কর্ণাটকে হিন্দু মেয়ের সঙ্গে কথা বলার অভিযোগে মুসলিম ছেলেকে মারধর
হিন্দুত্ববাদী ভারতে মুসলিম বিদ্বেষের আগুন এতটাই জ্বলে উঠেছে যে, এখন শুধু সন্দেহের বশেই মুসলিমদের উপর হামলা চালানো হয়। প্রায় প্রতিদিনই হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা এমন ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ঘটনাটি কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার। ৫ জানুয়ারি ২৩, হাফিদ নামে এক মুসলিম যুবক সুব্রামান্য কেএসআরটিসি বাস স্ট্যান্ডের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। পাশেই দাড়িঁয়ে ছিল একটি হিন্দু মেয়ে। হঠাৎ কয়েকজন হিন্দু গুণ্ডা এসে বাসস্ট্যান্ড থেকে মুসলিম ছেলেটিকে ধরে গাড়িতে তুলে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। নির্জন স্থানে নিয়ে হাফিদকে প্রচন্ডভাবে মারধর করে। ছুরি দেখিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। যেন ভবিষ্যতে মেয়েটির সাথে দেখা না করে।
হাফিদকে মারধরের কিছু ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যাতে তাকে তার অন্তর্বাসে মাটিতে পড়ে থাকতে এবং একটি পিলারে বসে থাকতে দেখা যায় এবং তার শরীরে মারধরের চিহ্নও দেখা যায়।
মেয়েটির সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই। তেমন কোন কথাবার্তাও হয়নি। তবুও আক্রমণকারী উগ্র হিন্দুরা তাকে বেধড়ক মারধর করেছে।
অন্যায়ভাবে মারধরের কারণে ১২ হিন্দু গুণ্ডার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী পুলিশ মামলার কোন আসামিকে এখনও গ্রেপ্তার করেনি।
এমনিভাবে, কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায় গত ৩০ আগষ্ট মঙ্গলবার এক হিন্দু মেয়ের সাথে শুধুমাত্র কথা বলার অভিযোগে এক মুসলিম ছাত্রকে কলেজের হিন্দু শিক্ষার্থীরা ব্যাপক মারধর করেছিল। ঘটনার দিন সকাল ১০:৩০ মিনিটে সুলিয়া তালুকের কাসাবা গ্রামের কলেজ মাঠে মোহাম্মদ সানিফ (১৯) কে মারধর ও খুনের হুমকি দেয় হিন্দুত্ববাদীরা।
মোহাম্মদ সানিফকে কলেজের মাঠে ডেকে নিয়ে আসার পর প্রজ্বল, তনুজ, অক্ষয়, মোক্ষিত, গৌতম এবং অন্যরা তাকে কাঠের বানানো লাঠি দিয়ে আক্রমণ করে। পরে মোহাম্মদ সানিফকে বলেছে, মেয়েটির সাথে কোন কারণে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে খুন করে ফেলবে।
অথচ, মেয়েটিও তাদেরকে বলেছিল সানিফের সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই। কোন কথাবার্তাও হয় না। তবুও আক্রমণকারী উগ্র হিন্দু ছাত্ররা তাদের ছবি তুলেছিল এবং তাদের ভাইরাল করার হুমকি দেয়। মারধরের পরে বাড়ি ফেরার পর সানিফ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনারও কোন বিচার হয়নি।
হিন্দুরা জানে মুসলিমদের উপর হামলা করলেও পুলিশ তাদের কিছুই করবে না। ফলে দিন দিন মুসলিমদের উপর হামলার তীব্রতা বেড়েই চলেছে। হিন্দুত্ববাদী ভারতে ঘরে-বাইরে সর্বত্রই মুসলিমরা জান মালের চরম নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে রয়েছেন। মুসলিমদের উপর হিন্দুত্ববাদীদের হামলা চাানোর জন্য শুধু সন্দেহ কিংবা অভিযোগ তুলতে পারাই যথেষ্ট। যার লাগাম টানতে না পারলে মুসলিমদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে মত দিয়েছেন ইসলামিক বিশ্লেষকগণ।
তথ্যসূত্র:
——-
1. कर्नाटक: बस स्टॉप पर खड़े होकर हिंदू लड़की से बात कर रहें मुस्लिम युवक “हफीद” को कुछ लोगों ने बेरहमी से पीटा, पुलिस ने 12 लोगों के खिलाफ FIR दर्ज़ की
– https://tinyurl.com/7daahcwv
2. Karnataka: Muslim youngster attacked for conversing with a Hindu girl in college
– https://tinyurl.com/2m6w53b3
হিন্দুত্ববাদী ভারতে মুসলিম বিদ্বেষের আগুন এতটাই জ্বলে উঠেছে যে, এখন শুধু সন্দেহের বশেই মুসলিমদের উপর হামলা চালানো হয়। প্রায় প্রতিদিনই হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা এমন ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ঘটনাটি কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার। ৫ জানুয়ারি ২৩, হাফিদ নামে এক মুসলিম যুবক সুব্রামান্য কেএসআরটিসি বাস স্ট্যান্ডের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। পাশেই দাড়িঁয়ে ছিল একটি হিন্দু মেয়ে। হঠাৎ কয়েকজন হিন্দু গুণ্ডা এসে বাসস্ট্যান্ড থেকে মুসলিম ছেলেটিকে ধরে গাড়িতে তুলে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। নির্জন স্থানে নিয়ে হাফিদকে প্রচন্ডভাবে মারধর করে। ছুরি দেখিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। যেন ভবিষ্যতে মেয়েটির সাথে দেখা না করে।
হাফিদকে মারধরের কিছু ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যাতে তাকে তার অন্তর্বাসে মাটিতে পড়ে থাকতে এবং একটি পিলারে বসে থাকতে দেখা যায় এবং তার শরীরে মারধরের চিহ্নও দেখা যায়।
মেয়েটির সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই। তেমন কোন কথাবার্তাও হয়নি। তবুও আক্রমণকারী উগ্র হিন্দুরা তাকে বেধড়ক মারধর করেছে।
অন্যায়ভাবে মারধরের কারণে ১২ হিন্দু গুণ্ডার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী পুলিশ মামলার কোন আসামিকে এখনও গ্রেপ্তার করেনি।
এমনিভাবে, কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায় গত ৩০ আগষ্ট মঙ্গলবার এক হিন্দু মেয়ের সাথে শুধুমাত্র কথা বলার অভিযোগে এক মুসলিম ছাত্রকে কলেজের হিন্দু শিক্ষার্থীরা ব্যাপক মারধর করেছিল। ঘটনার দিন সকাল ১০:৩০ মিনিটে সুলিয়া তালুকের কাসাবা গ্রামের কলেজ মাঠে মোহাম্মদ সানিফ (১৯) কে মারধর ও খুনের হুমকি দেয় হিন্দুত্ববাদীরা।
মোহাম্মদ সানিফকে কলেজের মাঠে ডেকে নিয়ে আসার পর প্রজ্বল, তনুজ, অক্ষয়, মোক্ষিত, গৌতম এবং অন্যরা তাকে কাঠের বানানো লাঠি দিয়ে আক্রমণ করে। পরে মোহাম্মদ সানিফকে বলেছে, মেয়েটির সাথে কোন কারণে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে খুন করে ফেলবে।
অথচ, মেয়েটিও তাদেরকে বলেছিল সানিফের সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই। কোন কথাবার্তাও হয় না। তবুও আক্রমণকারী উগ্র হিন্দু ছাত্ররা তাদের ছবি তুলেছিল এবং তাদের ভাইরাল করার হুমকি দেয়। মারধরের পরে বাড়ি ফেরার পর সানিফ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনারও কোন বিচার হয়নি।
হিন্দুরা জানে মুসলিমদের উপর হামলা করলেও পুলিশ তাদের কিছুই করবে না। ফলে দিন দিন মুসলিমদের উপর হামলার তীব্রতা বেড়েই চলেছে। হিন্দুত্ববাদী ভারতে ঘরে-বাইরে সর্বত্রই মুসলিমরা জান মালের চরম নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে রয়েছেন। মুসলিমদের উপর হিন্দুত্ববাদীদের হামলা চাানোর জন্য শুধু সন্দেহ কিংবা অভিযোগ তুলতে পারাই যথেষ্ট। যার লাগাম টানতে না পারলে মুসলিমদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে মত দিয়েছেন ইসলামিক বিশ্লেষকগণ।
তথ্যসূত্র:
——-
1. कर्नाटक: बस स्टॉप पर खड़े होकर हिंदू लड़की से बात कर रहें मुस्लिम युवक “हफीद” को कुछ लोगों ने बेरहमी से पीटा, पुलिस ने 12 लोगों के खिलाफ FIR दर्ज़ की
– https://tinyurl.com/7daahcwv
2. Karnataka: Muslim youngster attacked for conversing with a Hindu girl in college
– https://tinyurl.com/2m6w53b3
Comment