ভালো।
        পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তা'য়ালা ভাইদের সম্মানের সাথে মুক্তি দিন..
          আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন।

          Comment

          Working...
          X