ইসরাইলের সমর্থনে নৌবহর পাঠিয়েছে অ্যামেরিকা!
ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর শত বছরের ধারাবাহিক অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলের ভূখণ্ডে প্রবল আঘাত হেনেছেন ফিলিস্তিনি মুজাহিদরা, নিহত হয়েছে নয় শতাধিক ইহুদি, বন্দী হাজারোর্ধ্ব। ইসরাইলি আগ্রাসনে ইতিমধ্যে শাহাদাত বরণ করেছেন প্রায় সাতশত ফিলিস্তিনি।
তবে ফিলিস্তিনি মুজাহিদদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের বিপরীতে গাজা অঞ্চলে নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল, ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লক্ষাধিক গাজাবাসি।
এতোকিছুর পরেও দখলদার ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে কথিত বিশ্বমোড়ল হিসেবে পরিচিত পশ্চিমা দেশগুলো। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাতে ইসরাইলকে বরাবরের মতো এবারও সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে অ্যামেরিকা।
এরই মাঝে তারা সন্ত্রাসী ইসরাইলের সাহায্যার্থে বিমানবাহী রণতরী ও মিসাইলবাহী যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে, যা এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার কথা। ইসরাইলকে বিভিন্ন ধরণের সমরাস্ত্র সরবরাহ করার ঘোষণাও দিয়েছে মানবতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক এই দেশটি। গোটা বিশ্বের বিবেকবান মানুষরা যখন ইসরাইলি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণ ও মুজাহিদদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, সেখানে মানবতা ও বিবেক বিসর্জন দিয়ে সন্ত্রাসী ইসরাইলের পক্ষে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ করেছে অ্যামেরিকা, সেই সাথে গোটা পশ্চিমা বিশ্ব।
সন্ত্রাসী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি মুজাহিদিন ও সাধারণ জনগণের প্রতিআক্রমণের প্রথম দিনেই ইসরাইলকে সমর্থন প্রদান ও সাহায্য করার ঘোষণা দিয়েছিল পতনশীল বিশ্ব পরাশক্তির তকমা পাওয়া অ্যামেরিকা। অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিল, “ইসরাইলকে সব রকমের সহায়তা করার জন্য ওয়াশিংটন প্রস্তুত আছে।… আমরা কখনও ইসরাইলের পক্ষে দাঁড়াতে পিছপা হবো না।”
একই দিন গত ৮ অক্টোবর ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের হেড কোয়ার্টার থেকে একটু জরুরী প্রেস রিলিজ প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হয় যে, ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড কেরিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে পূর্ব ভূমধ্য সাগরে পাঠানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই স্ট্রাইক গ্রুপের অধীনে রয়েছে ইউএস নেভির এয়ারক্রাফট কেরিয়ার (বিমানবাহী রণতরী) ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড (CVN-78), টাইকনডেরগা ক্লাস গাইডেড মিসাইল কেরিয়ার ইউএসএস নরমান্ডি (CG 60) এবং আরলেই-বার্ক ক্লাস গাইডেড মিসাইল ডেসট্রয়ার ইউএসএস থমাস হাডনের (DDG 116), ইউএসএস রেমেজ (DDG 61), ইউএসএস কার্নে (DDG 64), এবং ইউএসএস রুজভেল্ট (DDG 80)।
এছাড়াও, তারা বলেছে যে, ঐ এলাকায় তারা ইউএস এয়ার ফোর্সের এফ-১৫ (F-15), এফ-১৬ (F-16) এবং এ-১০ (A-10) যুদ্ধবিমান মোতায়েনের ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তারা এমনকি পরবর্তীতে দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ‘প্রস্তুত সেনা’দের থেকেও প্রয়োজনে রি-ইনফোর্সমেন্ট সংগ্রহ করতে পারবে বলে জানিয়েছে।
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড তাদের ইসরাইলি ও আঞ্চলিক মিত্রদের পাশে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করবে এবং ঝুঁকি মোকাবেলা ও সংঘর্ষের ব্যাপকতা হ্রাস করতে কাজ করবে বলে জানিয়েছে।
অ্যামেরিকা তাদের ঘনিষ্ঠতম মিত্র ইসরাইলকে রক্ষায় কতটা তৎপর, এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে তারা কতোটা ত্বরিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে, সেটা আবারো প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং, এই অ্যামেরিকা ও পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত বিশ্বব্যবস্থা সুরক্ষিত রেখে যে ফিলিস্তিন-কাশ্মীর ও সিরিয়া-তুর্কিস্তান সহ মুসলিম উম্মাহর মুক্তি কখনোই সম্ভব নয়, সেই সত্যও আরো স্পষ্ট হয়েছে।
এখানে লক্ষণীয় যে, আরব শাসকদের তুলনায় ইরান ফিলিস্তিনের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করেছে। ইরান, রশিয়া ও চীন ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সরাসরি বিবৃতিও প্রদান করেছে।
কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ফিলিস্তিনের ঠিক পাশেই সিরিয়াতে ইরান-রাশিয়া জোট আসাদের পক্ষ নিয়ে সিরাইন মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে; ৫,৬ ও ৭ অক্টোবর এই ৩ দিনেই তারা সেখানে দুই শতাধিক মুসলিমকে হত্যা করেছে, যাদের উল্লেখযোগ্য অংশই নারী ও শিশু। চীন এখনো পূর্ব-তুর্কিস্তানের উপর নীরব গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।
সুতরাং, কথিত এই বিশ্বমোড়লদের প্রায় সকলেই মুসলিমদের রক্তে নিজেদের হাত রঞ্জিত করে যাচ্ছে। যদিও নিজ স্বার্থ হাসিলে বা পারস্পরিক প্রতিযোগিতায় সুবিধা অর্জনে তারা হয়তো মাঝে মাঝে মুসলিমদের পক্ষে কথা বলে থাকে। মুসলিমদেরকে তাই সকল পক্ষের প্রতিই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে, সকল শত্রুর মুখোশ উন্মোচন করে তাদের প্রকৃত চেহারা বিশ্ববাসীর সামনে প্রকাশ করে দিতে হবে।
তথ্যসূত্র:
1. US to send military ships, aircraft closer to Israel
– https://tinyurl.com/2s4jx3bd
2. What military aid the US is sending to Israel after Hamas attack?
– https://tinyurl.com/5x23fnxz
3. গাজা যেন সাক্ষাৎ মৃ’ত্যুপুরী
– https://tinyurl.com/pzm8ty6r
ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর শত বছরের ধারাবাহিক অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলের ভূখণ্ডে প্রবল আঘাত হেনেছেন ফিলিস্তিনি মুজাহিদরা, নিহত হয়েছে নয় শতাধিক ইহুদি, বন্দী হাজারোর্ধ্ব। ইসরাইলি আগ্রাসনে ইতিমধ্যে শাহাদাত বরণ করেছেন প্রায় সাতশত ফিলিস্তিনি।
তবে ফিলিস্তিনি মুজাহিদদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের বিপরীতে গাজা অঞ্চলে নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল, ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লক্ষাধিক গাজাবাসি।
এতোকিছুর পরেও দখলদার ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে কথিত বিশ্বমোড়ল হিসেবে পরিচিত পশ্চিমা দেশগুলো। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাতে ইসরাইলকে বরাবরের মতো এবারও সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে অ্যামেরিকা।
এরই মাঝে তারা সন্ত্রাসী ইসরাইলের সাহায্যার্থে বিমানবাহী রণতরী ও মিসাইলবাহী যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে, যা এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার কথা। ইসরাইলকে বিভিন্ন ধরণের সমরাস্ত্র সরবরাহ করার ঘোষণাও দিয়েছে মানবতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক এই দেশটি। গোটা বিশ্বের বিবেকবান মানুষরা যখন ইসরাইলি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণ ও মুজাহিদদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, সেখানে মানবতা ও বিবেক বিসর্জন দিয়ে সন্ত্রাসী ইসরাইলের পক্ষে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ করেছে অ্যামেরিকা, সেই সাথে গোটা পশ্চিমা বিশ্ব।
সন্ত্রাসী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি মুজাহিদিন ও সাধারণ জনগণের প্রতিআক্রমণের প্রথম দিনেই ইসরাইলকে সমর্থন প্রদান ও সাহায্য করার ঘোষণা দিয়েছিল পতনশীল বিশ্ব পরাশক্তির তকমা পাওয়া অ্যামেরিকা। অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিল, “ইসরাইলকে সব রকমের সহায়তা করার জন্য ওয়াশিংটন প্রস্তুত আছে।… আমরা কখনও ইসরাইলের পক্ষে দাঁড়াতে পিছপা হবো না।”
একই দিন গত ৮ অক্টোবর ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের হেড কোয়ার্টার থেকে একটু জরুরী প্রেস রিলিজ প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হয় যে, ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড কেরিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে পূর্ব ভূমধ্য সাগরে পাঠানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই স্ট্রাইক গ্রুপের অধীনে রয়েছে ইউএস নেভির এয়ারক্রাফট কেরিয়ার (বিমানবাহী রণতরী) ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড (CVN-78), টাইকনডেরগা ক্লাস গাইডেড মিসাইল কেরিয়ার ইউএসএস নরমান্ডি (CG 60) এবং আরলেই-বার্ক ক্লাস গাইডেড মিসাইল ডেসট্রয়ার ইউএসএস থমাস হাডনের (DDG 116), ইউএসএস রেমেজ (DDG 61), ইউএসএস কার্নে (DDG 64), এবং ইউএসএস রুজভেল্ট (DDG 80)।
এছাড়াও, তারা বলেছে যে, ঐ এলাকায় তারা ইউএস এয়ার ফোর্সের এফ-১৫ (F-15), এফ-১৬ (F-16) এবং এ-১০ (A-10) যুদ্ধবিমান মোতায়েনের ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তারা এমনকি পরবর্তীতে দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ‘প্রস্তুত সেনা’দের থেকেও প্রয়োজনে রি-ইনফোর্সমেন্ট সংগ্রহ করতে পারবে বলে জানিয়েছে।
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড তাদের ইসরাইলি ও আঞ্চলিক মিত্রদের পাশে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করবে এবং ঝুঁকি মোকাবেলা ও সংঘর্ষের ব্যাপকতা হ্রাস করতে কাজ করবে বলে জানিয়েছে।
অ্যামেরিকা তাদের ঘনিষ্ঠতম মিত্র ইসরাইলকে রক্ষায় কতটা তৎপর, এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে তারা কতোটা ত্বরিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে, সেটা আবারো প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং, এই অ্যামেরিকা ও পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত বিশ্বব্যবস্থা সুরক্ষিত রেখে যে ফিলিস্তিন-কাশ্মীর ও সিরিয়া-তুর্কিস্তান সহ মুসলিম উম্মাহর মুক্তি কখনোই সম্ভব নয়, সেই সত্যও আরো স্পষ্ট হয়েছে।
এখানে লক্ষণীয় যে, আরব শাসকদের তুলনায় ইরান ফিলিস্তিনের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করেছে। ইরান, রশিয়া ও চীন ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সরাসরি বিবৃতিও প্রদান করেছে।
কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ফিলিস্তিনের ঠিক পাশেই সিরিয়াতে ইরান-রাশিয়া জোট আসাদের পক্ষ নিয়ে সিরাইন মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে; ৫,৬ ও ৭ অক্টোবর এই ৩ দিনেই তারা সেখানে দুই শতাধিক মুসলিমকে হত্যা করেছে, যাদের উল্লেখযোগ্য অংশই নারী ও শিশু। চীন এখনো পূর্ব-তুর্কিস্তানের উপর নীরব গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।
সুতরাং, কথিত এই বিশ্বমোড়লদের প্রায় সকলেই মুসলিমদের রক্তে নিজেদের হাত রঞ্জিত করে যাচ্ছে। যদিও নিজ স্বার্থ হাসিলে বা পারস্পরিক প্রতিযোগিতায় সুবিধা অর্জনে তারা হয়তো মাঝে মাঝে মুসলিমদের পক্ষে কথা বলে থাকে। মুসলিমদেরকে তাই সকল পক্ষের প্রতিই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে, সকল শত্রুর মুখোশ উন্মোচন করে তাদের প্রকৃত চেহারা বিশ্ববাসীর সামনে প্রকাশ করে দিতে হবে।
তথ্যসূত্র:
1. US to send military ships, aircraft closer to Israel
– https://tinyurl.com/2s4jx3bd
2. What military aid the US is sending to Israel after Hamas attack?
– https://tinyurl.com/5x23fnxz
3. গাজা যেন সাক্ষাৎ মৃ’ত্যুপুরী
– https://tinyurl.com/pzm8ty6r
Comment