উত্তরপ্রদেশে কথিত ‘লাভ জিহাদ’ আইন: এক মাসে গ্রেফতার ৫১
ভারতজুড়ে বির্তকের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে ঘটা করে কথিত ‘লাভ জিহাদ’ আইন পাশ করেছিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। সেই আইন বলবৎ হওয়ার এক মাস পূর্ণ হয়েছে। এই ৩০ দিনে ওই আইনে ১৪টি মামলা দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মোট ৫১ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৯ জন এখনও জেলে রয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকারের রিপোর্ট অনুসারে, ১৪টি মামলার মধ্য ১৩টি মামলাই হিন্দু মেয়েদের সংক্রান্ত। এই মামলাগুলিতে হিন্দু মেয়েদের জোর করে মুসলিমে রূপান্তরিত করার চেষ্টা হয়েছিল বলে মিথ্যে অভিযোগ।
এই আইনে আজমগড়ের ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি মামলাগুলির ৩টি বিজনৌরের, ২টি শাহজাহানপুরের। বাকি বরেলি, মুজাফফরনগর, মৌ, সীতাপুর, হারদই, কনৌজ এবং মোরাদাবাদ জেলার।
যোগী সরকাররের আনা এই আইন ২৭ নভেম্বর মঞ্জুর করেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল। ২৮ নভেম্বর থেকে তা যোগী রাজ্যে প্রয়োগ শুরু হয়। এই আইনে প্রথম মামলাটি দায়ের হয়েছিল বরেলিতে। একটি মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে।
তবে এই আইন প্রয়োগ করা নিয়ে ভারতে সমালোচনা কম হয়নি। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনও বলেছে, ‘এখন ‘ক্রিমিনাল অ্যাক্ট অব লাভ জিহাদ’ বলা হচ্ছে। তলিয়ে দেখলে বোঝা যায় ‘লাভ’ বা প্রেমের মধ্যে কোনও ‘জিহাদ’ নেই। একে মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে। জীবন যাপনের অধিকার তো মৌলিক অধিকার হিসেব স্বীকৃত। কিন্তু এই আইনের ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।’
সূত্র: ডয়চে ভেলে
ভারতজুড়ে বির্তকের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে ঘটা করে কথিত ‘লাভ জিহাদ’ আইন পাশ করেছিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। সেই আইন বলবৎ হওয়ার এক মাস পূর্ণ হয়েছে। এই ৩০ দিনে ওই আইনে ১৪টি মামলা দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মোট ৫১ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৯ জন এখনও জেলে রয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকারের রিপোর্ট অনুসারে, ১৪টি মামলার মধ্য ১৩টি মামলাই হিন্দু মেয়েদের সংক্রান্ত। এই মামলাগুলিতে হিন্দু মেয়েদের জোর করে মুসলিমে রূপান্তরিত করার চেষ্টা হয়েছিল বলে মিথ্যে অভিযোগ।
এই আইনে আজমগড়ের ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি মামলাগুলির ৩টি বিজনৌরের, ২টি শাহজাহানপুরের। বাকি বরেলি, মুজাফফরনগর, মৌ, সীতাপুর, হারদই, কনৌজ এবং মোরাদাবাদ জেলার।
যোগী সরকাররের আনা এই আইন ২৭ নভেম্বর মঞ্জুর করেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল। ২৮ নভেম্বর থেকে তা যোগী রাজ্যে প্রয়োগ শুরু হয়। এই আইনে প্রথম মামলাটি দায়ের হয়েছিল বরেলিতে। একটি মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে।
তবে এই আইন প্রয়োগ করা নিয়ে ভারতে সমালোচনা কম হয়নি। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনও বলেছে, ‘এখন ‘ক্রিমিনাল অ্যাক্ট অব লাভ জিহাদ’ বলা হচ্ছে। তলিয়ে দেখলে বোঝা যায় ‘লাভ’ বা প্রেমের মধ্যে কোনও ‘জিহাদ’ নেই। একে মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে। জীবন যাপনের অধিকার তো মৌলিক অধিকার হিসেব স্বীকৃত। কিন্তু এই আইনের ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।’
সূত্র: ডয়চে ভেলে
Comment