Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ৮ ই মুহাররাম , ১৪৪১ হিজরী # ২৮ আগস্ট, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ৮ ই মুহাররাম , ১৪৪১ হিজরী # ২৮ আগস্ট, ২০২০ঈসায়ী।

    দিল্লিতে মুসলিমবিরোধী গণহত্যায় পুলিশের সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রমাণ পেয়েছে অ্যামনেস্টি

    গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ মুসলমানবিরোধী পগরমের ঘটনায় পুলিশের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং বেআইনি কাজে যুক্ত থাকার প্রমাণ দেখতে পেয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির এক অনুসন্ধানে একথা জানানো হয়েছে। শুক্রবার (২৮ আগস্ট) ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের ওই মানবাধিকার হরণকারী ভূমিকা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্তও শুরু করেনি ভারত। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে গত ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে শুরু হয় ভয়াবহ পগরম। এতে নিহত হয় অন্তত ৫৩ জন। যাদের বেশিরভাগই মুসলমান ধর্মাবলম্বী। ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতাদের প্রত্যক্ষ মদতে শুরু হওয়া ওই গণহত্যায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে তা আমলে নেয়নি ক্ষমতাসীন দলটি।

    অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে দিল্লির দাঙ্গার ঘটনা অনুসন্ধানে তারা বেঁচে যাওয়া মানুষ, প্রত্যক্ষদর্শী, মানবাধিকার কর্মী, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা ছাড়াও বেশ কয়েকটি ভিডিও বিশ্লেষণ করেছে। এসব ভিডিও বিশ্লেষণ ও আলাপচারিতায় দিল্লি পুলিশের ব্যাপক আকারে মানবাধিকার লঙ্ঘনে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

    অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে সংঘটিত সহিংসতায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে পুলিশ আর বেআইনি কাজেও যুক্ত ছিল, তারপরও গত ছয় মাসে পুলিশের মানবাধিকার হরণের ঘটনাও একটি তদন্তও শুরু হয়নি।’ এই ঘটনায় ব্যাপক ও নিরপেক্ষ তদন্ত চালাতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি।

    অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ভারতের নির্বাহী পরিচালক অভিনাশ কুমার বলেন, দিল্লি পুলিশ সরাসরি ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে দায়বদ্ধ আর এটা বিস্ময়কর যে এখন পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের কোনও উদ্যোগই নেয়নি।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতের আসামে করোনা পরিস্থিতিতেও ছাড় পাচ্ছেন না বাঙালিরা,‘ডি-ত্রাস’অব্যাহত

    করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মানুষ যখন দিশেহারা তখনও বাঙালিদের হয়রানি করার জন্য নিশানা করতে ছাড়ছে না আসামের বিজেপি সরকার। মহামারির সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যেও সর্বানন্দ সনোয়াল সরকার বাঙালিদের ডি আতঙ্কে তাড়া করে চলেছে। একের পর এক মানুষকে সন্দেহভাজন বিদেশি নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে যাঁদের তাঁরা প্রত্যেকেই বংশ পরম্পরায় আসামের বাসিন্দা। সারা বাঙালি ঐক্য মঞ্চের কার্যনির্বাহী সভাপতি শান্তনু মুখার্জি অভিযোগ করে বলেন, বিজেপি সরকার বাঙালিদের বেছে বেছে নিশানা করছে। তারা মুখে বাঙালিদের সুরক্ষার কথা বললেও বাস্তবে করছে ঠিক বিপরীতটা। ভোটের নামে বাঙালিদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। অথচ তাদের সরকার চলছে ঠিক তার বিপরীত পথে।

    আসামের বাকসা জেলার পাকড়িগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা দুর্গা আর্য। তাঁর বাপ-ঠাকুরদাও ওই অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁকে দু’দিন আগে ‘সন্দেহভাজন বিদেশি’ বলে ‘ডি’ নোটিশ পাঠিয়েছে বরপেটার ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। বলা হয়েছে– আগামী ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে দুর্গদেবীকে আদালতে হাজির হতে হবে। ফলে আনতে হবে নিজের নাগরিকত্বের সমস্ত নথিপত্র। অবশ্য আইনজীবীকেও সঙ্গে আনতে পারেন।

    হঠাৎ করে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের এমন নোটিশে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেকেই। করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই হাতে অর্থকড়ি বলতে তেমন কিছু নেই। তার উপর যানবাহনও ঠিকমতো চলছে না। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে আইনজীবীরাও বাইরে যেতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে, কী হবে, তা ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছেন না।

    অসমের বিভিন্ন সংগঠন, বিশেষ করে ভাষা গত সংখ্যালঘু বাঙালিদের তরফ থেকে ইতিপূর্বে একাধিকবার ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়েছে যে, এক জেলার বাসিন্দাদের কোন যুক্তিতে সন্দেহভাজন নোটিশ পাঠাচ্ছে অন্য জেলার ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। নিজের জেলার ট্রাইব্যুনালের কাছে তিনি সন্দেহভাজন না হলেও অন্য জেলার ট্রাইব্যুনাল এবং সীমান্ত পুলিশের কাছে কী করে সন্দেহভাজন হয়ে যেতে পারেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যান্যদের ক্ষেত্রেও এমনই ঘটল। বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতিতে কী করে তারা নির্ধারিত দিনে অসময়ে দূরের জেলার ট্রাইব্যুনালে পৌঁছাবেন? ভেবে কুল পাচ্ছেন না।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ৯ ফিলিস্তিনীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গেছে ইহুদীবাদী ইসরায়লের বাহিনী

      ফিলিস্তিনের জেরুসালেমের বিভিন্ন বাড়িতে অনুপ্রবেশ করে ৯ জন ফিলিস্তিনিকে ধরে নিয়ে গেছে ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল।

      গতো ২৬ আগস্ট পূর্ব জেরুসালেমে এ ঘটনা ঘটে। একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে দখলদার বাহিনী জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে তৎপরতা চালানো সন্দেহে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

      উল্লেখ্য, পূর্ব জেরুসালেমে ফিলিস্তিনী সুরক্ষা পরিষেবা পরিচালনা করার অনুমতি দেয়নি ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা বলছেন, ২০১৭ সালের শেষদিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই শহরটিকে ইসরাইলের রাজধানী হিসাবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে সন্ত্রাসী কর্তৃপক্ষ জেরুসালেমে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অবরোধ ও হত্যাযজ্ঞ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। গতো কয়েক দশক ধরে চলমান সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই জেরুসালেম শহর।

      সূত্র: মিডলইস্ট মনিটর
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আবারও ২ ফিলিস্তিনির বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল

        ফিলিস্তিনের বেথেলহামের একটি গ্রামের দুই ভাই ইউসুফ জাব্বারিন ও তার ভাই শাদী জাব্বারিনকে নিজ বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে ইহুদীবাদীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়লের সেনাবাহিনী।

        গ্রামের কাউন্সিলের প্রধান জায়েদ কাওয়াজবা জানান, ইসরায়লি বাহিনী আল- মানিয়া গ্রামটিতে আকস্মিক হামলা চালিয়ে দুটি বাড়ি ভেঙে ফেলার জন্য সামরিক আদেশ জারি করেছে। বাড়ি দুটি নির্মাণ অনুমতি ছাড়া বানানো হয়েছে বলে দাবি করছে ইসরাইলী বাহিনীর। এই এলাকায় ফিলিস্তিনিদের বাড়ি নির্মাণের অনুমতি পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

        বিল্ডিং পারমিট না থাকার অভিযোগে প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনিদের বসবাসের বাড়িঘর ভেঙে ফেলার নির্দেশ জারি করছে দখলদার ইসরাইল বাহিনী, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।

        সূত্র: মিডলইস্ট মনিটর
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X