নুহ দাঙ্গার রেশ: গুরুগ্রামে মিললো আরও এক মুসলিমের বীভৎস লাশ
নিহত রাজ্জাক খানের নিথর দেহ
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের নুহ জেলায় গত মাসের মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার পর থেকেই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত ২১ আগস্ট আমীর খান নামক এক মুসলিম যুবকের বীভৎস মৃতদেহ উদ্ধারের পর এবার পার্শ্ববর্তী গুরুগ্রাম জেলায় পাওয়া গেল আব্দুর রাজ্জাক খান নামের একজন মুসলিমের লাশ।
জনাব আব্দুর রাজ্জাক নুহ জেলার তাপকান গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় অটোচালক আব্দুর রাজ্জাক খান ছাগল পরিবহণের ভাড়া নিয়ে পাশের গুরুগ্রাম শহরে গিয়েছিলেন ঘটনার আগের দিন। তবে রাত হয়ে যাওয়ার পরেও তাকে ফোনে খুঁজে না পাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পরেন তার পরিবারের সদস্যরা।
এরপর গত শুক্রবার অনেক খোঁজাখুজির পর তারা আব্দুর রাজ্জাকের লাশ খুঁজে পান। আর তার অটোরিক্সাটি পাওয়া যায় গুরুগ্রামের মারভেল মার্কেটের হোন্ডা চকে।
পরিবারের সদস্যরা জানান যে, তাকে অমানুষিক কায়দায় পিটিয়ে জখম করে হত্যা করা হয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাকের বড় ছেলে শাকির খান বাবার খুনের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, সাম্প্রতিক নুহ দাঙ্গার প্রেক্ষিতেই তার পিতাকে টার্গেট করা হয়েছে।
আরেক আত্মীয় জনাব মুইনুদ্দিন জানিয়েছেন যে, আব্দুর রাজ্জাক খান সাধারণ একজন মানুষ ছিলেন, অটোরিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাকে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ থেকেই হত্যা করে হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
তবে গুরুগ্রাম পুলিশ এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু বলছে না। প্রাথমিক তদন্তে এটাকে হত্যার ঘটনাই মনে হয়েছে পুলিশের, তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলেই কেবল তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারবেন।
কিন্তু এটা সত্য যে, সাম্প্রতিক সময়ে মেওয়াট অঞ্চলে মুসলিমদের উপর সাম্প্রদায়িক আক্রমণের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। একের পর এক সেখানে মুসলিমদের হেনস্তা ও আহত করার ঘটনার পাশাপাশি হামলা ও ছোটখাট দাঙ্গার ঘটনাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। গত বছর জুমার নামাজে বাঁধা দেওয়া সংক্রান্ত ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে এই এলাকাতেই।
সার্বিক পরিস্থিত বড় পরিসরে কিছু ঘটার সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করছে বলেই প্রতীয়মান হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২১ আগস্ট নিহত আমীর খানও ছিলেন পেশায় একজন অটোচালক। আর অটোচালকরা যেহেতু ভাড়া নিয়ে দিনে রাতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাতায়াত করেন, তাই তারা হিন্দুত্ববাদীদের হামলার সহজ শিকারে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি; যেমনটা ঘটেছে আমীর ও আব্দুর রাজ্জাকের ক্ষেত্রে।
তথ্যসূত্র:
1. Muslim man from Nuh found dead in Gurugram, family alleges mob killing
– https://tinyurl.com/4tb7hasu
2. Missing Muslim youth’s body found in Mewat, sister alleges beating death, calls for justice
– https://tinyurl.com/yc27cm7e
3. হরিয়ানায় মিললো নিখোঁজ মুসলিমের বীভৎস মৃতদেহ
– https://tinyurl.com/44k2sb8c
নিহত রাজ্জাক খানের নিথর দেহ
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের নুহ জেলায় গত মাসের মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার পর থেকেই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত ২১ আগস্ট আমীর খান নামক এক মুসলিম যুবকের বীভৎস মৃতদেহ উদ্ধারের পর এবার পার্শ্ববর্তী গুরুগ্রাম জেলায় পাওয়া গেল আব্দুর রাজ্জাক খান নামের একজন মুসলিমের লাশ।
জনাব আব্দুর রাজ্জাক নুহ জেলার তাপকান গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় অটোচালক আব্দুর রাজ্জাক খান ছাগল পরিবহণের ভাড়া নিয়ে পাশের গুরুগ্রাম শহরে গিয়েছিলেন ঘটনার আগের দিন। তবে রাত হয়ে যাওয়ার পরেও তাকে ফোনে খুঁজে না পাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পরেন তার পরিবারের সদস্যরা।
এরপর গত শুক্রবার অনেক খোঁজাখুজির পর তারা আব্দুর রাজ্জাকের লাশ খুঁজে পান। আর তার অটোরিক্সাটি পাওয়া যায় গুরুগ্রামের মারভেল মার্কেটের হোন্ডা চকে।
পরিবারের সদস্যরা জানান যে, তাকে অমানুষিক কায়দায় পিটিয়ে জখম করে হত্যা করা হয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাকের বড় ছেলে শাকির খান বাবার খুনের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, সাম্প্রতিক নুহ দাঙ্গার প্রেক্ষিতেই তার পিতাকে টার্গেট করা হয়েছে।
আরেক আত্মীয় জনাব মুইনুদ্দিন জানিয়েছেন যে, আব্দুর রাজ্জাক খান সাধারণ একজন মানুষ ছিলেন, অটোরিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাকে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ থেকেই হত্যা করে হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
তবে গুরুগ্রাম পুলিশ এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু বলছে না। প্রাথমিক তদন্তে এটাকে হত্যার ঘটনাই মনে হয়েছে পুলিশের, তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলেই কেবল তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারবেন।
কিন্তু এটা সত্য যে, সাম্প্রতিক সময়ে মেওয়াট অঞ্চলে মুসলিমদের উপর সাম্প্রদায়িক আক্রমণের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। একের পর এক সেখানে মুসলিমদের হেনস্তা ও আহত করার ঘটনার পাশাপাশি হামলা ও ছোটখাট দাঙ্গার ঘটনাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। গত বছর জুমার নামাজে বাঁধা দেওয়া সংক্রান্ত ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে এই এলাকাতেই।
সার্বিক পরিস্থিত বড় পরিসরে কিছু ঘটার সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করছে বলেই প্রতীয়মান হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২১ আগস্ট নিহত আমীর খানও ছিলেন পেশায় একজন অটোচালক। আর অটোচালকরা যেহেতু ভাড়া নিয়ে দিনে রাতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাতায়াত করেন, তাই তারা হিন্দুত্ববাদীদের হামলার সহজ শিকারে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি; যেমনটা ঘটেছে আমীর ও আব্দুর রাজ্জাকের ক্ষেত্রে।
তথ্যসূত্র:
1. Muslim man from Nuh found dead in Gurugram, family alleges mob killing
– https://tinyurl.com/4tb7hasu
2. Missing Muslim youth’s body found in Mewat, sister alleges beating death, calls for justice
– https://tinyurl.com/yc27cm7e
3. হরিয়ানায় মিললো নিখোঁজ মুসলিমের বীভৎস মৃতদেহ
– https://tinyurl.com/44k2sb8c
Comment