মুসলিম ‘মৌলভিদের’ বিতাড়িত হওয়ার জন্য জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার নির্দেশ ভিএইচপি নেতার
মুসলিমদেরকে অচিরেই ভারত থেকে বিতাড়িত করা হবে, তাই মুসলিম মৌলভিদের এখনি জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে বললো হিন্দুত্ববাদী দল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা ভিএইচপি’র এক নেতা।
ঘটনাটি ঘটেছে মানেসারে ভিএইচপির আয়োজিত একটি ত্রিশূল দীক্ষা (ত্রিশূল বিতরণ) অনুষ্ঠানে, যেখানে ভিএইচপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন এক সমাবেশে বিপুল হিন্দুদের উপস্থিতিতে এমন উগ্র মন্তব্য করেছে।
হিন্দুত্ববাদী জৈন বলেছে, “১২-১৩ বছর আগে মাত্র তিনটি মুসলিম পরিবার ভোরা কালানে এসে ছাগল চরানোর জন্য একটি জমিতে নামাজ পড়ার অনুমতি চেয়েছিল… একটি বোঝাপড়া ছিল। কোনও মৌলভি বা বাইরে থেকে কেউ ছিল না। পরে আস্তে আস্তে বাইরে থেকে লোকজন আসতে শুরু করল… তারা মসজিদ বানানোর চেষ্টা করল।…কেউ আপনার বাড়িতে প্রবেশ করে মসজিদ তৈরি করলে আপনি কি মেনে নেবেন?”
উগ্র জৈন কয়েকদিন আগে গুরগাঁওয়ের ভোরা কালান এলাকায় একটি মসজিদে ২০০ উগ্র হিন্দু ঢুকে হামলা চালানোর ঘটনাকে বৈধতা দিতেই এমন গালগল্প সাজিয়েছে। তার মতে, মসজিদটি যা সংস্কারের কাজ চলছিল। এটাকে সে তাদের কাল্পনিক “ল্যান্ড জিহাদ” ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে আখ্যা দিয়েছে।
সে আরও বলেছে, “ভোরা কালানে যা ঘটেছে তা আগামীকাল গুরগাঁও, মানেসার, হরিয়ানা এবং দেশের অন্যান্য স্থানেও ঘটতে পারে। আমি ভোরা কালানের হিন্দুদের অভিনন্দন জানাতে চাই, যারা তাদের (মুসলিমদের) হামলা চালিয়ে উচিত শিক্ষা দিয়েছে।
জৈন তখন মুসলিম সমাজের সম্মানিত আলেমদের লক্ষ্য করে বলে, “আমি সেই মৌলবিদের বলতে চাই, আপনার জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখুন, নইলে মানেসারের লোকেরা আপনাদেরকে জ্যান্ত ছাড়বে না… ইয়ে হিন্দু রাষ্ট্র থা, হ্যায় অর রাহেগা।” (এটি হিন্দু রাষ্ট্র ছিল, আছে, এবং থাকবে।)
জৈন গোহত্যায় জড়িত মুসলিম ব্যক্তিদের শাস্তির কথাও উল্লেখ করেছে। সে বলেছে, “মেওয়াতে গোহত্যা চলছে, কিন্তু পুলিশ ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছে না।”
“উনকো সাজা দেনা হে, তো হামারে মানেসার কে বজরঙ্গি… ঘরমে ঘুসকার মারাতে হ্যায়। (মানেসারের আমাদের বজরঙ্গীরা তাদের(মুসলিমদের) বাড়িতে ঢুকে মারধর করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করছে।)
সে নামাজের বিরুদ্ধে হিন্দুদের উত্তেজিত করার চেষ্টাও করেছে এই বলে যে, “ইয়ে নামাজ না ফাসাদ হ্যায়। ওও নামাজ নাহি পারনা চাহতে, আতঙ্ক ফেলনা চাহতে হ্যায়।(এটা নামাজ নয়, এটা সন্ত্রাস। তারা নামাজ পড়তে চায় না, তারা সন্ত্রাস ছড়াতে চায়।)
উল্লেখ্য, এই ইভেন্টটি ভিএইচপি দ্বারা সংগঠিত আরেকটি ইভেন্টের ঠিক এক সপ্তাহ পরে হয়েছে। আগের ইভেন্টটিতে উচ্চ পদস্থ বিজেপির উগ্র নেতা এবং হিন্দুত্ববাদী গুরুরা একাধিক ঘৃণামূলক বক্তৃতা করে। যেখানে বিজেপি সাংসদ পারভেশ মিশ্র মুসলিম সম্প্রদায়কে সম্পূর্ণ বয়কটের আহ্বান জানায়, এবং বিজেপি বিধায়ক নন্দ কিশোর গুর্জার দাদরির মব লিঞ্চিং-এর শিকার মোহাম্মদ আখলাক সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করে, দিল্লীতে মুসলিম গণহত্যায় লোক পাঠানোর কথা স্বীকার করে। যোগেশ্বর আচার্য মুসলমানদের “হাত ও মাথা কাটার” প্রকাশ্য আহ্বান জানায়। মহন্ত নবল কিশোর হিন্দুদেরকে বন্দুক তুলে নিতে বলে। লাইসেন্স সহ বা ছাড়াই।
এমন সব মুসলিম বিদ্বেষী বক্তৃতা দেওয়ার পরও হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। অন্যদিকে মুসলিমরা সামান্য নিজেদের অধিকারের কথা বললেও, কঠিন কঠিন আইনের মারপ্যাঁচে ফেলে বছরের পর বছর কারাগারে বন্দী করে রাখে।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Hate Watch: VHP leader asks Maulvis in Manesar to pack up their belongings (CJP)
– https://tinyurl.com/rjehd4f5
মুসলিমদেরকে অচিরেই ভারত থেকে বিতাড়িত করা হবে, তাই মুসলিম মৌলভিদের এখনি জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে বললো হিন্দুত্ববাদী দল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা ভিএইচপি’র এক নেতা।
ঘটনাটি ঘটেছে মানেসারে ভিএইচপির আয়োজিত একটি ত্রিশূল দীক্ষা (ত্রিশূল বিতরণ) অনুষ্ঠানে, যেখানে ভিএইচপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন এক সমাবেশে বিপুল হিন্দুদের উপস্থিতিতে এমন উগ্র মন্তব্য করেছে।
হিন্দুত্ববাদী জৈন বলেছে, “১২-১৩ বছর আগে মাত্র তিনটি মুসলিম পরিবার ভোরা কালানে এসে ছাগল চরানোর জন্য একটি জমিতে নামাজ পড়ার অনুমতি চেয়েছিল… একটি বোঝাপড়া ছিল। কোনও মৌলভি বা বাইরে থেকে কেউ ছিল না। পরে আস্তে আস্তে বাইরে থেকে লোকজন আসতে শুরু করল… তারা মসজিদ বানানোর চেষ্টা করল।…কেউ আপনার বাড়িতে প্রবেশ করে মসজিদ তৈরি করলে আপনি কি মেনে নেবেন?”
উগ্র জৈন কয়েকদিন আগে গুরগাঁওয়ের ভোরা কালান এলাকায় একটি মসজিদে ২০০ উগ্র হিন্দু ঢুকে হামলা চালানোর ঘটনাকে বৈধতা দিতেই এমন গালগল্প সাজিয়েছে। তার মতে, মসজিদটি যা সংস্কারের কাজ চলছিল। এটাকে সে তাদের কাল্পনিক “ল্যান্ড জিহাদ” ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে আখ্যা দিয়েছে।
সে আরও বলেছে, “ভোরা কালানে যা ঘটেছে তা আগামীকাল গুরগাঁও, মানেসার, হরিয়ানা এবং দেশের অন্যান্য স্থানেও ঘটতে পারে। আমি ভোরা কালানের হিন্দুদের অভিনন্দন জানাতে চাই, যারা তাদের (মুসলিমদের) হামলা চালিয়ে উচিত শিক্ষা দিয়েছে।
জৈন তখন মুসলিম সমাজের সম্মানিত আলেমদের লক্ষ্য করে বলে, “আমি সেই মৌলবিদের বলতে চাই, আপনার জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখুন, নইলে মানেসারের লোকেরা আপনাদেরকে জ্যান্ত ছাড়বে না… ইয়ে হিন্দু রাষ্ট্র থা, হ্যায় অর রাহেগা।” (এটি হিন্দু রাষ্ট্র ছিল, আছে, এবং থাকবে।)
জৈন গোহত্যায় জড়িত মুসলিম ব্যক্তিদের শাস্তির কথাও উল্লেখ করেছে। সে বলেছে, “মেওয়াতে গোহত্যা চলছে, কিন্তু পুলিশ ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছে না।”
“উনকো সাজা দেনা হে, তো হামারে মানেসার কে বজরঙ্গি… ঘরমে ঘুসকার মারাতে হ্যায়। (মানেসারের আমাদের বজরঙ্গীরা তাদের(মুসলিমদের) বাড়িতে ঢুকে মারধর করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করছে।)
সে নামাজের বিরুদ্ধে হিন্দুদের উত্তেজিত করার চেষ্টাও করেছে এই বলে যে, “ইয়ে নামাজ না ফাসাদ হ্যায়। ওও নামাজ নাহি পারনা চাহতে, আতঙ্ক ফেলনা চাহতে হ্যায়।(এটা নামাজ নয়, এটা সন্ত্রাস। তারা নামাজ পড়তে চায় না, তারা সন্ত্রাস ছড়াতে চায়।)
উল্লেখ্য, এই ইভেন্টটি ভিএইচপি দ্বারা সংগঠিত আরেকটি ইভেন্টের ঠিক এক সপ্তাহ পরে হয়েছে। আগের ইভেন্টটিতে উচ্চ পদস্থ বিজেপির উগ্র নেতা এবং হিন্দুত্ববাদী গুরুরা একাধিক ঘৃণামূলক বক্তৃতা করে। যেখানে বিজেপি সাংসদ পারভেশ মিশ্র মুসলিম সম্প্রদায়কে সম্পূর্ণ বয়কটের আহ্বান জানায়, এবং বিজেপি বিধায়ক নন্দ কিশোর গুর্জার দাদরির মব লিঞ্চিং-এর শিকার মোহাম্মদ আখলাক সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করে, দিল্লীতে মুসলিম গণহত্যায় লোক পাঠানোর কথা স্বীকার করে। যোগেশ্বর আচার্য মুসলমানদের “হাত ও মাথা কাটার” প্রকাশ্য আহ্বান জানায়। মহন্ত নবল কিশোর হিন্দুদেরকে বন্দুক তুলে নিতে বলে। লাইসেন্স সহ বা ছাড়াই।
এমন সব মুসলিম বিদ্বেষী বক্তৃতা দেওয়ার পরও হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। অন্যদিকে মুসলিমরা সামান্য নিজেদের অধিকারের কথা বললেও, কঠিন কঠিন আইনের মারপ্যাঁচে ফেলে বছরের পর বছর কারাগারে বন্দী করে রাখে।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Hate Watch: VHP leader asks Maulvis in Manesar to pack up their belongings (CJP)
– https://tinyurl.com/rjehd4f5
Comment