Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ১৯অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ১৯অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

    মুসলিম ‘মৌলভিদের’ বিতাড়িত হওয়ার জন্য জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার নির্দেশ ভিএইচপি নেতার




    মুসলিমদেরকে অচিরেই ভারত থেকে বিতাড়িত করা হবে, তাই মুসলিম মৌলভিদের এখনি জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে বললো হিন্দুত্ববাদী দল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা ভিএইচপি’র এক নেতা।

    ঘটনাটি ঘটেছে মানেসারে ভিএইচপির আয়োজিত একটি ত্রিশূল দীক্ষা (ত্রিশূল বিতরণ) অনুষ্ঠানে, যেখানে ভিএইচপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন এক সমাবেশে বিপুল হিন্দুদের উপস্থিতিতে এমন উগ্র মন্তব্য করেছে।

    হিন্দুত্ববাদী জৈন বলেছে, “১২-১৩ বছর আগে মাত্র তিনটি মুসলিম পরিবার ভোরা কালানে এসে ছাগল চরানোর জন্য একটি জমিতে নামাজ পড়ার অনুমতি চেয়েছিল… একটি বোঝাপড়া ছিল। কোনও মৌলভি বা বাইরে থেকে কেউ ছিল না। পরে আস্তে আস্তে বাইরে থেকে লোকজন আসতে শুরু করল… তারা মসজিদ বানানোর চেষ্টা করল।…কেউ আপনার বাড়িতে প্রবেশ করে মসজিদ তৈরি করলে আপনি কি মেনে নেবেন?”

    উগ্র জৈন কয়েকদিন আগে গুরগাঁওয়ের ভোরা কালান এলাকায় একটি মসজিদে ২০০ উগ্র হিন্দু ঢুকে হামলা চালানোর ঘটনাকে বৈধতা দিতেই এমন গালগল্প সাজিয়েছে। তার মতে, মসজিদটি যা সংস্কারের কাজ চলছিল। এটাকে সে তাদের কাল্পনিক “ল্যান্ড জিহাদ” ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে আখ্যা দিয়েছে।

    সে আরও বলেছে, “ভোরা কালানে যা ঘটেছে তা আগামীকাল গুরগাঁও, মানেসার, হরিয়ানা এবং দেশের অন্যান্য স্থানেও ঘটতে পারে। আমি ভোরা কালানের হিন্দুদের অভিনন্দন জানাতে চাই, যারা তাদের (মুসলিমদের) হামলা চালিয়ে উচিত শিক্ষা দিয়েছে।

    জৈন তখন মুসলিম সমাজের সম্মানিত আলেমদের লক্ষ্য করে বলে, “আমি সেই মৌলবিদের বলতে চাই, আপনার জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখুন, নইলে মানেসারের লোকেরা আপনাদেরকে জ্যান্ত ছাড়বে না… ইয়ে হিন্দু রাষ্ট্র থা, হ্যায় অর রাহেগা।” (এটি হিন্দু রাষ্ট্র ছিল, আছে, এবং থাকবে।)

    জৈন গোহত্যায় জড়িত মুসলিম ব্যক্তিদের শাস্তির কথাও উল্লেখ করেছে। সে বলেছে, “মেওয়াতে গোহত্যা চলছে, কিন্তু পুলিশ ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছে না।”

    “উনকো সাজা দেনা হে, তো হামারে মানেসার কে বজরঙ্গি… ঘরমে ঘুসকার মারাতে হ্যায়। (মানেসারের আমাদের বজরঙ্গীরা তাদের(মুসলিমদের) বাড়িতে ঢুকে মারধর করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করছে।)

    সে নামাজের বিরুদ্ধে হিন্দুদের উত্তেজিত করার চেষ্টাও করেছে এই বলে যে, “ইয়ে নামাজ না ফাসাদ হ্যায়। ওও নামাজ নাহি পারনা চাহতে, আতঙ্ক ফেলনা চাহতে হ্যায়।(এটা নামাজ নয়, এটা সন্ত্রাস। তারা নামাজ পড়তে চায় না, তারা সন্ত্রাস ছড়াতে চায়।)

    উল্লেখ্য, এই ইভেন্টটি ভিএইচপি দ্বারা সংগঠিত আরেকটি ইভেন্টের ঠিক এক সপ্তাহ পরে হয়েছে। আগের ইভেন্টটিতে উচ্চ পদস্থ বিজেপির উগ্র নেতা এবং হিন্দুত্ববাদী গুরুরা একাধিক ঘৃণামূলক বক্তৃতা করে। যেখানে বিজেপি সাংসদ পারভেশ মিশ্র মুসলিম সম্প্রদায়কে সম্পূর্ণ বয়কটের আহ্বান জানায়, এবং বিজেপি বিধায়ক নন্দ কিশোর গুর্জার দাদরির মব লিঞ্চিং-এর শিকার মোহাম্মদ আখলাক সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করে, দিল্লীতে মুসলিম গণহত্যায় লোক পাঠানোর কথা স্বীকার করে। যোগেশ্বর আচার্য মুসলমানদের “হাত ও মাথা কাটার” প্রকাশ্য আহ্বান জানায়। মহন্ত নবল কিশোর হিন্দুদেরকে বন্দুক তুলে নিতে বলে। লাইসেন্স সহ বা ছাড়াই।

    এমন সব মুসলিম বিদ্বেষী বক্তৃতা দেওয়ার পরও হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। অন্যদিকে মুসলিমরা সামান্য নিজেদের অধিকারের কথা বললেও, কঠিন কঠিন আইনের মারপ্যাঁচে ফেলে বছরের পর বছর কারাগারে বন্দী করে রাখে।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Hate Watch: VHP leader asks Maulvis in Manesar to pack up their belongings (CJP)
    https://tinyurl.com/rjehd4f5

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এক আরাকানী মুসলিমের আর্তনাদ!



    আরাকানে এখন এমন কোন এলাকা নেই যেখানে মুসলিমরা নিরাপত্তার সাথে জীবন-যাপন করতে পারছে। প্রতিদিনই কেউ না কেউ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হচ্ছেন। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে ঘর-বাড়ি ছেড়ে বন-জঙ্গলে আশ্রয় নিচ্ছেন তারা। দুই সপ্তাহ আগে, বুথিডাং টাউনশিপের গুতা পাইন গ্রামে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে যুদ্ধ তীব্র রূপ ধারণ করে। ফলে শত শত মুসলিম গ্রামবাসী পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তাদের বর্তমান অবস্থা জানিয়ে বিশ্ববাসীর প্রতি করুণ চিঠি লিখেছেন এক রোহিঙ্গা মুসলিম।

    চিঠিটির ভাবানুবাদ-

    “প্রিয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে বিনীত অনুরোধ করছি।

    বুথিডাং টাউনশিপে প্রায় ৮০০ উদ্বাস্তু মুসলিমের জন্য জরুরি খাবারের প্রয়োজন। গত দুই সপ্তাহ ধরে রাখাইন রাজ্য, বুথিডাং টাউনশিপ ও গুতা পাইন রোহিঙ্গা গ্রামে আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনী অবস্থান নিয়েছে। তারা এখানে তুমুল যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।

    দুই সপ্তাহেরও বেশি হয়েছে আমরা গ্রাম ছেড়ে চলে এসেছি। এখন পর্যন্ত আমরা গ্রামে ফিরতে পারিনি। লুজ গ্রামে এখন আরাকান আর্মি নেই। শুধু সেনাবাহিনী। আর আরাকান আর্মি গ্রামের পশ্চিম দিকের জঙ্গল এবং পূর্বে অবস্থান নিয়েছে। আমরা জানি না কখন আবার যুদ্ধ শুরু হয়। এখানে ১৩০ এর বেশি রোহিঙ্গা পরিবার রয়েছে, লোকসংখ্যা প্রায় ৮০০।

    পুরোপুরি গ্রামে ফেরার অবস্থা দেখছি না। ফিরতেও পারছি না। গত ৮ অক্টোবর আরাকান আর্মি একজন বিজ্ঞ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে। তাই এখন গ্রামে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না। এই মুহূর্তে, আমারা যে আশ্রয়স্থলগুলি খুঁজে পেতে পারি সেগুলি হলো সায়েং ফাই, ফু খাও ক্রিক এবং সাং টাউং গ্রামে। আমারা এখানে কঠিন সময় পার করছি।

    আমাদের জরুরি খাদ্য সহায়তা দরকার। এখানে কোন এনজিও (বেসরকারি সংস্থা) আসতে পারছে না। সেনাবাহিনী তা নিষিদ্ধ করে রেখেছে। আমাদের কেউ সাহায্য করতে আসবে কি না তাও জানি না। গুতা পাইন গ্রামের স্থানীয় এক বাসিন্দার মাধ্যমে জানতে পারলাম, সেখানে ২-৩ টি পরিবার পৃথক বাড়িতে বসবাস করছে। কিছুদিনের মধ্যেই তারা দুর্ভিক্ষ ও বিভিন্ন রোগের মুখোমুখি হতে পারে।

    বুথিডং টাউনশিপে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে ঘন ঘন সংঘর্ষ হচ্ছে। ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে, মিডল রিভার ব্যাটালিয়নের ৮ম ব্যাটালিয়ন রোহিঙ্গা গ্রামগুলির আশেপাশে ভারী অস্ত্র এবং হালকা অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে এক রোহিঙ্গা শিশু নিহত ও চার রোহিঙ্গা আহত হয়েছে। যুদ্ধের ফলে খিং চাও, কিং চাও এবং থাবাং তাউং গ্রাম থেকে প্রায় ১ হাজার রোহিঙ্গা পার্শ্ববর্তী গ্রামে পালিয়ে গেছে। সেপ্টেম্বরের শেষে, উভয় পক্ষের গোলাগুলি প্রশমিত হয় এবং গ্রামবাসী তাদের গ্রামে ফিরে আসে। বুথিডাং টাউনশিপের দক্ষিণে আরাকান আর্মি এবং সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে অবস্থান নিয়েছে। তারা এখনো যুদ্ধ করছে।”

    উল্লেখ্য যে, এই চিঠি লেখার পরবর্তী সময়ে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর আগের থেকে আরও বেশি হামলা হচ্ছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে আরও ৪ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ নিহত হয়েছেন। এমনকি বুধবার ১৯ অক্টোবর বুথিদাং টাউনশিপে মুহাম্মদ ইউনুস নামে ৪৫ বছর বয়স্ক এক যুবক নিহত হয়েছেন। ফলে আরও বেশি মুসলিম এখন উদ্বাস্তু হচ্ছেন। তাদের বেঁচে থাকার জন্য জরুরী সাহায্যের প্রয়োজন।



    তথ্যসূত্র:
    ——
    1. Two weeks ago, hundreds of Rohingya villagers from Guda Pyin village in Buthidaung Township had to flee as the fighting between Myanmar Military and Arakan Army intensified. They need emergency assistance. The letter was sent by a villager today-

    2. A Rohingya Killed-
    https://tinyurl.com/2p8czavb

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইডেন কলেজ প্রিন্সিপালের রুমেই এবার ছাত্রীকে আটকে নির্যাতন



      ইডেন কলেজর কুকীর্তি যেন থামছেই না। কলেজটিতে ছাত্রলীগ ছাত্রীদের নির্যাতন, ছাত্রীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করার ঘটনায় সম্প্রতি সমালোচিত হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এরই মধ্যে এবার কলেজটির প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে তার নিজের রুমে এক ছাত্রীকে ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন ও হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে।

      ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর নাম নুসরাত জাহান কেয়া। তিনি কলেজের মার্কেটিং বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি। তার অভিযোগ, গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ায় গত সোমবার তাকে ডেকে নিয়ে দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রিন্সিপালের রুমে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। ওইদিন রাতে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তিনি।

      কেয়া সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের নেত্রীদের অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ার কারণেই আমাকে আটকে রেখে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য বিভাগে গেলে শিক্ষকরা আমাকে প্রিন্সিপালের রুমে নিয়ে যান। সেখানে দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আমাকে আটকে রাখে।

      তিনি আরও বলেন, অধ্যক্ষের রুমে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৩৫ জন শিক্ষক মিলে আমাকে নানাভাবে হেনস্তা করেন। একপর্যায়ে হুমকি দিয়ে জোর করে লিখিত নেন। পরে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার বাবাকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, যেন তিনি কলেজে এসে আমাকে নিয়ে যান। কিন্তু বাবা-মা গ্রামে থাকায় স্থানীয় অভিভাবকে ডেকে নিয়ে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া হয়েছে। শিক্ষকদের এমন জঘন্য কাজের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এর আগে তাকে সার্টিফিকেট আটকে দেয়া ও ছাত্রত্ব বাতিলের হুমকি দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন কেয়া।

      এসব ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার অপরাধ হচ্ছে- আমি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুইপক্ষের কোন্দল-সংঘর্ষের প্রতিবাদে ২৬ সেপ্টেম্বর সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছিলাম। এবিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি ইডেন মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর সুপ্রিয়া ভট্ট্যাচার্য।

      শুধুমাত্র ইডেন মহিলা কলেজই নয়। দেশের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন অনৈতিকতার ছড়াছড়ি। যারাই এসবের প্রতিবাদ করছে তাদেরকেই বাধার মুখে পরতে হচ্ছে। একজন শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থীরা নীতি ও আদর্শ শিক্ষা লাভ করবে এটাই বাস্তবতা, অথচ তারাই কিনা আজ ছাত্রীকে আটকে রেখে হেনস্থা করছে; দলকানা আচরণ তাদের কাছ থেকেই শিখছে শিক্ষার্থীরা। ইডেন কলেজের এই গো-মূত্রপায়ী অধ্যক্ষ আর অন্যান্য শিক্ষকদের মতো দেশের বিভিন্ন প্রতিস্থানের শিক্ষকরাই আজ রাজনৈতিক দলগুলোর পেটোয়া বাহিনীর মতো কাজ করছে।

      এসব ঘটনা আমাদের এই বার্তাই দিচ্ছে যে, কথিত সেক্যুলার সমাজ-ব্যবস্থা কখনই দেশে সুষ্ঠু ও নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ দিতে পারবে না। কথিত গণতন্ত্র চর্চার নামে মুসলিম সমাজের মধ্যেই তারা বিভেদের দেওয়াল টেনে দেয়। সুতরাং ইসলামি শরিয়া ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা ব্যতীত শিক্ষাঙ্গন সহ অন্য কোন অঙ্গনেই মুসলিমদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      ১। ইডেন কলেজ প্রিন্সিপালের রুমে ছাত্রী আটকে নির্যাতনের অভিযোগ-
      https://tinyurl.com/3tv8k6m8


      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আমাদের দেশে শরিয়াহ আইন প্রয়োগ করা উচিত: ইন্দোনেশিয়ার আধ্যাত্মিক ধর্মীয় নেতা





        শাইখ আবু বকর বশির, যাকে সশস্ত্র সংগঠন জামাতে ইসলামিয়ার আধ্যাত্মিক নেতা বলে মনে করা হয়। সম্প্রতি তিনি বলেছেন যে, ইন্দোনেশিয়ার সংবিধান ইসলামী শরিয়ার উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত।

        ৮৪ বছর বয়সী ধর্মীয় এই নেতা দেশটির “কিয়োডো” নিউজের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, তিনি ইন্দোনেশিয়ার ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিকভাবে চালিত হওয়া ভুল বলে মনে করেন।তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ইন্দোনেশিয়া একটি ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়া উচিত, এমন একটি সরকারের বিপরীতে যেখানে ধর্মনিরপেক্ষ নীতিগুলি প্রয়োগ করা হয়।


        তিনি জোর দিয়ে বলেন, এখন যা করা দরকার তা হল ইসলামী আইনের উপর ভিত্তি করে একটি ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা।তিনি আরও যোগ করেন যে, আমি একটি চিঠিতে রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডোকে এই সম্পর্কিত বিষয়গুলি জানিয়েছি। এটি গ্রহণ করার জন্য আমি উইডোডোকে আরও চিঠি পাঠাবো।শাইখ বশির উল্লেখ করেছেন যে, ইসলামিক আইন ইতিমধ্যেই আংশিকভাবে ইন্দোনেশিয়ায় প্রয়োগ করা হয়। আর এসব আইন সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের জন্য ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।




        উল্লেখ্য যে, আগস্ট ২০১০ সালে আবু বকর বশির ইন্দোনেশিয়ার আচেহ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে তাঁর লোকদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন- এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর গত বছর কারাগার থেকে মুক্তি পান শায়েখ বশির।তাকে বন্দী করার পিছনে আরও ২টি কারণ দেখানো হয়, একটি হচ্ছে ২০০৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে সশস্ত্র হামলা।


        আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শাইখ ওসামা বিন লাদেন (রহি.) এর লড়াইকে তিনি সমর্থন করতেন এবং যুবকদেরকে এই যুদ্ধের জন্য উদ্ভুদ্ধ করতেন। ফলে ২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বশিরকে তাদের কাছে হস্তান্তর করার দাবি জানায়, কিন্তু ইন্দোনেশিয়া তা প্রত্যাখ্যান করে।তবে শেষ সাক্ষাৎকারে শায়েখ বশির জানান যে, ২০০৮ সালে পর্যটন কেন্দ্রের হামলার ঘটনার সাথে তাঁর কোনো সম্পর্ক ছিলো না।






        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X