ভারতজুড়ে বোমা বিস্ফোরণ করে আরএসএস : প্রাক্তন সদস্যের স্বীকারোক্তি
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একজন প্রাক্তন সদস্য বলেছে, তার সংগঠন ‘আরএসএস’ এবং এর সহযোগী সংগঠন ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদ’ ২০০০-এর দশকে ভারতীয় জনতা পার্টিকে নির্বাচনে জয়ী হতে সাহায্য করেছে। এছাড়াও তারা বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সারা দেশে৷
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ হল মূল সংগঠন এবং ক্ষমতাসীন বিজেপি সহ হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির একটি আদর্শিক মেরুদণ্ড৷যশবন্ত শিন্ডে, সে ১৯৯০ সাল থেকে আরএসএস-এর সাথে যুক্ত বলে জানায়। তার হলফনামায় শিন্ডে জানিয়েছে, কাশ্মীর রাজ্যের ঔরঙ্গাবাদ জেলার একটি মসজিদে হামলার জন্য সে বোমা তৈরি করে দিয়েছিল।
১৯৯৯ সালে শিন্ডে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ইন্দ্রেশ কুমারের নির্দেশে “হিমাংশু এবং তার ৭ বন্ধুকে জম্মুতে নিয়ে গিয়েছিল…[যেখানে] তারা মুসলিম হত্যার জন্য ভারতীয় সেনা বাহিনীর কাছ থেকে আধুনিক অস্ত্রের প্রশিক্ষণ পেয়েছিল।”
১৯৯৮ সালের দিকে শ্রীনগরের শঙ্করাচার্য মন্দিরে ইন্দ্রেশ কুমার এবং সিনিয়র আরএসএস প্রচারক প্রয়াত শ্রীখন্ত জোশীর সাথে শিন্ডে চার বছর পরে, ২০০৩ সালে সে এবং পানসে “পুনের সিংহগড়ের কাছে অনুষ্ঠিত একটি বোমা-প্রশিক্ষণ শিবিরে” যোগ দেয়।
তার হলফনামায় শিন্দে শিবিরে যা ঘটেছিল তা বর্ণনা করেছে।
সে বলেছে, মিঠুন চক্রবর্তী ছদ্মনামে এক ব্যক্তি সকাল ১০ টায় ক্যাম্পে পৌঁছায়। এবং বিভিন্ন দলে দুই ঘন্টার প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে। প্রশিক্ষণার্থীদের বোমা তৈরির জন্য ৩-৪ ধরনের বিস্ফোরক পাউডার, পাইপের টুকরো, তার, বাল্ব, ঘড়ি ইত্যাদি সামগ্রী দেওয়া হয়।
…প্রশিক্ষণের পর আয়োজকরা প্রশিক্ষণার্থীদের একটি গাড়িতে করে নির্জন বনাঞ্চলে নিয়ে যায় বোমা পরীক্ষা করার জন্য। সেখানে বিস্ফোরণের মহড়া চালানো হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের বলা হয় একটি ছোট গর্ত খনন করবে, তাতে টাইমার সহ বোমা রাখবে, পরে মাটি দিয়ে ঢেকে দেবে।
হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা ভারত জুড়ে বোমা হামলা চালিয়ে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে ও ছড়াচ্ছে। মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালাতে তাদের কর্মীদের অত্যাধুনিক অস্ত্র ও বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে অনেক অনেক বছর ধরেই। আর দেশীয় অস্ত্র প্রশিক্ষণ তো তারা প্রকাশ্যেই করাচ্ছে।
অন্যদিকে কোন কারণ ছাড়াই হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন মুসলিমদের আতঙ্কবাদী তকমা দিয়ে আটক করছে। এখন কি সুস্থ মানসিকতার ব্যক্তিরা বলবেন যে, মুসলিমরা প্রতিরোধ-সংগ্রামের প্রস্তুতি নিলে তা ‘অন্যায়’ হবে! হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা যে অনিবার্য লড়াইয়ের জন্য তৈরী হচ্ছে এ কথা মুসলিম বিশ্লেষকগণ বহু আগে থেকেই বলে আসছেন।
প্রাক্তন আরএসএস সন্ত্রাসীর স্বীকারোক্তি সেই কথাকেই আরো দৃঢ় করেছে। এখন তাই – রক্তাক্ত ভবিষ্যৎ কিংবা সংগ্রাম ও প্রতিরোধ – মুসলিমদেরকে এই দু’টির যেকোন একটি বেছে নিতে হবে বলে মত দিয়েছেন ইসলামি চিন্তাবিদগণ। কারণ চোখ বুজে থাকলেও সংঘাত ঠিকই খুঁজে নেবে উপমহাদেশের মুসলমানদেরকে।
তথ্যসূত্র:
——–
1. ‘They are polarising India’: Ex RSS worker on why he filed affidavit claiming VHP, RSS set off bombs
– https://tinyurl.com/299uw9wh
– https://tinyurl.com/2ac7nseu
2. video link:
– https://tinyurl.com/hw5be2df
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একজন প্রাক্তন সদস্য বলেছে, তার সংগঠন ‘আরএসএস’ এবং এর সহযোগী সংগঠন ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদ’ ২০০০-এর দশকে ভারতীয় জনতা পার্টিকে নির্বাচনে জয়ী হতে সাহায্য করেছে। এছাড়াও তারা বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সারা দেশে৷
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ হল মূল সংগঠন এবং ক্ষমতাসীন বিজেপি সহ হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির একটি আদর্শিক মেরুদণ্ড৷যশবন্ত শিন্ডে, সে ১৯৯০ সাল থেকে আরএসএস-এর সাথে যুক্ত বলে জানায়। তার হলফনামায় শিন্ডে জানিয়েছে, কাশ্মীর রাজ্যের ঔরঙ্গাবাদ জেলার একটি মসজিদে হামলার জন্য সে বোমা তৈরি করে দিয়েছিল।
১৯৯৯ সালে শিন্ডে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ইন্দ্রেশ কুমারের নির্দেশে “হিমাংশু এবং তার ৭ বন্ধুকে জম্মুতে নিয়ে গিয়েছিল…[যেখানে] তারা মুসলিম হত্যার জন্য ভারতীয় সেনা বাহিনীর কাছ থেকে আধুনিক অস্ত্রের প্রশিক্ষণ পেয়েছিল।”
১৯৯৮ সালের দিকে শ্রীনগরের শঙ্করাচার্য মন্দিরে ইন্দ্রেশ কুমার এবং সিনিয়র আরএসএস প্রচারক প্রয়াত শ্রীখন্ত জোশীর সাথে শিন্ডে চার বছর পরে, ২০০৩ সালে সে এবং পানসে “পুনের সিংহগড়ের কাছে অনুষ্ঠিত একটি বোমা-প্রশিক্ষণ শিবিরে” যোগ দেয়।
তার হলফনামায় শিন্দে শিবিরে যা ঘটেছিল তা বর্ণনা করেছে।
সে বলেছে, মিঠুন চক্রবর্তী ছদ্মনামে এক ব্যক্তি সকাল ১০ টায় ক্যাম্পে পৌঁছায়। এবং বিভিন্ন দলে দুই ঘন্টার প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে। প্রশিক্ষণার্থীদের বোমা তৈরির জন্য ৩-৪ ধরনের বিস্ফোরক পাউডার, পাইপের টুকরো, তার, বাল্ব, ঘড়ি ইত্যাদি সামগ্রী দেওয়া হয়।
…প্রশিক্ষণের পর আয়োজকরা প্রশিক্ষণার্থীদের একটি গাড়িতে করে নির্জন বনাঞ্চলে নিয়ে যায় বোমা পরীক্ষা করার জন্য। সেখানে বিস্ফোরণের মহড়া চালানো হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের বলা হয় একটি ছোট গর্ত খনন করবে, তাতে টাইমার সহ বোমা রাখবে, পরে মাটি দিয়ে ঢেকে দেবে।
হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা ভারত জুড়ে বোমা হামলা চালিয়ে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে ও ছড়াচ্ছে। মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালাতে তাদের কর্মীদের অত্যাধুনিক অস্ত্র ও বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে অনেক অনেক বছর ধরেই। আর দেশীয় অস্ত্র প্রশিক্ষণ তো তারা প্রকাশ্যেই করাচ্ছে।
অন্যদিকে কোন কারণ ছাড়াই হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন মুসলিমদের আতঙ্কবাদী তকমা দিয়ে আটক করছে। এখন কি সুস্থ মানসিকতার ব্যক্তিরা বলবেন যে, মুসলিমরা প্রতিরোধ-সংগ্রামের প্রস্তুতি নিলে তা ‘অন্যায়’ হবে! হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা যে অনিবার্য লড়াইয়ের জন্য তৈরী হচ্ছে এ কথা মুসলিম বিশ্লেষকগণ বহু আগে থেকেই বলে আসছেন।
প্রাক্তন আরএসএস সন্ত্রাসীর স্বীকারোক্তি সেই কথাকেই আরো দৃঢ় করেছে। এখন তাই – রক্তাক্ত ভবিষ্যৎ কিংবা সংগ্রাম ও প্রতিরোধ – মুসলিমদেরকে এই দু’টির যেকোন একটি বেছে নিতে হবে বলে মত দিয়েছেন ইসলামি চিন্তাবিদগণ। কারণ চোখ বুজে থাকলেও সংঘাত ঠিকই খুঁজে নেবে উপমহাদেশের মুসলমানদেরকে।
তথ্যসূত্র:
——–
1. ‘They are polarising India’: Ex RSS worker on why he filed affidavit claiming VHP, RSS set off bombs
– https://tinyurl.com/299uw9wh
– https://tinyurl.com/2ac7nseu
2. video link:
– https://tinyurl.com/hw5be2df
Comment