Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ১৪ জমাদিউল আউয়াল , ১৪৪২ হিজরী # ৩০ ডিসেম্বর , ২০২০ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ১৪ জমাদিউল আউয়াল , ১৪৪২ হিজরী # ৩০ ডিসেম্বর , ২০২০ ঈসায়ী

    উত্তরপ্রদেশে কথিত ‘লাভ জিহাদ’ আইন: এক মাসে গ্রেফতার ৫১


    ভারতজুড়ে বির্তকের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে ঘটা করে কথিত ‘লাভ জিহাদ’ আইন পাশ করেছিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। সেই আইন বলবৎ হওয়ার এক মাস পূর্ণ হয়েছে। এই ৩০ দিনে ওই আইনে ১৪টি মামলা দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মোট ৫১ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৯ জন এখনও জেলে রয়েছেন।

    উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকারের রিপোর্ট অনুসারে, ১৪টি মামলার মধ্য ১৩টি মামলাই হিন্দু মেয়েদের সংক্রান্ত। এই মামলাগুলিতে হিন্দু মেয়েদের জোর করে মুসলিমে রূপান্তরিত করার চেষ্টা হয়েছিল বলে মিথ্যে অভিযোগ।

    এই আইনে আজমগড়ের ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি মামলাগুলির ৩টি বিজনৌরের, ২টি শাহজাহানপুরের। বাকি বরেলি, মুজাফফরনগর, মৌ, সীতাপুর, হারদই, কনৌজ এবং মোরাদাবাদ জেলার।

    যোগী সরকাররের আনা এই আইন ২৭ নভেম্বর মঞ্জুর করেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল। ২৮ নভেম্বর থেকে তা যোগী রাজ্যে প্রয়োগ শুরু হয়। এই আইনে প্রথম মামলাটি দায়ের হয়েছিল বরেলিতে। একটি মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে।

    তবে এই আইন প্রয়োগ করা নিয়ে ভারতে সমালোচনা কম হয়নি। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনও বলেছে, ‘এখন ‘ক্রিমিনাল অ্যাক্ট অব লাভ জিহাদ’ বলা হচ্ছে। তলিয়ে দেখলে বোঝা যায় ‘লাভ’ বা প্রেমের মধ্যে কোনও ‘জিহাদ’ নেই। একে মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে। জীবন যাপনের অধিকার তো মৌলিক অধিকার হিসেব স্বীকৃত। কিন্তু এই আইনের ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।’

    সূত্র: ডয়চে ভেলে
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    জামালপুরে অবহেলায় রোগীর মৃত্যু: এলাকাবাসীর সড়ক অবরোধ

    চিকিৎকের অবহেলায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে এক রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় দোষী চিকিৎসকের বিচার ও কর্মবিরতি প্রত্যাহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী।

    এদিকে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চিকিৎসকদের আহত করা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তি এবং সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মত চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে।

    মঙ্গলবার দুপুরে শহরের বকুলতলা চত্বরে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় মৃত রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা।

    ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শামীম আহমেদ, ফজলুর রহমান, বিষ্ণু চন্দ্র মন্ডল প্রমুখ। এ সময় বক্তারা, চিকিৎসা অবহেলায় রোগী মৃত্যুর জন্য দোষী চিকিৎসকের শাস্তি, হয়রানিমূলক মামলা ও নিরীহ রোগীদের জিম্মী করে তাদের হয়রানি বন্ধে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের দাবি জানান।

    এদিকে, জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ও জেলার সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে তৃতীয় দিনের মত কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. মুহা. মাহফুজুর রহমান সোহান জানান, যত দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন হবে তত দ্রুতই আমরা কাজে ফিরে যাব। আমাদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে আজ থেকে ময়মনসিংহ বিভাগের সকল জেলায় চিকিৎসকরা ব্যাক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন।

    জামালপুর জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের চিকিৎসকদের ধর্মঘট অব্যাহত থাকায় ভেঙে পড়েছে জেলার চিকিৎসাব্যবস্থা। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে লাখো মানুষ। গুরুতর ও মুমূর্ষু অনেক রোগী সেবা না পেয়ে হাসপাতাল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে রোগী ও স্বজনরা।

    তবে জামালপুর আড়াইশ’শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য জরুরি ও অন্ত:বিভাগের সেবা চালু রয়েছে।

    তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়নি। সুষ্ঠু বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

    গত ২৫ ডিসেম্বর একজন নারী রোগীর মৃত্যু ঘটনায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা-ভাঙচুর ও কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধর এবং সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহার ও দোষীদের শাস্তিসহ ৪ দফা দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে জামালপুরের সকল চিকিৎসক।

    অপরদিকে, চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, রোগীর স্বজনদের ওপর হামলা এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মৃত রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      এবার মিউজিক কলেজের লাইসেন্স দিল সৌদি সরকার

      দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে মিতালি স্থাপন, অশ্লীলতার ব্যাপক অনুমোদনের পর এবার ইসলামের প্রাণকেন্দ্র ও রাসূলের দেশ সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো মিউজিক কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য লাইসেন্স জারি করেছে দেশটির ইসরাইল বান্ধব সরকার।

      সোমবার সৌদি সংস্কৃতিমন্ত্রী যুবরাজ বদর বিন আবদুল্লাহ বিন ফারহান বলেছেন, “আমি দেশের দুটি সংগীত প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রথম লাইসেন্স জারির ঘোষণা করছি। আমি বেসরকারী এবং অলাভজনক খাতগুলিতে আগ্রহী সবাইকে প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের আবেদন জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই।”

      সে বেসরকারী ও অলাভজনক সংস্থাগুলিকে ‘সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে’ আরও বেশি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য আমন্ত্রণও জানিয়েছে।

      এছাড়াও, সৌদি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আর্ট রেসিডেন্সি দেশের ২০২০-২০২১-এর দ্বিতীয় সংস্করণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

      এই কর্মসূচির আওতায় সৌদি আরব ও আন্তর্জাতিক শিল্পী, সমালোচক, গবেষক এবং লেখককে সৌদিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, কথিত সাংস্কৃতিক সংলাপ, বিশ্লেষণী চিন্তাভাবনা এবং বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে বৈজ্ঞানিক অভিজ্ঞতার আদান-প্রদানের জন্য সৌদি আরবে “আল-বিলাদ” কর্মসূচি স্থাপন করা হয়েছে। প্রোগ্রামটি সৌদি আরবের বহুল প্রচারিত 2030 সালের ভিশনেরও একটি অংশ।

      সূত্র: গালফ নিউজ, সৌদি গেজেট
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        প্রণোদনার মেয়াদোত্তীর্ণ বীজে কৃষকের সর্বনাশ, চারাই গজায়নি

        প্রণোদনার মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের বীজে সর্বনাশ হয়েছে রাজশাহী অঞ্চলের চাষীদের। কৃষি প্রণোদনার অংশ হিসেবে রাজশাহী কৃষি অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বিতরণ করা বিভিন্ন ফসলের বীজে কোথাও ফসল হয়নি। তাছাড়া কিছু বীজ মৌসুম শেষ হওয়ার পর বিতরণ করায় চাষীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ জন্য চাষীরা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের দায়ী করছেন। তারা বলছেন, এসব বীজ মেয়াদোত্তীর্ণ ও খুবই নিম্নমানের। সরকারি বিপুল অর্থ ব্যয় করে এসব নিম্নমানের বীজ কিনে বিতরণ করা হচ্ছে। এতে সরকারি অর্থের অপচয় হয়েছে।

        কৃষি প্রণোদনার অংশ হিসেবে রাজশাহী কৃষি অঞ্চলের চার জেলায় প্রান্তিক চাষীদের মাঝে পেঁয়াজ, ভুট্টা, টমেটো, সরিষা, গম, খেসারি, সূর্যমুখী ও বাদাম বীজ বিতরণ করা হয় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। তালিকাভুক্ত চাষীদের প্রত্যেককে ২০ কেজি গম, ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ, আট কেজি খেসারি, ১০ কেজি ভুট্টা, দুই কেজি সরিষাসহ বিভিন্ন পরিমাণে বীজ দেয়া হয়। কিন্তু কোনো বীজেই চারা গজায়নি। আবার কালাই মুগ যখন জমিতে পাকতে যাচ্ছে তখন এসব ফসলের বীজ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের।

        রাজশাহীর তানোর ও দুর্গাপুর উপজেলার কৃষকদের অভিযোগ, পেঁয়াজের যেসব বীজ দেয়া হয়েছে তাতে একটিতেও চারা হয়নি। ফলে কষ্ট করে জমি তৈরির পর পেঁয়াজ চারা না গজানোয় চাষীরা পেঁয়াজ আবাদ করতে পারেননি। তানোরের কামারগাঁও এলাকার কৃষক জমির উদ্দিন বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে যেসব বীজ চাষীদের দেয়া হয়েছে, তা মেয়াদোত্তীর্ণ ও খুবই নিম্নমানের। এ কারণে এসব বীজে চারা হয়নি। কোনো কোনো কৃষক জমিতে এসব দিয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বোগলাউড়ি গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন বলেন, যেসব ভুট্টা বীজ দেয়া হয়েছে সেগুলোর একটিতেও চারা ফোটেনি। কোনো কোনো চাষী ভুট্টা ভেজে খই করে খেয়েছেন। সরিষা বীজ এমন সময়ে বিতরণ করা হয়েছে যখন আবাদের মৌসুম পার হয়ে গেছে। আর বিতরণকৃত খেসারির বীজের ডাল করেও খেতে পারেননি অনেক কৃষক। কারণ, সেগুলো খুব শুকনো ও পচা ছিল। অন্যদিকে চীনাবাদামের বীজ বিতরণ করা হলেও রাজশাহী অঞ্চলের অনেক এলাকায় বাদাম চাষের উপযোগী জমি পাননি কৃষকরা। সূর্যমুখী বীজের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। মসুর বা মুগকালাই বপনের সময় দু’মাস আগেই পার হয়েছে; তবুও এখন কৃষি বিভাগ এসব ফসলের বীজ দিচ্ছে কৃষকদের। এসব অপচয় ছাড়া আর কিছু নয় বলে কৃষকরা মনে করছেন। বরং বীজ না দিয়ে টাকা দিলে কৃষকদের কিছুটা উপকার হতো।

        খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবাদ মৌসুম শেষ হলেও এখনও রাজশাহী অঞ্চলের নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় পেঁয়াজ বীজসহ অন্যান্য বীজ বিতরণের কাজ চলছে। মৌসুম শেষে এখন এসব বীজ দিয়ে কৃষকরা কী করবেন-সেটাও বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। নওগাঁর সাপাহার এলাকার কৃষক আনারুল ইসলাম বলেন, পুরো সাপাহারসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলার মাটি লাল ও শক্ত। সেখানে পেঁয়াজের কোনো আবাদযোগ্য জমি নেই। সূর্যমুখী বা চীনাবাদাম আবাদের মাটিও নেই। কিন্তু কৃষি বিভাগ এসব এলাকায়ও প্রণোদনার এসব ফসলের বীজ বিতরণ করছে, যা কোনো কাজেই আসছে না কৃষকের।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ফিলিস্তিনে “নবী মুসা” মসজিদে মদ ও গানের আসর

          দখলকৃত জেরুজালেমের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত “নবী মুসা মসজিদের” অভ্যন্তরে একদল যুবক-যুবতী নাচ গান ও মদের অনুষ্ঠান করেছে বলে জানা গেছে ৷

          অনুষ্ঠানটির ভিডিও ফুটেজ তৈরী করে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে, যা ফিলিস্তিনিদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে৷ কারণ ভিডিওটিতে নাচ এবং মদ্যপানের দৃশ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

          ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে একদল যুবক যুবতী “নবী মুসা মসজিদের” ভিতরে উচু আওয়াজে পশ্চিমা সংগীতের সুরে গাইছে ও নাচছে৷

          এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে মদ পরিবেশন করা হচ্ছে ৷

          ফিলিস্তিনের বিচারপতি মাহমুদ আল-হাবাশ বলেছেন: “আমি হযরত মুসা মসজিদের সম্মান ও পবিত্রতা লঙ্ঘনের অপরাধের বিষয়টি নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অধ্যাপক আকরাম আল-খতিবের সাথে কথা বলেছি। অনতিবিলম্বে এতে জড়িত প্রমাণিত প্রত্যেককেই শাস্তি পেতে হবে৷
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            নিরীহ কাশ্মিরিদের হত্যা করে দেহে অস্ত্র গুঁজে দিত ভারতীয় মালাউন সেনারা

            সাজানো বন্দুকযুদ্ধে নিহত তিন কাশ্মিরি শ্রমিককে সশস্ত্র যোদ্ধা প্রমাণ করতে তাদের শরীরে অস্ত্র গুঁজে দিয়েছিল এক সেনা কর্মকর্তা ও তার দুই সহযোগী।

            জুলাই মাসে এই তিন শ্রমিকের মৃত্যুতে ভারত দখলকৃত কাশ্মিরে হৈ-চৈ পড়ে গিয়েছিল।

            পুলিশের বিবৃতি বলছে, ক্যাপ্টেন ভূপেন্দ্র সিংয়ের বিরুদ্ধে হত্যা, ষড়যন্ত্র ও আরো কিছু অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

            ওই কর্মকর্তা ও তার দুই সহযোগী নিহতদের পরিচিতি কেড়ে নিয়ে অবৈধভাবে তাদের দেহে অস্ত্র ও বিভিন্ন বস্তু গুঁজে দিয়ে তাদেরকে সমরাস্ত্র সজ্জিত জঘন্য সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দেয়।

            সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনী স্বীকার করে যে বিতর্কিত সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইনের (এএফএসপিএ) ফলে সৈন্যরা ক্ষমতা ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে বেসামরিক নাগরিক হত্যায় সেনাদের দায়মুক্তি দেয়া হয়।

            ঘটনার পর সেনাবাহিনী প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিল, ওই তিন ব্যক্তি দক্ষিণ কাশ্মিরের আমশিপোড়া গ্রামে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। তাদের কাছে তিনটি অস্ত্র পাওয়া গিয়েছিল। পরে তাদের লাশগুলো দ্রুততার সাথে দূরের এক সীমান্ত অঞ্চলে দাফন করে ফেলা হয়।

            ঘটনার একমাস পর প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চল রাজৌরিতে নিহতের আত্মীয়েরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবির মাধ্যমে ওই তিন ব্যক্তিকে শনাক্ত করে। পরিবার জানায় ওই তিন ব্যক্তি কাশ্মিরের আপেল বাগানে কাজের সন্ধান করছিল শুধু।

            বন্দুকযুদ্ধে নিহত তিন ব্যক্তির একজন ইবরার আহমেদ। তার বড় ভাই জাভেদ আহমদ (২৫) জানান, ‘ন্যায়বিচার সন্ধানে শান্তি ও ঘুম হারিয়েছে’ তার পরিবার।

            ‘তাদের একজন আমার ভাই এবং অন্য দুজন আমার কাজিন। আমরা ন্যায়বিচার পাব কিনা তা আমরা জানি না,’ জম্মুর রাজৌরি জেলার বাসিন্দা জাভেদ বলেন।

            তিনি আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমরা এখনো পুরো ঘটনাটি জানি না, এই বর্বরোচিত ঘটনার পিছনের প্রতিটি সত্যই আমাদেরকে বলতে হবে, যে ঘটনায় আমরা আমাদের পরিবারের তিন তরুণ সদস্যকে হারিয়েছি।’

            ১৯৯০ সালে যখন ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল তখন থেকে এএফএসপিএর অধীনে কাশ্মীরে একটি জরুরি আইন জারি করা হয়েছিল যে, নয়াদিল্লি না চাইলে এই অঞ্চলে মোতায়েন করা ভারতীয় সৈন্যদের বিচার বেসামরিক আদালতে করা যাবে না।

            পরবর্তীকালে নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের তদন্তের পর পুলিশের পক্ষ থেকে অগণিত অনুরোধ সত্ত্বেও গত ৩০ বছরে এ জাতীয় কোনও অনুমতি কখনো দেয়া হয়নি।

            রাজৌরির মানবাধিকার কর্মী গুফতার আহমদ চৌধুরী আল জাজিরাকে বলেন, তিন ব্যক্তির এই বিচার একটি ‘দীর্ঘ যুদ্ধ’।

            ‘কখন বিচারকাজ শুরু হবে তার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি । পরিবারগুলোর জন্য এটি ন্যায়বিচারের লড়াই, যা মাত্র শুরু হলো।’

            কাশ্মিরের মানবাধিকার কর্মীরা উল্লেখ করেন, বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা এবং পদক পাওয়ার জন্য ‘বিদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে সাজানো বন্দুকযুদ্ধে সেনাবাহিনী অতীতে বহু বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে।

            ২০১০ সালে পুলিশের একটি তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে, কুপওয়ারা জেলায় লাইন অভ কন্ট্রোলের নিকটবর্তী মাচিল এলাকায় সেনাবাহিনী একটি সাজানো বন্দুকযুদ্ধে তিন বেসামরিক লোককে হত্যা করেছিল। ওই তিন ব্যক্তিকে কৌশলে মাচিলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদেরকে ‘জঙ্গী’ তকমা দিয়ে হত্যা করে সেনা সদস্যরা।

            কয়েক দশক ধরে চলমান এই সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক লোকজন।

            সূত্র: আলজাজিরা
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ভারতীয় মুসলিমদের বিদেশী পরিচয়ে ঢোকানো হচ্ছে জেলে

              ডি-ভোটার ও বিদেশি চিহ্নিত হওয়ায় ভারতের আসাম রাজ্যে বিপুলসংখ্যক ভারতীয় মুসলমানকে দিনের পর দিন ভুগতে হচ্ছে। অভিযোগটা অনেক দিনের। বিধানসভায় পেশ করা রাজ্য সরকারের তথ্যে ফের প্রমাণ পাওয়া গেছে এই অভিযোগের। গত কাল শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন বিধায়ক আমিনুল ইসলাম, আবদুর রশিদ মণ্ডলের প্রশ্নের জবাবে রাজ্য সরকার জানায়, চলতি বছরে ৩১ জুলাই পর্যন্ত আসামের ১০০টি ফরেনার্স ট্রাইবুনালে ৪,৩৪,৬৫৪টি বিদেশী সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে ২,২০,৮৩৩টিতে রায়দান হয়েছে। ১,৩৪,৮১০ জনকে বিদেশী চিহ্নিত করা হয়েছে। আর ভারতীয় ঘোষিত হয়েছেন ১,১৬,০৩৫ জন। এই লক্ষাধিক ভারতীয়কে সব প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বছরের পর বছর হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে। লড়তে হয়েছে মামলা। খরচ করতে হয়েছে প্রচুর অর্থ। ভারতীয় হয়েও বিদেশী ‘তকমা’ নিয়ে বেঁচে থাকার মানসিক গ্লানি তো বাড়তি পাওনা।

              রাজ্য সরকার জানাচ্ছে, আসাম চুক্তির পর থেকে চলতি বছর জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে বিদেশী হিসেবে চিহ্নিত হওয়া মাত্র ২৯,৯৫৯ জনকে ‘বহিষ্কার’ করা গেছে। তার মধ্যে ২৪৪৫ জনকে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়েছে। ঘোষিত বিদেশীদের মধ্যে দু’জন আফগানিস্তানের ঠিকানা দেয়ায় তাদের সে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাঁচজনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের মধ্যে ১০৫ জন বাংলাদেশের ঠিকানা দিয়েছেন। সেই ঠিকানা যাচাইয়ের কাজ চলছে। বাকিরা ডিটেনশন শিবিরে রয়েছেন বা জামিনে মুক্ত আছেন। কিন্তু তাঁ বিদেশের কোনো ঠিকানা দেননি।

              মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, ডিটেনশন শিবিরে বন্দিদের বাংলাদেশী হিসেবে ধরে নিয়ে সরকার তাদের ‘নিজের দেশের ঠিকানা’ দিতে বললেও, বংশানুক্রমে বা দীর্ঘদিন ধরে আসামের মাটিতেই বসবাস করা এই মানুষগুলো ভারতেরই বাসিন্দা। তাই তাদের পক্ষে কোনো ভাবেই বাংলাদেশের ঠিকানা দেয়া সম্ভব নয়। আর আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা হলে, কেউই ঠিকানা গোপন করে বছরের পর বছর জেলে পচতে চাইবেন না।

              বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, সরকারিভাবে তাদের কাছে বন্দী বাংলাদেশীদের যে তালিকা দেয়া হয়েছিল, তার মধ্যে গত দু’বছরে বেশির ভাগ ব্যক্তিরই ঠিকানা যাচাই করে দেশের ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে। আর জনা তিরিশ বাংলাদেশী আসামের ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে বন্দি আছেন। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে বাকি আট শতাধিক বন্দির পরিচয় কী?

              ডি-ভোটার তথা সন্দেহজনক ভোটারের ক্ষেত্রে ভারতীয় সরকারি তথ্যে দেখা যাচ্ছে চলতি বছর নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ফরেনার্স ট্রাইবুনাল মোট ৩৮,৬০৩ জনকে বিদেশী ঘোষণা করেছে। ভারতীয় ঘোষিত হয়েছেন ৬৫,২০৩ জন। ফলে এই ইভযোগ আরো জোরালো হলো যে পুলিশের সীমান্ত শাখা যথেচ্ছভাবে ভাষিক সংখ্যালঘুদের ডি-ভোটার হিসেবে নোটিশ পাঠায়। এবং তাদের বেশির ভাগই ভারতীয়। বর্তমানে ডিটেনশন শিবিরে বন্দি আছেন ৮২ জন ডি-ভোটার। সবচেয়ে বেশি ডি-ভোটার, ৪৬ জন আছেন তেজপুর ডিটেনশন শিবিরে। বাকি ডি-ভোটার আছেন বরপেটা, শোণিতপুর ও নগাঁওয়ে।
              সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                এবার মিউজিক কলেজের লাইসেন্স দিল সৌদি সরকার


                আল্লাহর নবির পবিত্র ভূমিতে এমন কাজ আর কত দেখতে হবে৷ দিন দিন এরা ফিতনা ও গুনাহ ছড়িয়ে দিচ্ছে।
                গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

                Comment


                • #9
                  আল্লাহ তায়ালা আপনাদের কাজে বারাকাত দান করুন।আমীন।
                  দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহ সারা বিশ্বের নির্যাতিত মুসলিম ভাই-বোনকের হিফাযত করুন ও আল্লাহর দ্বীনের দুশমনদেরকে ধ্বংস করে দিন। আমীন
                    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                    Comment

                    Working...
                    X