Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৯ জিলহজ, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৮ জুলাই, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৯ জিলহজ, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৮ জুলাই, ২০২৩ ঈসায়ী

    বছরের প্রথমার্ধে ২০৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল দখলদার ইসরাইলী বাহিনী




    চলতি ২০২৩ সালের শুরু থেকে গত জুন পর্যন্ত দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি মুসলিম হতাহত হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন এমন ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২০৬ জন বলে জানা গেছে। ইসরাইলি সৈনিকদের বিভিন্ন হামলায় এবং প্রতিরোধ যুদ্ধ পরিচালনাকালীন সময়ে এসকল ফিলিস্তিনি মুসলিমরা নিহত হয়েছেন।

    ফিলিস্তিন তথ্য কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুস ও তুলকারিম শহরে ইসরাইলি সেনাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ের প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলাকালে ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আর এই সময়টাতে সবচেয়ে বেশি মুসলিম প্রাণ হারিয়েছেন জেনিন শহরে; শহরটিতে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৬৪ জন। এছাড়াও ইসরাইলি বাহিনীর হামলার ফলে নাবলুসে ৪৬ জন এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ৩৭ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

    এমনিভাবে রামাল্লা শহরে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন, হেবরনে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন, অধিকৃত জেরুজালেমে নিহত হয়েছেন ৮ জন এবং তুলকারিমে ৬ জন। এছাড়াও অন্য ৪টি এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১০ জন ফিলিস্তিনি মুসলিম।
    বাকিরা ইহুদিদের দখলকৃত রাজধানী তেলআবিব সহ কেন্দ্রীয় শহরগুলোতে প্রাণ হারিয়েছেন।

    সাম্প্রতিক সময়ে মসজিদুল আকসা ভেঙে ইহুদিদের থার্ড টেম্পল নির্মাণের গুঞ্জন জোরেশোরে শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরাইলি বাহিনীগুলোর আগ্রাসনও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এটিও লক্ষণীয় যে, আরব ও মুসলিম বিশ্বের নিরবতা এবং পশ্চিমাদের সমর্থনে ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও ফিলিস্তিনি মুসলিমদের প্রতিরোধ যুদ্ধের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টিও বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এড়ায়নি।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আল-কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট করলো আমেরিকা-ইউরোপীয় ইউনিয়ন




    সাম্প্রতিক ইউরোপের খ্রিস্টান প্রধান দেশ সুইডেন একাধিকবার পবিত্র আল-কুরআন পুড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় দেশটির নাগরিক থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ পর্যন্ত প্রকাশ্যে পবিত্র আল-কোরআনকে পুড়িয়ে ইসলাম বিদ্বেষ জানান দিয়েছে। গত কিছুদিন পূর্বে ঈদুল আজহার সময় ফের কুরআন পুড়ালে মুসলিম বিশ্ব প্রতিবাদ, বিক্ষোভে ফেটে পরে। ওআইসিভুক্ত মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোও উদ্বেগ প্রকাশ করে।

    এরফলে গত ১১ জুলাই জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থায় (ইউএনএইচআরসি) এক জরুরি আলোচনা শুরু হয়। সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও গোঁড়ামির ওপর একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে সংস্থাটি। প্রস্তাবটি পাস হওয়ার জন্য সদস্য দেশগুলোর ভোট নেয়া হয়। ৪৭ সদস্য রাষ্ট্র বিশিষ্ট জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ২৮ টি রাষ্ট্র এই নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে এবং ১২ টি রাষ্ট্র এর বিপক্ষে ভোট দেয়। বাকি ৭টি রাষ্ট্র ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে।
    প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ও ভোটদানে বিরত থাকা দেশগুলোর তালিকা, ছবি: আল-জাজিরা।


    প্রস্তাবের পক্ষে ভোট প্রদানকারী দেশগুলো হলো- আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, বলিভিয়া, ক্যামেরুন, চীন, কিউবা, ইরিত্রিয়া, গ্যাবন, গাম্বিয়া, ভারত, আইভরি কোস্ট, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মালাউই, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মরক্কো, পাকিস্তান, কাতার, সেনেগাল, সোমালিয়া, দক্ষিন আফ্রিকা, সুদান, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনাম।

    উত্থাপিত প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল বেনিন, চিলি, জর্জিয়া, হন্ডুরাস, মেক্সিকো, নেপাল ও প্যারাগুয়ে।
    অন্যদিকে প্রস্তাবের বিরোধিতা করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম, কোস্টারিকা, চেক প্রজাতন্ত্র, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মন্টিনিগ্রো ও রোমানিয়া।

    পক্ষে-বিপক্ষে ভোটের পর প্রস্তাবটি পাস হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর বিরোধিতা করে বলেছে, এ প্রস্তাবটি মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার দিক দিয়ে তাদের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

    পশ্চিমা বিশ্ব ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণাত্বক কর্মকান্ডকে বাক-স্বাধীনতা বলে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত যুক্তিসঙ্গত প্রতিবাদকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা সন্ত্রাসবাদ বা বিশ্বের জন্য হুমকি বলে আখ্যা দেয়। কথিত এই হুমকি মোকাবেলায় ইরাক-আফগানে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করতেও কুন্ঠাবোধ করে না তারা।

    এমনিভাবে তাদের মত ও আদর্শের বিরুদ্ধে যাওয়ায় গত ৭৩ বছরে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩ কোটি মানুষ হত্যা করেছে অ্যামেরিকা। এমনকি তাদের দেশেও যারা বিশ্ববাসীর সামনে তাদের তথ্য সন্ত্রাসের মুখোশ খুলে দিয়েছে, তাদেরকেও ছাড় দেয় হয় না। উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক সদস্য এডওয়ার্ড স্নোডেনের কথা বলা যেতে পারে। তিনি ফাঁস করে দিয়েছেন যে প্রিজম কর্মসূচির আওতায় ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট, ইয়াহু, ইউটিউব এবং অ্যাপলসহ বিভিন্ন ইন্টারনেট জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানকে না জানিয়েই তাদের সার্ভারে সরাসরি প্রবেশ করে তথ্য সংগ্রহ করে আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসআই) ও ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। আর এরপরই তার ওপর নেমে আসে চরম নির্যাতন, দেশছাড়া হতে বাধ্য হন তিনি।

    আজকের দিনে পশ্চিমা দেশগুলোতে বহু মসজিদ ও ইসলামি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং নিয়মিতই মসজিদগুলোতে ইবাদত করতে দেয়া হয় কোন প্রকার বাধা-বিঘ্ন ছাড়াই। কিন্তু যখনই পবিত্র কুরআনের বিধান বা শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়, তখনই দুর্নীতি আর জুলুম-লুটপাটের উপর গড়ে উঠা ক্ষমতাবানদের ক্ষমতার মসনদ হুমকি অনুভব করে। আর একারণেই হয়তো তারা কুরআনের প্রতি এতো বিদ্বেষ লালন করে; কথিত বাকস্বাধীনতার মোড়কে যে বিদ্বেষের প্রকাশ ঘটে কুরআন পুড়িয়ে বা কুরআন পুড়ানোর অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে।

    তথ্যসূত্র:
    ——
    1. UN motion after Sweden Quran burning: How did your country vote?
    https://tinyurl.com/2cv2x7wm
    1. European states vote against Quran burning UN resolution
    https://tinyurl.com/ys3ymm37
    3. ৭৩ বছরে ৩ কোটি মানুষ হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র
    https://tinyurl.com/yrdphsrv



    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সুমহান প্রতিপালক বলেন,

      وَمَن يَرْغَبُ عَن مِّلَّةِ إِبْرَٰهِۦمَ إِلَّا مَن سَفِهَ نَفْسَهُۥۚ
      আর যে নিজেকে নির্বোধ বানিয়েছে, সে ছাড়া কে ইবরাহীমের আদর্শ থেকে বিমুখ হতে পারে?.. (সূরা বাকারাহ ২:১৩০)

      এভাবেই কাফির, নাস্তিক ও সন্দিগ্ধমনারা আকিদার ব্যাপারটি খেল বা তুচ্ছ গণ্য করে; তারা আকিদার সুমহান অবস্থান ও মর্যদা উপলব্ধি করতে অক্ষম! 'তারা আল্লাহর মর্যদা দেয় নি যখন তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন' (নাউজুবিল্লাহ মিন যালিক)। ফলে কাফিররা, নাস্তিকরা এসে বলবে আসো আমরা সবাই মিলে সেকুলারিজমের এক মোহনায় মিলিত হই! এবং তাতে সাড়া দিয়ে আমাদের জাতির মধ্যকার কিছু বলদ সেকুলারিজমকে ইন্টারমিডিয়েট দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করবে! আর বলতে থাকবে- দেখ দেখ তাদের জীবনযাপন, আরাম-আয়েশ; তারা কতই না সভ্য !!

      তারা যদি নূন্যতম সভ্যই হয়ে থাকে তাহলে ধর্মগ্রন্থ কুরআন পুড়ানোর মত কাপুরুষোচিত, হিংসুটে ছেলেমানুষী ও নির্বুদ্ধিতার কাজ করবে কেন?

      Comment


      • #4
        আল্লাহ মুসলিমদের আপনি হেফাজত করুন।
        মুসলিদের আবার জাগরত (জাগ্রত) হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন।
        Last edited by Munshi Abdur Rahman; 07-20-2023, 09:23 AM.

        Comment


        • #5
          Originally posted by omayer bin omar View Post
          আল্লাহ মুসলিমদের আপনি হেফাজত করুন।
          মুসলিদের আবার জাগরত (জাগ্রত) হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন।
          আমিন আল্লাহ আমদের হেফাজত করুন

          Comment


          • #6
            উম্মাহ নিউজ গুলো হৃদয় কে ব্যাথিত করে, অপরদিকে মুজাহিদীন নিউজ গুলো আশান্বিত করে।

            জাযাকাল্লাহ আল ফিরদাউস টিমকে, আমাদের সামনে সুন্দর ভাবে নিউজ গুলো উপস্থাপন করার জন্য।

            Comment

            Working...
            X