Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৭ সফর ১৪৪৪ হিজরী।। ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৭ সফর ১৪৪৪ হিজরী।। ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    মসজিদের ভেতর পূজার অনুমোদন : বাবরির পথেই কি জ্ঞানবাপি?



    জ্ঞানবাপি মসজিদ প্রাঙ্গণে পূজা করার অধিকার চেয়ে হিন্দু মহিলাদের করা আবেদন বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় আদালত। হিন্দু মহিলাদের আবেদন চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আঞ্জুমান ইসলামিয়া মসজিদ কমিটির আবেদন গত ১২ সেপ্টেম্বর খারিজ করে দিয়েছে উত্তর প্রদেশের বারাণসী আদালত।

    ডিস্ট্রিক্ট জজ এ. কে. বিশ্বেশ্বর আদেশে বলেছে, হিন্দু মহিলাদের দায়ের করা আবেদনটি দ্য প্লেস অফ ওয়ার্শিপ অ্যাক্ট বা ওয়াকফ অ্যাক্ট দ্বারা নিষিদ্ধ নয়। তাই এ বিষয়ে আঞ্জুমান ইসলামিয়া কমিটির চ্যালেঞ্জ আদালত খারিজ করে দিয়েছে।

    গত মে মাসে, নিম্ন আদালত থেকে স্থানান্তর করে মামলাটি বারাণসী জেলা বিচারকের আদালতে অর্পণ করে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগ পর্যন্ত নিম্ন আদালতেই মামলাটির শুনানি হয়েছে। পরে হিন্দু মহিলাদের আবেদনের ভিত্তিতে বারাণসী সিভিল কোর্ট জ্ঞানভাপি মসজিদের চিত্রগ্রহণের নির্দেশ দেয়। হিন্দুদের দাবি, জ্ঞানবাপি মসজিদ কমপ্লেক্সে হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি রয়েছে।

    মসজিদের চিত্রগ্রহণের পর অযৌক্তিক ভাবে দাবি করা হয় যে, মসজিদ কমপ্লেক্সের ভেতরে একটি পুকুরে “শিবলিঙ্গ” রয়েছে। এটি মূলত ছিল মুসল্লিদের অজুখানার পানির ফোয়ারা। এ সাধারণ বিষয়টি যাচাই না করেই মামলার শুনানিকারী বিচারক পুকুরটি সিলগালা করার নির্দেশ দেয়।

    এখন আবার মসজিদ প্রাঙ্গণে হিন্দু মহিলাদের পূজা করার আবেদন গ্রহণ করেছে, যা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অর্থাৎ একই মসজিদে নামাজের পাশাপাশি পূজাও করতে দিতে হবে। হিন্দুত্ববাদী আদালতের এই অযৌক্তিক আদেশ বাবরির মতই মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানানোর পথকে সুগম করবে বলে মনে করছেন মুসলিমরা।

    এর আগে, ভারতের উত্তর প্রদেশেই মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে দিয়েছিল হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা। পরে হিন্দুত্ববাদী আদালত কারসাজি করে মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমোদন দেয়। মুসলিম বিরোধী এমন জঘন্য রায় পেয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো আরও উঠে পরে লেগেছে মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির গড়ার মিশনে।

    রাম মন্দির আন্দোলনের সময়েই সঙ্ঘ পরিবার ও হিন্দুত্ববাদীরা হুমকি দিয়েছিল, ‘আয়োধ্যা (অযোধ্যা) তো সির্ফ এক ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়’।

    ইসলামি চিন্তাবিদগণের মতে, হিন্দুত্ববাদীরা যে পরিকল্পনা নিয়ে বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানাচ্ছে, হুবহু একই পরিকল্পনা নিয়ে জ্ঞানব্যাপীসহ অন্যান্য মসজিদের ক্ষেত্রে অগ্রসর হচ্ছে। মুসলিমরা এখনই সতর্ক না হলে বাবরি মসজিদের মতোই একে একে ঐতিহাসিক মসজিদগুলো বেদখল করে হিন্দুত্ববাদীরা তাদের মুসলিমমুক্ত অখণ্ড ভারত বাস্তবায়নের কাজে এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকগণ।



    তথসূত্র:
    ——-
    1. Gyanvapi: Court says Hindu women’s plea for worship maintainable, rejects Masjid committee’s plea
    https://tinyurl.com/3v5fyz97

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    উত্তরপ্রদেশে মাদ্রাসা ভেঙে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন



    উত্তরপ্রদেশের গুজার টোলা গ্রামে একটি দ্বীনি মাদ্রাসা পুলিশের বিশাল বাহিনীর উপস্থিতিতে ভেঙে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। এ মাদ্রাসাটি ২০০৯ সাল থেকে চালু ছিল।

    উত্তরপ্রদেশের আমেঠি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকেশ কুমার মিশ্র বলেছে, “আদালতের নির্দেশের পরে মাদ্রাসাটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।”

    মাদ্রাসা ভাঙ্গচুরকে বৈধতা দিতে সে বলেছে এটি নাকি অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছিল। হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন শুধু মাদ্রাসাটি ভেঙ্গেই ক্ষান্ত হয়নি, মাদ্রাসার মালিককে ২ লক্ষ ২৪ হাজার রুপি জরিমানাও করেছে।

    মাদ্রাসাগুলোতে নজরদারী ও চাপ প্রয়োগের জন্য উত্তরপ্রদেশের হিন্দুত্ববাদী সরকার মাদ্রাসাগুলোর একটি সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। এই সমীক্ষার কার্যক্রম এখনও চলছে। মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষকের সংখ্যা, পাঠ্যক্রম, মৌলিক সুযোগ-সুবিধা এবং কোনও বেসরকারী সংস্থার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য আছে কি না যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। এসব মাদ্রাসার আর্থিক উৎসকেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
    উল্লেখ্য, হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার তাদের অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখে অনেক আগে থেকেই মসজিদ, মাদ্রাসাগুলো বন্ধের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। এখন বিভিন্ন ঠুনকো অযুহাত দেখিয়ে সেগুলো ভেঙ্গে দিচ্ছে। বুলডোজারকে তারা এখন মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নতুন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

    তথ্যসূত্র:
    —–
    1.Uttar Pradesh: Illegally built madrasa in Amethi demolished ( The Siasat Daily)
    https://tinyurl.com/2ftb9cny
    2.Uttar Pradesh: Illegally built madrasa in Amethi demolished
    https://tinyurl.com/ywdz6rt6

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      খেলাফতে বিশ্বাসী হওয়ায় কুয়েট ছাত্রকে হেনস্থা : পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ


      এবার সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের হাতে প্রায় শহীদ আবারার ফাহাদের পরিণতি হতে চলছিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র জাহিদুর রহমান। ইসলামি খেলাফতে বিশ্বাস করা এবং সদ্য হাসিনার ভারত সফর নিয়ে ফেইসবুকে কমেন্ট করায়, রাতভর তাকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙে গুরুতর আহত করে দিয়েছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা।

      গত ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের কথিত ছাত্রনেতাদের রুমে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় জাহিদকে। ঠিক যেভাবে আজ থেকে তিন বছর আগে সারারাত নির্মমভাবে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিলো শহীদ আবরার ফাহাদকে, ঠিক একই কায়দায় রাত ১১টা পর্যন্ত লাঠি, স্ট্যাম্প দিয়ে নির্মম শারীরিক নির্যাতন করা হয় জাহিদকে। স্ট্যাম্পের নির্মম আঘাতে ভেঙে দেয়া হয়েছে জাহিদের দুটি পা। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারায়।

      সারা রাতজুড়ে অমানবিক নির্যাতন করার পরও থেমে যায়নি ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। রক্তাক্ত ও ভাঙা দু’পা আর অজ্ঞান অবস্থায়ই তারা জাহিদের নামে মামলা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাহিদ পুলিশের হাতে গ্রেফতার অবস্থায় খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছে।



      ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা জাহিদুরকে শুধুমাত্র ইসলামের মৌলিক বিষয়ে বিশ্বাসী হওয়ায় এবং ভারত ও দালাল হাসিনার বিরুদ্ধে পোস্ট দেওায় কারণেই রাতভর পিটিয়েছে ছাত্রলীগ। এ কথা প্রমান পাওয়া যায় উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ রশিদ হলের প্রভোস্ট এমডি হামিদুল ইসলামের বক্তব্যে। সে বলেছে ‘আমাদের কিছু শিক্ষার্থী বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করে জাহিদুর রহমান বিভিন্ন দেশবিরোধী গ্রুপের সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লী সফর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছে সে। এটা আমাদের নজরে আসায় ছাত্ররা তাকে প্রথমে একটু জিজ্ঞাসাবাদের পর আমরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করি। সে আমাদের কাছে বলেছে সে খেলাফতে বিশ্বাস করে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।’



      জাহিদকে নির্যাতনকারী সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের ৫ জনের মধ্যে সাদমান নাহিয়ান সেজান কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক। কুয়েট শিক্ষক সেলিম হোসেন খুনের ঘটনায় সে জড়িত। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের খুটির জোর এখানে এতো বেশি যে, শিক্ষক হত্যায় জড়িত থাকায় ভার্সিটি থেকে আজীবন বহিস্কৃত হয়েও সে হলেই থাকে।

      অথচ, দালাল পুলিশ এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে নির্যাতনের শিকার হওয়া অজ্ঞান ছাত্রকেই কিনা গ্রেফতার করল। এই হচ্ছে মুসলিমদের ট্যাক্সের টাকায় লালিত ভারতপ্রেমিক পুলিশ বাহিনীর অবস্থা।

      ছাত্রলীগে সন্ত্রাসীরা হিন্দুত্ববাদী ভারতের দালালি করে এখন এমন অবস্থানে পৌঁছেছে যে, ইসলামী মৌলিক বিষয়ে বিশ্বাস করাও এখন তাদের কাছে মহা অপরাধ। ভারতের বিরুদ্ধে কিছু বলাও অপরাধ। সুদ, ঘুষ ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে বলা অপরাধ। তাদের কাছে এখন যেন পুরো দেশের মুসলিমরাই জিম্মি। কসাই মোদী ও দালাল হাসিনার এই ফুট-সোলজারদের ইসলাম-বিদ্বেষ ও জুলুম নিপিড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি বলে মনে করছেন ইসলামি চিন্তাবিদরা।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      ১। ছাত্রলীগের কাছে পিটুনিও খেল, প্রশাসন মামলাও করল শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে
      https://tinyurl.com/3packkje

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কাশ্মিরে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড: ছেলের লাশ হস্তান্তরের জন্য বাবার আবেদন খারিজ করলো সুপ্রিম কোর্ট



        গত বছর হায়দারপোরায় মিথ্যা এনকাউন্টারে নিহত এক কাশ্মীরি মুসলিম যুবক ‘আমির মাগরাইয়ের’ মৃতদেহ হস্তান্তরের আবেদন খারিজ করে দিলো জম্মু ও কাশ্মীরের সুপ্রিম কোর্ট। নিহত আমির মাগরাইয়ের পিতা মুহাম্মাদ লতিফ মাগরাই তাঁর ছেলের মৃতদেহ হস্তান্তরের জন্য আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।

        এর আগে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ হাইকোর্ট আমিরের পরিবারকে তাঁর মৃতদেহ কবর দেওয়ার আবেদন গ্রহণ করেছিল। তবে আমিরের পরিবার দাবি করেছিল যেন তাঁর মৃতদেহটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

        কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরের হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন জানায়, আমির একজন সন্ত্রাসী (পড়ুন স্বাধীনতাকামী) ছিল এবং তাঁর মৃতদেহটি এখন বের করতে গেলে আইন-শৃঙ্খলা প্রক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দেবে। এছাড়াও আদালতের এ বিষয়ে আবেগের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং আইনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

        ২৩ বছর বয়সী আমির গত বছরের ১৫ নভেম্বর শ্রীনগরের হায়দারপোরায় দখলদার বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।

        হিন্দুত্ববাদী পুলিশ আমিরকে একজন ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে দাবি করলেও আমিরের পরিবার জানায় যে, এসবের সাথে আমিরের কোনো যোগসূত্র ছিল না। বরং আমিরকে এনকাউন্টারে খুন করাটা ছিল দখলদার বাহিনীর একটি সাজানো নাটক।

        আমিরের বাবা বলেন, ‘আমি শুধু ন্যায়বিচার চাই। আমি শুধু আমার ছেলের মৃতদেহ চাই। এরপরে আর যাইহোক না কেন আমি তার পরোয়া করি না”।

        তথ্যসূত্রঃ
        ————————

        1. Kashmir extrajudicial killing: SC dismisses father’s plea for handing over son’s body
        https://tinyurl.com/yckjnbt7

        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আরাকান আর্মি ও বর্মি সেনাদের চতুর্মুখী নির্যাতনে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছেন রোহিঙ্গা মুসলিমরা




          মিয়ানমারের রাখাইনে রাজ্যে চলমান সংঘাতে রোহিঙ্গা মুসলিমরা নতুন করে বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন। মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মি উভয়ই সমানতালে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে এখন।

          এদের নির্যাতনের মুখে কয়েকটি রোহিঙ্গা পরিবার নিজেদের জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হয়েছেন।বাংলাদেশে সদ্য আগত রোহিঙ্গা মুসলিমরা জানিয়েছেন, রাখাইনের মংডু এবং বুদিডং শহরে অবশিষ্ট রোহিঙ্গারা প্রতিদিন মায়ানমারের সন্ত্রাসী সেনাবাহিনী এবং আরাকান বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দ্বারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি সশস্ত্র মগগোষ্ঠীও খুব চড়াও হয়েছে তাদের ওপর।

          আরাকান আর্মি নামক বৌদ্ধ বিদ্রোহীরা মিডিয়ায় দাবি করেছিল যে, তারা ক্ষমতায় গেলে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে। রোহিঙ্গা শরনার্থীদের রাখাইনে ফিরিয়ে নিবে।

          অন্যদিকে হলুদ মিডিয়া আরাকান আর্মিকে ভাল সাজিয়ে বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে। কিন্তু সদ্য আগত রোহিঙ্গা মুসলিমরা জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছেন, মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর থেকে কোন অংশে কম নয় আরাকান আর্মি। আরাকান আর্মি রোহিঙ্গা মুসলিমদের থেকে অতিরিক্ত চাঁদাবাজি করছে, চাঁদা না দিলে এলাকা থেকে উচ্ছেদ ও নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন করছে।

          পাশাপাশি তারা রোহিঙ্গা যুবকদের হত্যাও করছে।নির্যাতনের মুখে ধানখালি দূর্গম চরে আরও আট নয়শো রোহিঙ্গা অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন আগত রোহিঙ্গারা। একজন রোহিঙ্গা মুসলিম নারী জানান যে, আরাকান আর্মির কিছু মগ সদস্য তাকে উত্তক্ত করায়, তার স্বামী প্রতিবাদ জানান। পরে তারা তার স্বামীকে মেরে উনাকেকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, স্বর্ণ দেওয়ার লোভও দেখায়। পরে তিনি তার মুসলিম পরিচিয় তুলে ধরে তাদেরকে অবিশ্বাসী সম্বোধন করেন, এবং বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তাদের হুমকির মুখে প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশে চলে আশেন অসহায় ঐ মুসলিম নারী।

          যুগ যুগ ধরে রোহিঙ্গা মুসলিমরা
          নির্যাতনের শিকার। এখন আবার নতুনভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্ববাসীর কেউই মিয়ানমারের সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। কথিত জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থা সবসময়ই কয়েকটি দায়সারা বিবৃতি আর চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে লোকদেখানো ভ্রমণ ছাড়া কিছুই করতে পারেনি।

          তবে যারা রোহিঙ্গা মুসলিমদের স্বাধীনতার জন্য কাজ করছে। তাদেরকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে মিডিয়া। রোহিঙ্গাদের স্বাধীনতার জন্য কাজ করা সংগঠনের মধ্যে আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) অন্যতম। যারা রোহিঙ্গা মুসলিমদের স্বাধীনতার জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে মিয়ানমার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ করেছেন। মিয়ানমারের বর্বর সেনাদের পাশাপাশি তারা আরাকান আর্মির হামলারও মোকাবেলা করছেন। অথচ হলুদ মিডিয়া তাদেরকেই কিনা সন্ত্রাসী হিসেবে উপস্থাপন করছে।

          যাদের জন্য তারা যুদ্ধ করছেন, সেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কাছেই তাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে এই দালাল মিডিয়া। রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ হত্যার দায়ও পরিকল্পিতভাবে তাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করা হয়; যেটিকে এক সাক্ষাতকারে বানোয়াট বলে উল্লেখ করেছেন আরসা প্রধান।

          অনেক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আরাকান আর্মির উত্থানের পিছনে পশ্চিম শক্তি কাজ করছে। আর এজন্যই পশ্চিমাদের এজেন্ট দালাল মিডিয়া আরাকান আর্মির পক্ষপাতী। মিডিয়ার এই ধোঁকাবাজি প্রচারণায় মুসলিমদের সচেতন হবার পরমার্শ দিয়েছেন তাঁরা। সেই সাথে রোহিঙ্গা মুসলিমদের দুদশা থেকে উদ্ধার ও তাদের স্বাধীনতার জন্য নববী সুন্নাতের অনুসরণ করার জোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।


          তথ্যসূত্র:
          ——-
          1. The remaining Rohingya in Maungdaw and Buthidaung townships are being beaten every day by the Myanmar terrorist army and AA rebel groups
          https://tinyurl.com/3z3xvzzu





          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            হাসিনার ভারত সফরকালেই হত্যার শিকার স্কুলছাত্রের লাশ ৪ দিনেও ফেরত দেয়নি সন্ত্রাসী বিএসএফ



            দালাল হাসিনা ভারতে থাকাকালীন ৮ সেপ্টেম্বর দিনাজপুরের দাইনুর সীমান্তে বাংলাদেশি স্কুলছাত্র মিনারুলকে গুলি করে খুন ও অপর দুই যুবককে গুম করে সন্ত্রাসী বিএসএফ।

            তবে বর্বরতা আর আমানবিকতা সবকিছুকে হার মানিয়েছে এ কিশোরের লাশ হস্তান্তরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। গত ৮ তারিখ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর ৪ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত লাশ হস্তান্তর করছে না ভারত। সীমান্তে নিহতের পিতা-মাতা আত্বীয়স্বজনসহ প্রতিবেশীরা খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছে লাশের জন্য। তবে কোন এক অজানা কারণে লাশ হস্তান্তর করছে না মুসলিম বিদ্বেষী ভারত সরকার।

            ২০১৮ সালে কুমিল্লায় বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে বৈঠক চলাকালীনও সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে হত্যা করেছিল সন্ত্রাসী বিএসএফ।

            এবার হাসিনার ভারত সফরে থাকাকালীন দিনাজপুরের দাইনুর সীমান্তে স্কুলছাত্রকে হত্যা করা হল৷ তাঁরা বলছেন হাসিনার ভারত সফরের মাঝে বাংলাদেশি ছাত্রকে হত্যা হাসিনার জন্য চরম লজ্জা ও ভারত সরকারের নিকট নতজানু পররাষ্ট্রনীতিরই বহিঃপ্রকাশ৷ এ দালাল সরকার সীমান্তে গুলি করে হত্যা করার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে সামান্যতম প্রতিবাদ করার ক্ষমতা রাখে না। আর এ সবকিছু গোপন করতেই হাসিনার নির্দেশেই লাশ হস্তান্তরে কালক্ষেপণ করছে ভারত সরকার। হাসিনা সরকার চেয়েছিল মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানাতে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে শুরু করেছে ভারত কখনোই বাংলাদেশের বন্ধু না, বরং শত্রু রাষ্ট্র।

            এদিকে মিনারুলের হত্যার ঘটনায় অজানা ভয়ে আতংকিত হয়ে আছে সীমান্তবাসী। বিজিবি ক্যাম্পের আশে-পাশেও যেতে সাহস করছেনা ছেলে-বুড়ো কেউ।

            মিনারুল হত্যা ঘটনার পর তার বাবাকে ক্যাম্পে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদকালে জ্ঞান হারিয়ে ফেলন তিনি। এছাড়া শোকে কাতর মিনারুলের মাকে চিকিৎসার কথা বলে ধোকা দিয়ে থানায় নিয়ে বিএসএফের কাছে গুম হওয়া কিশোরদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে একটি অভিযোগ, এটিকে কেন্দ্র করেও সৃষ্টি হয়েছে আতংক।
            কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ দায়েরের কথা স্বীকার করেছে। লাশ হস্তান্তরের পর এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে সে। তবে দালাল পুলিশ কাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিবে এটাই এখন জানার বিষয়। লাশ খুন করেছে সন্ত্রাসী বিএসএফ অথচ এর মাসুল গুনতে হবে এখন মাজলুম বাংলাদেশি সীমান্তবাসী মানুষকে। সীমান্তবাসীরা যেন এই কিশোরের লাশ নিয়ে কোন প্রকার প্রাচার চালাতে না পারে এজন্যই হাসিনার এ সিদ্ধান্ত কিনা এমন প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের।

            এদিকে হত্যার ৯৬ ঘণ্টা পর লাশ ফেরত না পেলেও ভারতীয় গণমাধ্যমে নিহত মিনারুলের লাশ নিয়ে বিএসএফ সদস্যদের ফটোসেশান বাংলাদেশীদের কাছে কাটা ঘায়ে এ নুনের ছিটার মত। খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র মিনারুল এর বিরুদ্ধে কোন সময় চোরাচালান এমনকি কোন দুষ্কর্মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিজিবি এমনকি পুলিশের কাছেও কোন তথ্য নেই। গুলি করে হত্যার ঘটনাটি কেউ মেনে নিতে পারছে না। নিখোঁজ অন্যান্যের ব্যাপারেও কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

            তথ্যসূত্র:
            ——
            ১। বর্বরোচিত নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে বিএসএফ-


            ২। দিনাজপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি স্কুলছাত্র নিহত-
            https://tinyurl.com/2jcmepez

            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              দখলদার চীনের জিরো কোভিড নীতিতে পূর্ব তুর্কীস্তানে মৃত্যুর মিছিল



              গত আগস্টের শুরু থেকে দখলদার চীনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত কঠোর লকডাউনের কারণে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ জন উইঘুর মুসলিম অনাহারে ও ওষুধের পর্যাপ্ত যোগানের অভাবে মারা গেছে। রেডিও ফ্রি এশিয়াকে (আরএফএ) স্থানীয় বাসিন্দারা এবং কর্মকর্তারা উক্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

              পূর্ব তুর্কীস্তানের ঘুলজা শহরের গুরকিরাতমা গ্রামের বাসিন্দারা আরএফএ-কে জানায় যে, অনাহারের কারণে সেখানের ১০টি পরিবারের সদস্যদের ভয়ানক রকমের স্বাস্থ্যহানি ঘটেছে।

              নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা আরএফএ-কে বলেন, জিরো-কোভিড লকডাউন কার্যকর হওয়ার ২০ দিনের মধ্যে ঘুলজা শহরে ১২ জন উইঘুরের মৃত্যু হয়েছে যার মধ্যে একজন ছিলেন ৬২ বছর বয়সী কৃষক মেওলান সিদ্দিক।

              চীনের জিরো-কোভিড পলিসিটি গুলজা শহর সহ পূর্ব তুর্কীস্তানের বেশ কিছু জায়গায় উল্লেখযোগ্যভাবে খাদ্যের ঘাটতি সৃষ্টি করেছে।

              সেই কর্মকর্তাটি আরও জানান, মেওলান সিদ্দিক লকডাউন বাস্তবায়নের ১০ দিন পরই মারা যান। লকডাউনের কারণে গ্রাম ও শহরের কর্মকর্তারা সময়মতো তার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হতে পারেন নি এবং মেলওয়ানের কোনও আত্মীয়-স্বজনও এখন বেঁচে নেই।

              তিনি বলেন, এই লকডাউনের সময় মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে মেওলানও রয়েছেন। লকডাউনের প্রথম ২০ দিনের মধ্যে তারা সবাই অনাহারে এবং ওষুধের অভাবে মারা গেছে।

              দ্বিতীয় এক কর্মকর্তা আরএফএকে বলেন, সিদ্দিক সম্ভবত মারা গেছেন লকডাউনের মধ্যে তার প্রয়োজনীয় ওষুধ সময়মতো পৌঁছায়নি বলে। সিদ্দিক অনেক আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন এবং লকডাউন শুরু হওয়ার পরে তা আরও গুরুতর হয়।

              গুরকিরাতমা গ্রামের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা আরএফএকে বলেন, খাদ্য সংকটের কারণে সম্প্রতি সেখানে দুইজন উইঘুর বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে এবং তিনজন উইঘুরকে অপুষ্টির কারণে হাসপাতালে নিতে হয়েছে।

              বিশেষজ্ঞগণ বলছেন জিরো কোভিড পলিসি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উইঘুরদের কার্যত গৃহবন্দী করে রেখেছে দখলদার চীন সরকার। এবং এই গৃহবন্দীত্বের কারণে উইঘুররা এখন তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, খাবার ও ওষুধপত্র কিনতে ব্যর্থ হচ্ছে। যার ফলে পূর্ব তুর্কীস্তানে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে।

              উলামাগণ তাই বলছেন, পুরো মুসলিম বিশ্বের উচিত এখন উইঘুরদের সাহায্যে নিজেদের সামর্থ্য মতো এগিয়ে আসা। এবং চীনের সকল ধরণের পণ্য বয়কটের মাধ্যমে চীনকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে ফেলা ও সাধ্যমত তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।



              তথ্যসূত্র:
              ——–
              1. As many as a dozen dead amid shortages caused by Xinjiang COVID lockdown
              https://tinyurl.com/3cebn5ur

              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment

              Working...
              X