Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৭ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ২৩ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৭ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ২৩ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    এক বছর ধরে হিন্দুত্ববাদের কারাগারে আটক কাশ্মীরি মানবাধিকার কর্মী খুররম পারভেজ


    ফাইল ছবিঃ হিন্দুত্ববাদীদের কারাগারে আটক খুররম পারভেজ


    কাশ্মীরি মানবাধিকার রক্ষক খুররম পারভেজকে এক বছর, আগে ২২শে নভেম্বর ২০২১ তারিখে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সন্ত্রাসবাদ এবং অন্যান্য অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

    জনাব পারভেজ কাশ্মীর কোয়ালিশন অফ সিভিল সোসাইটির (JKCCS) সমন্বয়কারী এবং এশিয়ান ফেডারেশন এগেইনস্ট ইনভলন্টরী ডিসাপ্যারেন্স-এর (Asian Federation Against Involuntary Disappearances, AFAD) চেয়ারপার্সন, জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চল সহ মানবাধিকার ওকালতি, ডকুমেন্টেশন এবং তদন্তের জন্য তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।

    ২২ নভেম্বর ২০২১-এ ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) প্রায় ১৪ ঘন্টা ধরে পারভেজের বাড়িতে এবং অফিসে অভিযান চালায় এবং তার পরিবারের সদস্যদের ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও বই জব্দ করে। এরপর তাকে এনআইএ অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। যেখানে ৬ নভেম্বর, ২০২১-এ এনআইএ দায়ের করা একটি তথ্য প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে বলা হয় যে, পারভেজের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং বেআইনি আইনের অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

    অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট (UAPA), ভারতের অপমানজনক সন্ত্রাসবিরোধী আইন, যে মামলা থেকে জামিন পাওয়া প্রায় অসম্ভব। বিশেষত, তার বিরুদ্ধে “অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র,” “ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো বা যুদ্ধ করার চেষ্টা করা বা যুদ্ধে উৎসাহিত করা,” ও “তহবিল সংগ্রহের” অভিযোগ আনা হয়েছিল।

    ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ বারবার খুররম পারভেজকে তার মানবাধিকার কাজ বন্ধ করার জন্য তাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে।
    বছরের পর বছর ধরে এনআইএ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী হিন্দুত্ববাদী সংস্থাগুলি বিনা প্রমাণে তাকে এই অঞ্চলে “বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ পরিচালনা” করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। এবং তার বাড়িতে এবং অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে।

    ২০১৬ সালে হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ তাকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনে যোগদানের জন্য সুইজারল্যান্ড ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এবং তারপরে তাকে জম্মু ও কাশ্মীর কথিত জননিরাপত্তা আইন (PSA) এর অধীনে ৭৬ দিনের জন্য জেল দেয়।

    ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এমনকি জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা পর্যন্ত ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে পারভেজকে টার্গেট করা বন্ধ করার আহ্বান জানায়।

    এছাড়া, অ্যামনেস্টিসহ বেশ কিছু সংস্থা কাশ্মীরি মানবাধিকার রক্ষক খুররম পারভেজের অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন তাদের এসব ঠুনকো আহ্বানের কোন তোয়াক্কায় করেনি।

    ১৩ মে ২০২২ তারিখে আটকের ১৭৩ দিন পরে, এনআইএ পারভেজের বিরুদ্ধে নয়াদিল্লিতে এনআইএ বিশেষ আদালতে একটি প্রাথমিক চার্জশিট দাখিল করে। সেখানে বলা হয় যে, তারা এই মামলার তদন্ত চালিয়ে যাবে। এনআইএ পারভেজকে পাকিস্তান-ভিত্তিক সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) এর গ্রাউন্ড ওয়ার্কারদের একটি নেটওয়ার্ক চালানোর জন্য এলইটি-এর কার্যকলাপকে আরও এগিয়ে নেওয়া এবং ভারতে সন্ত্রাসী হামলা করার জন্য” অভিযুক্ত করেছে।

    শুধু খুররম পারভেজ একাই নন, এমন হাজারো মুসলিমকে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন মিথ্যে মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রেখেছে। হিন্দুত্ববাদী ভারত তার সকল বাহিনিকে লেলিয়ে দিয়েছে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে। আর এটা তারা বিচার করবে না যে, ঐ মুসলিম কি কথিত সেক্যুলার মতবাদে বিশ্বাসী, নাকি ইসলাম পালনকারী সাচ্চা মুসলিম। মুসলিম হওয়াটাই যেন এখন বড় অপরাধ ভারতে।

    মুসলিমদের প্রতি তাদের জিঘাংসা এতই মারাত্মক যে, কোন মুসলিম কুফফার জাতিসঙ্ঘের বেঁধে দেওয়া সীমা অনুযায়ী কেউ প্রতিবাদ করলেও, সেটা তারা মেনে নিবে না; তাকেও তারা সর্বশক্তি দিয়ে নির্মূল করার চেষ্টা করবে। আর ঠিক এমনটাই করা হয়েছে জনাব খুররমের সাথে।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. India: Kashmiri human rights defender Khurram Parvez must be immediately released ( Amnesty )
    https://tinyurl.com/23r7tjch

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মধ্যপ্রদেশে পুলিশী হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের নামে মুসলিম যুবককে খুন


    একটি ভিডিওর স্ক্রিনশটে ইসরায়েল খানের পরিবার


    মধ্যপ্রদেশে বাসিন্দা জনাব ইজরায়েল খান। গত ২১ নভেম্বর সোমবার মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলায় ভোপালে ইজতেমায় (ধর্মীয় জামাতে) যোগদানের পরে বাড়ি ফেরার সময় হিন্দুত্ববাদী পুলিশ তাকে আটক করে। পরে পুলিশী হেফাজতেই জিজ্ঞাসাবাদের সময় ঐ মুসলিম যুবককে খুন করা হয়। তখন ৩০ বছর বয়সী ইজরায়েল খান একটি অটোতে শহরের গোকুল সিং এলাকায় তার বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন।

    সেসময় কুশমোদা পুলিশ চৌকিতে তাকে আটক করে। পুলিশ সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশ খানকে কিছু তথ্য দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত টর্চার করে।

    এক পর্যায়ে ইজরায়েল খান অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জেলা হাসপাতালে বিক্ষোভ করেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা এবং অন্যান্য লোকজন। দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে লাশ নিয়ে মহাসড়কে বিক্ষোভও করেন তারা।

    স্থানীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সুস্থ অবস্থায় আটকের পর থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ তাকে বেড়ক মারধর করেছে।

    ইজরায়েলের বাবা মুনাওয়ার খান বলেছেন, আমরা সাধারণ মানুষ। “আমাদের কোনো অপরাধমূলক কাজের রেকর্ড নেই। আমার ছেলের কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই।”

    পরিবারের এক সদস্য বলেছেন, হিন্দুত্ববাদী পুলিশ সদস্যরা আমাদের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা চেয়েছিল, কিন্তু আমরা মাত্র ৩০,০০০ টাকা দিতে পারি। “আমরা বাকি ৭০,০০০ এর ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু আমরা টাকা পৌঁছানোর আগেই ইজরায়েলকে খুন করা হয়।”



    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. Muslim Man in MP Dies during Interrogation, Family Alleges Foul Play
    2. Madhya Pradesh: Judicial inquiry ordered into alleged custodial killing in Guna district

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কাতার বিশ্বকাপে জাকির নায়েকের উপস্থিতি নিয়ে হিন্দুত্ববাদী ভারতের ইসলাম বিদ্বেষ



      হিন্দুত্ববাদীদের ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষ শুধু ভারতেই সীমাবদ্ধ নয়। মুসলিমদের জন্য হিন্দুত্ববাদ এখন বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। অতি সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্যের লেস্টারে মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদীদের সহিংসতা প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী।

      এবার ভারতীয় দাঈ জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ জানানোয় কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল বয়কট করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছে বিজেপি নেতা ও মুখপাত্র স্যাভিও রডরিগেস। ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকার, ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও সাধারণ ফুটবলপ্রিয় মানুষকে সে অনুরোধ করেছেন, তারা যেন কাতারে বিশ্বকাপের অনুষ্ঠান বয়কট করে।

      বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালে জাকির নায়েক ওই দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ইসলাম ধর্ম প্রচার করবেন বলে কাতারের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত স্পোর্টস চ্যানেল ‘আলকাস’ জানিয়েছে। আলকাসের ওই সিদ্ধান্তের কথা প্রচার করেছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘আল আরবিয়া নিউজ’। এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরেই গোয়া রাজ্যের বিজেপি নেতা ও মুখপাত্র স্যাভিও রডরিগেস মঙ্গলবার ভারত সরকারকে ওই অনুরোধ করে।

      স্যাভিওর ভাষ্য, ‘গোটা পৃথিবী যখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, জাকির নায়েক তখন ঘৃণা ছড়াতে ব্যস্ত।’

      ফুটবল বা ক্রিকেট মুখ্য বিষয় নয়, হিন্দুত্ববাদী নেতাদের মূল উদ্দ্যেশ হলো- যে করেই হোক ভারতীয় সাধারণ হিন্দুদের ইসলামদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো। আর ভারতী হিন্দুরাও এতোটাই বর্বর যে ইসলামের বিরুদ্ধে কোন ইস্যুর সুযোগ হলেই হামলে পরে মুসলিমদের ওপর।

      এভাবেই প্রোপাগান্ডা ও হিন্দুত্ববাদী নেতাদের প্ররোচনায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ও হাজার হাজার মুসলিমকে নির্মমভাবে শহীদ করে হিন্দুরা। এরই ধারাবাহিকতায় কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল খেলাকেও ইসলামের ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে দাঁড় করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানোর পাঁয়তারা করছে হিন্দুত্ববাদীরা।

      উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার জাকির নায়েকের ইসলাম প্রচারকে বন্ধ করতে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম শুরু করে। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন দেশবিরোধী কাজ ও ধর্মের নামে ঘৃণা ছড়ানোর মিথ্যা অভিযোগ আনে। জাকির নায়েকের পিস টিভি, পিস টিভি মোবাইল অ্যাপ ও ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করছে ভারত সরকার। এবং চলতি বছরের মার্চ মাসে জাকির নায়েক প্রতিষ্ঠিত ‘ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন’কেও ভারত সরকার বেআইনি ঘোষণা করে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই সংগঠনকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধও করে। এরপর থেকেই তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।



      তথ্যসূত্র:
      ——-
      ১। জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ জানানোয় বিশ্বকাপ বয়কট করার আরজি বিজেপি নেতার-
      https://tinyurl.com/3wvukvp4


      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X