দখলদার ইসরায়েলের জন্য অ্যামেরিকার অশ্রু ও সাহায্য!
ইউএস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সমন্বয়ক জন কিরবি গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে কেঁদেছে।
তার এই কান্না যুগ যুগ ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য ছিলনা। বরং সে কেঁদেছে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হামাসের প্রতিরোধ যুদ্ধে হতাহত জালেম ইহুদিদের জন্য।
অফিসিয়াল হিসাবমতে আফগানিস্তানে নিহত দুই লাখ ৪৩ হাজার মুসলিমদের জন্যেও সে কাঁদেনি। মার্কিন হামলায় প্রতিদিন গড়ে ৫ জন নিহত শিশুর জন্যও কাঁদেনি কোন অ্যামেরিকান। তাদের হাতে নিহত ১১ লাখ ২০ হাজার ইরাকি মুসলিমের জন্যেও কাঁদেনি তাদের কেউ, যে নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল শিশু।
কিরবি ও অ্যামেরিকানদের চোখের পানি ঝরেছে কেবল দখলদার সন্ত্রাসীর তকমা পাওয়া ইসরায়েলি ইহুদিদের জন্য, যারা কিনা যুগের পর যুগ নির্বিচারে হত্যা করে যাচ্ছে অসহায় ফিলিস্তিনি মুসলিম নারী-পুরুষ ও শিশুদের। তাদের হামলা ও আল্টিমেটামের মুখে উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণ গাজায় স্থানান্তরিত হতে থাকা মুসলিমদের বহরে পর্যন্ত হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে অন্তত ৭০ জন মুসলিমকে; গাজার হাসপাতাল, স্কুল ও সাধারণ মুসলিমদের বাড়িঘর এবং রোগীবাহী এম্বুলেন্সগুলো লক্ষ্য করে যারা হামলা করেছে এবং করছে, তাদের জন্য অশ্রু বিসর্জন করছে মার্কিনীরা।
সিরিয়ায় নিহত ৬ লাখ ১৩ হাজার মানুষের জন্যেও তাদের মনোকষ্ট হয়নি, চোখে পানি আসেনি।
আর খ্রিস্টান প্রধান ইউক্রেনের যুদ্ধকে প্রলম্বিত করার ক্ষেত্রে তারা অস্ত্র প্রেরণ ও ব্যবসা করেছে ঠিকই। তবে হতাহতের শিকার ১৫ লাখ ইউক্রেনীয়র জন্যেও তারা কোন অশ্রুবিসর্জন করেনি।
তবে, জাকিম বীচে যারা ৪ জন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করলো, তাদের জন্য চোখের পানি ফেলছে অ্যামেরিকা; আর জায়নবাদী সন্ত্রাস ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে অবতীর্ণ গাজার মুজাহিদদের আখ্যা দিয়েছে সন্ত্রাসী হিসেবে। অসহায় গাজাবাসীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত যুদ্ধাপরাধ করতে থাকা ইসরায়েলকে তারা সামরিক সহায়তা দিচ্ছে, তাদের জন্য যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীর বহর পাঠাচ্ছে, সীমান্তে মোতায়েন করছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ও অস্ত্রশস্ত্র।
ইসরায়েল এমনকি ফসফরাস বোমা ব্যবহার করেছে নিরীহ গাজাবাসীর উপর। পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্য সবকিছুর সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে সেখানে। তবুও তারা পাচ্ছে অ্যামেরিকা সহ পশ্চিমা বিশ্বের নিরঙ্কুশ সমর্থন।
শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ প্রায় দুই দশক আগে যে কথা বলে গেছেন যে, আমেরিকা হচ্ছে সাপের মাথা আর এই সাপের মাথা যতদিন টিকে থাকবে ততদিন ইসরায়েলের জুলুম নির্যাতন বন্ধ হবে না। আজ যেন তা চোখের সামনে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে সাড়া বিশ্ব।
আল্লাহ্ তাআলা জায়নবাদের পৃষ্ঠপোষক এই পতনোন্মুখ বিশ্বমোড়ল অ্যামেরিকা ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের পতনকে আরও তরান্বিত করুণ; সেই সাথে ধ্বংস করুণ সিরিয়া, ফিলিস্তিন, ইরাক, ইয়েমেন, মালি, সোমালিয়া, চেচনিয়া, তুর্কিস্তান, কাশ্মীর, আরাকান ও ওয়াজিরিস্তান সহ অন্যান্য সকল স্থানে মুসলিম হত্যাযজ্ঞে নেতৃত্বদানকারী সকল পক্ষকে। আমীন।
তথ্যসূত্র:
1. Only tears for Israel
– https://tinyurl.com/5n8bwr33
2. Israel drops 6000 bombs on Gaza
– https://tinyurl.com/2x4w59ye
3. UK sends ships, Royal Marines and spy planes to help Israel as Germany lends drones to bomb Gaza and US warships ‘ready’
– https://tinyurl.com/5xh4afsf
4. BREAKING: Israel has used white phosphorus in military operations in Gaza…
– https://tinyurl.com/bdhywssa
ইউএস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সমন্বয়ক জন কিরবি গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে কেঁদেছে।
তার এই কান্না যুগ যুগ ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য ছিলনা। বরং সে কেঁদেছে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হামাসের প্রতিরোধ যুদ্ধে হতাহত জালেম ইহুদিদের জন্য।
অফিসিয়াল হিসাবমতে আফগানিস্তানে নিহত দুই লাখ ৪৩ হাজার মুসলিমদের জন্যেও সে কাঁদেনি। মার্কিন হামলায় প্রতিদিন গড়ে ৫ জন নিহত শিশুর জন্যও কাঁদেনি কোন অ্যামেরিকান। তাদের হাতে নিহত ১১ লাখ ২০ হাজার ইরাকি মুসলিমের জন্যেও কাঁদেনি তাদের কেউ, যে নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল শিশু।
কিরবি ও অ্যামেরিকানদের চোখের পানি ঝরেছে কেবল দখলদার সন্ত্রাসীর তকমা পাওয়া ইসরায়েলি ইহুদিদের জন্য, যারা কিনা যুগের পর যুগ নির্বিচারে হত্যা করে যাচ্ছে অসহায় ফিলিস্তিনি মুসলিম নারী-পুরুষ ও শিশুদের। তাদের হামলা ও আল্টিমেটামের মুখে উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণ গাজায় স্থানান্তরিত হতে থাকা মুসলিমদের বহরে পর্যন্ত হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে অন্তত ৭০ জন মুসলিমকে; গাজার হাসপাতাল, স্কুল ও সাধারণ মুসলিমদের বাড়িঘর এবং রোগীবাহী এম্বুলেন্সগুলো লক্ষ্য করে যারা হামলা করেছে এবং করছে, তাদের জন্য অশ্রু বিসর্জন করছে মার্কিনীরা।
সিরিয়ায় নিহত ৬ লাখ ১৩ হাজার মানুষের জন্যেও তাদের মনোকষ্ট হয়নি, চোখে পানি আসেনি।
আর খ্রিস্টান প্রধান ইউক্রেনের যুদ্ধকে প্রলম্বিত করার ক্ষেত্রে তারা অস্ত্র প্রেরণ ও ব্যবসা করেছে ঠিকই। তবে হতাহতের শিকার ১৫ লাখ ইউক্রেনীয়র জন্যেও তারা কোন অশ্রুবিসর্জন করেনি।
তবে, জাকিম বীচে যারা ৪ জন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করলো, তাদের জন্য চোখের পানি ফেলছে অ্যামেরিকা; আর জায়নবাদী সন্ত্রাস ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে অবতীর্ণ গাজার মুজাহিদদের আখ্যা দিয়েছে সন্ত্রাসী হিসেবে। অসহায় গাজাবাসীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত যুদ্ধাপরাধ করতে থাকা ইসরায়েলকে তারা সামরিক সহায়তা দিচ্ছে, তাদের জন্য যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীর বহর পাঠাচ্ছে, সীমান্তে মোতায়েন করছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ও অস্ত্রশস্ত্র।
ইসরায়েল এমনকি ফসফরাস বোমা ব্যবহার করেছে নিরীহ গাজাবাসীর উপর। পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্য সবকিছুর সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে সেখানে। তবুও তারা পাচ্ছে অ্যামেরিকা সহ পশ্চিমা বিশ্বের নিরঙ্কুশ সমর্থন।
শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ প্রায় দুই দশক আগে যে কথা বলে গেছেন যে, আমেরিকা হচ্ছে সাপের মাথা আর এই সাপের মাথা যতদিন টিকে থাকবে ততদিন ইসরায়েলের জুলুম নির্যাতন বন্ধ হবে না। আজ যেন তা চোখের সামনে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে সাড়া বিশ্ব।
আল্লাহ্ তাআলা জায়নবাদের পৃষ্ঠপোষক এই পতনোন্মুখ বিশ্বমোড়ল অ্যামেরিকা ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের পতনকে আরও তরান্বিত করুণ; সেই সাথে ধ্বংস করুণ সিরিয়া, ফিলিস্তিন, ইরাক, ইয়েমেন, মালি, সোমালিয়া, চেচনিয়া, তুর্কিস্তান, কাশ্মীর, আরাকান ও ওয়াজিরিস্তান সহ অন্যান্য সকল স্থানে মুসলিম হত্যাযজ্ঞে নেতৃত্বদানকারী সকল পক্ষকে। আমীন।
তথ্যসূত্র:
1. Only tears for Israel
– https://tinyurl.com/5n8bwr33
2. Israel drops 6000 bombs on Gaza
– https://tinyurl.com/2x4w59ye
3. UK sends ships, Royal Marines and spy planes to help Israel as Germany lends drones to bomb Gaza and US warships ‘ready’
– https://tinyurl.com/5xh4afsf
4. BREAKING: Israel has used white phosphorus in military operations in Gaza…
– https://tinyurl.com/bdhywssa
Comment