গুজরাট গণহত্যার কথা স্মরণ করিয়ে মুসলিমদের হুমকি ও ভারতছাড়া করার শপথ
গুজরাটের গণহত্যার কথা মুসলমানদের মনে করিয়ে হুমকি দিয়েছে আন্তর্জাতিক হিন্দু পরিষদের সভাপতি উগ্রবাদী প্রবীণ তোগাদিয়া।
তোগাদিয়া বলেছে, “গুজরাটে এমন একটি মডেল স্থাপিত হয়েছে যে হিন্দুদের বিরুদ্ধে কেউ আঙুল তুলতে সাহস করবে না। আর যদি কেউ আঙ্গুল উঠাতে চায় তাহলে আগে গুজরাটে যেভাবে দমিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেভাবেই আবার দমিয়ে দেওয়া হবে।”
গত ২৭ জানুয়ারী শুক্রবারে ভারতের হরিয়ানায় এমন উগ্রবাদী ঘৃণাত্মক বক্তৃতা দিয়েছে সে।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, হিন্দু পরিষদের সভাপতি প্রবীণ তোগাদিয়া শত শত হিন্দুকে এই মর্মে শপথ করাচ্ছে যে, তাদের একটি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন, “লাভ জিহাদ” আইন এবং বাংলাদেশী মুসলিমদের ভারত থেকে বের করে দেওয়ার জন্য কাজ করতে হবে।
শপথ পাঠ শেষে উগ্র জনতা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে থাকে। এ ঘটনাটি হরিয়ানার পালওয়াল জেলার বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মুসলিমদের বিরুদ্ধে তোগাদিয়ার বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের পূর্ববর্তী কিছু উদাহরণ:
AHP-এর আন্তর্জাতিক সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ তোগাদিয়া মুসলিম বিদ্বেষী বক্তৃতার জন্য কুখ্যাত। ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে গুজরাট এবং মধ্য ভারতে গণহত্যার উস্কানি দেওয়ার পর থেকে প্রবীণ তোগাদিয়া একাধিকবার মুসলিম-বিদ্বেষী বক্তৃতা দিয়েছে। সে ধারাবাহিকভাবে মুসলিম সম্প্রদায়কে টার্গেট করেছে, তাদেরকে বাংলাদেশী বলে অভিহিত করেছে এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন বা লাভ জিহাদ আইনের মতো সমস্যাযুক্ত ও বৈষম্যমূলক আইনের দাবি তুলেছে।
গত বছরের ৬ এপ্রিল ধুবরি জেলার গোলকগঞ্জে দেওয়া বক্তৃতায় সে দাবি করেছিল যে ধুবড়িতে এখন মাত্র “২০% হিন্দু” রয়েছে যার মধ্যে ১২,০০,০০০ মুসলমান বাংলাদেশ থেকে “অনুপ্রবেশ” করেছে। সে এমনকি তখন মুসলমানদের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি করেছিল।
১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে তোগাদিয়া আবার নির্লজ্জভাবে মুসলিমদের টার্গেট করেছিল। মুসলমানদের অস্তিত্বের সমতা এবং সাংবিধানিক অধিকার থেকে বাধা দেওয়ার দাবি করেছিল সে। সেখানে জনতাকে সম্বোধন করে মুসলিমদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক এবং তাদেরকে সরকারি সকল পথ থেকে বঞ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছিল এই তোগাদিয়া।
সে বলেছিল, “আমি এমন একটি আইন আনব যেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের এসপি, প্রধানমন্ত্রী, ডিএম থাকতে পারবে না।”
সে আরও যোগ করেছিল, “আমার হিন্দু রাষ্ট্রে সবকা সাথ সবকা বিকাশ হবে না। আমার মতে, বিকাশ (উন্নয়ন) শুধুমাত্র হিন্দুদের জন্য। এটি আমাদের জমি এবং আমরা এর সঠিক উত্তরাধিকারী। আমরা রামমন্দিরের মতো ইউনিফর্ম সিভিল কোড আনব এবং মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করব।”
সে আরও বলেছিল, “আমার শাসনামলে কোন মুসলমান কোনও সাংবিধানিক পদ পাবে না।”
তথ্যসূত্র:
——–
1. Hate Watch: Pravin Togadia administers communal and anti-minority oath to hundreds in Haryana
– https://tinyurl.com/mexxdekd
2. Pravin Togadia, President of the far-right International Hindu Parishad, reminds Muslims about Gujarat.
– https://tinyurl.com/2xz5yr8m
গুজরাটের গণহত্যার কথা মুসলমানদের মনে করিয়ে হুমকি দিয়েছে আন্তর্জাতিক হিন্দু পরিষদের সভাপতি উগ্রবাদী প্রবীণ তোগাদিয়া।
তোগাদিয়া বলেছে, “গুজরাটে এমন একটি মডেল স্থাপিত হয়েছে যে হিন্দুদের বিরুদ্ধে কেউ আঙুল তুলতে সাহস করবে না। আর যদি কেউ আঙ্গুল উঠাতে চায় তাহলে আগে গুজরাটে যেভাবে দমিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেভাবেই আবার দমিয়ে দেওয়া হবে।”
গত ২৭ জানুয়ারী শুক্রবারে ভারতের হরিয়ানায় এমন উগ্রবাদী ঘৃণাত্মক বক্তৃতা দিয়েছে সে।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, হিন্দু পরিষদের সভাপতি প্রবীণ তোগাদিয়া শত শত হিন্দুকে এই মর্মে শপথ করাচ্ছে যে, তাদের একটি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন, “লাভ জিহাদ” আইন এবং বাংলাদেশী মুসলিমদের ভারত থেকে বের করে দেওয়ার জন্য কাজ করতে হবে।
শপথ পাঠ শেষে উগ্র জনতা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে থাকে। এ ঘটনাটি হরিয়ানার পালওয়াল জেলার বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মুসলিমদের বিরুদ্ধে তোগাদিয়ার বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের পূর্ববর্তী কিছু উদাহরণ:
AHP-এর আন্তর্জাতিক সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ তোগাদিয়া মুসলিম বিদ্বেষী বক্তৃতার জন্য কুখ্যাত। ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে গুজরাট এবং মধ্য ভারতে গণহত্যার উস্কানি দেওয়ার পর থেকে প্রবীণ তোগাদিয়া একাধিকবার মুসলিম-বিদ্বেষী বক্তৃতা দিয়েছে। সে ধারাবাহিকভাবে মুসলিম সম্প্রদায়কে টার্গেট করেছে, তাদেরকে বাংলাদেশী বলে অভিহিত করেছে এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন বা লাভ জিহাদ আইনের মতো সমস্যাযুক্ত ও বৈষম্যমূলক আইনের দাবি তুলেছে।
গত বছরের ৬ এপ্রিল ধুবরি জেলার গোলকগঞ্জে দেওয়া বক্তৃতায় সে দাবি করেছিল যে ধুবড়িতে এখন মাত্র “২০% হিন্দু” রয়েছে যার মধ্যে ১২,০০,০০০ মুসলমান বাংলাদেশ থেকে “অনুপ্রবেশ” করেছে। সে এমনকি তখন মুসলমানদের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি করেছিল।
১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে তোগাদিয়া আবার নির্লজ্জভাবে মুসলিমদের টার্গেট করেছিল। মুসলমানদের অস্তিত্বের সমতা এবং সাংবিধানিক অধিকার থেকে বাধা দেওয়ার দাবি করেছিল সে। সেখানে জনতাকে সম্বোধন করে মুসলিমদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক এবং তাদেরকে সরকারি সকল পথ থেকে বঞ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছিল এই তোগাদিয়া।
সে বলেছিল, “আমি এমন একটি আইন আনব যেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের এসপি, প্রধানমন্ত্রী, ডিএম থাকতে পারবে না।”
সে আরও যোগ করেছিল, “আমার হিন্দু রাষ্ট্রে সবকা সাথ সবকা বিকাশ হবে না। আমার মতে, বিকাশ (উন্নয়ন) শুধুমাত্র হিন্দুদের জন্য। এটি আমাদের জমি এবং আমরা এর সঠিক উত্তরাধিকারী। আমরা রামমন্দিরের মতো ইউনিফর্ম সিভিল কোড আনব এবং মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করব।”
সে আরও বলেছিল, “আমার শাসনামলে কোন মুসলমান কোনও সাংবিধানিক পদ পাবে না।”
তথ্যসূত্র:
——–
1. Hate Watch: Pravin Togadia administers communal and anti-minority oath to hundreds in Haryana
– https://tinyurl.com/mexxdekd
2. Pravin Togadia, President of the far-right International Hindu Parishad, reminds Muslims about Gujarat.
– https://tinyurl.com/2xz5yr8m
Comment