ভারতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আল্লামা ইকবালের কবিতা পাঠ করায় মামলা, শিক্ষক বরখাস্ত
ভারতের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকালের সমাবেশে আল্লামা মুহম্মাদ ইকবালের একটি কবিতা “লাব পে আতি হ্যায় দু’আ” পাঠ করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনার পর উগ্রবাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্থানীয় নেতা সোমপাল সিং রাঠোর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কথিত ধর্মীয় আবেগে আঘাত করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। অথচ এই কাব্যটি বর্তমানে ভারতের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের একটি অংশ।
গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে এ ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, সোমপাল সিং এই মর্মে থানায় অভিযোগ করেছে যে, মুসলিম শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মুসলিম প্রার্থনা আবৃতি করতে বাধ্য করেছেন। এ কবিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার প্রয়াস চালিয়েছেন ও হিন্দু ধর্মীয় সংবেদনশীলতাকে আঘাত করেছেন।
ভিডিওটিতে দেখা যায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিখ্যাত কবি আল্লামা ইকবালের “মেরে আল্লাহ বুরাই সে বাচানা মুঝকো” (হে আল্লাহ, আমাকে মন্দ থেকে রক্ষা করুন) কবিতাটি আবৃত্তি করছিলেন। জানা যায়, স্কুলে প্রায় ২৬৫ জন শিশু শিক্ষার্থী রয়েছে, যাদের অধিকাংশই মুসলিম। এ ঘটনায় স্কুলের অধ্যক্ষ নাহিদ সিদ্দিকীকে শিক্ষা বিভাগ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ যে, ভারতের শিক্ষাক্রমের বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে মুসলিম লেখকদের গল্প কবিতা অন্তর্ভূক রয়েছে। কিন্তু গুজরাটের কসাই খ্যাত নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতে মুসলিমদের গৌরব গাথা ইতিহাস ও মুসলিম লেখকদের পাঠ্য বাদ দিচ্ছে তারা। অন্যদিকে মুসলিমদের যে কোন কাজকে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী কাজ বলে আখ্যা দিয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে পুরো হিন্দু জাতিকে দাঁড় করাতে চাইছে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন।
এর আগে দক্ষিণ ভারতীয় কর্ণাটকের সরকার সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যসূচি থেকে টিপু সুলতান ও তার বাবা হায়দার আলি সংক্রান্ত অধ্যায়টি বাদ দিয়েছিল হিন্দুত্ববাদিরা।
এরপর উগ্র সংগঠনগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আবুল আ’লা আল-মৌদুদী এবং মিশরের সাইয়্যেদ কুতুবের বইগুলি পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুধু পাঠ্যক্রমেই নয়, ভারতের প্রত্যেকটি অঙ্গন থেকে মুসলিমদের চিরতরে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে হিন্দুরা। আর এভাবে সংখ্যালঘু মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে সংখ্যাগুরু হিন্দু জাতির কার্যক্রমকে চূড়ান্ত গণহত্যার ঠিক পূর্বের ধাপ হিসেবে দেখছেন গণহত্যা বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র:
——–
1. In a government school in U.P’s Bareilly, students recited “Mere Allah burai se bachana mujhko… A Hindu organization filed a case against the principal Nahid and shiksha mitra Wazeeruddin, the BSA suspended
– https://tinyurl.com/4xs2e4c6
2. Aligarh Muslim University drops texts of two Islamic scholars
– https://tinyurl.com/y86hdkc9
ভারতের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকালের সমাবেশে আল্লামা মুহম্মাদ ইকবালের একটি কবিতা “লাব পে আতি হ্যায় দু’আ” পাঠ করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনার পর উগ্রবাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্থানীয় নেতা সোমপাল সিং রাঠোর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কথিত ধর্মীয় আবেগে আঘাত করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। অথচ এই কাব্যটি বর্তমানে ভারতের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের একটি অংশ।
গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে এ ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, সোমপাল সিং এই মর্মে থানায় অভিযোগ করেছে যে, মুসলিম শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মুসলিম প্রার্থনা আবৃতি করতে বাধ্য করেছেন। এ কবিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার প্রয়াস চালিয়েছেন ও হিন্দু ধর্মীয় সংবেদনশীলতাকে আঘাত করেছেন।
ভিডিওটিতে দেখা যায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিখ্যাত কবি আল্লামা ইকবালের “মেরে আল্লাহ বুরাই সে বাচানা মুঝকো” (হে আল্লাহ, আমাকে মন্দ থেকে রক্ষা করুন) কবিতাটি আবৃত্তি করছিলেন। জানা যায়, স্কুলে প্রায় ২৬৫ জন শিশু শিক্ষার্থী রয়েছে, যাদের অধিকাংশই মুসলিম। এ ঘটনায় স্কুলের অধ্যক্ষ নাহিদ সিদ্দিকীকে শিক্ষা বিভাগ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ যে, ভারতের শিক্ষাক্রমের বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে মুসলিম লেখকদের গল্প কবিতা অন্তর্ভূক রয়েছে। কিন্তু গুজরাটের কসাই খ্যাত নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতে মুসলিমদের গৌরব গাথা ইতিহাস ও মুসলিম লেখকদের পাঠ্য বাদ দিচ্ছে তারা। অন্যদিকে মুসলিমদের যে কোন কাজকে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী কাজ বলে আখ্যা দিয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে পুরো হিন্দু জাতিকে দাঁড় করাতে চাইছে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন।
এর আগে দক্ষিণ ভারতীয় কর্ণাটকের সরকার সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যসূচি থেকে টিপু সুলতান ও তার বাবা হায়দার আলি সংক্রান্ত অধ্যায়টি বাদ দিয়েছিল হিন্দুত্ববাদিরা।
এরপর উগ্র সংগঠনগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আবুল আ’লা আল-মৌদুদী এবং মিশরের সাইয়্যেদ কুতুবের বইগুলি পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুধু পাঠ্যক্রমেই নয়, ভারতের প্রত্যেকটি অঙ্গন থেকে মুসলিমদের চিরতরে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে হিন্দুরা। আর এভাবে সংখ্যালঘু মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে সংখ্যাগুরু হিন্দু জাতির কার্যক্রমকে চূড়ান্ত গণহত্যার ঠিক পূর্বের ধাপ হিসেবে দেখছেন গণহত্যা বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র:
——–
1. In a government school in U.P’s Bareilly, students recited “Mere Allah burai se bachana mujhko… A Hindu organization filed a case against the principal Nahid and shiksha mitra Wazeeruddin, the BSA suspended
– https://tinyurl.com/4xs2e4c6
2. Aligarh Muslim University drops texts of two Islamic scholars
– https://tinyurl.com/y86hdkc9
Comment