Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৩ রবিউল আখির, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৩ রবিউল আখির, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ ঈসায়ী

    সিমেন্ট প্ল্যান্টের জন্য ইমারতে ইসলামিয়ার ২০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি



    ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের খনি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় জাবাল সারাজ পারওয়ান সিমেন্ট প্ল্যান্টের জন্য একটি কাতারি কোম্পানি ও দুটি দেশীয় কোম্পানির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আর্থিক মূল্য ২০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

    চুক্তি-স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন খনি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী সাহাবুদ্দিন দেলওয়ার। তিনি বলেন, এই চুক্তির মেয়াদ ৩০ বছর। প্রতি বছর এই সিমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে দেড় মিলিয়ন টন সিমেন্ট উৎপাদন করা হবে। আমরা আগামী এক বা দুই বছরের মধ্যে সিমেন্ট উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো এবং সিমেন্ট রপ্তানিও করব ইনশাআল্লাহ্‌।

    ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আফগানিস্তানের আরেকটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প কাশকারি খনি থেকে ১ হাজার টন তেল নিষ্কাশন করা হবে বলে জানান তিনি। “জানুয়ারিতে আমাদের তেল নিষ্কাশন ১ হাজার টনে বৃদ্ধি পাবে। গতকাল আমি দেখেছি এক টনের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য ৭০৯ মার্কিন ডলার।”

    এদিকে সিমেন্ট প্ল্যান্টের প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার মাধ্যমে ৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
    কাতারি কোম্পানির প্রধান বলেন, “খনি মন্ত্রণালয়ের সাথে আমাদের কোম্পানির দশ মাসের বেশি সময় ধরে আলোচনা হয়েছে, এবং আমরা অবশেষে চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। চুক্তি স্বাক্ষরের পর আমরা যত দ্রুত সম্ভব আফগানিস্তানে আমাদের কার্যক্রম শুরু করব।”

    এর আগে খনি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী স্থানীয় একটি ফার্মের সাথে কান্দাহারে সিমেন্টের চুক্তি করেছেন। কোম্পানিটি প্রকল্পে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ঐ প্রকল্পের বাৎসরিক ১ মিলিয়ন টন সিমেন্ট উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।

    উল্লেখ্য, এ নিয়ে এই বছরে খনি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিমেন্ট প্রকল্পে স্বাক্ষর করেছেন। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৪৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।


    তথ্যসূত্র:

    1. Contracts Signed to Run Cement Plant With Qatari, Afghan Companies
    https://tinyurl.com/2bd73ecn

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ফিলিস্তিনে মানবিক সহায়তা প্রবেশে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো অ্যামেরিকার


    জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ বিষয়ে কোন স্পষ্ট বক্তব্য না থাকায় গাজায় সাহায্য প্রেরণ ও যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত রেজলুশনটি একাই আটকে দেয় ইসরায়েলের পরম মিত্র অ্যামেরিকা।

    গতকাল ১৮ অক্টোবর বুধবার জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে বলেছে যে, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র হতাশ। কারণ এই প্রস্তাবে ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকার’এর কথা উল্লেখ করা হয়নি।

    জবরদখলের শিকার ভূমি মালিকরা জবরদখলকারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করলে সেটাকে সন্ত্রাস আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। আর এরপর দখলদার শক্তি আবারো জুলুমের শিকার ব্যক্তিবর্গের উপর হত্যাযজ্ঞ চালালে তখন সেটাকে বলা হচ্ছে দখলদার শক্তির ‘আত্মরক্ষার অধিকার’। খুবই দুর্বোধ্য এই অধিকারের সংজ্ঞা, যা সুস্থ মনমস্তিস্ক মেনে নিতে পারে না।

    যদিও রেজলুশনটিতে হামাস যোদ্ধাদের ইসরায়েলে অভিযান চলানোর বিষয়ে নিন্দা পর্যন্ত করা হয়েছে, কিন্তু ‘আত্মরক্ষার অধিকারের’ নামে ইসরায়েল বেসামরিক জনগণ হত্যা করার বিষয়টির সমর্থনে কিছু না বলায় চটেছে ইসরায়েলের অভিভাবক খ্যাত অ্যামেরিকা।

    লিন্ডা থমাস আরও বলেছে যে, “বিশ্বের অন্যান্য জাতির মতো ইসরায়েলেরও আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে; যেমনটা বর্ণিত আছে ইউএন চার্টারের (জাতিসংঘ সনদ) আর্টিকেল ৫১তে।”

    অ্যামেরিকা অবশ্য দাবি করেছে যে, চলমান সংঘাত নিরসনে তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। তবে প্রতিদিনই মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে যে, গাজার বাড়িঘর হাসপাতাল সহ প্রায় সকল ধরণের বেসামরিক স্থাপনায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো, আর ইসরায়েলকে তাদের এই গণহত্যা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সহায়তায় দিয়ে যাচ্ছে অ্যামেরিকা ও অন্যান্য পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো।

    আর এরই মধ্যে মার্কিন নীতিনির্ধারকদের এমন মন্তব্য করতেও শোনা যাচ্ছে যে, গাজার এই সংকট সহসাই শেষ হচ্ছে না, বরং যুদ্ধ আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে যাচ্ছে।

    চলমান ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধে যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবনাটি এনেছিল ব্রাজিল। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ টি দেশের মধ্যে ১২ টি দেশ; একমাত্র অ্যামেরিকা ভোট দিয়েছে প্রস্তাবের বিপক্ষে। আর গাজার মুসলিমদের পক্ষে কথা বলেনি রাশিয়া বা যুক্তরাজ্যও, ভোট দানে বিরত ছিল এই দুই দেশ।

    নিরপেক্ষ বিশ্লেষকদের মতে, কথিত এই পরাশক্তিগুলো মূলত পারস্পরিক বিবাদ মীমাংসার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকার জন্য কিংবা স্বার্থ আদায়ের দরকষাকষিতে এগিয়ে থাকার কৌশল হিসেবে মাঝে মাঝে মুসলিমদের পক্ষে কথা বলে থাকে। একারণেই আমরা অ্যামেরিকাকে চীনের বিরুদ্ধে উইঘুর ইস্যু নিয়ে বা চীন-রাশিয়াকে ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে বিবৃতি প্রদান করতে দেখি। অথচ সকলের হাত মুসলিমদের রক্তে রঞ্জিত।
    তবে অ্যামেরিকা তার পতনের সময়েও ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষী এজেন্ডা বাস্তবায়নে কোন কমতি করছে না।


    তথ্যসূত্র:

    1. US vetoes UN resolution calling for humanitarian pause in Israel-Hamas war
    https://tinyurl.com/3cr943kk
    2. পক্ষে ভোট দেয় ১২ দেশ, ভোটদানে বিরত থাকে ২ দেশ | Gaza US Veto on UN
    https://tinyurl.com/27a473sa



    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      “গাজায় ইসলাম ও মুসলিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হচ্ছে” – সোমালিয়ার জিলবে বিক্ষোভ



      অপারেশন “আল-আকসা ফ্লাড”এর সমর্থন এবং গাজা স্ট্রিপের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সোমালিয়ার শরিয়া শাসিত জিলব শহরের বাসিন্দারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। গত ২৯ রবিউল আউয়াল, দক্ষিণ সোমালিয়ার জুবা রাজ্যের জিলব শহরে ফিলিস্তিনকে সমর্থন ও তাদের বিজয় কামনায় বিক্ষোভে ফেটে পরেন ইসলামি অঞ্চলে বসবাসরত মুসলিমরা।

      শরিয়া শাসিত অঞ্চলের পুরুষ, মহিলা এবং শিশুরা ব্যানার নিয়ে ও “আল্লাহু আকবর” ধ্বনিতে চারিদিক মুখরিত করেন। তারা তাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের সমর্থনে রাজপথে নেমে আসেন। তাদের বহনকৃত ব্যানারের লিখার মধ্যে ছিল- “জেরুজালেমকে ইহুদিকরণ করা হবে না,” “আমরা এক জাতি, জেরুজালেমের দিকে চোখ রেখে লড়াই করছি সোমালিয়ায়”, “তারা বীরত্বের দাবিদার, এবং যদি তারা সিংহের মুখ না দেখে থাকে, তবে তারা সবাই ইঁদুর”, “গাজায় যা হচ্ছে তা ইসলাম এবং এর জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ,” “রক্ত, রক্ত, ধ্বংস, ধ্বংস, এবং বাস্তুচ্যুতির সাথে বাস্তুচ্যুতি,” “ আমরা আসছি, হে আকসা,” “ফিলিস্তিন ইস্যু গোটা মুসলিম জাতির ইস্যু,” “আমাদের হৃদয় প্যালেস্টাইনে এবং আমাদের দেহ সোমালিয়ায়,” “আমরা সারা বিশ্বকে বলি ফিলিস্তিনের সমস্যা আমাদের সমস্যা।”

      বাসিন্দারা ইসরায়েলি দখলদারিত্বের পতাকা পুড়িয়ে দেয়।

      আয়োজিত সমাবেশে জড়ো হয় যেখানে উলামা-মাশায়েখ এবং স্থানীয় মুরব্বি ও উমারাগণের ফিলিস্তিনের সংঘাত সম্পর্কে দিকনির্দেশনামূলক বক্তৃতা শ্রবণ করেন জনগণ।

      ইসলামিক অঞ্চলের বাসিন্দারা অধিকৃত ফিলিস্তিনের ঘটনাগুলির প্রতি ব্যাপক প্রতিক্রিয়া প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করেছেন। স্থানীয় রেডিও স্টেশনগুলি অধিকৃত ফিলিস্তিনের ঘটনাগুলির ব্যাপারে ব্যাপক ও ধারাবাহিক কভারেজ প্রদান করেছে।

      লোয়ার শাবেল রাজ্যের বাসিন্দারা একই ধরনের বিক্ষোভে বেরিয়েছিলেন। আলেমগণও জুমার খুতবায় ইহুদি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের যুদ্ধে সমর্থন করার দায়িত্ব সম্পর্কে বয়ান করেন। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জিহাদের মাধ্যমে মুসলিমদের সম্মান পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব সম্পর্কেও তাঁরা কথা বলেছেন। ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য প্রার্থনাও করা হয় মিম্বার থেকে।

      জিলব সহ শাবেলি রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলে বসবাসরত মুসলিমদের বিক্ষোভ সমাবেশের কিছু চিত্র আমরা উপস্থাপন করছি আল-ফিরদাউসের সম্মানিত পাঠকদের জন্য উপস্থাপন করছি।

      সকল ছবি একসাথে দেখুন – https://files.fm/u/w3947xsc3r



      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ফটো-রিপোর্ট || ফিলিস্তিনের সমর্থনে দক্ষিণ সোমালিয়ার লোয়ার শাবেলি রাজ্যে বিক্ষোভ


        দক্ষিণ সোমালিয়ার আশ-শাবাব নিয়ন্ত্রিত ইসলামিক অঞ্চল লোয়ার শাবেলির বাসিন্দারা গাজায় ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন সর্বস্তরের মুসলিমরা। সেই সাথে ইসরায়েলি আগ্রাসনে কথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন প্রদানের নিন্দা জানিয়েছেন বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা। ফিলিস্তিন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে তাদের পূর্ণ একাত্মতা ঘোষণা করেন উপস্থিত জনতা।

        ইসলামি অঞ্চলের বাসিন্দারা ইসরায়েলি বাহিনীকে ধরে নিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের ছবি এবং ইহুদি সৈন্যদের মৃতদেহ প্রদর্শন করা ব্যানার বহন করেন, যেখানে লেখা ছিল “খায়বার, খায়বার, হে ইহুদিরা, মুহাম্মদের বাহিনী ফিরে এসেছে।”
        সাধারণ মুসলিমদের বহন করা ব্যানারগুলিতে আরও লেখা ছিল, “গাজা: একটি শহরের গল্প, যা গর্বের মূল্য পরিশোধ করছে”, এবং “আমরা আসছি, হে আল-আকসা।”
        “প্রিয় প্যালেস্টাইন, ভেবো না ‘আমরা তোমাদের ভুলে গেছি।’ না, তোমরা আমাদের হৃদয় দরজায় আছ; আমরা দিগন্তে বিজয়ের স্পষ্ট রেখা দেখছি।”

        পুরুষ, মহিলা এবং শিশুরা “আল্লাহু আকবর” ধ্বনিতে চারিদিক মাতিয়ে তুলে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’র ব্যানার নিয়ে বেরিয়েছিল; কারণ সোমালিয়ার মুসলমানদের মধ্যে ফিলিস্তিন একটি মহান স্থান দখল করে আছে।

        অপারেশন আল-আকসা ফ্লাডের ঘটনা এবং এর প্রতিক্রিয়া নিয়ে ইসলামিক অঞ্চলসমূহের স্থানীয় রেডিওতে ব্যাপক কভারেজ পায়। সেই সাথে কাভারেজ পায় ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে আশ-শাবাব নেতৃত্বের প্রদত্ত বিবৃতি।

        হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিনের জেনারেল কমান্ড “আল-আকসা ফ্লাড” যুদ্ধের প্রশংসা করে একটি বিবৃতি জারি করেছেন এবং মুসলিম জাতির পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনে জিহাদের সমর্থনের সুপারিশ করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে: ” পূর্ব আফ্রিকার আপনাদের মুজাহিদিন ভাইরা আপনাদের এই মহাকাব্যিক অভিযানকে পূর্ণ সমর্থন করে। ফিলিস্তিনের শোকাহত ভূমি, আমরা আপনাকে আশ্বাস দিচ্ছি যে, আপনাদের মুক্তির জন্য আত্মত্যাগে আমরা আমরা পিছিয়ে পড়তাম না। আমরা যদি আপনার কাছে আসার একটি পথ খুঁজে পেতাম, তবে আমরা আপনাদের সাহায্যের জন্য আসতে দেরি করতাম না। আপনারা সেখানে প্যালেস্টাইনের জন্য সংগ্রাম করছেন, আর আমরা পূর্ব আফ্রিকার ভূমিতে সংগ্রাম করছি। কিন্তু আমাদের চোখ জেরুজালেমকে দেখছে, আর আমাদের হৃদয় আপনার সাথে রয়েছে। আমাদের শত্রু এবং আপনাদের শত্রু একই। তারা ইসলাম ও মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে। পৃথিবীর পূর্ব, পশ্চিম, দক্ষিণ ও উত্তরে মুসলিম জনগণের বিরুদ্ধে জুলুম ও আগ্রাসনের জন্য তারা বাহিনী তৈরি করেছে। আমরা এখনও জিহাদে আছি এবং তাদের রক্ষা করছি এবং আমাদের মিলন হবে আল-আকসার প্রাঙ্গণে, উল্লাস ও উচ্ছ্বসিত অবস্থায়। ইনশাআল্লাহ্।

        সোমালিয়ার মুসলমানরা বিশ্বাস করেন যে, ইহুদি দখলদারিত্ব থেকে ফিলিস্তিনের সম্পূর্ণ মুক্তি প্রত্যেক মুসলমানের জন্য একটি ফরজ কর্তব্য।

        এদিকে, কেনিয়ার সংবাদ মাধ্যম ফিলিস্তিনের প্রতি সোমালি জনগণের সম্প্রীতির দিকটির উপর আলোকপাত করেছে। কেনিয়ার সরকারও ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে যে, আশ-শাবাব মুজাহিদিন ফিলিস্তিনের মুসলমানদের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে কেনিয়ায় হামলা চালাতে পারে, কারণ সোমালিয়ার সাধারণ মুসলিম ও মুজাহিদরা ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার জন্য পূর্ণ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

        ফিলিস্তিনের সমর্থনে শাবাব নিয়ন্ত্রিত লোয়ার শাবেলি রাজ্যে মুসলিমদের বিক্ষোভ সমাবেশের কিছু দৃশ্য দেখুন –

        সকল ছবি একসাথে – https://files.fm/u/atymffa24s

        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          বর্তমানে সমগ্র বিশ্বের কাফেরদের মনযোগ হল ফিলিস্তিন, জেরুজালেম, এবং মসজিদে আকসা দখলের দিকে তার পর মসজিদে নববী এবং মসজিদে হারামের দিকে। তারা তাই ফিলিস্তিনের বাসিন্দাদেরকে অল্প অল্প করে হত্যা করত। এবং তাদের এই আগ্রাসন থেকে মুসলিম উম্মাহর মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ইজরায়েল এবং আমেরিকার সহায়তায় তারা বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের মুসলিমের উপর অত্যাচার করত। যাতে মুসলিমদের মনযোগ ফিলিস্তিনের দিকে না থেকে অন্য দিকে থাকে। এবং ঘটনা প্রবাহ অন্য দিকে চলে যায়। তাই মুসলিম উম্মাহ যদি সব কিছু ছেড়ে এই তিনটি মসজিদ রক্ষার্থে মনযোগ দেয়। এবং কাফেরদেরকে এ ক্ষেত্রে পরাভূত করে তাহলে বর্তমানে মুসলিমদের সামগ্রিক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।আর আফগানিস্তানও তাদের টার্গেট ছিল কিন্তু আল্লাহর রহমতে সেখানে তারা পরাজিত হয়েছে।
          পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

          Comment

          Working...
          X