Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০১ জামাদিউল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০১ জামাদিউল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী

    হিন্দুত্ববাদী সেনাবাহিনীর ‘হেফাজতে’ কাশ্মীরি মুসলিম ‘নিখোঁজ’


    উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার এক মুসলিম যুবক আব্দুল রশিদ দার। তাকে ১৫ ডিসেম্বর হিন্দুত্ববাদী সেনাবাহিনী বাড়ি থেকে জোরপূর্বক আটক করে নিয়ে যায়। তার সাথে পরিবারকে দেখা করতে না দিয়ে পরে জানানো হয়- তিনি সেনাবাহিনীর হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছেন।

    গত ১৫ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার রাত ৮:৩০ মিনিটের দিকে পরিবারের সাথে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন আব্দুল রশিদ দার। তখন ৪১ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিটের সেনা সদস্যদের একটি টিম কুপওয়ারার সীমান্ত জেলার কুনান গ্রামে তার বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ে।

    আব্দুল রশিদ দারের বড় ভাই শাবির আহম্মদ দার বলেন, উঠানে ছয় থেকে সাত ডজন সৈন্য দেখতে পেয়ে তিনি দরজা খুলে দেন। “একজন সৈন্য আমাকে বলল যে, তারা রশিদকে খুঁজছে। আমি যখন জিজ্ঞেস করলাম কিসের জন্য, সে উত্তর দিল তদন্তের সাথে সম্পর্কিত কিছু বিষয়ের জন্য।”

    শাবির, যিনি জেএন্ডকে পুলিশের একজন বিশেষ পুলিশ অফিসার হিসাবে কাজ করেন, দ্য ওয়্যারকে তিনি জানিয়েছেন যে, সৈন্যরা তাড়াহুড়ো করে দেখেছিল এবং ঘরে ঢোকার আগে তাকে দ্রুত কাজ করার জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করেছিল। “আমি তাদের শান্ত থাকতে বলেছিলাম কারণ আমরা কিছু অতিথিদের আতিথেয়তা করছিলাম। নৈশভোজ, কিন্তু তারা শোনেনি এবং বারবার রশিদকে তাড়া করছিল,” বলেন শাবির।

    পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ভয়ে রশিদকে পিছনে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে বাড়ির একটি কক্ষ থেকে জোরপূর্বক টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় এবং বাকি সৈন্যরা অন্যান্য ঘরে তল্লাশি চালায়। শাবির বলেন, “আমি আবার সৈন্যদের বলেছিলাম যে, তার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ করা হয়েছে তা আমাদের জানাতে। কিন্তু তারা আবারো বলে তদন্তের সাথে সম্পর্কিত কিছু বিষয়ের জন্য তাকে নেওয়া হচ্ছে। সে পরের দিন সকালে বাড়িতে চলে আসবে।”

    শাবির পুলিশ হওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযানে জড়িত আইন সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন; তিনি সেনাবাহিনীকে বলেছিলেন যে তার ভাইকে নিয়ে যাওয়ার আগে তাদের স্থানীয় পুলিশ এবং গ্রামের সরপঞ্চকে জানাতে হবে। তবুও তারা সকালে তাকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়।

    ১৬ ডিসেম্বর সকালে যখন পরিবারটি তাদের বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ত্রেহগাম গ্রামে আর্মি ক্যাম্পে যায়, তখন সেন্ট্রি তাদের বলেছিল যে ইউনিট কমান্ডার মাঠ পরিদর্শনে এসেছেন। শাবির আহম্মেদ বলেন, “এই কথা বলে তারা আমাদের ভিতরে যেতে দেয়নি।”

    সন্ধ্যায় স্থানীয় কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পরিবারকে জানানো হয় যে, সেনাবাহিনী পুলিশকে জানিয়েছে, রশিদকে মারহামায় নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছে। তিনি এখন নিখোঁজ আছেন।
    ‘অনুমতি ছাড়া পাখি উড়তে পারে না’


    “এমন খবর শুনে পরিবারটি চরম ধাক্কা খায়,” কান্নার বিজড়িত কণ্ঠে শাবির বলেন, “যেখানে নিরাপত্তা সংস্থার অনুমতি ছাড়া একটা পাখিও উড়তে পারে না, সেখানে আব্দুর রশিদ নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ কিভাবে মেনে নেওয়া যায়? তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে প্রায় শতাধিক সেনা সৈন্য ছিল। সে এভাবে অদৃশ্য হয়ে যাবে কী করে?”

    রশিদের নিখোঁজ হওয়ার খবরে তার মা খেরা বেগম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পড়ে যাওয়ার সময় তার নাকে গুরুতর আঘাত লাগে।

    “তার মা বলেছিলেন, যে সৈন্যরা তাদের গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগে তিনি তার ছেলেকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। তিনি বলেন, “আমি সৈন্যদের বলেছিলাম যে তারা তাকে যে অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছে সেই অবস্থায় তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে।”

    মা খেরা বেগম এবং তার অসুস্থ স্বামী আব্দুল ফারিক দার, তাদের দুই মেয়ে এবং ছেলে শাবির, কুনান গ্রামের দুই ডজনেরও বেশি পুরুষ ও মহিলার সাথে ২১ ডিসেম্বর বুধবার শ্রীনগরের প্রেস এনক্লেভে যায়। সেখানে তারা আবদুর রশিদ দারের প্রকৃত অবস্থা জানানোর দাবি জানায়।

    প্রেস এনক্লেভের পরিবেশ যখন স্লোগান আর হাহাকারে উত্তাল হয়ে ওঠে, তখন রশিদের এক বোন, ভাই হারানোর শোকে অজ্ঞান হয়ে যায়।

    তার মার খেরা বেগম চিৎকার করে বলেন “আমার প্রিয় পুত্রকে ফিরিয়ে দাও। আমার নিষ্পাপ ছেলেকে ফিরিয়ে দাও। আমি তার মুখ দেখতে চাই। যদি তারা তাকে ফিরিয়ে না দেয়, আমি আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে নিজেকে আগুন ধরিয়ে দেব।” তার নাকে তখনোও ব্যান্ডেজ করা ছিল।




    আবদুর রশিদ দারের মা খেরা বেগম

    শত শত ‘নিখোঁজ’


    গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে কাশ্মীরে অশান্তি, নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে শত শত বেসামরিক লোক নিখোঁজ হয়েছে। কয়েকজনের লাশ পাওয়া গেলেও বেশিরভাগেরই সন্ধান পাওয়া যায়নি। মানবাধিকার কর্মীদের মতে, ১৯৮৯ সাল থেকে কাশ্মীরে ৮০০০ টিরও বেশি লোক নিখোঁজ হয়েছে। তাদের পরিবার প্রতি মাসে শ্রীনগরের প্রেস কলোনিতে তাদের অবস্থান জানানোর দাবিতে বিক্ষোভ করত। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী সরকার ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে স্বজন হারাদের এই দাবি জানানোর সুযোগ টুকুও বন্ধ করে দেয়।


    তথ্যসূত্র:
    ———-
    1. ‘Tell Us What You Did to Him,’ Family of Kashmiri Man Who Went ‘Missing’ in Custody Tells Army
    https://bit.ly/3VphRAd
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কর্ণাটকে মুদি দোকানের মুসলিম মালিককে কুপিয়ে খুন


    ভারতের কর্ণাটকে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা অনেক আগে থেকেই মুসলিম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বয়কটের আহ্বান জানিয়ে আসছে। পাশাপশি মুসলিমদের হালাল পণ্য বর্জনের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে। হিন্দুত্ববাদীরা ক্যাম্পেইন করে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই মুসলিম বিদ্বেষের শিকার হয়েছেন মুদি দোকানের মুসলিম ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল (৪৫)।

    গত ২৪ ডিসেম্বর শনিবার রাত ৮টার দিকে আব্দুল জালিল তার দোকানে যাওয়ার সময় কর্ণাটকের সুরথকালের কাছে কাটিপাল্লায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে কুপিয়ে খুন করে। তিনি তখন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা তাকে তাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে সুরথকালের কাছে মুক্কার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি মারা যান।

    দক্ষিণ কন্নড় মুসলিম ঐক্যতার সভাপতি জনাব আশরাফ বলেছেন, “মুসলমানদের উপর হামলার সূচনা করতেই উসকানি দিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য এই হত্যাকাণ্ডটি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

    “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র এবং ম্যাঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার এন শশী কুমার দুজনেই মুদাবিদ্রিতে স্কাউট এবং গাইডদের সাংস্কৃতিক জাম্বুরিতে উপস্থিত ছিল যখন মুসলিম ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি ঘটেছিল। ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা পুলিশ কমিশনার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা উচিত ছিল। কিন্তু তারা তা করেনি।”- বলেছেন ম্যাঙ্গালুরু সিটি উত্তরের প্রাক্তন বিধায়ক বি. এ. মহিনুদ্দিন বাভা।

    এদিকে, ২৫ ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিল থেকে (ভিএইচপি) উগ্র নেতা সুরেশ শর্মা অ্যারন শহরে বসবাসকারী সমস্ত মুসলমানদের জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, উগ্র শর্মা পুলিশ অফিসারদের সামনেই এই হুমকি দিচ্ছে।

    বিশ্লেষকগণ বলেছেন, ভারতে হিন্দুত্ববাদীরা চাইছে মুসলিমদের উপর চূড়ান্ত গণহত্যা বাস্তবায়ন করতে। এ লক্ষেই হিন্দুত্ববাদীরা পরিকল্পিতভাবে মুসলিমদের উপর হামলা চালিয়ে হতাহত করছে, বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। বিদ্বেষমূলক ভাষণ বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছে।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Muslim man stabbed to death in Karnataka: “Murder for political gain” allege Muslim leaders
    https://bit.ly/3WmR7Sj
    2. Vishwa Hindu Parishad (VHP) leader Suresh Sharma threatens to set ablaze all the Muslims living in Aaron town.Sharma made these threats infront of the police officers.
    https://bit.ly/3jwTNxR
    3. VIDEO LINK:
    https://bit.ly/3VnIKV9

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      পশ্চিমবঙ্গের কারাগারে পুলিশী নির্যাতনে মুসলিমের মৃত্যু



      জনাব শেখ সাবির আলি, যিনি ছয় মাস আগে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে মিথ্যে মাদক মামলায় আটক হয়ে দমদম সেন্ট্রাল জেলে বন্দী ছিলেন, তিনি গত সোমবার রাতে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মারা যান।

      সাবিরের পরিবার জানিয়েছেন, কারাগারের ভেতর তাকে অধিক নির্যাতনের কারণেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেছেন।

      পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, মঙ্গলবার সকালে সাবিরের স্ত্রী ফোনে তার স্বামীর মৃত্যুর খবর পান। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কাজীপাড়ার বাসিন্দা জনাব সাবিরকে বারাসত থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সাবিরের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা হয়েছে।

      সাবিরের বাবা শেখ জোবেদ আলী বলেন, “আমার ছেলে মাদক ব্যবসায়র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। এতেই পুলিশের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন সাবির। তিনি বেঁচে থাকলে পুলিশ মদ ও গাঁজা ব্যবসার টাকা পেত না। তাই পুলিশ আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করেছে।”

      নিহতের স্ত্রী আসমা খাতুন বলেন, “প্রমাণের অভাবে পুলিশ আমার স্বামীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পেরেই তাকে জেলে হত্যা করা হয়েছে। সাবিরের একটি শিশু সন্তান আছে। যে দুনিয়ার ভাল মন্দ বুঝে উঠার আগেই তার পিতাকে হারিয়ে এতিম হয়ে গেছে।”

      সাবিরের মৃত্যুর পর তার পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী সাবিরের বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। যদিও এ সমস্ত অবরোধ আর বিক্ষোভ করে মুলসিমরা কখনোই ন্যায়বিচার পায়না হিন্দুত্ববাদী ভারতে।

      যাকে হত্যা করা হয়েছে তিনি একজন মুসলিম। আর হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনের কাছে মুসলিমদের রক্ত নিতান্তই মূল্যহীন। পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনকে অনেকেই মুসলিম-ঘেষা বলে প্রচার করেন; তবে এই প্রচারণা যে একেবারেই ভুল- তা পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের মুসলিমদের প্রতি আচরণেই প্রকাশ পায়। তারা শুধু নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ভোটের সময় মুসলিম দরদী সাজে।

      ইতিপূর্বেও পশ্চিমবঙ্গের জেলে বহু মুসলিমকে হত্যা করেছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। যার একটিরও কোন বিচার করেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাই ইসলামি বিশ্লেষকগণ, মুসলিমদের প্রকৃত বন্ধু ও শত্রু যাচাইয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান র্জানিয়েছেন।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      1. “They killed my husband”: Muslim man died in custody in West Bengal
      https://tinyurl.com/47ryaf42
      2. tweeter link:
      https://tinyurl.com/y48s63mk

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        উদ্ধারের আশায় সাগরে ভেসতে থাকা ১৮০ রোহিঙ্গা মুসলিমের করুণ মৃত্যু




        ডুবে যাওয়া ট্রলারটির পূর্বের দৃশ্য- ছবি: টুইটার।


        দীর্ঘ এক মাস ধরে সাগরে ভেসে থাকার পর রোহিঙ্গাদের বহনকারী ট্রলারটি ভারতের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি ডুবে গেছে। ট্রলারটিতে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া অন্তত ১৮০ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। এতে থাকা সবাই মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর গত ২৪ ডিসেম্বর এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছে।

        সংস্থাটি জানিয়েছে, ট্রলারে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাঁদের আত্মীয়স্বজনদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ জন্য ধারণা করা হচ্ছে, সাগরে থাকা ট্রলারটি ডুবে গেছে। এবং মৃত্যু হয়েছে সবার।

        গত নভেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশ থেকে নৌযানটি মালয়েশিয়ার উদ্যেশ্যে যাত্রা করেছিল। যে কোন কারণে এটি গত ২ ডিসেম্বর বিকল হয়ে সাগরে দিকবিদিক ঘুরাচ্ছিল। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিশ্ববাসীর কাছে উদ্বারের আকুতি জানিয়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার কাছে স্যাটেলাইট ফোনে যোগাযোগ করে আসছিল অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিমরা। কিন্তু কেউই তাদের উদ্বারে এগিয়ে আসেনি। মানবাধিকার ও কথিত নারী অধিকার নিয়ে আফগান-সোমালিয়ার মতো মুসলিম দেশগুলোতে হস্তক্ষেপ করে আসলেও, রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের উদ্বারে কোন উদ্বোগ নেয়নি। এছাড়া রোহিঙ্গাদের বিপদের খবরটি পর্যন্ত তেমনভাবে প্রচার করেনি কোন মিডিয়া।

        উল্লেখ্য যে, হিংস্র বৌদ্ধদের দ্বারা নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে নিজ দেশ আরাকান ত্যাগ করতে বাধ্য হয় রোহিঙ্গারা। এরপর প্রতিবেশি দেশগুলোতে শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হন তারা। তেমনিভাবে নতুন জীবনের সন্ধানে রোহিঙ্গাদের একটি দল গত নভেম্বর মাসের শেষদিকে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল তিনটি ট্রলার নিয়ে। ২রা ডিসেম্বরের দিকে ট্রলারগুলো বিকল হয়ে সাগরে ভাসতে থাকলে দুইটি ট্রলার উদ্ধার করা হয়; আর ডুবে যাওয়া ট্রলারটি গত ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছিল।

        এদিকে ডুবে যাবার ২দিন আগে গত ২১ ডিসেম্বর রাতে ভাসমান ট্রলারটির কাছে ৫টি ভারতীয় জাহাজ পৌঁছেছিল। কিন্তু তারা খাবার ও পানীয়ের অভাবে চরম বিপদগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের উদ্ধার না করে চলে আসে। ঠিক কী উদ্দেশ্যে তারা সেখানে গিয়েছিল এবং কেন উদ্বার করেনি তা জানা যায়নি। গণমাধ্যমের কাছে এ বিষয়ে কথা বলতেও রাজি হয়নি হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় কোস্ট গার্ডের কর্মীরা।

        দীর্ঘ এক মাস যাবৎ সাগরে ভাসছিল ট্রলারটি, ডুবে যায়নি। কিন্তু ভারতীয় কোস্ট গার্ড সেখানে পৌঁছানোর মাত্র দু’দিন পরই ট্রলারটি ডুবে যায়, যা নিয়ে সন্ধেহের সৃষ্টি হয়েছে।

        ভারতীয় কোস্ট গার্ড মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্ধারের আহ্বান জানানোর প্রেক্ষিতেই রোহিঙ্গা ট্রলারের কাছে গিয়েছিল, কিন্তু উদ্বার না করে ফিরে আসে। আর এর দু’দিন পরই ট্রলারটি ডুবে মারা যায় সবাই। ফলে মুসলিমবিদ্বেষী ভারতীয় বাহিনীর বর্বরতার সম্ভাবনা ও সন্দেহ ঘুরপাক খাচ্ছে সচেতন মহলে।



        তথ্যসূত্র:
        ——–
        1. Tragic update: Since our statement yesterday, UNHCR has received unconfirmed reports of a separate boat – with 180 Rohingya, missing in the sea. Relatives have lost contact. Those last in touch presume all are dead-
        https://tinyurl.com/2tetpp4h

        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভিক্ষাবৃত্তি দূরীকরণে তালিবানের আন্তরিক পদক্ষেপ


          ভিক্ষাবৃত্তি যেকোন দেশের ক্ষেত্রেই একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়। আর তাই, আফগানিস্তান পুনর্গঠনে অন্যান্য সমস্যার মতো এটিকেও যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন ইমারতে ইসলামিয়া কর্তৃপক্ষ। এই সমস্যা দূর করতে নিচ্ছেন কার্যকরী পদক্ষেপ।

          এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাবুল শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৯,৮২৭ জন ভিক্ষুককে ইমারতের হেফাযতে নেয়া হয়েছে। ইসলামি ইমারতের অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ভিক্ষুক সংগ্রহ কমিটি এই দায়িত্ব পালন করছে।

          সহকারী অর্থমন্ত্রীর অফিস সূত্রে জানা যায়, এই ভিক্ষুকদের মধ্যে ১১,২৮৫ জনই নারী। যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ৪,৭৩০ জন প্রকৃত অর্থেই প্রয়োজনের স্বার্থে ভিক্ষা করছেন, আর বাকি ৬,৫৫৫ জন পেশাদার ভিক্ষুক।

          এছাড়া, পুরুষ ভিক্ষুক আছে ১,৮১২ জন। তাদের মধ্যে ৬৮৪ জন প্রয়োজন মেটাতে ভিক্ষা করেছেন এবং বাকি ১১২৮ জন পেশাদার ভিক্ষুক।

          সংগৃহীত ভিক্ষুকদের মধ্যে শিশু আছে ৬,৭৩০ জন। তাদের মধ্যে ২,৭৩৭ জন প্রয়োজনের স্বার্থে ভিক্ষা করেছে, বাকি ৩,৯৩১ জন ভিক্ষা করে পেশাদার হিসেবে। আর ৬২ শিশু একাকী ভিক্ষুক।

          বায়োমেট্রিক্স পরীক্ষার পর, এই একাকী ভিক্ষুক শিশুদেরকে শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছে। সেখানে তাদেরকে খাবার দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

          ইসলামি ইমারত আফগানিস্তান প্রতিনিয়ত উপযুক্ত ভিক্ষুকদেরকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করছে। এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় ভিক্ষাবৃত্তি দূরীকরণে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ইসলামি ইমারত কর্তৃপক্ষ।

          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            উগ্র ‘হিন্দু সেনা’র অভিযোগে মথুরার শাহী ঈদগাহ মসজিদ জরিপের নির্দেশ


            উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘হিন্দু সেনা’র দায়ের করা মামলায় মথুরার শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির সংলগ্ন শাহী ঈদগাহ মসজিদ জরিপের নির্দেশ দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী উত্তরপ্রদেশ আদালত। অতিরিক্ত সিভিল জজ আদালত আমীন (আদালত স্টাফ) দ্বারা মসজিদটি জরিপ করার আদেশ দিয়েছে।

            মথুরা আদালতে শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি ইস্যুতে একটি নতুন পিটিশন দাখিল করা হলে ৮ ডিসেম্বর এ আদেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয় ২০ জানুয়ারী, ২০২৩।


            শাহী ইদগাহ প্রাঙ্গণ দখল এবং সেখানে অবস্থিত বর্তমান কাঠামো ভেঙে ফেলার দাবিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় হিন্দু সেনার জাতীয় সভাপতি (অ্যাডভোকেট শৈলেশ দুবের মাধ্যমে) বিষ্ণু গুপ্তের দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে রায় দেওয়ার সময় এই আদেশ দেয় উগ্র সিভিল জজ সোনিকা ভার্মা।

            মামলার বাদী গুপ্তার দাবি, শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানে ১৩.৩৭ একর জমিতে আওরঙ্গজেব শ্রী কৃষ্ণ মন্দির ভেঙ্গে ইদগাহ নির্মাণ করেছিল। যদিও এ দাবিরপক্ষে সে কোন তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি।

            এদিকে, কেরালার কান্নুর জেলার ইরিটিতে আরেক উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের সদস্যরা একটি মিছিল বের করে। মিছিল থেকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক স্লোগান দেয়া হয় – “অযোধ্যার রাজপথে আমরাই, যারা বাবরি ভেঙ্গেছি।”

            ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদকে শহীদ করে দেয় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এরপর ২০১৯ সালে হিন্দুত্ববাদী সুপ্রিম কোর্ট সেই জমিতে রাম মন্দির নির্মাণ করার অনুমতি দেয়। এরপর থেকেই হিন্দুত্ববাদী দলগুলি ভারতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক মসজিদের জায়গাগুলোকে নিজেদের দাবি করে আসছে। মসজিদের জায়গাগুলোকে হিন্দুদের তীর্থস্থান হিসাবে দাবি করছে।

            বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী শক্তি ক্রমাগত স্লোগান দিচ্ছে – “অযোধ্যা তো সিরফ ঝাকি হ্যায়, কাশী মথুরা বাকি হ্যায়”। এর অর্থ হচ্ছে – “অযোধ্যা তো নিছক সূচনামাত্র, কাশী এবং মথুরা এখনও বাকি আছে”। একইভাবে বেনারসের জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং মথুরার শাহী ঈগাহকেও তারা দখলের পায়তারা করছে।


            তথ্যসূত্র:

            ১। UP court orders survey of Shahi Eidgah Mosque in suit filed by Hindu Sena
            https://bit.ly/3Wm9I0P

            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X