“গুজরাট গণহত্যায় মুসলিমদের উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে” – অমিত শাহের দম্ভোক্তি
হিন্দুত্ববাদী ভারতের উগ্রবাদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্
হিন্দুত্ববাদী ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত ২৫ নভেম্বর, শুক্রবার ২০০২ সালের গুজরাট মুসলিম গণহত্যার কথা তুলে ধরে একটি কটাক্ষমূলক বক্তৃতা দিয়েছে। সে বলেছে, ২০০২ সালে মুসলিমদের “উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল।” ফলে তারা মাথা উচু করার মত কার্যকলাপ বন্ধ করে এবং ভারতীয় জনতা পার্টি “স্থায়ী শান্তি” প্রতিষ্ঠা করেছে। আর তাদের কথিত শান্তি হলো মুসলিমদের তুচ্ছ কারণে হতাহত করা , বাড়িঘর, দোকানপাটে আগুন লাগিয়ে দেওয়া বা ভেঙ্গে ফেলা
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে খেদা জেলার মহুধা শহরে একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখছিল উগ্র অমিত শাহ।
মুসলমানদের বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট মন্তব্যে, অমিত শাহ দাবি করে, গুজরাট ২০০২ সালে “দাঙ্গা” প্রত্যক্ষ করেছিল। কারণ বিগত সরকারের সমর্থনের কারণে অপরাধীদের (মুসলিমদের) সহিংসতায় লিপ্ত হওয়ার অভ্যাস হয়ে উঠেছিল।
“কিন্তু ২০০২ সালে তাদের একটি উচিত শিক্ষা দেওয়ার পরে, সেই পথ (সহিংসতার) ছেড়ে দেয়। তারা ২০০২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ’সহিংসতায়’ লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকে।”
সেই নির্বাচনী সমাবেশের সময়, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০০২ সালের মুসলিম বিরোধী গুজরাট হত্যাকাণ্ডের মত শিক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানায়।
মোদির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছে, ২০০২ সালে ভারতের গুজরাটে ২০০০ মুসলমানকে গণহত্যা করা হয়েছিল সংখ্যালঘুদের পাঠ শিক্ষা দেওয়ার জন্য! কিন্তু আফসোসের বিষয় হল, ২০০০ মুসলমানকে গণহত্যা করলেও তাদের কোন বিচার হয়নি। ফলে এটাকে তাদের সাফল্য ও কৃতিত্ব হিসেবে প্রচার করছে।
দুই দশক পরে, গণহত্যার সময় ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি আসন্ন ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট সংগ্রহের জন্য সেই ভয়ংকর মুসলিম গণহত্যার স্মৃতিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। এতে হিন্দুদের মাঝে লুকায়িত মুসলিম বিদ্বেষ আবারো প্রকাশ্য হয়ে উঠছে; হয়ে উঠছে নির্বাচনে বিজয়ের হাতিয়ার।
এমন ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড কীভাবে তার অধীনে ঘটতে পারে- তা নিয়ে অনুতপ্ত হওয়ার পরিবর্তে, গণহত্যার পক্ষেই সাফাই গাইছে। উগ্র দলটি এক বিধায়ক প্রার্থী হিসাবে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্তদের এক গুণ্ডা মনোক কুকরানির মেয়েকে মনোনীত করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন যে কুকরানি সেই উগ্র হিন্দুদের একজন- যারা মুসলিম মহিলাদেরকে প্রথমে গণধর্ষণ করে, পরে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোধরা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ট্রেন পোড়ানোর নাটকের পর গুজরাটে হিন্দুত্ববাদীদের সহিংসতায় ২০০০ জনেরও বেশি মুসলমান নিহত হয়েছিল। সে সময় অমিত শাহ তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিল।
তথ্যসূত্র:
——–
1. “They were taught lesson in 2002,” Amit Shah brings up Gujarat Muslim genocide in campaign
– https://tinyurl.com/mv6bs66k
2. video link:
– https://tinyurl.com/2p8wu6xv
হিন্দুত্ববাদী ভারতের উগ্রবাদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্
হিন্দুত্ববাদী ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত ২৫ নভেম্বর, শুক্রবার ২০০২ সালের গুজরাট মুসলিম গণহত্যার কথা তুলে ধরে একটি কটাক্ষমূলক বক্তৃতা দিয়েছে। সে বলেছে, ২০০২ সালে মুসলিমদের “উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল।” ফলে তারা মাথা উচু করার মত কার্যকলাপ বন্ধ করে এবং ভারতীয় জনতা পার্টি “স্থায়ী শান্তি” প্রতিষ্ঠা করেছে। আর তাদের কথিত শান্তি হলো মুসলিমদের তুচ্ছ কারণে হতাহত করা , বাড়িঘর, দোকানপাটে আগুন লাগিয়ে দেওয়া বা ভেঙ্গে ফেলা
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে খেদা জেলার মহুধা শহরে একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখছিল উগ্র অমিত শাহ।
মুসলমানদের বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট মন্তব্যে, অমিত শাহ দাবি করে, গুজরাট ২০০২ সালে “দাঙ্গা” প্রত্যক্ষ করেছিল। কারণ বিগত সরকারের সমর্থনের কারণে অপরাধীদের (মুসলিমদের) সহিংসতায় লিপ্ত হওয়ার অভ্যাস হয়ে উঠেছিল।
“কিন্তু ২০০২ সালে তাদের একটি উচিত শিক্ষা দেওয়ার পরে, সেই পথ (সহিংসতার) ছেড়ে দেয়। তারা ২০০২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ’সহিংসতায়’ লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকে।”
সেই নির্বাচনী সমাবেশের সময়, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০০২ সালের মুসলিম বিরোধী গুজরাট হত্যাকাণ্ডের মত শিক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানায়।
মোদির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছে, ২০০২ সালে ভারতের গুজরাটে ২০০০ মুসলমানকে গণহত্যা করা হয়েছিল সংখ্যালঘুদের পাঠ শিক্ষা দেওয়ার জন্য! কিন্তু আফসোসের বিষয় হল, ২০০০ মুসলমানকে গণহত্যা করলেও তাদের কোন বিচার হয়নি। ফলে এটাকে তাদের সাফল্য ও কৃতিত্ব হিসেবে প্রচার করছে।
দুই দশক পরে, গণহত্যার সময় ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি আসন্ন ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট সংগ্রহের জন্য সেই ভয়ংকর মুসলিম গণহত্যার স্মৃতিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। এতে হিন্দুদের মাঝে লুকায়িত মুসলিম বিদ্বেষ আবারো প্রকাশ্য হয়ে উঠছে; হয়ে উঠছে নির্বাচনে বিজয়ের হাতিয়ার।
এমন ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড কীভাবে তার অধীনে ঘটতে পারে- তা নিয়ে অনুতপ্ত হওয়ার পরিবর্তে, গণহত্যার পক্ষেই সাফাই গাইছে। উগ্র দলটি এক বিধায়ক প্রার্থী হিসাবে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্তদের এক গুণ্ডা মনোক কুকরানির মেয়েকে মনোনীত করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন যে কুকরানি সেই উগ্র হিন্দুদের একজন- যারা মুসলিম মহিলাদেরকে প্রথমে গণধর্ষণ করে, পরে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোধরা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ট্রেন পোড়ানোর নাটকের পর গুজরাটে হিন্দুত্ববাদীদের সহিংসতায় ২০০০ জনেরও বেশি মুসলমান নিহত হয়েছিল। সে সময় অমিত শাহ তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিল।
তথ্যসূত্র:
——–
1. “They were taught lesson in 2002,” Amit Shah brings up Gujarat Muslim genocide in campaign
– https://tinyurl.com/mv6bs66k
2. video link:
– https://tinyurl.com/2p8wu6xv
Comment