Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৬ রজব, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৬ রজব, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ঈসায়ী

    গাজায় দৈনিক মৃত্যুহার ২১ শতকের যেকোনো সংঘাতকে ছাড়িয়ে গেছে


    গাজায় বেসামরিক মুসলিমদের হত্যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন এক মাত্রায় পৌঁছে গেছে। গত তিন মাস ধরে ইসরায়েলি হামলায় চলতি শতকে সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে সেখানে। গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) ব্রিটেন-ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

    অক্সফাম বলছে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃসংসতা ও দৈনিক গড় হত্যাকাণ্ড ২১ শতকের অন্য যেকোনো বড় সংঘাতকে ছাড়িয়ে গেছে। এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রতিদিন গড়ে ২৫০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে, যা সাম্প্রতিক সময়ে যেকোনো সংঘাতের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যার চেয়ে বেশি। অব্যাহত বোমা হামলার মাঝে বেঁচে থাকা মানুষ ক্ষুধা, রোগ ও ঠাণ্ডার কারণে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

    চলতি শতকের অন্যান্য যুদ্ধ ও সংঘাতে প্রতিদিনের গড় মৃত্যুর তালিকাও দেয়া হয় প্রতিবেদনে। এর মধ্যে সিরিয়ায় প্রতিদিন গড় মৃত্যুহার ৯৬.৫ জন, সুদানে ৫১.৬ জন, ইরাকে ৫০.৮ জন, ইউক্রেনে ৪৩.৯ জন, আফগানিস্তানে ২৩.৮ জন ও ইয়েমেনে ১৫.৮ জন নিহত হয়েছে।

    অক্সফাম বলছে, গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশের ওপর ইসরায়েলের বিধিনিষেধে সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে। সেখানে সাপ্তাহিক খাদ্য সহায়তার মাত্র ১০ শতাংশ প্রবেশ করতে পারে। এ পরিস্থিতি বিরামহীন বোমাবর্ষণ থেকে বেঁচে যাওয়াদের জন্য অনাহারের গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করেছে।

    গত ১১ জানুয়ারি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেয়া তথ্য অনুসারে, ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৩ হাজার ৪৬৯ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৫৯ হাজার ৬০৪ জন আহত হয়েছেন।

    ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর জঘন্য অপরাধের পেছনে রয়েছে কয়েক দশক ধরে বেআইনি আক্রমণের দায়মুক্তি ও ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের পদ্ধতিগত দমন-পীড়ন। এইচআরডব্লিউয়ের ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন অঞ্চলের পরিচালক ওমর শাকির জানান, ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলোর লাগাম টেনে ধরা উচিত। নইলে যুদ্ধাপরাধের ফলে আরও অগণিত বেসামরিক মানুষকে নিহত হতে হবে।

    এদিকে গত ১১ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’র অভিযোগ উত্থাপন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এটা স্বাভাবিক যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করবে। এবং গাজায় গণহত্যার অভিযোগকে ‘ভণ্ডামি ও মিথ্যা’ উল্লেখ করবে, এবং সে তা-ই করেছে।

    প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ উল্লেখ করেছে যে, গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ ‘যুদ্ধাপরাধের দিকে’ পরিচালিত হচ্ছে, এ যুদ্ধের পদ্ধতি হিসেবে গাজাবাসীকে সম্মিলিত শাস্তি দেয়া হচ্ছে। খাবার, পানি ও বিদ্যুতের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবা বন্ধের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে।

    শুধু গাজা নয় অধিকৃত পশ্চিম তীরেও হামলা অব্যাহত রয়েছে। এইচআরডব্লিউ জানিয়েছে, এখানে ২০২৩ সালের প্রথম আট মাসে ফিলিস্তিনিদের ও তাদের সম্পত্তির ওপর বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার ঘটনা ২০০৬ সাল থেকে সর্বোচ্চ দৈনিক গড়ে পৌঁছেছে। গত আট মাসে কমপক্ষে তিন হাজার ২৯১ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে। বিচার ছাড়াই তাদের আটকে রাখার কথাও স্বীকার করে ইসরায়েলি প্রশাসন।

    প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ্য করা হয়, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতা ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সিরিয়ার আলেপ্পো, ইউক্রেনের মারিউপোল বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানিতে মিত্র বাহিনীর বোমা হামলার চেয়ে বেশি ধ্বংসাত্মক। গবেষণা গ্রুপের সংগৃহীত স্যাটেলাইট তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলি আক্রমণে সম্ভবত উত্তর গাজার অবকাঠামোর দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি এবং খান ইউনিসের দক্ষিণাঞ্চলে এক-চতুর্থাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।

    এর মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ির পাশাপাশি বিদ্যালয়, হাসপাতাল, মসজিদ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা বলেছেন যে গাজা জুড়ে প্রায় ৭০ শতাংশ বিদ্যালয় ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।



    তথ্যসূত্র:
    1. Daily death rate in Gaza higher than any other major 21st Century conflict – Oxfam
    http://tinyurl.com/57f5xvjk
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    গাজায় দখলদার ইসরায়েলী আগ্রাসনের শততম দিন: হতাহত ও নিখোঁজ ১ লাখ



    ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ৩৬৫ বর্গকিলোমিটারের গাজায় ২৩ লাখ বাসিন্দার বসবাস। ২০২৩ সালের অক্টোবরে শহরটিতে জায়োনিস্ট ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর শততম দিন ছিল গত ১৪ জানুয়ারি রবিবার। সাম্প্রতিক ইতিহাসে স্বল্প সময়ে এমন ধ্বংসাত্মক ও বর্বরোচিত গণহত্যা দেখেনি বিশ্ব, যা ইরাক ও সিরিয়া যুদ্ধের বর্বরতাকেও ছাড়িয়ে গেছে। ছোট্ট এই শহরটিতে শতদিনে ৬৫ হাজার টনেরও বেশি বোমা ছুড়েছে ইসরায়েল। এরমধ্যমে শহরটিতে গড়ে প্রতিদিন দুই শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে।

    ইউরো-মেড মনিটর গত ১৩ জানুয়ারী ঘোষণা করেছে যে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় মোট ১ লাখ ফিলিস্তিনি নিহত, নিখোঁজ বা আহত হয়েছেন।

    ইউরো-মেড মনিটরের অনুমান অনুসারে, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট ৩১,৪৯৭ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এছাড়াও শত শত মৃতদেহ উদ্ধার করা যায়নি, বিশেষ করে যেসব এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযান চালাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত পরিসংখ্যান অনুসারে, মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার। আর নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৮ হাজারেও বেশি মানুষ।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান ও আর্টিলারি হামলায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৯৫১ (৯২ শতাংশ) বেসামরিক নাগরিক। এর মধ্যে ১২ হাজার ৩৪৫ জন শিশু, ৬ হাজার ৪৭১ জন নারী, ২৯৫ জন চিকিৎসাকর্মী, ৪১ জন বেসামরিক প্রতিরক্ষাকর্মী (উদ্ধারকর্মী) এবং ১১৩ জন সাংবাদিক রয়েছেন।

    এছাড়াও বর্বরতার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া জায়োনিস্টদের এই আগ্রাসনে আহত হয়েছেন ৬১ হাজার ৭৯ জন, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। আর বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১৯ লাখ বাসিন্দা, যা গাজার মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ।

    ইউরো-মেড মনিটর অনুসারে, জায়োনিস্ট বাহিনীর বোমার আঘাতে গাজার ৬৯,৭০০টি বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে এবং ১৮৭,৩০০টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জায়োনিস্ট বাহিনীর এই আগ্রাসনের হাত থেকে বাদ যায়নি মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল এমনকি আশ্রয় শিবিরগুলোও। ফলে জায়োনিস্ট বাহিনীর চলমান হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে ৩৯০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ১৬৭১টি শিল্প, ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্র, ৩০টি হাসপাতাল, ৫৯টি ক্লিনিক, ২০৩টি স্বাস্থ্য-কেন্দ্র ও প্রতিষ্ঠান, ১২১টি অ্যাম্বুলেন্স সহ ১৮৩টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের গাড়ি, ৩৮৮টি মসজিদ, ৩টি গির্জা, ১৭০টি প্রেস অফিস।

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সালেহ আল-আরৌরির দুই বোনকে ধরে নিয়ে গেছে ইসরায়েলি বাহিনী



      লেবাননের বৈরুতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত হওয়া হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরৌরির দুই বোনকে ইসরায়েলি বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মিডলইস্ট মনিটর। তারা হলেন- দালাল আল-আরৌরি (৫২) এবং ফাতিমা আল-আরৌরি (৪৭)। নিহত হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরৌরি ও অন্যান্য মুজাহিদদের ছবি হাতে ফিলিস্তিনিরা।

      জানা যায়, গত ১৪ জানুয়ারি ভোরে দখলদার সেনারা সাঁজোয়া যান ও সামরিক জিপে করে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করে। পাশাপাশি তারা জালাজোন শরণার্থী শিবিরে হানা দেয়। এ সময় ইসরায়েলি সেনারা বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একই সময়ে অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনিকে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। আটকদের মধ্যে সালেহ আল-আরৌরির দুই বোন রয়েছেন।

      দুই বোনের মধ্যে একজনের ছেলে বার্তা সংস্থা ওয়াফাকে জানিয়েছেন, তার মাকে গ্রেপ্তার করতে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় সেনারা তাকে লাঞ্ছিত করে এবং বাড়ি ভাঙচুর করে মামা সালেহ আল-আরৌরির ছবি নিয়ে যায়।


      তথ্যসূত্র:

      1. Israel arrests sisters of late senior Hamas leader in West Bank
      http://tinyurl.com/2kv3e9j3

      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আল্লাহ্‌ ! মুজাহিদদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাগুলো কে শক্তি দিন, ফিলিস্তিন সহ পুরো উম্মাহ'র মুক্তির জন্য আপনার শক্তিশালী সাহায্য প্রেরণ করুন, আমীন

        Comment

        Working...
        X