তুর্কিস্তানে চীনের আগ্রাসন: বিনাদোষে দুই মুসলিমাহকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড
ডাচ বিমান বাহিনীর এক উইঘুর মুসলিম সদস্যের মা ও ভাবীকে কথিত ‘সন্ত্রাসবাদে সমর্থন’ ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা প্রকাশ করার অজুহাতে ১৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে দখলদার চাইনিজ প্রশাসন।
ক্যাপ্টেন মুনিরদিন জাদিকার নামের সেই উইঘুর মুসলিম বর্তমানে একজন ডাচ নাগরিক। ২০০৬ সাল থেকে তিনি নেদারল্যান্ডসে বসবাস করছেন। ২০১৪ সালে তার মা তার বিয়ে উপলক্ষে নেদারল্যান্ডসে যান। আর শুধুমাত্র এ কারণেই পরবর্তীতে তাকে দখলদারদের হাতে গ্রেপ্তার হতে হয়।
২০১৬ সালে জাদিকার নেদারল্যান্ডস এয়ার ফোর্সে যোগদানের সময় তার মা ইমানেম নেসরুলা ও ভাবী আয়হান মেমেতের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেন।
দুই বছর পর ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালীন জাদিকারের ভাবী উইচ্যাটের মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জাদিকার তখনই প্রথম দখলদারদের দ্বারা তার মায়ের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানতে পারেন।
এরপর ২০১৯ সালে তিনি তার ভাবীর গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র আমার মায়ের গ্রেপ্তারির খবর আমাকে জানানোর কারণেই তারা আমার ভাবীকে গ্রেপ্তার করে।
জাদিকার বলেন, “আয়হান আমাকে আমার মায়ের ব্যাপারে জানিয়েছিল। সে ভেবেছিলো যে, আমি হয়তো আমার মাকে মুক্ত করতে পারবো। কারণ আমি ইউরোপে বাস করছি এবং একটি সামরিক বাহিনীতে আছি। শুধু এতটুকু তথ্যের জন্য তারা আয়হানকেও ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।”
জাদিকার জানান, তিনি তার মা ও ভাবীর তথ্য পেতে ডাচ সরকারের কাছে বেশ কয়েকবার আবেদন করেও ব্যর্থ হয়েছেন। যদিও ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনা দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করে জাদিকারকে তার মা ও ভাবীর ১৫ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হবার বিষয়টি জানায়।
জাদিকার হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার পরিবারের সদস্যদের মুক্তির ব্যাপারে তাকে কোন প্রকার সাহায্য করছে না। তিনি বলেন, “হয়তো তাদের (ডাচ সরকারের) স্বার্থে আঘাত আসবে বলেই তারা আমাকে সাহায্য করছে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি ডাচ প্রধানমন্ত্রীকে দুইবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাইনি।”
প্রবাসী ও নির্বাসিত উইঘুর মুসলিমদের সাথে যোগাযোগ করতে পূর্ব তুর্কীস্তানে থাকা তাদের আত্মীয়দের যে কতটা ভোগান্তি ও নির্যাতনের শিকার হতে হয় এই ঘটনাটি তারই জ্বলন্ত উদাহরণ।
উল্লেখ্য যে, দখলদার বাহিনী উইঘুর মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণ ও পূর্ব তুর্কীস্তানে নিজেদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঢাকতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উইঘুর মুসলিমদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাসহ বিদেশে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে। অর্থাৎ পূর্ব তুর্কীস্তানকে পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে সেখানে যেকোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে কোনও দ্বিধাবোধ করছে না তারা।
তথ্যসূত্রঃ
১। China sentences mother of Uyghur Dutch airman to 15 years for visiting him abroad – https://tinyurl.com/2hs9b92f
ডাচ বিমান বাহিনীর এক উইঘুর মুসলিম সদস্যের মা ও ভাবীকে কথিত ‘সন্ত্রাসবাদে সমর্থন’ ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা প্রকাশ করার অজুহাতে ১৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে দখলদার চাইনিজ প্রশাসন।
ক্যাপ্টেন মুনিরদিন জাদিকার নামের সেই উইঘুর মুসলিম বর্তমানে একজন ডাচ নাগরিক। ২০০৬ সাল থেকে তিনি নেদারল্যান্ডসে বসবাস করছেন। ২০১৪ সালে তার মা তার বিয়ে উপলক্ষে নেদারল্যান্ডসে যান। আর শুধুমাত্র এ কারণেই পরবর্তীতে তাকে দখলদারদের হাতে গ্রেপ্তার হতে হয়।
২০১৬ সালে জাদিকার নেদারল্যান্ডস এয়ার ফোর্সে যোগদানের সময় তার মা ইমানেম নেসরুলা ও ভাবী আয়হান মেমেতের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেন।
দুই বছর পর ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালীন জাদিকারের ভাবী উইচ্যাটের মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জাদিকার তখনই প্রথম দখলদারদের দ্বারা তার মায়ের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানতে পারেন।
এরপর ২০১৯ সালে তিনি তার ভাবীর গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র আমার মায়ের গ্রেপ্তারির খবর আমাকে জানানোর কারণেই তারা আমার ভাবীকে গ্রেপ্তার করে।
জাদিকার বলেন, “আয়হান আমাকে আমার মায়ের ব্যাপারে জানিয়েছিল। সে ভেবেছিলো যে, আমি হয়তো আমার মাকে মুক্ত করতে পারবো। কারণ আমি ইউরোপে বাস করছি এবং একটি সামরিক বাহিনীতে আছি। শুধু এতটুকু তথ্যের জন্য তারা আয়হানকেও ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।”
জাদিকার জানান, তিনি তার মা ও ভাবীর তথ্য পেতে ডাচ সরকারের কাছে বেশ কয়েকবার আবেদন করেও ব্যর্থ হয়েছেন। যদিও ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনা দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করে জাদিকারকে তার মা ও ভাবীর ১৫ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হবার বিষয়টি জানায়।
জাদিকার হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার পরিবারের সদস্যদের মুক্তির ব্যাপারে তাকে কোন প্রকার সাহায্য করছে না। তিনি বলেন, “হয়তো তাদের (ডাচ সরকারের) স্বার্থে আঘাত আসবে বলেই তারা আমাকে সাহায্য করছে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি ডাচ প্রধানমন্ত্রীকে দুইবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাইনি।”
প্রবাসী ও নির্বাসিত উইঘুর মুসলিমদের সাথে যোগাযোগ করতে পূর্ব তুর্কীস্তানে থাকা তাদের আত্মীয়দের যে কতটা ভোগান্তি ও নির্যাতনের শিকার হতে হয় এই ঘটনাটি তারই জ্বলন্ত উদাহরণ।
উল্লেখ্য যে, দখলদার বাহিনী উইঘুর মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণ ও পূর্ব তুর্কীস্তানে নিজেদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঢাকতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উইঘুর মুসলিমদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাসহ বিদেশে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে। অর্থাৎ পূর্ব তুর্কীস্তানকে পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে সেখানে যেকোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে কোনও দ্বিধাবোধ করছে না তারা।
তথ্যসূত্রঃ
১। China sentences mother of Uyghur Dutch airman to 15 years for visiting him abroad – https://tinyurl.com/2hs9b92f
Comment