Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ২১ রবিউস সানী , ১৪৪২ হিজরী # ০৬ ডিসেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ২১ রবিউস সানী , ১৪৪২ হিজরী # ০৬ ডিসেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

    অমানবিক নির্যাতনে কারাগারে দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি হারালেন শাইখ সালমান আল আওদা


    ২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর থেকেই কারাগারে বন্দী আছেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্সের সহকারী মহাসচিব শাইখ সালমান আল-কুদার।

    প্রখ্যাত এ আলেম এবার কারাগারে হারিয়েছেন নিজের দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি। তার দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি হারানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।

    শাইখ সালমান আল-কুদারের ছেলে আবদুল্লাহ আল-আওদা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বাবা জেলে যাওয়ার আগে চোখে দেখতে পেতেন এবং কানে শুনতেন। জেলে থাকা অবস্থায় বাবার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। সৌদি সরকারের নির্দেশে তার ওপর নির্যাতন চালানোর কারণে অন্ধ ও বধির হয়ে গেছেন।বর্তমানে কারাগারে তিনি অনেক অসুস্থ। আমি আমার বাবার মুক্তির ব্যবস্থা করার জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সহযোগিতা কামনা করছি।

    রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার মিথ্যে অভিযোগে শাইখ সালমান আলকুদারকে সৌদি সরকার দীর্ঘ চার বছর ধরে কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি করে রেখেছে। পাশাপাশি তার পরিবারের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। সরকার বলছে তার সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্স একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তার ওপর আনিত অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে গত রমজান মাসে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এখনো তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ফিলিস্তিন | সন্ত্রাসবাদী ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনি কিশোর

    দখলকৃত পশ্চিম তীরে ১৩ বছর বয়সী কিশোর আলী আইমান নাসর আবু আলিয়া নামে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করে দখলদার ইসরায়েল।

    গত ৪ ডিসেম্বর পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আলী আইমান নিজ শহরে দখলদার ইহুদি সন্ত্রাসীদের অবৈধভাবে বসতি নির্মাণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করছিল।

    ফিলিস্তিনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গুলিবিদ্ধ আলীকে সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচার করাতে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু ছোট্ট কিশোর দেহটিতে অস্ত্রোপচারে কোন কাজ হয়নি। পরে হাসপাতালেই সে মৃত্যুবরণ করে।

    আন্তর্জাতিকভাবে শিশু হত্যা জঘন্যতম অন্যায় হিসেবে দেখা হলেও ফিলিস্তিনের বেলায় কোন পরওয়া করছেনা সন্ত্রাসী ইসরায়েল।

    উল্লেখ যে, ২০০০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ২,১১৯ জন শিশুকে হত্যা করে দখলদার ইসরায়েল।

    সূত্র : ওয়াফা নিউজ।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      নতুন ৫০০ ইহুদিকে ফিলিস্তিনে নিয়ে আসলো দখলদার ইসরাইল

      ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দখলদারি পাকাপোক্ত করতে আরও কয়েকশ’ ইহুদিকে আফ্রিকা থেকে নিয়ে এসেছে দখলদার ইসরাইল।

      ইসরাইলি সূত্রের খবর, ইসরাইলি সরকারের প্রচেষ্টায় ইথিওপিয়া থেকে ৫০০ ইহুদিকে আনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তারা এরই মধ্যে ইসরাইলে এসে পৌঁছেছে।

      ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর দখল করে বিভিন্ন উপশহর নির্মাণের পর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইহুদিবাদীদের সেখানে জড়ো করা হচ্ছে। এর আগেও নানা ধরণের লোভ দেখিয়ে আফ্রিকা থেকে বহু ইহুদিকে ইসরাইলে এনেছে দখলদারেরা।

      সম্প্রতি ইসরাইলি যুদ্ধমন্ত্রী বেনি গান্তজ বলেছিল, খুব শিগগিরই ইথিওপিয়া থেকে শত শত ইহুদি ইসরাইল এসে পৌঁছাবে। বেন গুরিয়ান বিমান বন্দরে তাদেরকে স্বাগত জানানো হবে বলেও এর আগে খবর বেরিয়েছিল।

      ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্যের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনি মুসলমানদেরকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত করে ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়।

      এখনও ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে বের করে দিয়ে নতুন নতুন উপশহর নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সমাজ মুখে এ ধরণের উপশহর নির্মাণের বিরোধিতা করলেও মূলত তাদের হয়েই কাজ করছে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সিলেটে নবীকে নিয়ে হিন্দু মালাউনের কটূক্তি

        সিলেটের বিশ্বনাথে নিজের ফেসবুকের স্টোরিতে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে একটি আপত্তিকর স্ক্রিনশট পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছে সুব্রত সোম (২২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। সে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের প্রয়াগমহল গ্রামের শৈলেন সোমের ছেলে।

        স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, কয়েকদিন আগে সুব্রত সোম নামের ফেসবুক আইডির স্টোরি অপশনে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে একটি আপত্তিকর মন্তব্যের স্ক্রিনশট আপলোড করা হয়। বিষয়টি মুসলিম অনেকের দৃষ্টিগোচর হলে তারা ক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন। অনেকে তাদের ফেসবুকে সুব্রতের পোস্টের স্ক্রিনশট দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

        ফেসবুকের ওই পোস্টের জেরে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হলে অভিযুক্ত সুব্রত সোমের বাড়িতে শুক্রবার সকাল থেকে চারজন পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

        আর এ মালাউনকে বাচাতে সাজানো হয়েছে আইডি হ্যাক হওয়ার গল্প।

        আইডি হ্যাক হওয়ায় সুব্রত সোম নিজের আইডিতে প্রবেশ করতে না পারলে কয়েক ঘণ্টা আগে ওই আইডি থেকে ক্ষমা চেয়ে একটি পোস্ট কীভাবে করা হয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি শামীম মুসা গণমাধ্যমকে বলেছে, ‘ক্ষমা চাওয়ার পোস্টটিও হ্যাকার করেছে।’
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          উইঘুর মুসলিমদের শুকরের মাংস খেতে বাধ্য করত চীন

          চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের মধ্যে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ মনোভাব তৈরী করতে বিশেষ শিবিরে নিয়ে জোর করে শুকরের মাংস খাওয়ানো হত।

          মুসলমানদের পবিত্র জুমার দিনে ওই প্রদেশের বন্দিশিবিরগুলোতে উইঘুরদের শুকরের মাংস খেতে বাধ্য করা হতো। আর এই মাংসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সেই অঞ্চলে শুকরের খামারও স্থাপন করা হয়।

          সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। সায়রাগুল সাউতবে নামের একজন পেশাদার চিকিৎসক ও শিক্ষক এই কথা জানান।

          প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলের ‘পুনঃশিক্ষা কেন্দ্র’ থেকে দুই বছর আগে সায়রাগুল মুক্তি পান। কিন্তু সেখানকার বন্দিশিবিরে সহ্য করা অপমান ও সহিংসতা তাকে এখনো তাড়া করে বেড়ায়।

          সম্প্রতি সায়রাগুল নিজের লেখা একটি বই প্রকাশ করেছেন। তাতে উল্লেখ করা দিনগুলোর স্মৃতি আজও তাকে রাতে ঘুমোতে দেয় না। বর্তমানে তিনি শিনজিয়াংয়ের ওই বন্দিশিবির থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে সুইডেনে থাকলেও পুরোনো দিনের আতঙ্ক তাকে আজও তাড়া করে বেড়ায়। আজ একজন সফল চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ হওয়ার পরেও যা ভুলতে পারেননি সায়রাগুল।

          বই প্রকাশের পর এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ওই ক্যাম্পে প্রতি শুক্রবার আমাদের জোর করে শুকরের মাংস খাওয়ানো হতো। ইচ্ছা করেই মুসলিমদের কাছে পবিত্র ওই দিনটি বেছে নিয়েছিল ওরা। কেউ ওই মাংস খেতে না চাইলে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হতো।’

          দুই সন্তানের মা সায়রাগুল সেই দুর্বিষহ দিনগুলোর কথা মনে করে বলেন, ‘আসলে ওরা আমাদের চিন্তাধারা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় আচার-আচরণগুলোকে আমাদের মন থেকে মুছে দিতে চাইত। ওদের প্রচেষ্টা যে সত্যিই কাজ করে তার প্রমাণও বহুবার পেয়েছি। যখনই বাধ্য হয়ে শুকরের মাংস খেতাম তখনই নিজেকে পুরো অন্য মানুষ মনে হতো। আমার চারিদিক অন্ধকার হয়ে যেত। সত্যি এটা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর ছিল।’
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X