আসামে গো-রক্ষকদের পিটুনিতে মুসলিম খুন, অপরাধীদের মুক্তির দাবিতে হিন্দুদের বিক্ষোভ
আসামের শিবসাগর জেলায় নাজু আলী নামক একজন মুসলিম ব্যক্তিকে উগ্র গো-রক্ষক হিন্দুরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে বামুনপুখুরী চা বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সেখানে গরু চুরির সন্দেহে নাজু আলী নামে এই মুসলিম ব্যক্তিকে মারধর করে একদল কথিত উগ্র গো-রক্ষক হিন্দু। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, অবস্থা নাজুক দেখে তাকে তখন জয়সাগর সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই নাজু আলীর মৃত্যু হয়।
নাজু আলীর চাচা জানান, নাজু আলী আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পরে বামুনপুখুরী চা বাগান এলাকায় আসলে স্থানীয় হিন্দুরা তার উপর হমলা করে।
উগ্র হিন্দু কর্তৃক মুসলিমদের হতাহত করার ঘটনাগুলোর কোন বিচার হয়না বললেই চলে। যদি অপরাধীদের আটকও করা হয়,তাহলে প্রভাবশালী হিন্দু নেতাদের সহযোগিতায় কারাগার থেকে বের হয়ে আসে ফলে দেখা যায় তাদের আর কোন বিচারই হয় না।
এমনিভাবে এই ঘটনাতেও হিন্দুরা অপরাধীদের পক্ষ নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল আসিফা হত্যাকাণ্ডের পর, উগ্র হিন্দুরা ধর্ষণকারী এবং খুনকারীদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল।
এদিকে,মুসলিমদের চাপের মুখে এখন পর্যন্ত হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর ১৪ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় হিন্দুরা ১৪ খুনির গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে যে তারা “নিরপরাধ”। এবং তাদের মুক্তির দাবিতে হিন্দুরা বিক্ষোভ করেছে।
২০১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ভারত জুড়ে গরু সংক্রান্ত সহিংসতার দুই শতাধিক ঘটনায় শতাধিক মুসলমান নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো কয়েক শতাধিক।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Muslim man lynched by cow vigilantes in Assam, mob protests for release of accused
– https://tinyurl.com/yu997j4b
আসামের শিবসাগর জেলায় নাজু আলী নামক একজন মুসলিম ব্যক্তিকে উগ্র গো-রক্ষক হিন্দুরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে বামুনপুখুরী চা বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সেখানে গরু চুরির সন্দেহে নাজু আলী নামে এই মুসলিম ব্যক্তিকে মারধর করে একদল কথিত উগ্র গো-রক্ষক হিন্দু। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, অবস্থা নাজুক দেখে তাকে তখন জয়সাগর সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই নাজু আলীর মৃত্যু হয়।
নাজু আলীর চাচা জানান, নাজু আলী আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পরে বামুনপুখুরী চা বাগান এলাকায় আসলে স্থানীয় হিন্দুরা তার উপর হমলা করে।
উগ্র হিন্দু কর্তৃক মুসলিমদের হতাহত করার ঘটনাগুলোর কোন বিচার হয়না বললেই চলে। যদি অপরাধীদের আটকও করা হয়,তাহলে প্রভাবশালী হিন্দু নেতাদের সহযোগিতায় কারাগার থেকে বের হয়ে আসে ফলে দেখা যায় তাদের আর কোন বিচারই হয় না।
এমনিভাবে এই ঘটনাতেও হিন্দুরা অপরাধীদের পক্ষ নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল আসিফা হত্যাকাণ্ডের পর, উগ্র হিন্দুরা ধর্ষণকারী এবং খুনকারীদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল।
এদিকে,মুসলিমদের চাপের মুখে এখন পর্যন্ত হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর ১৪ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় হিন্দুরা ১৪ খুনির গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে যে তারা “নিরপরাধ”। এবং তাদের মুক্তির দাবিতে হিন্দুরা বিক্ষোভ করেছে।
২০১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ভারত জুড়ে গরু সংক্রান্ত সহিংসতার দুই শতাধিক ঘটনায় শতাধিক মুসলমান নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো কয়েক শতাধিক।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Muslim man lynched by cow vigilantes in Assam, mob protests for release of accused
– https://tinyurl.com/yu997j4b
Comment