Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৬ই যিলহজ্ব, ১৪৪৩ হিজরি।। ১৬ই জুলাই, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৬ই যিলহজ্ব, ১৪৪৩ হিজরি।। ১৬ই জুলাই, ২০২২ ঈসায়ী।

    মুসলিমদের বয়কট ও গুজরাটের মতো হত্যার আহ্বান হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের

    ঈদের ঠিক এক সপ্তাহ আগে বজরং দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের অন্তত ৩০০ কর্মী দিল্লি শহরের নিকটতম এলাকা মানেসার মহাপঞ্চায়েতে একটি সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ থেকে তারা উদয়পুরে নিহত শাতিম কানাইয়া লাল হত্যার প্রতিবাদ জানায়।

    পঞ্চায়েত-এর কয়েকদিন আগে থেকেই হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের বয়কট করার আহ্বান জানিয়ে আসছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। হিন্দুত্ববাদী নেতারা মুসলিমদের বয়কট করার প্রকাশ্য আহ্বান জানিয়ে মুসলিমদের গুজরাটের মতো হত্যা করার আহ্বান জানায়। যদিও এ ধরনের আহ্বান ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী দণ্ডবিধির ১৫৩ A এবং B ধারার প্রকাশ্য লঙ্ঘন।

    গণমাধ্যম কর্মীরা মানেসার পঞ্চায়েত সংগঠিত করা ৩ জন আহ্বায়কের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। জানতে চেয়েছেন তাদের কি উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। তাদের মধ্যে প্রত্যকেই উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিতই মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছে তারা। তারা নিজেদের ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সদস্য হিসেবে দাবি করে।
    সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ


    গণমাধ্যম কর্মী: কি কারণে আপনারা মুসলিমদের বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলেন? এমন পদক্ষেপের পেছনে উদ্দেশ্য কী? মুসলিম ব্যাবসায়ীদের কারণে আপনি কি কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন?

    হিন্দুত্ববাদী নেতা: ২০২০ সালে যখন লকডাউন ছিল, তখন ৫০ হাজার রুপি উপার্জনকারী লোকেরাও তাদের পরিবারের কাছে চলে যেতে হয়েছিল। কারণ পরিস্থিতি সম্পর্কে কারো জানা ছিল না। কেউ জানতো না কিভাবে তারা বাড়ি ভাড়া দেবে। আমাদের এলাকার অনেক মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে গ্রামে ফিরে গেছে। কিন্তু আপনি মুসলিম বস্তির দিকে তাকান। তারা সেখানে নামাজ আদায় করে। তাদের ভাষা আমাদের থেকে আলাদা। এদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি। তারা তাদের বস্তিগুলোর ভাড়া দিয়েছে। সেই সময় যখন কাউকে ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি, তখন তারা খাওয়ার ব্যবস্থা করল কী করে? তাদের ভাড়া কে দিয়েছে? এটাই আমার উদ্বেগ!

    আপনি এখানে কোন একটি জুস বিক্রেতার কাছে যান। তাকে তার নাম জিজ্ঞাসা করুন। সে বলবে ‘রাজু’। আপনি তার আইডি চেক করলে দেখবেন তার নাম ভিন্ন। অনেক সময় আমরা দেখেছি যে আইডি হিন্দু নামে রয়েছে কিন্তু সে শুক্রবার নামাজ পড়ে। মুসলিমরা ভুয়া আইডি তৈরি করেছে। আমাদের এলাকায় এ ধরনের ঘটনা অনেক বাড়েছে। আমাদের হিন্দু ভাইদের থেকে আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের অভিযোগ পাই যে, ‘আমার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে।’ ‘আমার বউ চলে গেছে।’ এসব বিষয় বিবেচনা করে আমরা এমন অবস্থান নিয়েছি।

    বাসস্ট্যান্ডের দিকে তাকালে দেখা যায় বিরিয়ানির দোকান। আমরা হিন্দুরা বিরিয়ানি খাই না। তারা চার্টে ‘ভেজ/নন-ভেজ বিরিয়ানি’ উল্লেখ করে ঠিকই। কিন্তু আমাদের সন্তানরা যদি কোনো দিন সেখানে গিয়ে নন-ভেজ খায়? মুসলিমরা তাদের খাবারে কী মিশায় কে জানে? যেকোন গলিতে যান, শুধু এই লোকগুলোরই দোকান। আমাদের লোকজনের কোন কাজ নেই, কেন? একজন হিন্দু যে কাজ ৫ রুপিতে কাজ করতে চাই, এই ছেলেরা ২ রুপিতে করে ফেলবে, কেন? কারণ তারা আপনার বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করার জন্য একটা কিছু তো করতে চাই। সুতরাং, আমাদের এলাকায় কোন খারাপ জিনিস জন্ম নিচ্ছে কি-না সেটি তো আমাদের পরীক্ষা করতে হবে। আগামী দিনে যদি তারা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে যে আমরা বা সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিনা? আমাদের অবশ্যই জানতে হবে যে, একজন যদি নিজেকে হিন্দু বলে দাবি করে তবে সে আসলেই হিন্দু মুসলিম না।

    শাহিনবাগ থেকে যখন রিলায়েন্সকে বয়কট করার ডাক দেয়া হয়, এজন্য যে রিলায়েন্সের টাকায় আরএসএস ও বিজেপি অস্ত্র ক্রয় করে। তাহলে আমরা কেন এমনটা করতে পারি না? হিন্দুদের ক্ষমতায়নে আমাদের কী কোন দায়িত্ব নেই? আমাদের সম্প্রদায়ের কোনো দরিদ্র ব্যক্তি যদি কাজ করতে চায়, তাহলে কি তাকে ছোট ব্যবসা গড়ে তুলতে সাহায্য করা উচিত নয়? এই লোকেরা(মুসলিমরা) মসজিদ থেকে টাকা পায়। তাদের বাড়ির দিকে তাকান, তারা বস্তিতে থাকে, কিন্তু তাদের দোকানগুলো ঘোচানো। আজ যদি আমরা হিন্দুরা না জাগি তবে কখন জাগব?

    দিন দিন ভারত ভূমি মুসলিমদের জন্য সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতারা প্রকাশ্যে মুসলিমদের হত্যার আহ্বান জানালেও কোন প্রকার আইনের মুখোমুখি হতে হয় না তাদের। বিপরীতে মুসলিমদের ঠুনকো অযুহাত দেখিয়ে হত্যা ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের এখন একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকারী সময়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। হিন্দুত্ববাদীরা তাদেরকে হয় মৃত্যু না হয় ইসলাম ত্যাগ – এই দু’টির একটি বেছে নেওয়ার মতো অবস্থায় নামিয়ে আনছে। মুসলিমদেরকে তাই নিজেদের জান-মাল-ইজ্জত-আব্রুর হেফাজতের প্রস্তুতি গ্রহণের আহব্বান জানিয়েছেন হক্কানী উলামাগণ।


    তথ্যসূত্র:
    ——–

    1. After ‘Boycott Muslims’ Call Comes VHP Threat of Killings, ‘Will Repeat Gujarat if Situation Demands’
    https://tinyurl.com/99z4y49h
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    নড়াইলে মহানবী হযরত মুহাম্মদ(ﷺ) কে নিয়ে হিন্দুত্ববাদী যুবকের কটূক্তি


    নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের অশোক সাহার ছেলে আকাশ সাহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)কে নিয়ে কটুক্তি করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে শুক্রবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসী এর প্রতিবাদে এবং আকাশ সাহার শাস্তির দাবীতে শুক্রবার সন্ধ্যায় মানববন্ধন করে।

    কিন্তু লোহাগড়া থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদী মুসলিমদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয় মূলত প্রকাশ্যে ঐ অপরাধি হিন্দু যুবকের পক্ষ নেয়। দালাল পুলিশ তাওহিদী মুসলিমদের ছত্রভঙ্গ করতে হামলা চালায়। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে র‌্যাব-৬ এর একটি দল এবং নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর রায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

    উল্লেখ্য, কদিন পরপরই মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে কটূক্তি করে যাচ্ছে উগ্র হিন্দুরা। বর্তমান ভারতপন্থী দালাল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অংশ ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের উসকানীতে রাসুল (ﷺ) এর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটভিত্তিক অবমাননা করে যাচ্ছে। এজন্য দেশের শীর্ষ ওলামা মাশায়েখগণ বার বার দাবি জানিয়ে বলেছেন, আল্লাহ ও রাসুল (ﷺ) এর বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। রাসুল (ﷺ) এর বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা থাকলে বার বার রাসুল ((ﷺ) কে অবমাননাকর বক্তব্য দিতে কেউ সাহস করতো না।

    কিন্তু এ সরকার গোস্তাখে রাসূলদের বিচারের ব্যবস্থা না করে উল্টো উলামায়ে কেরাম ও তাওহিদী জনতার উপর নানা রকম জুলুম নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি অনেক নবী প্রেমিককে গুলি করে হত্যাও করেছে। আর এতে এই সরকারের হিন্দুত্ববাদ তোষণের বিষয়টি দিনে দিনে আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে বলে মনে করেন উলামায়ে কেরাম।

    তথ্যসূত্র:
    ——–
    ১. লোহাগড়ায় মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন
    https://tinyurl.com/6kvn3fw2
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      দখলকৃত কাশ্মীরে নিয়মতান্ত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে ভারতীয় সেনারা


      হিন্দুত্ববাদী ভারতের অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, গুজরাটের কসাই নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিবাদী ভারত সরকার ওই অঞ্চলের মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, যেখানে ভারতীয় সেনারা নিয়মতান্ত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে।

      রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকরা শ্রীনগরে তাদের সাক্ষাৎকার ও বিবৃতিতে বলেছেন, হিন্দুত্ববাদী ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে প্রতিদিনই কাশ্মীরিরা বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, হেফাজতে নির্যাতন এবং নির্বিচারে আটকের মুখোমুখি হচ্ছে।

      তারা বলেছে, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট মোদি সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর এবং এটিকে সামরিক অবরোধের আওতায় ফেলার পর থেকে দখলকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

      রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, ‘ভারত নিজেকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র বলে দাবি করলেও দখলকৃত কাশ্মীরের প্রতিটি মানবাধিকার নীতি নির্লজ্জভাবে লঙ্ঘন করছে।

      বেশ কয়েকটি বৈশ্বিক অধিকার গোষ্ঠী বার বার এই অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।তারা বলেছে যে, কাশ্মীরে ক্রমবর্ধমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সচেতন হতে হবে। কাশ্মীরের মুসলিমদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরার জন্য সারা বিশ্বের বিবেকবান জনগণকে অবশ্যই নিরলসভাবে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে তারা বলেন, কাশ্মীরিদের অবশ্যই তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার জাতিসংঘের বিভিন্ন রেজোলিউশনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।সম্প্রতি একটি সংবাদ সম্মেলনে কাশ্মীর নিয়ে তাদের উদ্বেগ এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতা নিয়ে এভাবেই তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

      তথ্যসূত্র :
      ———
      1. Indian troops committing systematic HR abuses in IIOJK
      https://tinyurl.com/r6f8puka






      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কাশ্মীরে গোলাগুলির ঘটনায় নিহত ৩ ভারতীয় দখলদার সেনা, আহত আরও ৫

        কাশ্মীরের পুঞ্চ ও উধমপুরে ভারতীয় দখলদার বাহিনীর ২টি সামরিক ঘাঁটিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সহকর্মীদের গুলিতে অন্তত ৮ ভারতীয় দখলদার সেনা হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

        দ্য কাশ্মীরিয়াত-এর এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আজ ১৬ জুলাই শনিবার কাশ্মীরের উধমপুরে দখলদার ভারতীয় বাহিনীর একটি সেনা শিবিরে সংঘর্ষের ঐ ঘটনা ঘটে। সেখানে এক সেনা সদস্য তার সার্ভিস রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়ে এক আইটিবিপি সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে।

        এদিকে, সরকারী সূত্র জানিয়েছে যে, ভূপেন্দ্র সিং নামে এক সৈন্য তার সহকর্মীদের উপর গুলি চালিয়েছে। এতে ভারতীয় দখলদার বাহিনীর ৩ সদস্য আহত হয়েছে। এসময় ভুপেন্দ্রও গুলিবর্ষণের ঘটনায় নিহত হয়েছে।

        আহত অন্য তিন আইটিবিপি-র সদস্যকে (ডালে রাম, অখলীল মালিক, গোর রজনীকান্ত) চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

        উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতীয় সেনা শিবিরে এটি দ্বিতীয় সংঘর্ষের ঘটনা। এর আগে গত ১৫ জুলাই শুক্রবার শ্রীনগরের পুঞ্চ জেলার সুরনকোট এলাকায় একটি শিবিরে একই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটে। যেখানে ভারতীয় বাহিনীর নিজেদের মধ্যকার কামড়াকামড়ির ঘটনায় ২ সেনা সদস্য নিহত হয়। একই সাথে আরও ২ দখলদার সেনা সদস্য আহত হয়।

        উক্ত ঘটনা দু’টিকে নির্যাতিত কাশ্মীরি মুসলিমদের জন্য হৃদয় শীতলকারী হিসেবে অভিহিত করেছেন ইসলামি বিশ্লেষকগণ। দখলদার বাহিনীর সদস্যদের নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে নিজেরা নিহতের এই ঘটনা প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলার মুখে শত্রুদের মানসিক পরাজয়েরই ইঙ্গিত বহন করে বলে মনে করেন তাঁরা।



        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ইসরায়েলের জন্য উন্মুক্ত হল সৌদি আরবের আকাশপথ


          ইসরায়েলের সঙ্গে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই সৌদি আরবের। তবে ইসরায়েলের সাথে রিয়াদের গোপন সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়, যে বিষয়টি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি সৌদি আরব। ২০২০ সালে তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে একটি গোপন বৈঠকের জন্য সৌদি আরবে এসেছিল। যদিও বিষয়টি গাদ্দার সৌদি প্রশাসন অস্বীকার করেছিল।

          এত দিন দেশটির আকাশসীমা ব্যবহার করে ইসরায়েলে চলাচলের ক্ষেত্রে উড়োজাহাজগুলোর ওপর বিধিনিষেধ ছিল। এখন সেই বাধা আর রইল না। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সৌদি আরব সফরের আগমুহূর্তে এ ঘোষণা দিয়েছে পশ্চিমা ও জায়নবাদী দালাল সৌদি সরকার।

          সন্ত্রাসি রাষ্ট্র ইসরাইলের জন্য সৌদি আরবের আকাশসীমা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছে সৌদি বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলে- এই সিদ্ধান্ত সৌদি আরবের সঙ্গে অনেক মাস ধরে প্রেসিডেন্টের অবিচল ও নীতিগত কূটনীতির ফল, যা আজ তার সফরে চূড়ান্ত পরিণতি পেল।মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে গতকাল দিনের শেষ দিকে এক ভ্রমণে সৌদি আরব এসেছে বাইডেন।

          মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে গত বুধবার ইসরায়েল পৌঁছান বাইডেন। আরও আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে পদক্ষেপ নিতে পারে বলে এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিল ওয়াশিংটন।ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংঘাতের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দাপ্তরিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপন না করার বিষয়ে দীর্ঘদিনের অবস্থান ছিল সৌদি আরবের। তবে এখন এ পদক্ষেপ দখলদার ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের আনুষ্ঠানিকতার শুরু হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আব্রাহাম অ্যাকর্ডের অধীন ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে কুখ্যাত সংযুক্ত আরব আমিরাত শাসকগোষ্ঠী। একই পথ অনুসরণ করে বাহরাইন ও মরক্কো। আঞ্চলিক মিত্রদের এমন পদক্ষেপের কোন বিরোধিতা করেনি সৌদি আরব।

          অন্যদিকে, ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় আরব দেশগুলো প্রধান তিনটি শর্ত দিয়েছিল। সেগুলো হলো, যুদ্ধের সময় আরব দেশগুলোর দখল করা জমি ছেড়ে দেওয়া, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ও স্বীকৃতি এবং ফিলিস্তিনের দখল করা জমি হস্তান্তর। তবে সেই ‘লক দেখানো’ শর্তের কোনোটা পূরণ না হওয়ার পরও গাদ্দার আরব দেশগুলো অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলছে।ইসরায়েলের সাথে একের পর আরব দেশের সম্পর্ক স্থাপনের প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা বা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে বহু দূরেই ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

          বৃহত্তর এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধান বাধা ইসরায়েল–ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের বিষয়টি।আরব বিশ্ব ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার বিনিময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনে ছিল অঙ্গীকারবদ্ধ। কিন্তু আরব বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ তৈরি করেছে ইসরায়েল। আর ফিলিস্তিনিরা এখনো পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে অধিকৃত অবস্থায় আছে, যা গাজার মতোই একটি উন্মুক্ত কারাগারের শামিল।

          কথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আরব রাষ্ট্র কেউই ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে যখন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা, তখন ফিলিস্তিনি মুসলিমদের স্বাধীনতা অর্জনের দায়িত্ব মুসলিমদেরকে নিজেদের কাঁধেই তুলে নিতে হবে বলে দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন উম্মাহ দরদী আলিমগণ৷


          তথ্যসূত্র:
          ——–
          1. Saudi Arabia opens airspace to Israeli flights
          https://tinyurl.com/2p8ehshe







          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6

            أَلقِيا في جَهَنَّمَ كُلَّ كَفّارٍ عَنيدٍ
            তোমরা জাহান্নামে নিক্ষেপ কর প্রত্যেক উদ্ধত কাফিরকে,
            ​​​​​​অচিরেই কাফেরদের পাওনাকড়ি বুঝিয়ে দেওয়া হবেে বিযনিল্লাহ
            আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন। আমিন

            Comment


            • #7
              জাতিসংঘ দিয়ে কিছু হবে না আমাদের উচিত হল জাতিসংঘের অপারগতা উম্মাহর কাছে প্রচার করে সকল ভাবে জাতিসংঘের প্রতি তাদের সহায়তাকে বন্ধ করে দিতে হবে এবং তাদের এই সহযোগিতা মুজাহিদদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং এই সহযোগিতার মাধ্যমে মুজাহিদরা জাতিসংঘের কার্যক্রম নিজ হাতে সংগঠিত করবে।
              পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

              Comment


              • #8
                মধ্য প্রাচ্যের এহেন কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছে যে তারা মুসলিম দেরকে ভয় পায় ।তাই তারা প্রথমে অল্প অল্প করে গোপনে গোপনে ইজরায়েলের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করছে যখন তারা সব দিক থেকে নিরাপত্তা বোধ করে তখন আরোকটু এগোবে এভাবে তারা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে কারণ অন্যসব ইস্যুতে কাফেরদেরকে আমরা এভাবেই এগুতে দেখতে পাই তাই আমাদের উচিত হবে যে এ ব্যপারে এই মর্মে উম্মাহকে সতর্ক করা যে তাদের এই সামান্য সম্পর্ক কোন ছোট কিছু নয় বরং তা হল বড় কোন সম্পর্কের সূত্র পাত । তাই এই সামান্য সম্পর্কের পূর্ণ বিরোধীতা করা হবে উম্মাতের সঠিক কাজ।
                পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

                Comment

                Working...
                X