Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ০৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরী || ০৪ এপ্রিল, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ০৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরী || ০৪ এপ্রিল, ২০২৫ ঈসায়ী

    ভারতে ম্যাজিস্ট্রেট অফিসের ফাকা জায়গায় নামাজ পড়ায় সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধার বিরুদ্ধে মামলা



    ভারতের উত্তর প্রদেশের হামিরপুর জেলায় ৭১ বছর বয়সী এক মুসলিম বৃদ্ধা নামাজ পড়ার কারণে পুলিশি মামলার শিকার হয়েছেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসের সামনে নামাজ পড়ার কারণে ওই বৃদ্ধার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে পরবর্তীতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এছাড়াও, এ ঘটনার পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে দায়িত্বরত হোমগার্ডদের অবহেলার কারণে তাদের বরখাস্ত করা হয়।

    ৩ এপ্রিল ক্লারিওন ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ৩১ মার্চ হামিরপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে এক মহিলার নামাজ পড়ার খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ওই বৃদ্ধার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে ওই বৃদ্ধা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন, তাই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

    এ ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। পুলিশের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে একজন লিখেছেন, ‘এতটুকু ঘটনায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হলো! বিজেপি-আরএসএস সরকার এখন আর লুকিয়ে রাখছে না যে ভারত একটি বর্ণবাদী হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।’

    সাংবাদিক ভাজৈতা সিং কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘এর জন্য এফআইআর দায়ের করতে হলে আপনার মানসিকতা অত্যন্ত সংকীর্ণ হতে হবে! ইউপি পুলিশের কি এর চেয়ে ভালো কিছু করার নেই?’

    সোশ্যাল মিডিয়া কর্মী আসিফ খান লিখেছেন, ‘যে ইউপি পুলিশ কানওয়ারিয়াদের জন্য ফুলের পাপড়ি বর্ষণ করে (অর্থাৎ যারা শিবের পূজা করতে গঙ্গা নদী থেকে জল সংগ্রহ করে এবং তা শিবমন্দিরে নিয়ে যায়), তারাই এক বৃদ্ধা মুসলিম নারীর নামাজ পড়াকে অপরাধ বানিয়ে মামলা দায়ের করছে!’

    উল্লেখ্য যে, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা স্বাভাবিক হলেও, মুসলিমদের নামাজ পড়া যেন এক অবৈধ কার্যকলাপে পরিণত হয়েছে। মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সরকারের আচরণে ব্যাপক বৈষম্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশেষত উত্তর প্রদেশে, যেখানে সম্প্রতি খোলা জায়গায় ঈদের নামাজ পড়ার বিরুদ্ধে পুলিশ সতর্কবার্তা জারি করেছে এবং নামাজ পড়ার কারণে মুসলিমদের পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করার মতো হুমকি প্রদান করা হয়েছে।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব পদক্ষেপ মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সরকারের স্পষ্ট বৈষম্যমূলক আচরণ এবং একটি বর্ণবাদী নীতি যা মুসলিম সম্প্রদায়কে অত্যাচার এবং অপদস্থ করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হচ্ছে। এটি ভারতকে একটি ধর্মীয় বিভাজনের রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করছে, যেখানে একজন নির্দিষ্ট ধর্মের অনুসারীরা তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা চর্চা করতে পারলেও অন্যরা সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত।

    তথ্যসূত্র:
    1. UP: Aged Woman Booked for Offering Namaz Near Hamirpur DM’s Office
    https://tinyurl.com/3hymzsxm
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    গাজার তিনটি স্কুলে দখলদার ইসরায়েলের হামলা, ১৮ শিশুসহ নিহত ৩৩




    গাজার তুহফা এলাকায় তিনটি স্কুলে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ১৮ শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। তাছাড়া এসব হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার এসব হামলা হয়।

    গাজা সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয় থেকে জানানো হয়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু দার আল-আরকাম স্কুলে হামলায় ১৮ শিশুসহ ২৯ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা স্কুলটিতে কমপক্ষে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।

    সূত্রটি জানিয়েছে, অন্য চার ব্যক্তি নিহত হয়েছেন ফাহাদ স্কুলে হামলার ঘটনায়। তুহফা এলাকায় অবস্থিত এই স্কুলটিও বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল।

    তুহফা এলাকায় ইসরায়েলি বর্বর হামলার শিকার অন্য একটি স্কুলের নাম শাবান আলরাইয়েস স্কুল। তবে সেখানে কতজন লোক হতাহত হয়েছেন তাৎক্ষণিক তা জানা যায়নি।

    এদিকে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ১১৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের ‘গণহত্যামূলক আগ্রাসনে’ অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৫২৩ জনে পৌঁছেছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Israel kills mostly children as 33 ‘massacred’ in Gaza school attacks
    https://tinyurl.com/7d9pmpj8

    ​​
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতের লোকসভায় পাশ হলো চরম বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল




      ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও সামাজিক অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলে লোকসভায় পাস হলো চরম বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল। বিজেপি সরকারের উত্থাপিত এই বিলের ফলে মুসলিমদের ওয়াকফকৃত সম্পত্তির ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বহুদিন ধরে বিতর্কিত অবস্থায় থাকা বিলটি গত সপ্তাহে পাস হয়, যেখানে পক্ষে ভোট পড়ে ২৮৮টি এবং বিপক্ষে ভোট দেন ২৩২ জন সংসদ সদস্য।

      গত ২ এপ্রিল ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, বিরোধী দলগুলো বিলটিকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে এটিকে ধর্মীয় অধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাদের মতে, বিজেপি সরকার এই বিলের মাধ্যমে মুসলিমদের পবিত্র ওয়াকফ সম্পত্তিগুলো দখলের আইনি বৈধতা অর্জন করতে চায়, যা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের শামিল।

      ওয়াকফ হলো সেই সম্পত্তি, যা মুসলিমরা সমাজকল্যাণ, ধর্মীয় কার্যক্রম, শিক্ষা বা স্বাস্থ্যসেবার জন্য আল্লাহর উদ্দেশ্যে দান করে থাকেন। এই জমি বা স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি বা অন্য কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহারের সুযোগ নেই। ইসলামি রীতি অনুযায়ী এটি একটি পবিত্র ও অপরিবর্তনযোগ্য দান, যা পুরো উম্মাহর কল্যাণে ব্যবহৃত হয়।

      ভারতে বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ একর ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে, যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে। এই বিশাল সম্পদ মুসলিম সমাজের আত্মনির্ভরতা ও উন্নয়নের বড় সহায় হতে পারত, যদি তা সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা হতো। কিন্তু ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাসের মাধ্যমে এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে এই জমিগুলো সরকারী নিয়ন্ত্রণের নামে কর্পোরেট ও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হতে পারে।

      বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বিল কেবল একটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়—বরং এটি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের ওপর সরাসরি আঘাত এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক ভিত্তিকে ধ্বংস করার একটি পরিকল্পিত কৌশল। ফলে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিমরা এক গভীর উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।


      তথ্যসূত্র:
      1. Waqf Bill Passed By Rajya Sabha With 128 Votes For, 95 Against
      https://tinyurl.com/nfxw695w
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কাশ্মীরে দখলদার বাহিনীর সদস্যের আত্মহত্যা


        অধিকৃত কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্য আত্মহত্যা করেছে। দখলদার বাহিনীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপের ফলে এ ধরনের ঘটনা বারবারই ঘটছে।

        গত ৩ এপ্রিল কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, জেলার ত্রেহগাম এলাকায় কর্তব্যরত অবস্থায় নিজের অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করে বিএসএফ সদস্য। তাকে দ্রুত কুপওয়ারার সাব-ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

        এই আত্মহত্যার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে দখলদার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে চরম হতাশা ও মনোবল ভেঙে পড়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে। ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত চলছে।

        প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কাশ্মীরে মোতায়েন করা ভারতীয় বাহিনীর অন্তত ৬২৩ সদস্য মানসিক চাপ ও হতাশার কারণে আত্মহত্যা করেছে।

        তথ্যসূত্র:
        1. Indian BSF man commits suicide in Kupwara
        https://tinyurl.com/2s4c98ct
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X