Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০১ রবিউল আখির, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০১ রবিউল আখির, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ ঈসায়ী

    দখলদার ইসরায়েলের জন্য অ্যামেরিকার অশ্রু ও সাহায্য!



    ইউএস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সমন্বয়ক জন কিরবি গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে কেঁদেছে।
    তার এই কান্না যুগ যুগ ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য ছিলনা। বরং সে কেঁদেছে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হামাসের প্রতিরোধ যুদ্ধে হতাহত জালেম ইহুদিদের জন্য।

    অফিসিয়াল হিসাবমতে আফগানিস্তানে নিহত দুই লাখ ৪৩ হাজার মুসলিমদের জন্যেও সে কাঁদেনি। মার্কিন হামলায় প্রতিদিন গড়ে ৫ জন নিহত শিশুর জন্যও কাঁদেনি কোন অ্যামেরিকান। তাদের হাতে নিহত ১১ লাখ ২০ হাজার ইরাকি মুসলিমের জন্যেও কাঁদেনি তাদের কেউ, যে নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল শিশু।

    কিরবি ও অ্যামেরিকানদের চোখের পানি ঝরেছে কেবল দখলদার সন্ত্রাসীর তকমা পাওয়া ইসরায়েলি ইহুদিদের জন্য, যারা কিনা যুগের পর যুগ নির্বিচারে হত্যা করে যাচ্ছে অসহায় ফিলিস্তিনি মুসলিম নারী-পুরুষ ও শিশুদের। তাদের হামলা ও আল্টিমেটামের মুখে উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণ গাজায় স্থানান্তরিত হতে থাকা মুসলিমদের বহরে পর্যন্ত হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে অন্তত ৭০ জন মুসলিমকে; গাজার হাসপাতাল, স্কুল ও সাধারণ মুসলিমদের বাড়িঘর এবং রোগীবাহী এম্বুলেন্সগুলো লক্ষ্য করে যারা হামলা করেছে এবং করছে, তাদের জন্য অশ্রু বিসর্জন করছে মার্কিনীরা।

    সিরিয়ায় নিহত ৬ লাখ ১৩ হাজার মানুষের জন্যেও তাদের মনোকষ্ট হয়নি, চোখে পানি আসেনি।
    আর খ্রিস্টান প্রধান ইউক্রেনের যুদ্ধকে প্রলম্বিত করার ক্ষেত্রে তারা অস্ত্র প্রেরণ ও ব্যবসা করেছে ঠিকই। তবে হতাহতের শিকার ১৫ লাখ ইউক্রেনীয়র জন্যেও তারা কোন অশ্রুবিসর্জন করেনি।

    তবে, জাকিম বীচে যারা ৪ জন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করলো, তাদের জন্য চোখের পানি ফেলছে অ্যামেরিকা; আর জায়নবাদী সন্ত্রাস ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে অবতীর্ণ গাজার মুজাহিদদের আখ্যা দিয়েছে সন্ত্রাসী হিসেবে। অসহায় গাজাবাসীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত যুদ্ধাপরাধ করতে থাকা ইসরায়েলকে তারা সামরিক সহায়তা দিচ্ছে, তাদের জন্য যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীর বহর পাঠাচ্ছে, সীমান্তে মোতায়েন করছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ও অস্ত্রশস্ত্র।

    ইসরায়েল এমনকি ফসফরাস বোমা ব্যবহার করেছে নিরীহ গাজাবাসীর উপর। পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্য সবকিছুর সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে সেখানে। তবুও তারা পাচ্ছে অ্যামেরিকা সহ পশ্চিমা বিশ্বের নিরঙ্কুশ সমর্থন।

    শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ প্রায় দুই দশক আগে যে কথা বলে গেছেন যে, আমেরিকা হচ্ছে সাপের মাথা আর এই সাপের মাথা যতদিন টিকে থাকবে ততদিন ইসরায়েলের জুলুম নির্যাতন বন্ধ হবে না। আজ যেন তা চোখের সামনে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে সাড়া বিশ্ব।

    আল্লাহ্ তাআলা জায়নবাদের পৃষ্ঠপোষক এই পতনোন্মুখ বিশ্বমোড়ল অ্যামেরিকা ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের পতনকে আরও তরান্বিত করুণ; সেই সাথে ধ্বংস করুণ সিরিয়া, ফিলিস্তিন, ইরাক, ইয়েমেন, মালি, সোমালিয়া, চেচনিয়া, তুর্কিস্তান, কাশ্মীর, আরাকান ও ওয়াজিরিস্তান সহ অন্যান্য সকল স্থানে মুসলিম হত্যাযজ্ঞে নেতৃত্বদানকারী সকল পক্ষকে। আমীন।


    তথ্যসূত্র:

    1. Only tears for Israel
    https://tinyurl.com/5n8bwr33
    2. Israel drops 6000 bombs on Gaza
    https://tinyurl.com/2x4w59ye
    3. UK sends ships, Royal Marines and spy planes to help Israel as Germany lends drones to bomb Gaza and US warships ‘ready’
    https://tinyurl.com/5xh4afsf
    4. BREAKING: Israel has used white phosphorus in military operations in Gaza…
    https://tinyurl.com/bdhywssa


    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 10-18-2023, 03:41 PM.
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের জেরে অ্যামেরিকায় ৬ বছরের শিশু খুন




    ফিলিস্তিনি মুজাহিদদের সাথে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের রেশ ধরে অ্যামেরিকার শিকাগো শহরের উপকণ্ঠে ৬ বছর বয়সি এক ফিলিস্তিনি শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ৭১ বছর বয়সি এক বৃদ্ধ। হামলায় আহত হয়েছে শিশুটির মা। গত ১৪ অক্টোবর শনিবার শিকাগো শহরের উপকণ্ঠে উইল কাউন্টিতে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

    গোয়েন্দা রিপোর্ট নিশ্চিত করেছে যে, শুধুমাত্র মুসলিম পরিচয়ের কারণেই নিহত শিশু আর তার মায়ের উপর এই নৃশংস হামলা চালিয়েছে এই বৃদ্ধ। আর হামাস-ইসরায়েল চলমান সংঘাতই এই হামলার কারণ।

    সবচেয়ে বড় নির্মমতা হল এই যে, ওয়াদে আল ফাইউম নামের ৬ বছর বয়সি শিশুটিকে অন্তত ২৬ বার আর্মিদের ব্যবহৃত মানের ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। অটোপ্সি রিপোর্ট থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো।

    আর ফাইউমের আহত মা হান্নান শাহীনকে ছুরিতাঘাত করা হয়েছে অন্তত ১২ বার।

    জোসেফ জুবা নামের ৭১ বছর বয়স্ক অভিযুক্ত ব্যক্তি শিকার করেছে ইসরায়েল-হামাস দ্বন্দ্বের রেশ ধরেই সে মুসলিমদের উপর প্রতিশোধ নিতে এই হামলা চালিয়েছে।



    শিকাগো শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দুরে নিজ বাড়িতে ঐ শিশু আর তার মাকে আহত হয়ে পরে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

    উইল কাউন্টি শেরিফের অফিস থেকে প্রাথমিকভাবে হত্যাকারীর ধর্মপরিচয় প্রকাশ না করা হলেও, ঘটনা বর্ণনায় সকলেই ধারণা করছেন যে সে ইহুদি। আর তার ছবি প্রকাশের পর সামাজিক মাধ্যমে তাকে শনাক্ত করেছেন অনেকেই।

    ইহুদিরা বরাবরই মুসলিম শিশুদের প্রতি জিঘাংসু মনোভাব পোষণ করে। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডেও অবৈধ বসতি স্থাপনকারী দখলদার ইহুদি ও ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকে শিশুরা। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও এখন সেই ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে।



    তথ্যসূত্র:
    1. 6-year-old Palestinian American boy is killed in anti-Muslim attack in Illinois, authorities say
    https://tinyurl.com/asnbmvs3
    2. Palestinian-American boy stabbed to death in Gaza war-related killing in US
    https://tinyurl.com/53mn8f4r
    3. যুক্তরাষ্ট্রে ৬ বছরের ফিলিস্তিনি শিশুকে ২৬ বার ছুরিকাঘাতে হত্যা
    https://tinyurl.com/2s8tdvt6

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইহুদিরা বরাবরই মুসলিম শিশুদের প্রতি জিঘাংসু মনোভাব পোষণ করে। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডেও অবৈধ বসতি স্থাপনকারী দখলদার ইহুদি ও ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকে শিশুরা। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও এখন সেই ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে।
      কারণ ইহুদিরা কাপুরুষ, সত্যিকার পুরুষ হলে তারা পুরুষদের সাথেই সামনাসামনি মোকাবেলায় আসতো।

      Comment


      • #4
        সবাই স্ব স্ব জায়গা থেকে প্রস্তুতি নেন। নিজের মাথায় প্লান তৈরি করুন। আর সুযোগ খুঁজতে থাকুন। একাকি থাকলে একাকি আর সংঘবদ্ধ থাকলে সংঘবদ্ধ হয়ে ইজরায়েল, আমিরিকান, এবং জাতিসংঘের সদস্যদের উপর আক্রমণ করুন। তাদের স্বার্থে আঘাত আনুন। এবং যতদিন পর্যন্ত তাদেরকে এশিয়া, ইউরোপ, এবং আফ্রিকা মহাদেশ থেকে একেবারে বিতারিত করতে না পারবেন ততদিন ধারাবাহিক ভাবে এই লড়াই চালিয়ে যান।
        পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

        Comment

        Working...
        X