মসজিদের ভেতর পূজার অনুমোদন : বাবরির পথেই কি জ্ঞানবাপি?
জ্ঞানবাপি মসজিদ প্রাঙ্গণে পূজা করার অধিকার চেয়ে হিন্দু মহিলাদের করা আবেদন বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় আদালত। হিন্দু মহিলাদের আবেদন চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আঞ্জুমান ইসলামিয়া মসজিদ কমিটির আবেদন গত ১২ সেপ্টেম্বর খারিজ করে দিয়েছে উত্তর প্রদেশের বারাণসী আদালত।
ডিস্ট্রিক্ট জজ এ. কে. বিশ্বেশ্বর আদেশে বলেছে, হিন্দু মহিলাদের দায়ের করা আবেদনটি দ্য প্লেস অফ ওয়ার্শিপ অ্যাক্ট বা ওয়াকফ অ্যাক্ট দ্বারা নিষিদ্ধ নয়। তাই এ বিষয়ে আঞ্জুমান ইসলামিয়া কমিটির চ্যালেঞ্জ আদালত খারিজ করে দিয়েছে।
গত মে মাসে, নিম্ন আদালত থেকে স্থানান্তর করে মামলাটি বারাণসী জেলা বিচারকের আদালতে অর্পণ করে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগ পর্যন্ত নিম্ন আদালতেই মামলাটির শুনানি হয়েছে। পরে হিন্দু মহিলাদের আবেদনের ভিত্তিতে বারাণসী সিভিল কোর্ট জ্ঞানভাপি মসজিদের চিত্রগ্রহণের নির্দেশ দেয়। হিন্দুদের দাবি, জ্ঞানবাপি মসজিদ কমপ্লেক্সে হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি রয়েছে।
মসজিদের চিত্রগ্রহণের পর অযৌক্তিক ভাবে দাবি করা হয় যে, মসজিদ কমপ্লেক্সের ভেতরে একটি পুকুরে “শিবলিঙ্গ” রয়েছে। এটি মূলত ছিল মুসল্লিদের অজুখানার পানির ফোয়ারা। এ সাধারণ বিষয়টি যাচাই না করেই মামলার শুনানিকারী বিচারক পুকুরটি সিলগালা করার নির্দেশ দেয়।
এখন আবার মসজিদ প্রাঙ্গণে হিন্দু মহিলাদের পূজা করার আবেদন গ্রহণ করেছে, যা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অর্থাৎ একই মসজিদে নামাজের পাশাপাশি পূজাও করতে দিতে হবে। হিন্দুত্ববাদী আদালতের এই অযৌক্তিক আদেশ বাবরির মতই মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানানোর পথকে সুগম করবে বলে মনে করছেন মুসলিমরা।
এর আগে, ভারতের উত্তর প্রদেশেই মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে দিয়েছিল হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা। পরে হিন্দুত্ববাদী আদালত কারসাজি করে মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমোদন দেয়। মুসলিম বিরোধী এমন জঘন্য রায় পেয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো আরও উঠে পরে লেগেছে মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির গড়ার মিশনে।
রাম মন্দির আন্দোলনের সময়েই সঙ্ঘ পরিবার ও হিন্দুত্ববাদীরা হুমকি দিয়েছিল, ‘আয়োধ্যা (অযোধ্যা) তো সির্ফ এক ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়’।
ইসলামি চিন্তাবিদগণের মতে, হিন্দুত্ববাদীরা যে পরিকল্পনা নিয়ে বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানাচ্ছে, হুবহু একই পরিকল্পনা নিয়ে জ্ঞানব্যাপীসহ অন্যান্য মসজিদের ক্ষেত্রে অগ্রসর হচ্ছে। মুসলিমরা এখনই সতর্ক না হলে বাবরি মসজিদের মতোই একে একে ঐতিহাসিক মসজিদগুলো বেদখল করে হিন্দুত্ববাদীরা তাদের মুসলিমমুক্ত অখণ্ড ভারত বাস্তবায়নের কাজে এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকগণ।
তথসূত্র:
——-–
1. Gyanvapi: Court says Hindu women’s plea for worship maintainable, rejects Masjid committee’s plea
– https://tinyurl.com/3v5fyz97
জ্ঞানবাপি মসজিদ প্রাঙ্গণে পূজা করার অধিকার চেয়ে হিন্দু মহিলাদের করা আবেদন বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় আদালত। হিন্দু মহিলাদের আবেদন চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আঞ্জুমান ইসলামিয়া মসজিদ কমিটির আবেদন গত ১২ সেপ্টেম্বর খারিজ করে দিয়েছে উত্তর প্রদেশের বারাণসী আদালত।
ডিস্ট্রিক্ট জজ এ. কে. বিশ্বেশ্বর আদেশে বলেছে, হিন্দু মহিলাদের দায়ের করা আবেদনটি দ্য প্লেস অফ ওয়ার্শিপ অ্যাক্ট বা ওয়াকফ অ্যাক্ট দ্বারা নিষিদ্ধ নয়। তাই এ বিষয়ে আঞ্জুমান ইসলামিয়া কমিটির চ্যালেঞ্জ আদালত খারিজ করে দিয়েছে।
গত মে মাসে, নিম্ন আদালত থেকে স্থানান্তর করে মামলাটি বারাণসী জেলা বিচারকের আদালতে অর্পণ করে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগ পর্যন্ত নিম্ন আদালতেই মামলাটির শুনানি হয়েছে। পরে হিন্দু মহিলাদের আবেদনের ভিত্তিতে বারাণসী সিভিল কোর্ট জ্ঞানভাপি মসজিদের চিত্রগ্রহণের নির্দেশ দেয়। হিন্দুদের দাবি, জ্ঞানবাপি মসজিদ কমপ্লেক্সে হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি রয়েছে।
মসজিদের চিত্রগ্রহণের পর অযৌক্তিক ভাবে দাবি করা হয় যে, মসজিদ কমপ্লেক্সের ভেতরে একটি পুকুরে “শিবলিঙ্গ” রয়েছে। এটি মূলত ছিল মুসল্লিদের অজুখানার পানির ফোয়ারা। এ সাধারণ বিষয়টি যাচাই না করেই মামলার শুনানিকারী বিচারক পুকুরটি সিলগালা করার নির্দেশ দেয়।
এখন আবার মসজিদ প্রাঙ্গণে হিন্দু মহিলাদের পূজা করার আবেদন গ্রহণ করেছে, যা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অর্থাৎ একই মসজিদে নামাজের পাশাপাশি পূজাও করতে দিতে হবে। হিন্দুত্ববাদী আদালতের এই অযৌক্তিক আদেশ বাবরির মতই মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানানোর পথকে সুগম করবে বলে মনে করছেন মুসলিমরা।
এর আগে, ভারতের উত্তর প্রদেশেই মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে দিয়েছিল হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা। পরে হিন্দুত্ববাদী আদালত কারসাজি করে মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমোদন দেয়। মুসলিম বিরোধী এমন জঘন্য রায় পেয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো আরও উঠে পরে লেগেছে মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির গড়ার মিশনে।
রাম মন্দির আন্দোলনের সময়েই সঙ্ঘ পরিবার ও হিন্দুত্ববাদীরা হুমকি দিয়েছিল, ‘আয়োধ্যা (অযোধ্যা) তো সির্ফ এক ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়’।
ইসলামি চিন্তাবিদগণের মতে, হিন্দুত্ববাদীরা যে পরিকল্পনা নিয়ে বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানাচ্ছে, হুবহু একই পরিকল্পনা নিয়ে জ্ঞানব্যাপীসহ অন্যান্য মসজিদের ক্ষেত্রে অগ্রসর হচ্ছে। মুসলিমরা এখনই সতর্ক না হলে বাবরি মসজিদের মতোই একে একে ঐতিহাসিক মসজিদগুলো বেদখল করে হিন্দুত্ববাদীরা তাদের মুসলিমমুক্ত অখণ্ড ভারত বাস্তবায়নের কাজে এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকগণ।
তথসূত্র:
——-–
1. Gyanvapi: Court says Hindu women’s plea for worship maintainable, rejects Masjid committee’s plea
– https://tinyurl.com/3v5fyz97
Comment