Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৪ রবিউল আওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী।। ১০ অক্টোবর, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৪ রবিউল আওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী।। ১০ অক্টোবর, ২০২৩ ঈসায়ী

    ইসরাইলের সমর্থনে নৌবহর পাঠিয়েছে অ্যামেরিকা!



    ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর শত বছরের ধারাবাহিক অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলের ভূখণ্ডে প্রবল আঘাত হেনেছেন ফিলিস্তিনি মুজাহিদরা, নিহত হয়েছে নয় শতাধিক ইহুদি, বন্দী হাজারোর্ধ্ব। ইসরাইলি আগ্রাসনে ইতিমধ্যে শাহাদাত বরণ করেছেন প্রায় সাতশত ফিলিস্তিনি।

    তবে ফিলিস্তিনি মুজাহিদদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের বিপরীতে গাজা অঞ্চলে নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল, ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লক্ষাধিক গাজাবাসি।

    এতোকিছুর পরেও দখলদার ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে কথিত বিশ্বমোড়ল হিসেবে পরিচিত পশ্চিমা দেশগুলো। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাতে ইসরাইলকে বরাবরের মতো এবারও সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে অ্যামেরিকা।

    এরই মাঝে তারা সন্ত্রাসী ইসরাইলের সাহায্যার্থে বিমানবাহী রণতরী ও মিসাইলবাহী যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে, যা এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার কথা। ইসরাইলকে বিভিন্ন ধরণের সমরাস্ত্র সরবরাহ করার ঘোষণাও দিয়েছে মানবতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক এই দেশটি। গোটা বিশ্বের বিবেকবান মানুষরা যখন ইসরাইলি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণ ও মুজাহিদদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, সেখানে মানবতা ও বিবেক বিসর্জন দিয়ে সন্ত্রাসী ইসরাইলের পক্ষে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ করেছে অ্যামেরিকা, সেই সাথে গোটা পশ্চিমা বিশ্ব।

    সন্ত্রাসী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি মুজাহিদিন ও সাধারণ জনগণের প্রতিআক্রমণের প্রথম দিনেই ইসরাইলকে সমর্থন প্রদান ও সাহায্য করার ঘোষণা দিয়েছিল পতনশীল বিশ্ব পরাশক্তির তকমা পাওয়া অ্যামেরিকা। অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিল, “ইসরাইলকে সব রকমের সহায়তা করার জন্য ওয়াশিংটন প্রস্তুত আছে।… আমরা কখনও ইসরাইলের পক্ষে দাঁড়াতে পিছপা হবো না।”

    একই দিন গত ৮ অক্টোবর ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের হেড কোয়ার্টার থেকে একটু জরুরী প্রেস রিলিজ প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হয় যে, ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড কেরিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে পূর্ব ভূমধ্য সাগরে পাঠানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই স্ট্রাইক গ্রুপের অধীনে রয়েছে ইউএস নেভির এয়ারক্রাফট কেরিয়ার (বিমানবাহী রণতরী) ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড (CVN-78), টাইকনডেরগা ক্লাস গাইডেড মিসাইল কেরিয়ার ইউএসএস নরমান্ডি (CG 60) এবং আরলেই-বার্ক ক্লাস গাইডেড মিসাইল ডেসট্রয়ার ইউএসএস থমাস হাডনের (DDG 116), ইউএসএস রেমেজ (DDG 61), ইউএসএস কার্নে (DDG 64), এবং ইউএসএস রুজভেল্ট (DDG 80)।

    এছাড়াও, তারা বলেছে যে, ঐ এলাকায় তারা ইউএস এয়ার ফোর্সের এফ-১৫ (F-15), এফ-১৬ (F-16) এবং এ-১০ (A-10) যুদ্ধবিমান মোতায়েনের ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তারা এমনকি পরবর্তীতে দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ‘প্রস্তুত সেনা’দের থেকেও প্রয়োজনে রি-ইনফোর্সমেন্ট সংগ্রহ করতে পারবে বলে জানিয়েছে।

    ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড তাদের ইসরাইলি ও আঞ্চলিক মিত্রদের পাশে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করবে এবং ঝুঁকি মোকাবেলা ও সংঘর্ষের ব্যাপকতা হ্রাস করতে কাজ করবে বলে জানিয়েছে।

    অ্যামেরিকা তাদের ঘনিষ্ঠতম মিত্র ইসরাইলকে রক্ষায় কতটা তৎপর, এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে তারা কতোটা ত্বরিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে, সেটা আবারো প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং, এই অ্যামেরিকা ও পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত বিশ্বব্যবস্থা সুরক্ষিত রেখে যে ফিলিস্তিন-কাশ্মীর ও সিরিয়া-তুর্কিস্তান সহ মুসলিম উম্মাহর মুক্তি কখনোই সম্ভব নয়, সেই সত্যও আরো স্পষ্ট হয়েছে।

    এখানে লক্ষণীয় যে, আরব শাসকদের তুলনায় ইরান ফিলিস্তিনের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করেছে। ইরান, রশিয়া ও চীন ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সরাসরি বিবৃতিও প্রদান করেছে।

    কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ফিলিস্তিনের ঠিক পাশেই সিরিয়াতে ইরান-রাশিয়া জোট আসাদের পক্ষ নিয়ে সিরাইন মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে; ৫,৬ ও ৭ অক্টোবর এই ৩ দিনেই তারা সেখানে দুই শতাধিক মুসলিমকে হত্যা করেছে, যাদের উল্লেখযোগ্য অংশই নারী ও শিশু। চীন এখনো পূর্ব-তুর্কিস্তানের উপর নীরব গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।

    সুতরাং, কথিত এই বিশ্বমোড়লদের প্রায় সকলেই মুসলিমদের রক্তে নিজেদের হাত রঞ্জিত করে যাচ্ছে। যদিও নিজ স্বার্থ হাসিলে বা পারস্পরিক প্রতিযোগিতায় সুবিধা অর্জনে তারা হয়তো মাঝে মাঝে মুসলিমদের পক্ষে কথা বলে থাকে। মুসলিমদেরকে তাই সকল পক্ষের প্রতিই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে, সকল শত্রুর মুখোশ উন্মোচন করে তাদের প্রকৃত চেহারা বিশ্ববাসীর সামনে প্রকাশ করে দিতে হবে।


    তথ্যসূত্র:

    1. US to send military ships, aircraft closer to Israel
    https://tinyurl.com/2s4jx3bd
    2. What military aid the US is sending to Israel after Hamas attack?
    https://tinyurl.com/5x23fnxz
    3. গাজা যেন সাক্ষাৎ মৃ’ত্যুপুরী
    https://tinyurl.com/pzm8ty6r

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কাশ্মীরের রাজৌরিতে সেনাক্যাম্পে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণ


    হিন্দুত্ববাদী ভারত দখলকৃত কাশ্মীরে দেশটির দখলদার সেনাবাহিনী


    ভারত দখলকৃত কাশ্মীরের রাজৌরি জেলাস্থ দখলদার ভারতীয় বাহিনীর একটি সেনাক্যাম্পে সহকর্মীর গুলিতে ৩ অফিসার সহ অন্তত ৫ সেনা সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত ঐ সেনা অফিসার ক্যাম্পের ভেতরে তার সহকর্মীদের উদ্দেশ্য করে গুলি নিক্ষেপ ও গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন বলে জানা যায়।

    গত ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের রাজৌরি অঞ্চলের থানামন্দির নিলি পোস্টে এই ঘটনা ঘটে।

    ঘটনার কয়েকদিন ধরেই উক্ত ক্যাম্পে ফায়ারিং প্র্যাকটিস চলছিল বলে পিটিআই সূত্রে জানা গেছে। আর অভিযুক্ত ঐ সেনা অফিসার ছিলেন মেজর পদমর্যাদার অধিকারী; শুটিং প্র্যাকটিস সেশন চলাকালে তিনি কোন উস্কানি ছাড়াই তার সহকর্মী ও অধস্তন সেনা সদস্যদের লক্ষ করে গুলি চালাতে শুরু করেন বলে সেনাসূত্র জানিয়েছে। এরপর তিনি ছুটে অস্ত্র গুদামে আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং সেখান থেকে তার সিনিয়র সেনা অফিসারদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে থাকেন। আর সেনাসূত্র তার গ্রেনেড নিক্ষেপের ফলে কেবল একজন সেনা আহত হওয়ার দাবি করেছে একটি এক্স পোস্টে।

    শ্বাসরুদ্ধকর এই পরিস্থিতি দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা যাবত চলমান ছিল।

    তবে ঘটনাটি স্বাধীনতাকামী কোন সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘটানো হয়েছে কি না, সে বিষয়ে যুক্তি পাল্টা যুক্তি প্রদর্শন চলছে।
    এবিষয়ে জম্মু ভিত্তিক প্রতিরক্ষা দফতরের লে. কর্নেল সুনিল বারাতওয়াল এক বার্তায় বলেছে, “আমি রাজৌরি অঞ্চলের সেনাক্যাম্পে গোলাগুলি বা সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে ফোনকল পেয়েছি। আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, এটা কোন সন্ত্রাসী হামলা ছিল না। এটা ছিল ক্যাম্পের দুর্ভাগ্যজনক আভ্যন্তরীণ কোন্দল।”

    তবে, ঘটনার পরপরই ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী একটি গ্রাম সম্পূর্ণ খালি করে দেওয়া হয়। বিষয়টি সার্বিক ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ তৈরি করছে।

    সন্দেহের আরও একটি কারণ হলো এই যে, এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত অফিসারের নাম-পরিচয় কিছুই প্রকাশ করা হয়নি।


    তথ্যসূত্র:
    1. Three army officers injured as colleague opens fire, explodes grenades inside camp in J-K’s Rajouri
    https://tinyurl.com/2pdusdhz
    2. 3 army officers among 5 injured as colleague opens fire, explodes grenades
    https://tinyurl.com/d7fcsyd9

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ২৪৪৫


      ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ধ্বংসস্তুপের মাঝে একজন বয়োজ্যেষ্ঠ আফগান


      আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে এখন পর্যন্ত ২৪০০ এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমারতে ইসলামিয়া কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ১১ টার দিকে আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে পর পর ৬ বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। হেরাত শহরের মাত্র ৪০ কি.মি. দূরে সবচেয়ে শক্তিশালী ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। প্রতিবেশী প্রদেশ বাদগিস এবং ফারাহ প্রদেশেও এই ভূমিকম্পের তীব্রতা অনুভব করা গেছে।

      দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোল্লা জানান সাইক বলেছেন, এখন পর্যন্ত ২৪৪৫ জন মানুষ মারা গেছেন, আহত হয়েছেন আরও দুই হাজারেরও বেশি। হেরাত প্রদেশের জিন্দা জান জেলার ১৩টি গ্রামের মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১৩২০টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।
      ভূমিকম্পে হতাহতদের উদ্ধার কার্যক্রম তাৎক্ষণিকভাবেই চালিয়েছেন ইমারতে ইসলামিয়া কর্তৃপক্ষ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আহতদের চিকিৎসা করতে একটি মেডিকেল টিম পাঠিয়েছে।

      অর্থ প্রতিমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার আখুন্দের নেতৃত্বে সরকারের সম্মানিত প্রতিনিধিদল হেরাতের দুর্যোগ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সেখানে সঠিকভাবে সাহায্য বিতরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরা।
      গতকাল সোমবার এক প্রেস কনফারেন্সে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান সাইক জানান, ৩৫টি উদ্ধারকারী দলের ১০০০ এরও বেশি সদস্যকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ দুর্যোগ কবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে।

      এদিকে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে আফগানিস্তান জুড়ে সাধারণ মানুষ সাহায্য সংগ্রহ করছেন। ওষুধ, নগদ অর্থের পাশাপাশি আহতদের রক্তদানেও এগিয়ে আসছেন সাধারণ মানুষ।
      কান্দাহার তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান ইনামুল্লাহ সামানগানি বলেছেন, “লোকদের থেকে রক্ত সংগ্রহ করুন এবং তা সঠিক সময়ে হেরাতে পাঠান।”

      ইমারতে ইসলামিয়া কর্তৃপক্ষ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তারা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।


      তথ্যসূত্র:
      1. Death Toll from Herat Earthquake Rise to 2,445
      https://tinyurl.com/49drr2vr
      2. 35 Aid Team Arrived in Herat to Help Earthquake-Affected People: Spokesman
      https://tinyurl.com/ymepbwfd
      3. Nationwide Collection of Aid Donations for Earthquake Victims Begins
      https://tinyurl.com/4tss9pv4

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মনিপুরে জাতিগত সংঘাতে বাড়ছে অজ্ঞাত লাশ: গোটা অঞ্চলই হুমকিতে



        উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মনিপুরে মে মাস থেকেই চলছে হিন্দুপ্রধান মেইতেইদের সাথে খ্রিস্টানপ্রধান কুকি-চিনদের জাতিগত সংঘাত। এরই মাঝে সংঘাত সশস্ত্র রূপ ধারণ করেছে, গ্রামে গ্রামে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটছে আইইডি বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও। উভয় পক্ষে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লাশের সংখ্যা।

        সংঘাত শুরুর কয়েক মাসে নিহত হয়েছে শত শত মানুষ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ীই মনিপুরে জাতিগত সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৭৫ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছে হাজারের উপর এবং অনেকে এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
        কুকিদের মধ্যেই অন্তত ৪১ হাজার জন আশ্রয় নিয়েছে অস্থায়ী শিবিরে।
        দাঙ্গা শুরুর পর থেকে মনিপুরের তিনটি বড় হাসপাতালের মর্গে ৯৬টি লাশ পড়ে আছে। এই লাশগুলো নিতে কেউ এখনো যোগাযোগ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে।

        এই ঘটনাগুলোই সংঘাতের তীব্রতা ও পরিস্থিতির ভয়াবহতা স্পষ্ট করে দেয়।

        বিবাদমান মেইতেই ও কুকিচিন গোষ্ঠী দুটি রাজ্যের দুটি ভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলে বসবাস করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে এক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ অন্য জাতির ভূখণ্ডে যেতে পারে না। সমগ্র মনিপুর রাজ্য জাতিগত ভিত্তিতে ভাগ হয়ে গেছে। আর নিহতের আত্মীয়স্বজনেরা মূলত এই ভয়েই হাসপাতাল থেকে স্বজনদের লাশ নিতে যাচ্ছে না।

        মনিপুরের রাজধানী ইম্ফলের সিনিয়র সাংবাদিক ওয়াহেংবাম টেকেন্দর সিং বিবিসিকে বলেন, জাতিগত সহিংসতায় নিহত ৯৬ জনের লাশ ইম্ফলের দুটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে- রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস, জওহরলাল নেহেরু ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস; আরও কিছু লাশ রয়েছে চুড়াচাঁদপুরের রিজিওনাল মেডিকেল কলেজে।

        ইম্ফল উপত্যকায় মেইতেই গোষ্ঠীর আধিপত্য রয়েছে এবং এখানকার দুটি হাসপাতালে রাখা লাশগুলো কুকি নৃগোষ্ঠীর অন্তর্গত। অপরদিকে, চুড়াচাঁদপুরের জেলা মেডিক্যাল হাসপাতালে যে লাশগুলো রাখা হয়েছে তার মধ্যে কুকি এবং মেইতেই উভয় গোষ্ঠীরই দেহ রয়েছে, যদিও তাদের মধ্যে কুকিদের লাশের সংখ্যা বেশি।

        মেইতেই ও কুকিচিন উভয় জাতির লোকেদের মধ্যে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে গিয়ে আবার উভয় পক্ষেরই রোষানলে পরার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মনিপুরের পাঙ্গাল মুসলিমদের জন্য। এর মধ্যে উভয় পক্ষ বা কোন এক পক্ষ যদি মুসলিমদের সাথে সংঘাতে জড়ায়, তাহলে মনিপুরে শুরু হবে ত্রিমুখী সংঘর্ষ।

        উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে খ্রিস্টান কুকিচিন জাতির সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠী কেএনএফ ইতিমধ্যে স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে যুদ্ধ শুরু করেছে। আবার হিন্দুপ্রধান জেএসএস ও জেএসডি এই দুই দলের সাথেও চাঁদা তোলা সহ অন্যান্য ইস্যুতে তাদের সংঘাত হচ্ছে নিয়মিতই।

        সুতরাং, এই গোটা অঞ্চলই যে সংঘাতের স্পষ্ট হুমকিতে রয়েছে, সেটা বললে অত্যুক্তি হবে না।


        তথ্যসূত্র:
        ১। মনিপুরের মর্গে পড়ে থাকা বেওয়ারিশ লাশ শনাক্ত করছে না কেউ কিন্তু কেন?
        https://tinyurl.com/4pnuz2my
        ২। মনিপুরের মর্গে ৯৬ লাশ
        https://tinyurl.com/bpah6kzd
        ৩। Manipur Violance: 175 Dead, 1100 Injured, 96 Unclaimed Bodies in Hospitals
        https://tinyurl.com/p6ajr9yx

        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ফিলিস্তিন পরিস্থিতি নিয়ে ইমারতে ইসলামিয়ার বিবৃতি



          গত ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর উপর ইসরাইলি ভূখণ্ডে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী আক্রমণ চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী মুসলিম যোদ্ধারা। এতে এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক সন্ত্রাসবাদী ইহুদি সেনা নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও প্রায় এক হাজার। এখনো নিখোঁজ রয়েছে শত শত ইহুদি, যাদের মধ্যে প্রায় শতাধিকের বন্দী হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
          বিপরীতে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর আক্রমণেও প্রায় তিনশত ফিলিস্তিনি মুসলিম শাহাদাতবরণ (ইনশাআল্লাহ) করেছেন।

          ফিলিস্তিনে চলমান এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বিবৃতি দিয়েছেন ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

          বিবৃতিতে বলা হয়, ইমারতে ইসলামিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গাজা উপত্যকার সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। ইহুদিবাদী ইসরায়েলিরা যে এতদিন ধরে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘন করছে, বার বার মুসলিমদের পবিত্র স্থানগুলোকে অসম্মান করছে, এগুলোই সাম্প্রতিক ঘটনার পেছনের কারণ।

          ইসলামি ইমারত ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়; ফিলিস্তিনিদের পবিত্র মূল্যবোধের যেকোনো ধরনের প্রতিরক্ষা ও প্রতিরোধকে ফিলিস্তিনিদের বৈধ অধিকার হিসেবে বিবেচনা করে।

          বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক ভূমিতে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র থাকাকে তাদের ন্যায্য, ঐতিহাসিক এবং বৈধ অধিকার হিসেবে সমর্থন করে।

          ইসলামি দেশসমূহ, ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (OIC), আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিশেষভাবে ঐ অঞ্চলে যেসব দেশের প্রভাব আছে, তাদেরকে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলী দখলদার বাহিনীর আগ্রাসনকে বাধা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার প্রদান করে ফিলিস্তিন ইস্যুর সমাধানে কাজ শুরু করতেও বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।


          তথ্যসূত্র:
          1. IEA-MoFA statement reagrding recent events in the Gaza Strip
          https://tinyurl.com/5hdaxay4

          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ইসরাইলের সমর্থনে নৌবহর পাঠিয়েছে অ্যামেরিকা!
            রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কালো পতাকাবাহি বাহিনীর অগ্রযাত্রা শুরুর স্থান বলে গেছেন খোরাসান, আর সেই কালো পতাকা গেঁড়ে দেয়ার স্থান, লক্ষ্য ও গন্তব্য বলে গেছেন বায়তুল মুকাদ্দাস (আল আকসা)।

            হযরত ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
            “যখন তোমরা দেখবে, কালো পতাকাগুলো খোরাসানের দিক থেকে এসেছে, তখন তাদের সাথে যুক্ত হয়ে যেও। কেননা, তাদেরই মাঝে আল্লাহর খলীফা মাহদি থাকবে”।
            (মুসনাদে আহমাদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৭৭; কানজুল উম্মাল, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ২৪৬; মিশকাত শরীফ, কেয়ামতের আলামত অধ্যায়)

            হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
            “যখন কালো পতাকাগুলো পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে বের হবে, তখন কোন বস্তু তাদেরকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না। এমনকি এই পতাকাকে ইলিয়ায় (বাইতুল মুকাদ্দাসে) উত্তোলন করা হবে (খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে)”।
            (সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ২২৬৯;মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ৮৭৬০)


            সেই আল আকসা কে উদ্ধারের লক্ষ্য নির্ধারন করে গেছেন, এবং তার ওয়াদার উপর থেকেই শাহাদাতের স্বাদ আস্বাদন করেছেন শাইখ ওসামা রহিমাহুল্লাহ। তিনি এই উম্মাহের সামনে স্পষ্ট করে গেছেন আমেরিকাই আল আকসা উদ্ধারে আমাদের প্রধান বাঁধা।

            কেউকি আজও সন্দেহে আছেন, আমেরিকা কে আক্রমণের মূল লক্ষ্য নির্ধারণে শাইখের দূরদর্শিতার ব্যাপারে?
            Last edited by Rakibul Hassan; 10-12-2023, 10:33 AM.

            Comment

            Working...
            X