ভারতে আরও এক নবী-অবমাননাকারীর পাওনা মিটিয়ে দিলেন নবী (ﷺ) প্রেমীক যুবকরা
উদয়পুরের হামলারও কয়েকদিন আগে মুসলিম উম্মাহর হৃদয় উষ্ণকারী ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য। যেখানে নুপুর শর্মার সমর্থনকারী আরও এক শাতেমে রাসূলকে তার পাওনা মিটিয়ে দিয়েছিলেন মুসলিম যুবারা।
দেশটির ‘এনডিটিভি’র সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যটির ‘অমরাবতী’ এলাকায় আরও একটি ঐতিহাসিক টার্গেট কিলিং অপারেশন চালানো হয়েছে। যেখানে ৫৪ বছর বয়সী আমিশ প্রহ্লাদ নামক এক ব্যবসায়ীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনা প্রকাশের পর অনেকটাই ভীতসন্ত্রস্ত হয়েছে পড়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জুন রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। যখন রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরার জন্য দোকানের পাশের সরু রাস্তা হয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই উক্ত রাস্তায় আগে থেকেই অপেক্ষমাণ দুই যুবক তার গর্দান বরাবর গভীর ছুরিকাঘাত করে। আর সেখানেই সে মারা যায়।
পরে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দেশটির ‘এনআইএ’ বিভাগ। এবং কুখ্যাত UPA আইনের অধীনে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। এই ঘটনার কিছুদিন পর সন্দেহবাজন ৭ যুবককে বন্দী করে দেশটির হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
জিজ্ঞাসাবাদে দুই মুসলিম যুবক হত্যার বিষয়টি গর্বের সাথে স্বীকার করেন। এবং হত্যার কারণ সম্পর্কে তাঁরা জানান যে, উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মা কর্তৃক রাসূল মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে নিয়ে জঘন্য মন্তব্যের সমর্থনের জেরেই তাঁরা এই টার্গেট কিলিং অপারেশনটি চালিয়েছেন। কেননা নিহত ঐ উগ্র হিন্দু ব্যবসায়ীও নুপুর শর্মার পথ ধরে রাসূল (ﷺ) এর শানে অবমাননাকর মন্তব্য শেয়ার করেছে, এবং নুপুরের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্টও করেছে।
একইভাবে গত ২৮ জুন দিবালোকে রাজস্থানে এক শাতেমে রাসূলের পাওনা মিটিয়ে দিয়েছিলেন এমনই আরও ২ মুসলিম যুবক। যাকে কুপিয়ে হত্যা করে তার ভিডিও ধারণ করেন ঐ যুবকরা।
উল্লেখ্য যে, সাম্প্রতিক সময়ে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে একটি টিভি সাক্ষাৎকারে জঘন্য ভাষায় অবমাননাকর মন্তব্য করে বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মা। এরপর পুরো মুসলিম বিশ্ব এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং নুপুর শর্মার কঠিন শাস্তি দাবি করে। কিন্তু উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার তাকে শাস্তি না দিয়ে নিরাপত্তা দিতে থাকে। অপরদিকে প্রতিবাদকারী মুসলিমদের ঘরবাড়ি ভাঙা এবং তাদেরকে গণহারে গ্রেফতার করতে থাকে।
উগ্র হিন্দুরা ভেবেছিল তাদের এসব কর্যক্রমের ফলে এই ঝড় থেমে যাবে। তারা এটি হয়তো ভাবতেই পারেনি যে, এই ভূমিতে মুহাম্মদ বীন মাসলামার উত্তরসূরীরা ধীরে ধীরে জাগতে শুরু করেছে। ফলশ্রুতিতে উগ্র হিন্দুরা পর পর ২টি বরকতময় হামলার সাক্ষী হল।
এই হামলাগুলোর মাধ্যমে তাঁরা শুধু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পবিত্রতা রক্ষার চেষ্টাই করেন নি, বরং ২০০ কোটি মুসলিমানের হৃদয়কে শীতল করেছেন। ইসলামি চিন্তাবিদগণ বলছেন, ঐ যুবকরা গোস্তাখে রাসূলদের হত্যার মধ্যমে এই ভূমিকে বাতিলের বিরুদ্ধে আরও উর্বর করে তুলেছেন; আর এই উর্বর ভূমিতেই উম্মাহর যুবকরা একদিন বরকতময় হিন্দের যুদ্ধের মাধ্যমে তাওহীদের ঝান্ডা উড্ডিন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। আর এই ঘটনাগুলোকে হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে উপমহাদেশের মুসলিমদের জাগরণ হিসেবেই দেখছেন হক্কানী উলামায়ে কেরাম।
ভিডিও লিংকঃ
1. https://archive.org/details/vid-20220704-201321-471
2. https://t.me/Ghazwa_E_Hind_313/139?single
উদয়পুরের হামলারও কয়েকদিন আগে মুসলিম উম্মাহর হৃদয় উষ্ণকারী ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য। যেখানে নুপুর শর্মার সমর্থনকারী আরও এক শাতেমে রাসূলকে তার পাওনা মিটিয়ে দিয়েছিলেন মুসলিম যুবারা।
দেশটির ‘এনডিটিভি’র সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যটির ‘অমরাবতী’ এলাকায় আরও একটি ঐতিহাসিক টার্গেট কিলিং অপারেশন চালানো হয়েছে। যেখানে ৫৪ বছর বয়সী আমিশ প্রহ্লাদ নামক এক ব্যবসায়ীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনা প্রকাশের পর অনেকটাই ভীতসন্ত্রস্ত হয়েছে পড়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জুন রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। যখন রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরার জন্য দোকানের পাশের সরু রাস্তা হয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই উক্ত রাস্তায় আগে থেকেই অপেক্ষমাণ দুই যুবক তার গর্দান বরাবর গভীর ছুরিকাঘাত করে। আর সেখানেই সে মারা যায়।
পরে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দেশটির ‘এনআইএ’ বিভাগ। এবং কুখ্যাত UPA আইনের অধীনে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। এই ঘটনার কিছুদিন পর সন্দেহবাজন ৭ যুবককে বন্দী করে দেশটির হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
জিজ্ঞাসাবাদে দুই মুসলিম যুবক হত্যার বিষয়টি গর্বের সাথে স্বীকার করেন। এবং হত্যার কারণ সম্পর্কে তাঁরা জানান যে, উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মা কর্তৃক রাসূল মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে নিয়ে জঘন্য মন্তব্যের সমর্থনের জেরেই তাঁরা এই টার্গেট কিলিং অপারেশনটি চালিয়েছেন। কেননা নিহত ঐ উগ্র হিন্দু ব্যবসায়ীও নুপুর শর্মার পথ ধরে রাসূল (ﷺ) এর শানে অবমাননাকর মন্তব্য শেয়ার করেছে, এবং নুপুরের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্টও করেছে।
একইভাবে গত ২৮ জুন দিবালোকে রাজস্থানে এক শাতেমে রাসূলের পাওনা মিটিয়ে দিয়েছিলেন এমনই আরও ২ মুসলিম যুবক। যাকে কুপিয়ে হত্যা করে তার ভিডিও ধারণ করেন ঐ যুবকরা।
উল্লেখ্য যে, সাম্প্রতিক সময়ে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে একটি টিভি সাক্ষাৎকারে জঘন্য ভাষায় অবমাননাকর মন্তব্য করে বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মা। এরপর পুরো মুসলিম বিশ্ব এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং নুপুর শর্মার কঠিন শাস্তি দাবি করে। কিন্তু উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার তাকে শাস্তি না দিয়ে নিরাপত্তা দিতে থাকে। অপরদিকে প্রতিবাদকারী মুসলিমদের ঘরবাড়ি ভাঙা এবং তাদেরকে গণহারে গ্রেফতার করতে থাকে।
উগ্র হিন্দুরা ভেবেছিল তাদের এসব কর্যক্রমের ফলে এই ঝড় থেমে যাবে। তারা এটি হয়তো ভাবতেই পারেনি যে, এই ভূমিতে মুহাম্মদ বীন মাসলামার উত্তরসূরীরা ধীরে ধীরে জাগতে শুরু করেছে। ফলশ্রুতিতে উগ্র হিন্দুরা পর পর ২টি বরকতময় হামলার সাক্ষী হল।
এই হামলাগুলোর মাধ্যমে তাঁরা শুধু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পবিত্রতা রক্ষার চেষ্টাই করেন নি, বরং ২০০ কোটি মুসলিমানের হৃদয়কে শীতল করেছেন। ইসলামি চিন্তাবিদগণ বলছেন, ঐ যুবকরা গোস্তাখে রাসূলদের হত্যার মধ্যমে এই ভূমিকে বাতিলের বিরুদ্ধে আরও উর্বর করে তুলেছেন; আর এই উর্বর ভূমিতেই উম্মাহর যুবকরা একদিন বরকতময় হিন্দের যুদ্ধের মাধ্যমে তাওহীদের ঝান্ডা উড্ডিন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। আর এই ঘটনাগুলোকে হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে উপমহাদেশের মুসলিমদের জাগরণ হিসেবেই দেখছেন হক্কানী উলামায়ে কেরাম।
ভিডিও লিংকঃ
1. https://archive.org/details/vid-20220704-201321-471
2. https://t.me/Ghazwa_E_Hind_313/139?single
Comment