Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৬ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ১০ জানুয়ারি, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৬ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ১০ জানুয়ারি, ২০২৩ ঈসায়ী

    কর্ণাটকে হিন্দু মেয়ের সঙ্গে কথা বলার অভিযোগে মুসলিম ছেলেকে মারধর




    হিন্দুত্ববাদী ভারতে মুসলিম বিদ্বেষের আগুন এতটাই জ্বলে উঠেছে যে, এখন শুধু সন্দেহের বশেই মুসলিমদের উপর হামলা চালানো হয়। প্রায় প্রতিদিনই হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা এমন ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে।

    তারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ঘটনাটি কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার। ৫ জানুয়ারি ২৩, হাফিদ নামে এক মুসলিম যুবক সুব্রামান্য কেএসআরটিসি বাস স্ট্যান্ডের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। পাশেই দাড়িঁয়ে ছিল একটি হিন্দু মেয়ে। হঠাৎ কয়েকজন হিন্দু গুণ্ডা এসে বাসস্ট্যান্ড থেকে মুসলিম ছেলেটিকে ধরে গাড়িতে তুলে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। নির্জন স্থানে নিয়ে হাফিদকে প্রচন্ডভাবে মারধর করে। ছুরি দেখিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। যেন ভবিষ্যতে মেয়েটির সাথে দেখা না করে।

    হাফিদকে মারধরের কিছু ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যাতে তাকে তার অন্তর্বাসে মাটিতে পড়ে থাকতে এবং একটি পিলারে বসে থাকতে দেখা যায় এবং তার শরীরে মারধরের চিহ্নও দেখা যায়।

    মেয়েটির সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই। তেমন কোন কথাবার্তাও হয়নি। তবুও আক্রমণকারী উগ্র হিন্দুরা তাকে বেধড়ক মারধর করেছে।

    অন্যায়ভাবে মারধরের কারণে ১২ হিন্দু গুণ্ডার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী পুলিশ মামলার কোন আসামিকে এখনও গ্রেপ্তার করেনি।

    এমনিভাবে, কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায় গত ৩০ আগষ্ট মঙ্গলবার এক হিন্দু মেয়ের সাথে শুধুমাত্র কথা বলার অভিযোগে এক মুসলিম ছাত্রকে কলেজের হিন্দু শিক্ষার্থীরা ব্যাপক মারধর করেছিল। ঘটনার দিন সকাল ১০:৩০ মিনিটে সুলিয়া তালুকের কাসাবা গ্রামের কলেজ মাঠে মোহাম্মদ সানিফ (১৯) কে মারধর ও খুনের হুমকি দেয় হিন্দুত্ববাদীরা।

    মোহাম্মদ সানিফকে কলেজের মাঠে ডেকে নিয়ে আসার পর প্রজ্বল, তনুজ, অক্ষয়, মোক্ষিত, গৌতম এবং অন্যরা তাকে কাঠের বানানো লাঠি দিয়ে আক্রমণ করে। পরে মোহাম্মদ সানিফকে বলেছে, মেয়েটির সাথে কোন কারণে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে খুন করে ফেলবে।

    অথচ, মেয়েটিও তাদেরকে বলেছিল সানিফের সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই। কোন কথাবার্তাও হয় না। তবুও আক্রমণকারী উগ্র হিন্দু ছাত্ররা তাদের ছবি তুলেছিল এবং তাদের ভাইরাল করার হুমকি দেয়। মারধরের পরে বাড়ি ফেরার পর সানিফ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনারও কোন বিচার হয়নি।

    হিন্দুরা জানে মুসলিমদের উপর হামলা করলেও পুলিশ তাদের কিছুই করবে না। ফলে দিন দিন মুসলিমদের উপর হামলার তীব্রতা বেড়েই চলেছে। হিন্দুত্ববাদী ভারতে ঘরে-বাইরে সর্বত্রই মুসলিমরা জান মালের চরম নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে রয়েছেন। মুসলিমদের উপর হিন্দুত্ববাদীদের হামলা চাানোর জন্য শুধু সন্দেহ কিংবা অভিযোগ তুলতে পারাই যথেষ্ট। যার লাগাম টানতে না পারলে মুসলিমদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে মত দিয়েছেন ইসলামিক বিশ্লেষকগণ।


    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. कर्नाटक: बस स्टॉप पर खड़े होकर हिंदू लड़की से बात कर रहें मुस्लिम युवक “हफीद” को कुछ लोगों ने बेरहमी से पीटा, पुलिस ने 12 लोगों के खिलाफ FIR दर्ज़ की
    https://tinyurl.com/7daahcwv
    2. Karnataka: Muslim youngster attacked for conversing with a Hindu girl in college
    https://tinyurl.com/2m6w53b3

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ১১২ রোহিঙ্গা মুসলিমকে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড প্রদান!



    আরাকানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সন্ত্রাসী মিয়ানমার সামরিক সরকারের অব্যাহত নির্যাতন চলছেই। নতুন করে আরও ১১২ জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে ৫ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছে মিয়ানমার। কারাদণ্ডাদেশের মধ্যে ১২ জনই শিশু।

    এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে মিয়ানমারের দক্ষিণ আইয়ারওয়াদি এলাকা থেকে বৈধ কাগজপত্র না থাকার অযুহাতে তাদের গ্রেফতার করে মিয়ানমার পুলিশ। ঐসকল রোহিঙ্গা মুসলিমরা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে মালয়শিয়ায় যেতে চাচ্ছিল বলে জানা যায়।

    গত ৬ জানুয়ারি বর্বরোচিত এ কারাদণ্ডাদেশ সন্ত্রাসী মিয়ানমারের আদালত। কারাদণ্ডাদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে উল্লেখ্য করা হয়েছে। এর মাধ্যমে, মিয়ানমার সামরিক সরকার রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর যুগ যুগ ধরে চালানো নির্যাতনের দৃষ্টিভঙ্গির কোন পরিবর্তণ হয়নি- সেটি আবারও প্রমান করলো। অথচ রোহিঙ্গা মুসলিমরা কয়েক শতাব্দী ধরে আরাকানে বসবাস করে আসছে।

    সন্ত্রাসী মিয়ানমার একদিকে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব হরণ করছে, অন্যদিকে তাদের বিদেশি সাব্যস্ত করে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এসব নির্যাতন-নিপিড়ন থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমরা যখন পালাতে চাইছে তখন আবার তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দী রাখছে। অর্থাৎ হিংস্র বৌদ্ধ মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের পালতেও দিবে না আবার বাঁচতেও দিবে না।

    এভাবে তিলে তিলে মুসলিমদের নির্যাতন করছে মিয়ানমার। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ৩৫১৪ জন মাজলুম রোহিঙ্গা মুসলিমকে গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দী রাখে মিয়ানমার। বন্দীদের মধ্যে উল্লেখ্য সংখ্যকই নারী ও শিশু। কারাগারে এসব মুসলিম নারী-শিশুদের সাথে সন্ত্রাসী মিয়ানমারের হিংস্র বাহিনী কেমন আচরণ করে তা জানার কোন সুযোগ নেই।

    এভাবে যুগ যুগ ধরে গোটা একতি জাতিকে গণহারে হত্যা, ধর্ষণ ও বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে ছারখার করে দেশান্তর করার পরও কথিত আন্তর্জাতিক বিশ্ব তাদের রক্ষার্থে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো মাজলুম মুসলিমরা যেন নিজেদের অধিকার ফিরিয়ে নিতে নববী সুন্নাহ মোতাবেক পদক্ষেপ না নিতে পারে, এজন্য বছরের পর বছর ধরে তাদেরকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Myanmar jails 112 Rohingya for travelling ‘without documents’-
    https://tinyurl.com/5yuff8k8
    2. In 2022 alone, 3,514 Rohingya (including children and women) were arrested and imprisoned by the junta-
    https://tinyurl.com/hw3brf4p

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের ধর্মীয় পরীক্ষা নিল ইসলামি ইমারত



      আফগানিস্তান ইসলামি ইমারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় শাখার স্টাফদের ইসলামি আইন ও নিয়মনীতির উপর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মসজিদে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র।

      শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণ ও নির্দেশনা বিভাগের প্রধান মাওলানা আব্দুল হাই হাজিম বলেছেন, “মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের নিয়মিত যে বার্তা দেওয়া হয়, ঐসব বার্তার বিষয়বস্তুর ভিত্তিতেই পরীক্ষার প্রশ্ন করা হয়েছে। এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য হলো পবিত্র ইসলাম ধর্মের নিয়মনীতিগুলোর সাথে কর্মীদের অভ্যস্ত করানো।”

      এভাবে দেশটির প্রত্যেক প্রদেশের শিক্ষা বিভাগে এমন ধর্মীয় পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। শাইখ হাজিমের মতে, পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তদের প্রশংসা করা হয়। আর যারা সেভাবে ভালো করতে পারেননি, তাদেরকে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে উৎসাহিত করা হয়, আর ইসলাম নিয়ে বেশি বেশি পড়াশোনা করতে বলা হয়।

      উল্লেখ্য, দীর্ঘসময় কুফফার গোষ্ঠীর আগ্রাসনের কবলে থাকার কারণে আফগানিস্তানের অনেকে ইসলামি জ্ঞান চর্চার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সঠিকভাবে জ্ঞান চর্চার সুযোগ না থাকার কারণে অনেকেই আবার পশ্চিমাদের ইসলামবিরোধী প্রোপাগান্ডার সহজ শিকারে পরিণত হয়েছেন। দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এর প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি। তাই, আফগানিস্তানের মানুষকে বিশেষত সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইসলামের মৌলিক শিক্ষা প্রদান করা জরুরি ছিল। এই লক্ষ্যকে সামনে নিয়েই আফগানিস্তান ইসলামি ইমারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মীদের জন্য ধর্মীয় পরীক্ষার আয়োজন করেছেন।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      1. Ministry of Education – Afghanistan :
      د پوهنې وزارت له کارکوونکو څخه د دیني علومو ازموینه واخیستل شو
      https://tinyurl.com/yuemyk5y

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X