পবিত্র কাবার ইমামকে ১০ বছরের কারাদন্ড দিলো জালেম সৌদি শাসকগোষ্ঠী
পবিত্র কাবা শরীফের প্রধান ইমাম শায়খ সালেহ আল-তালিবকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সৌদি আরব সরকার। এর আগে তিনি আদালতের রায়ে জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু সৌদি আরবের দালাল শাসকগোষ্ঠী তার জামিন বাতিল করে এই সাজা ঘোষণা করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম মিডল ইস্ট আই’এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কী কারণে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে তার ব্যাখা জানায়নি সৌদি সরকার। ৪৮ বছর বয়সী আল-তালিবকে ২০১৮ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখন তিনি কাবার ইমাম ছিলেন। সে সময় তিনি খুৎবায় পবিত্র ভূমি মক্কা-মদিনায় পশ্চিমা গানের কনসার্ট, সিনেমাহল চালুসহ শরিয়াতের বিধিনিষেধের সাথে সৌদ শাসকগোষ্ঠীর অসঙ্গতিপূর্ণ বিষয় নিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে সৌদি শাসকগোষ্ঠী।
পবিত্র ভূমি মক্কা-মদিনায় যারাই ইসলামের পক্ষে কথা বলছেন তাদেরকেই বরণ করতে হচ্ছে অন্ধকার কারাগার। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় জন্মভূমি আজ যেন পশ্চিমাদের জন্য স্বর্গরাজ্য! আর হকপন্থীদের জন্য কারাগার। বহু বছর ধরেই হকপন্থী আলেমদের সাথে এরকম করে আসছে সৌদির শাসকগোষ্ঠী।
তবে, সাম্প্রতিক সময়ে মুহাম্মদ বিন সালমানের ইসলাম বিরোধী অপকর্মের বিরোধিতা করায় বন্দী উলামায়ে কেরামের সংখ্যা পূর্বের চেয়ে বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের মধ্যে শায়খ ওয়ালিদ আল-সিনানী, শায়খ আলী আল-খুদাইর, শায়খ নাসির আল-ফাহদ, শায়খ আহমদ আল-খালিদি, শায়খুল মুহাদ্দিস সুলাইমান আল-উলওয়ান, শায়খ খালেদ আর-রশিদ, শায়খ সাউদ আল-হাশিমি, শায়খ সুলাইমান আল-রাশোদী,শায়খ আব্দুল্লাহ আল-হামিদ, শায়খ ইব্রাহীম আল-সাকরান, শায়খুল মুহাদ্দিস আব্দুল আজীজ আত-তারিফী অন্যতম। এছাড়াও আরও বহু আলেম সৌদি শাসকদের রোষানলে পড়ে কারাগারে দিনযাপন করছেন।
বর্তমান সৌদি শাসকগোষ্ঠী শরিয়াতের পক্ষাবলম্বনকারী আলেমদের উপর এতটাই বিদ্বেষ পোষণ করে যে, তাদের একেকজনকে ২৫ থেকে ৩০ বছরের কারাদন্ড দিয়ে বন্দী করে রেখেছে। আমারা দোয়া করছি আল্লাহ তায়ালা যেন তাঁদেরকে সৌদি শাসকগোষ্ঠীর কারাগার থেকে মুক্ত করে দেয়ার ব্যবস্থা করেন, আমীন।
তথ্যসূত্র:
——-
1. Saudi Arabia: Former imam of Mecca’s Grand Mosque jailed for 10 years-
– https://tinyurl.com/54nerp2x
পবিত্র কাবা শরীফের প্রধান ইমাম শায়খ সালেহ আল-তালিবকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সৌদি আরব সরকার। এর আগে তিনি আদালতের রায়ে জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু সৌদি আরবের দালাল শাসকগোষ্ঠী তার জামিন বাতিল করে এই সাজা ঘোষণা করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম মিডল ইস্ট আই’এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কী কারণে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে তার ব্যাখা জানায়নি সৌদি সরকার। ৪৮ বছর বয়সী আল-তালিবকে ২০১৮ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখন তিনি কাবার ইমাম ছিলেন। সে সময় তিনি খুৎবায় পবিত্র ভূমি মক্কা-মদিনায় পশ্চিমা গানের কনসার্ট, সিনেমাহল চালুসহ শরিয়াতের বিধিনিষেধের সাথে সৌদ শাসকগোষ্ঠীর অসঙ্গতিপূর্ণ বিষয় নিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে সৌদি শাসকগোষ্ঠী।
পবিত্র ভূমি মক্কা-মদিনায় যারাই ইসলামের পক্ষে কথা বলছেন তাদেরকেই বরণ করতে হচ্ছে অন্ধকার কারাগার। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় জন্মভূমি আজ যেন পশ্চিমাদের জন্য স্বর্গরাজ্য! আর হকপন্থীদের জন্য কারাগার। বহু বছর ধরেই হকপন্থী আলেমদের সাথে এরকম করে আসছে সৌদির শাসকগোষ্ঠী।
তবে, সাম্প্রতিক সময়ে মুহাম্মদ বিন সালমানের ইসলাম বিরোধী অপকর্মের বিরোধিতা করায় বন্দী উলামায়ে কেরামের সংখ্যা পূর্বের চেয়ে বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের মধ্যে শায়খ ওয়ালিদ আল-সিনানী, শায়খ আলী আল-খুদাইর, শায়খ নাসির আল-ফাহদ, শায়খ আহমদ আল-খালিদি, শায়খুল মুহাদ্দিস সুলাইমান আল-উলওয়ান, শায়খ খালেদ আর-রশিদ, শায়খ সাউদ আল-হাশিমি, শায়খ সুলাইমান আল-রাশোদী,শায়খ আব্দুল্লাহ আল-হামিদ, শায়খ ইব্রাহীম আল-সাকরান, শায়খুল মুহাদ্দিস আব্দুল আজীজ আত-তারিফী অন্যতম। এছাড়াও আরও বহু আলেম সৌদি শাসকদের রোষানলে পড়ে কারাগারে দিনযাপন করছেন।
বর্তমান সৌদি শাসকগোষ্ঠী শরিয়াতের পক্ষাবলম্বনকারী আলেমদের উপর এতটাই বিদ্বেষ পোষণ করে যে, তাদের একেকজনকে ২৫ থেকে ৩০ বছরের কারাদন্ড দিয়ে বন্দী করে রেখেছে। আমারা দোয়া করছি আল্লাহ তায়ালা যেন তাঁদেরকে সৌদি শাসকগোষ্ঠীর কারাগার থেকে মুক্ত করে দেয়ার ব্যবস্থা করেন, আমীন।
তথ্যসূত্র:
——-
1. Saudi Arabia: Former imam of Mecca’s Grand Mosque jailed for 10 years-
– https://tinyurl.com/54nerp2x
Comment