Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#|২৮ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ২৭ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#|২৮ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ২৭ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

    পবিত্র কাবার ইমামকে ১০ বছরের কারাদন্ড দিলো জালেম সৌদি শাসকগোষ্ঠী


    পবিত্র কাবা শরীফের প্রধান ইমাম শায়খ সালেহ আল-তালিবকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সৌদি আরব সরকার। এর আগে তিনি আদালতের রায়ে জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু সৌদি আরবের দালাল শাসকগোষ্ঠী তার জামিন বাতিল করে এই সাজা ঘোষণা করেছে।

    মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম মিডল ইস্ট আই’এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কী কারণে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে তার ব্যাখা জানায়নি সৌদি সরকার। ৪৮ বছর বয়সী আল-তালিবকে ২০১৮ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখন তিনি কাবার ইমাম ছিলেন। সে সময় তিনি খুৎবায় পবিত্র ভূমি মক্কা-মদিনায় পশ্চিমা গানের কনসার্ট, সিনেমাহল চালুসহ শরিয়াতের বিধিনিষেধের সাথে সৌদ শাসকগোষ্ঠীর অসঙ্গতিপূর্ণ বিষয় নিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে সৌদি শাসকগোষ্ঠী।

    পবিত্র ভূমি মক্কা-মদিনায় যারাই ইসলামের পক্ষে কথা বলছেন তাদেরকেই বরণ করতে হচ্ছে অন্ধকার কারাগার। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় জন্মভূমি আজ যেন পশ্চিমাদের জন্য স্বর্গরাজ্য! আর হকপন্থীদের জন্য কারাগার। বহু বছর ধরেই হকপন্থী আলেমদের সাথে এরকম করে আসছে সৌদির শাসকগোষ্ঠী।

    তবে, সাম্প্রতিক সময়ে মুহাম্মদ বিন সালমানের ইসলাম বিরোধী অপকর্মের বিরোধিতা করায় বন্দী উলামায়ে কেরামের সংখ্যা পূর্বের চেয়ে বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের মধ্যে শায়খ ওয়ালিদ আল-সিনানী, শায়খ আলী আল-খুদাইর, শায়খ নাসির আল-ফাহদ, শায়খ আহমদ আল-খালিদি, শায়খুল মুহাদ্দিস সুলাইমান আল-উলওয়ান, শায়খ খালেদ আর-রশিদ, শায়খ সাউদ আল-হাশিমি, শায়খ সুলাইমান আল-রাশোদী,শায়খ আব্দুল্লাহ আল-হামিদ, শায়খ ইব্রাহীম আল-সাকরান, শায়খুল মুহাদ্দিস আব্দুল আজীজ আত-তারিফী অন্যতম। এছাড়াও আরও বহু আলেম সৌদি শাসকদের রোষানলে পড়ে কারাগারে দিনযাপন করছেন।

    বর্তমান সৌদি শাসকগোষ্ঠী শরিয়াতের পক্ষাবলম্বনকারী আলেমদের উপর এতটাই বিদ্বেষ পোষণ করে যে, তাদের একেকজনকে ২৫ থেকে ৩০ বছরের কারাদন্ড দিয়ে বন্দী করে রেখেছে। আমারা দোয়া করছি আল্লাহ তায়ালা যেন তাঁদেরকে সৌদি শাসকগোষ্ঠীর কারাগার থেকে মুক্ত করে দেয়ার ব্যবস্থা করেন, আমীন।



    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. Saudi Arabia: Former imam of Mecca’s Grand Mosque jailed for 10 years-
    https://tinyurl.com/54nerp2x

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আসামে হিন্দুত্ববাদী বিএসএফের গুলিতে মুসলিম মৎস্যজীবী খুন



    আসামের দক্ষিণ সালমারা জেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মনিরুজ্জামান নামে একজন মুসলিম জেলেকে গুলি করে খুন করেছে হিন্দুত্ববাদী বিএসএফ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিনি গত ২৪ আগস্ট বুধবার রাতে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলতে গিয়েছিলেন।
    তখনই হিন্দুত্ববাদী সীমান্ত সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা তাকে গুলি করেছে।দক্ষিণ সালমারা জেলার ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (বর্ডার) সাইফুর আলি পিটিআই নিউজ এজেন্সিকে গুলির ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেছে, মনিরুজ্জামান, যিনি মাছ ধরার জন্য জাল ফেলতে গিয়েছিলেন, তাকে গুলি করেছে হিন্দুত্ববাদী বিএসএফ। এবং বাড়ি ফেরার পথে তিনি মারা গেছেন।

    এক মুসলিমকে খুন করার পর দক্ষিণ সালমারায় মুসলিমদের মাঝে ভয় ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। মুসলিমদের ভয় দেখাতে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে উপস্থিতি বাড়িয়ে কড়াভাবে টহলদারি করেছে হিন্দুত্ববাদীদের দালাল গাদ্দার পুলিশ।

    এভাবেই নিরপরাধ মুসলিমদের খুন করে চলেছে হিন্দুত্ববাদী বাহিনী। সীমান্তজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে মারাঠা বর্গিদের এই উত্তরসুরিরা। এপার-ওপার কোন দেশের মুসলিমদেরকেই বাদ দিচ্ছে না সন্ত্রাসী বিএসএফ।
    অথচ আমরা কিন্তু এখন পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে কোন হিন্দু নিহত হওয়ার খবর খুব কমই শুনেছি। পাঠক তাই বুঝে নিন, হিন্দুত্ববাদী বিএসএফ কি উদ্দেশ্যে সীমান্তে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলিমদের হত্যার বিষয়টা সকলের গা-সওয়া করা, এবং সীমান্তে তাদের যেকোনো আগ্রাসনকেও সাধারণ বিষয় বানিয়ে ফেলা।


    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Assam: Muslim Fisherman shot dead near Bangladesh border, locals allege BSF personnel fired
    https://tinyurl.com/3ypcty9t












    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      পার্বত্য অঞ্চলে উপজাতি সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি : বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ বার্তা


      পার্বত্যাঞ্চলে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় পাহাড়ি আঞ্চলিক দুই সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ ও জেএসএস এর মধ্যে ভয়াবহ বন্দুক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।

      গত ২৬ আগস্ট ভোর ৫ টায় গোলাগুলি শুরু হয়ে আনুমানিক কয়েকঘন্টা ঘন্টা এই বন্দুক যুদ্ধ চলে। থেমে থেমে দিনভর গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এর আগে গত ২৪ আগস্টও তাদের মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় উভয় পক্ষই শত শত রাউন্ড গুলি বিনিময় করে। ঘটনার সময় আহত ও নিহতদের লাশ সন্ত্রাসীরা সরিয়ে ফেলায় এবং ঘটনা স্থল দুর্গম ও উপজাতি সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়ায় হতাহতের সঠিক খবর জানা যায়নি। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি।

      উভয়ই সশস্ত্র সংগঠনই পার্বত্য অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এসব উপজাতি সন্ত্রাসী বাংলাদেশিদের দখলদার আখ্যা দিয়ে থাকে। এবং নিজেদের চট্টগ্রামের প্রকৃত নাগরিক মনে করে তারা। এ দুটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ছাড়াও পার্বত্য অঞ্চলে আরো অনেক সশস্ত্র দলের উপস্থিতি রয়েছে। শুরুতে তারা কথিত শান্তিবাদী সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও, ধীরে ধীরে তারা পার্বত্য অঞ্চলে আলাদা নতুন খ্রিস্টান রাজ্য গড়ে তুলতে কাজ শুরু করে।

      এগুলোর মধ্যে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামে খ্রিস্টানদের এ সংগঠনটি বাংলাদেশ বিরোধিতায় সবার শীর্ষে। সম্প্রতি অনলাইনে পোস্ট কর বিভিন্ন ভিডিওতে তারা স্বাধীন পার্বত্য অঞ্চল গঠনের প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে অচিরেই হামলা শুরু করার কথা বলেছে। তাদের শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে পূর্ব-ভারত ও মিয়ানমারের খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাজ্যগুলোতেও। জানা যায় তাদেরকে সাহায্য সহযোগীতা করছে পশ্চিম বিশ্বের কিছু দেশসহ ভারত ও মিয়ানমার সরকার।

      এখানে উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাশেল যখন বাংলাদেশে সফর করেছিল, সেসময় সে পার্বত্য অঞ্চলে উপজাতি সন্ত্রাসীদের পক্ষে কথা বলেছে বলে জানা গেছে। তাদের অভিযোগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সেখানে উপজাতি সন্ত্রাসীদের সাথে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। তাদের এই অভিযোগের মাধ্যমে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, পার্বত্য অঞ্চলের সন্ত্রাসীরা আন্তর্জাতিক মদদপুষ্ট।

      ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, এসব সন্ত্রাসীরা যখন পার্বত্য অঞ্চলে আলাদ খ্রিস্টান রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চূড়ান্ত উদ্যোগ নিবে, তখন কথিত এই জাতিসংঘ তাদের পক্ষেই কাজ করবে। যেমনটা তারা ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুরকে আলাদা একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র হতে কাজ করেছে। তাই এখনই যদি বাংলাদেশের মানুষ এ বিষয়ে সচেতন না হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে আলাদা একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র।



      তথ্যসূত্র:
      ——-
      ১। বাঘাইছড়িতে পাহাড়ি আঞ্চলিক দুই সশস্ত্র সংগঠনের মধ্যে ভয়াবহ বন্দুক যুদ্ধ সংঘটিত
      https://tinyurl.com/3k2t2vh4

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X