Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৩ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৩ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    তুর্কিস্তানে চীনের আগ্রাসন: বিনাদোষে দুই মুসলিমাহকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড



    ডাচ বিমান বাহিনীর এক উইঘুর মুসলিম সদস্যের মা ও ভাবীকে কথিত ‘সন্ত্রাসবাদে সমর্থন’ ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা প্রকাশ করার অজুহাতে ১৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে দখলদার চাইনিজ প্রশাসন।

    ক্যাপ্টেন মুনিরদিন জাদিকার নামের সেই উইঘুর মুসলিম বর্তমানে একজন ডাচ নাগরিক। ২০০৬ সাল থেকে তিনি নেদারল্যান্ডসে বসবাস করছেন। ২০১৪ সালে তার মা তার বিয়ে উপলক্ষে নেদারল্যান্ডসে যান। আর শুধুমাত্র এ কারণেই পরবর্তীতে তাকে দখলদারদের হাতে গ্রেপ্তার হতে হয়।

    ২০১৬ সালে জাদিকার নেদারল্যান্ডস এয়ার ফোর্সে যোগদানের সময় তার মা ইমানেম নেসরুলা ও ভাবী আয়হান মেমেতের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেন।

    দুই বছর পর ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালীন জাদিকারের ভাবী উইচ্যাটের মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জাদিকার তখনই প্রথম দখলদারদের দ্বারা তার মায়ের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানতে পারেন।

    এরপর ২০১৯ সালে তিনি তার ভাবীর গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র আমার মায়ের গ্রেপ্তারির খবর আমাকে জানানোর কারণেই তারা আমার ভাবীকে গ্রেপ্তার করে।

    জাদিকার বলেন, “আয়হান আমাকে আমার মায়ের ব্যাপারে জানিয়েছিল। সে ভেবেছিলো যে, আমি হয়তো আমার মাকে মুক্ত করতে পারবো। কারণ আমি ইউরোপে বাস করছি এবং একটি সামরিক বাহিনীতে আছি। শুধু এতটুকু তথ্যের জন্য তারা আয়হানকেও ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।”

    জাদিকার জানান, তিনি তার মা ও ভাবীর তথ্য পেতে ডাচ সরকারের কাছে বেশ কয়েকবার আবেদন করেও ব্যর্থ হয়েছেন। যদিও ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনা দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করে জাদিকারকে তার মা ও ভাবীর ১৫ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হবার বিষয়টি জানায়।

    জাদিকার হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার পরিবারের সদস্যদের মুক্তির ব্যাপারে তাকে কোন প্রকার সাহায্য করছে না। তিনি বলেন, “হয়তো তাদের (ডাচ সরকারের) স্বার্থে আঘাত আসবে বলেই তারা আমাকে সাহায্য করছে না।”

    তিনি আরও বলেন, “আমি ডাচ প্রধানমন্ত্রীকে দুইবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাইনি।”

    প্রবাসী ও নির্বাসিত উইঘুর মুসলিমদের সাথে যোগাযোগ করতে পূর্ব তুর্কীস্তানে থাকা তাদের আত্মীয়দের যে কতটা ভোগান্তি ও নির্যাতনের শিকার হতে হয় এই ঘটনাটি তারই জ্বলন্ত উদাহরণ।

    উল্লেখ্য যে, দখলদার বাহিনী উইঘুর মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণ ও পূর্ব তুর্কীস্তানে নিজেদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঢাকতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উইঘুর মুসলিমদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাসহ বিদেশে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে। অর্থাৎ পূর্ব তুর্কীস্তানকে পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে সেখানে যেকোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে কোনও দ্বিধাবোধ করছে না তারা।


    তথ্যসূত্রঃ
    ১। China sentences mother of Uyghur Dutch airman to 15 years for visiting him abroad – https://tinyurl.com/2hs9b92f
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ইন্তেকাল করেছেন পাকিস্তানের গ্র্যান্ড মুফতী রফি উসমানী (রহ.)


    মরহুম রফি উসমানি সাহেব (মাঝে)। ফাইল ফটো।


    বিশ্ববরেণ্য ইসলামিক স্কলার আল্লামা তাকী উসমানী (হাফি.) এর বড় ভাই, পাকিস্তানের গ্র্যান্ড মুফতী রফি উসমানী (রহ.) ইন্তেকাল করেছেন। দীর্ঘ ২ বছর যাবৎ অসুস্থ থাকার পর ১৮ নভেম্বর রাতে করাচিতে ৮৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

    তিনি পাকিস্তানের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি দারুল উলুম করাচির প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা মুফতি শফি (রহ.) এর বড় ছেলে। তাঁর ভাই মুফতি তাকি উসমানি হাফিজাহুল্লাহ্ এক টুইট বার্তায় জানান, ২০ নভেম্বর দারুল উলুম করাচি প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

    তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান।

    ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান থেকে সমবেদনা জানিয়ে বলা হয়, “মরহুম তাঁর সমগ্র জীবন ধর্মীয় জ্ঞানের সেবায় নিয়োজিত করেছিলেন এবং তাঁর দায়িত্ব অত্যন্ত সুন্দরভাবে পালন করেছিলেন। তিনি দ্বীনি ইলম প্রসারে অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গেছেন। রেখে গেছেন হাজার হাজার শিষ্য। আমরা তাঁর মৃত্যুকে পাকিস্তানসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে মনে করি।”

    প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি তাদের শোকবার্তায় জানায়, “তিনি একজন জলিলুল-কদর আলেম ও আইনবিদ ছিলেন। তাঁর মৃত্যু মুসলিম উম্মাহ ও আলেমদের জন্য একটি বিশাল ক্ষতি এবং একটি বড় ধাক্কা। হাজার হাজার ছাত্র, শত শত ফতোয়া সহ কয়েক হাজার ইলমী কাজ তাঁর পুণ্যের মধ্যে রয়েছে।

    “তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আমরা আল্লামা তাকি উসমানি সাহেব এবং বিশেষ করে মৃত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আল্লাহ্ তা’আলা মরহুমের সমস্ত ইলমী প্রচেষ্টাকে কবুল করুন এবং তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন এবং তার পরিবারের সকল সদস্য এবং ছাত্রদের ধৈর্য দান করুন – আমিন।”




    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আমরা আল্লামা তাকি উসমানি সাহেব এবং বিশেষ করে মৃত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আল্লাহ্ তা’আলা মরহুমের সমস্ত ইলমী প্রচেষ্টাকে কবুল করুন এবং তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন এবং তার পরিবারের সকল সদস্য এবং ছাত্রদের ধৈর্য দান করুন – আমিন।
      আমিন! ইয়া রব্বাল 'আলামিন!
      হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

      Comment

      Working...
      X