র্যাবের সাদা পোশাকে অভিযান: পরিচয় জানতে চাওয়ায় গুলি করে খুন
হাসপাতালে আবুল কাশেমের মৃতদেহের পাশে তার স্ত্রী রমিজা বেগম ও চাচাতো বোন নাসিমা বেগম। ছবি: সংগৃহীত
গুম-খুনসহ নানাবিধ মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আন্তর্জাতিকভাবে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া একটি বাহিনী হচ্ছে বাংলাদেশের র্যাব। প্রতিনিয়ত এ বাহিনীর নির্যাতন-নিপীড়নে নিঃশেষ হচ্ছে অনেক পরিবার। সরকারের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে কুখ্যাত এই বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে ৬৫ বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধকে খুন করেছে র্যাব। গত ১৬ মার্চ গভীর রাতে র্যাবের এক সাদা পোশাক অভিযানের সময় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তির নাম আবুল কাশেম।নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে জিন্স প্যান্ট ও গ্যাঞ্জি পড়া কয়েকজন পাশের বাড়ির এক যুবককে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল। যুবকটির কান্নাকাটি ও চিৎকার শুনে আবুল কাশেম এগিয়ে যান এবং তাদের পরিচয় জানতে চান।
এতে নিজেদের র্যাব পরিচয়দানকারী সদস্যরা তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। ফলে আবু কাশেম হৈচৈ শুরু করেন। এসময় উত্তেজিত এক র্যাব সদস্য বৃদ্ধের পেটে গুলি করে।হৈচৈ ও গুলির শব্দে ডাকাত সন্দেহে ঘটনাস্থলে আরও কিছু প্রতিবেশি জড়ো হলে তাদেরকেও গুলি করে র্যাব।
এতে হুমায়ুন কবীর নামে আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এরপর বিচারবহির্ভুত এই অপরাধকে ঢাকতে উলটো নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসী ২১ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে র্যাব। পরের দিন নিহতের পরিবারের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে তারা। গ্রেপ্তারকৃত ৫ জনের মধ্যে রয়েছেন নিহত আবুল কাশেমের এক ছেলে, ৩ ভাতিজা ও নাতি।র্যাবের দাবি অভিযুক্তরা তাদের কাছ থেকে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে।
গ্রামবাসীরা নাকি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে র্যাবের উপর হামলা চালিয়েছে। তাই তারা পালটা আক্রমণ করতে বাধ্য হয়েছে। আবুল কাশেম কিভাবে মারা গেছেন সে ব্যাপারে তারা কিছু জানে না। অথচ তাকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছে।র্যাবের বিরুদ্ধে আনিত প্রায় সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তারা একই জবাব দেয়, তারা ‘পালটা আক্রমণ করতে বাধ্য’ হয়েছে।
গত ২০১১ সালে ঝালকাঠিতে লিমন নামের এক যুবককেও পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পায়ে গুলি করে র্যাব। সেই ঘটনার এক যুগ পার হয়ে গেলেও, এখনও পুলিশ বের করতে পারেনি কারা লিমনকে গুলি করেছে।এভাবেই জবাবদিহিতার তোয়াক্কা না করা নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর হাতে প্রতিনিয়ত ঝরছে নিরীহ মানুষের তাজা রক্ত।
তথ্যসূত্র:
———
১। গ্রেফতারের কারণ জানতে চাওয়ায় গুলি, বৃদ্ধ নিহত
– https://tinyurl.com/2crnk2v5
২। গুলি করে হত্যার পর নিহত ব্যক্তির ছেলেসহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব
– https://tinyurl.com/ybfmmr98
৩। এক যুগেও পুলিশ জানে না লিমনকে কারা গুলি করেছিল
– https://tinyurl.com/3w6mnja5
হাসপাতালে আবুল কাশেমের মৃতদেহের পাশে তার স্ত্রী রমিজা বেগম ও চাচাতো বোন নাসিমা বেগম। ছবি: সংগৃহীত
গুম-খুনসহ নানাবিধ মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আন্তর্জাতিকভাবে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া একটি বাহিনী হচ্ছে বাংলাদেশের র্যাব। প্রতিনিয়ত এ বাহিনীর নির্যাতন-নিপীড়নে নিঃশেষ হচ্ছে অনেক পরিবার। সরকারের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে কুখ্যাত এই বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে ৬৫ বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধকে খুন করেছে র্যাব। গত ১৬ মার্চ গভীর রাতে র্যাবের এক সাদা পোশাক অভিযানের সময় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তির নাম আবুল কাশেম।নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে জিন্স প্যান্ট ও গ্যাঞ্জি পড়া কয়েকজন পাশের বাড়ির এক যুবককে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল। যুবকটির কান্নাকাটি ও চিৎকার শুনে আবুল কাশেম এগিয়ে যান এবং তাদের পরিচয় জানতে চান।
এতে নিজেদের র্যাব পরিচয়দানকারী সদস্যরা তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। ফলে আবু কাশেম হৈচৈ শুরু করেন। এসময় উত্তেজিত এক র্যাব সদস্য বৃদ্ধের পেটে গুলি করে।হৈচৈ ও গুলির শব্দে ডাকাত সন্দেহে ঘটনাস্থলে আরও কিছু প্রতিবেশি জড়ো হলে তাদেরকেও গুলি করে র্যাব।
এতে হুমায়ুন কবীর নামে আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এরপর বিচারবহির্ভুত এই অপরাধকে ঢাকতে উলটো নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসী ২১ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে র্যাব। পরের দিন নিহতের পরিবারের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে তারা। গ্রেপ্তারকৃত ৫ জনের মধ্যে রয়েছেন নিহত আবুল কাশেমের এক ছেলে, ৩ ভাতিজা ও নাতি।র্যাবের দাবি অভিযুক্তরা তাদের কাছ থেকে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে।
গ্রামবাসীরা নাকি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে র্যাবের উপর হামলা চালিয়েছে। তাই তারা পালটা আক্রমণ করতে বাধ্য হয়েছে। আবুল কাশেম কিভাবে মারা গেছেন সে ব্যাপারে তারা কিছু জানে না। অথচ তাকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছে।র্যাবের বিরুদ্ধে আনিত প্রায় সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তারা একই জবাব দেয়, তারা ‘পালটা আক্রমণ করতে বাধ্য’ হয়েছে।
গত ২০১১ সালে ঝালকাঠিতে লিমন নামের এক যুবককেও পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পায়ে গুলি করে র্যাব। সেই ঘটনার এক যুগ পার হয়ে গেলেও, এখনও পুলিশ বের করতে পারেনি কারা লিমনকে গুলি করেছে।এভাবেই জবাবদিহিতার তোয়াক্কা না করা নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর হাতে প্রতিনিয়ত ঝরছে নিরীহ মানুষের তাজা রক্ত।
তথ্যসূত্র:
———
১। গ্রেফতারের কারণ জানতে চাওয়ায় গুলি, বৃদ্ধ নিহত
– https://tinyurl.com/2crnk2v5
২। গুলি করে হত্যার পর নিহত ব্যক্তির ছেলেসহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব
– https://tinyurl.com/ybfmmr98
৩। এক যুগেও পুলিশ জানে না লিমনকে কারা গুলি করেছিল
– https://tinyurl.com/3w6mnja5
Comment