Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১লা যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১লা যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    ভারতে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ তুলে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা




    ভারতে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ তুলে একজন মুসলিম ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। ভারতের কর্ণাটকের মাঙ্গালুরু এলাকায় স্থানীয় একটি ক্রিকেট ম্যাচের সময় এই ঘটনা ঘটেছে।

    ভারতের কর্ণাটকে রবিবার (২৭ এপ্রিল) এই ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার এই ঘটনার একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম মাকতুব মিডিয়া।

    এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ।

    স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, স্থানীয় একটি ক্রিকেট ম্যাচে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে কিছু লোকের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। অতিরিক্ত মারধরের ফলে পরে মারা যায় ওই যুবক। তার পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি স্থানীয় গণমাধ্যম।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, প্রথমে সচিন নামক স্থানীয় হিন্দুর সাথে নিহত ওই ব্যক্তির ধস্তাধস্তি হয়। পরে মহুর্তেই মবে রূপ নেয়। স্থানীয় একদল তার উপর চড়াও হয়ে তাকে মারধর করে।

    কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও গণপিটুনি দেয় কয়েকজন উগ্রবাদী যুবক। পরে একটি মন্দিরের নিকট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    নিহতের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে জানা যায়, অতিরিক্ত মারধরের ফলে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হয়। যার ফলে তার মৃত্যু ঘটে।

    নিহতের শরীরের হাত, পা, পিঠ, নিতম্ব এমনকি যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে তদন্তকারীরা। এই সব আঘাত কাঠের শক্ত কোনও বস্তু দ্বারা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।


    তথ্যসূত্র:
    1. Kerala Muslim Youth Lynched to Death in Mangaluru Over Alleged “Pakistan Zindabad” Chant
    https://tinyurl.com/3jujtcsa
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    গুজরাটে অভিবাসীর নামে আটক সাড়ে ৬ হাজার ভারতীয় মুসলিম, বাড়িঘর উচ্ছেদ



    কাশ্মীরে হামলার জের ধরে ভারতে মুসলমানদের উপর চলানো হচ্ছে নির্যাতন। বিস্ফোরক দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি-ঘর। আটক করা হচ্ছে গণহারে। ভারতের গুজরাট রাজ্যে সম্প্রতি পরিচালিত একটি চিরুনি অভিযানে বাংলাদেশি সন্দেহে বিপুল সংখ্যক মানুষকে আটক করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর থেকে এ পর্যন্ত চলা অভিযানে প্রায় ৬,৫০০ জন ভারতীয় মুসলিম নাগরিক আটক করা হয়েছে।

    বিবিসির এক অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, যাদের বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আটক করা হয়েছে, তাদের অনেকেই ভারতের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের বাংলা ভাষাভাষী মুসলিম নাগরিক—যাদের বৈধ পরিচয়পত্রও রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ এবং গুজরাট থেকে আসা এসব নাগরিকদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।

    অভিযানের অংশ হিসেবে গুজরাটের আহমেদাবাদ ও সুরাট শহরে ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হয়। শুধু আটকই নয়, আহমেদাবাদের মুসলিম অধ্যুষিত চান্দোলা লেক এলাকায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বহু মুসলিম নাগরিকের ঘরবাড়ি। এতে ব্যাপক ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

    মানবাধিকার সংগঠন এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের মতে, ভারতীয় নাগরিকদের বেআইনিভাবে আটক ও হয়রানি করা হচ্ছে, যা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।


    তথ্যসূত্র:

    1. Demolition drive in Ahmedabad after 6,500 suspected Bangladeshi immigrants detained
    -https://tinyurl.com/8f3x65tu
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতে অনলাইনে ভয়াবহ মুসলিমবিদ্বেষী গান ছড়াচ্ছে হিন্দুত্ববাদীরা





      কাশ্মীরে ২২ এপ্রিলের বন্দুকধারীদের হামলার পর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ভারতের ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছিল একটি উসকানিমূলক মুসলিম বিদ্বেষী গান। আকর্ষণীয় ছন্দে সাজানো এই গানে হামলার প্রতিশোধ নিতে সহিংসতার আহ্বান জানানো হয়েছে, একই সঙ্গে প্রকাশ্যে ভারতীয় মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গানটিতে মুসলিমদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে চিহ্নিত করা ছাড়াও তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

      গত ২৯ এপ্রিল আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউটিউবে নতুন যে গান প্রকাশ পেয়েছে সেটির শিরোনাম, ‘পেহলে ধরম পুছা’ (তারা প্রথমে তাদের ধর্ম জানতে চেয়েছিল)। ওই গানের কথায় মুসলিমরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

      ইউটিউবে ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশিবার ওই গান দেখা হয়েছে। এটিই মুসলিমবিদ্বেষী একমাত্র গান নয়। কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল–জাজিরা এমন আরও অন্তত ২০টি গান খুঁজে পেয়েছে। গানগুলোতে ইসলাম নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো ও বিদ্বেষমূলক কথা বলা হয়েছে। এগুলোই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ছড়ানো হচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষ ও আতঙ্ক।

      গানগুলোতে ধারাবাহিকভাবে ভয়ংকর সব বর্ণনা রয়েছে। পেহেলগামে ভারতীয়দের ওপর হামলার পর তারা দাবি করেছে, বন্দুকধারীরা হিন্দু পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। ওই সব গানে এ বিষয়টির উল্লেখ করে বলা হয়, ‘ভারতীয় মুসলিমদের আর বিশ্বাস করা যায় না।’ অথচ বন্দুকধারীদের থামাতে গিয়ে একজন মুসলিম ঘোড়াচালক সেদিন প্রাণ হারিয়েছেন। আবার আহত পর্যটকদের উদ্ধারে স্থানীয় মুসলিমরা এগিয়ে এসেছেন।

      গত সপ্তাহে উগ্র জাতীয়তাবাদী কিছু গানে পাকিস্তানকে পারমাণবিক হামলার মাধ্যমে ধ্বংস করার ডাক দেওয়া হয়েছে। কিছু গানে ভারত সরকারের প্রতি পাকিস্তানকে ‘মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে’ বলা হয়েছে। আবার ‘পাকিস্তানিদের রক্তের বিনিময়ে পেহেলগামে নিহতদের প্রতিশোধ’ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

      উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন গ্রুপ থেকে গানগুলো অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা গানগুলো বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপে ছড়িয়ে ভারতীয়দের ভেতর ভয়, ঘৃণা এবং বিভাজন সৃষ্টির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

      এমন প্রচারণায় ভারতের একাধিক রাজ্যে বাস্তবেও মুসলিমদের বাড়িঘরে হামলাসহ সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও উত্তরাখণ্ডে মুসলিমদের ওপর হামলা হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কাশ্মীরি মুসলিমদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে, রাস্তায় হকারদের মারধর করা হচ্ছে। প্রতিশোধমূলক আরও নানা কর্মকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন তারা। কিছু চিকিৎসাকেন্দ্রে মুসলিম রোগীদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন হিন্দু চিকিৎসকেরা।

      এরই মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল উত্তর প্রদেশের আগ্রায় একজন মুসলিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একজন উগ্র হিন্দুত্ববাদী এ হত্যার দায় স্বীকার করে বলেছেন, পেহেলগামে হামলার প্রতিশোধ নিতে এটা করেছে সে।

      এ ছাড়া এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) দিয়ে নানা ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে এবং হামলার সময়ের হৃদয় ছোঁয়া ইমেজ তৈরি করে অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পেহেলগামে হামলার পর থেকে সামাজিক মাধ্যমে হামলা–সংক্রান্ত নানা কনটেন্টের বন্যা বইছে।

      অধিকাংশ কনটেন্টের সুর প্রায় একই রকম, যেমন সেগুলোতে পেহেলগামে হামলার বিষয় এমনভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, যেন এটা হিন্দুত্ববাদ ও সনাতন ধর্মের ওপর হামলা ছিল। কোথাও কোথাও মুসলিমদের হুমকি বলে উল্লেখ করে হিন্দুদের একজোট হতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।

      আল–জাজিরা মুসলিমবিদ্বেষী যেসব গান পরীক্ষা করে দেখেছে, সেসবের একটির শিরোনাম, ‘জাগো হিন্দু জাগো’। এ গানে ‘দেশের ভেতরে বিশ্বাসঘাতকদের’ চিহ্নিত করতে বলা হয়। এখানে মূলত মুসলিমদের ইঙ্গিত করা হয়েছে। গানের ভিডিওটি ইউটিউবে এ পর্যন্ত দেখা হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজারের বেশি। এতে পেহেলগামে হামলা নিয়ে এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্টও ব্যবহার করা হয়েছে।

      ‘মোদি জি আব মহা যুধ হো জানে দো’ (মোদি, সেই মহান যুদ্ধ শুরু করুন) শিরোনামের আরেকটি গানে ভারতে বসবাসকারী মুসলিমদের ‘সাপের’ সঙ্গে তুলনা করা হয়। অন্য একটি গানে পেহেলগামের হামলাকে ‘ধর্মযুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ভারতের হিন্দুদের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় অপর একটি গানে।

      এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো কোনো পোস্টে পেহেলগাম হামলাকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে এবং ভারত সরকারকে ইসরায়েলের দেখানো পথে প্রতিশোধ নিতে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে।

      পেহেলগামে হামলার পর থেকে ভারতের বিভিন্ন সড়কে কাশ্মীরি ও মুসলিমদের লক্ষ্য করে অসংখ্য হামলার ঘটনা ঘটেছে। দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অব সিভিল রাইটস (এপিসিআর)–এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২২ এপ্রিলের হামলার পর ভারতজুড়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা, ভীতি প্রদর্শন ও ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার ২১টি ঘটনা ঘটেছে। কাশ্মীরি নারী ও শিক্ষার্থীরাও নৃশংসতা এবং ঘৃণার শিকার হচ্ছেন।


      তথ্যসূত্র:
      1. ‘Traitors’: Hate-filled songs target Indian Muslims after Kashmir attack
      https://tinyurl.com/55yyr9ts
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        পাকিস্তানকে সমর্থন করে পোস্ট করায় আসামে গ্রেপ্তার ৩০




        ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার জেরে চরম উত্তেজনা চলছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। ভারতে মুসলমানদের উপর চলানো হচ্ছে নির্যাতন। বিস্ফোরক দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি-ঘর। আটক করা হচ্ছে গণহারে। এই আবহে এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাকিস্তানকে সমর্থন করে পোস্ট দেওয়ায় অন্তত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।

        রাজ্য প্রশাসনের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি অনলাইন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উগ্র হিন্দুত্ববাদী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছে, ভবিষ্যতেও এই গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

        মঙ্গলবার রাজধানী গুয়াহাটিতে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছে, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনো সাদৃশ্য নেই। দু’টি দেশ পরস্পরের শত্রু এবং আমরা তাই থাকবো।”

        এর আগে গত ২৪ এপ্রিল, পেহেলগামে হামলার দু’দিন পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আসাম রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দল অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) বিধায়ক আমিনুল ইসলামকে।

        ২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলোওয়ামায় ভারতের আধা সামরিক বাহিনী সিআরপিএফের গাড়িবহরকে লক্ষ্য করে যে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল, সে সময় এই হামলাকে ‘বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির ষড়যন্ত্র’ বলে উল্লেখ করে একটি ভিডিওবার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন এআইইউডিএফ আসাম রাজ্য শাখার জ্যেষ্ঠ নেতা আমিনুল ইসলাম। ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার পুরোনো ভিডিওবার্তাটি ভাইরাল হয়। এর জেরে গ্রেপ্তার করা হয় বিধায়ক আমিনুল ইসলামকে।


        তথ্যসূত্র:

        1. Over 30 Arrested In Assam For Pro-Pak Social Media Posts After J&K Attack
        -https://tinyurl.com/yn2u5jua
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          নাতনির ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা



          মানিকগঞ্জের সিংগাইরে নাতনিকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় নানা আজগরকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

          নিহত আজগর মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে বসবাস করতেন। তিনি পেশায় একজন মুদি দোকানদার ছিলেন।

          নিহতের শ্যালক নজরুল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আজগরের নাতনিকে আলামিন নামে এক ছেলে রাস্তায় ইভটিজিং করত। সে কারণে গতকাল দুপুরে আজগর সিংগাইর থানায় একটি অভিযোগ দেন। পরে রাতে পুলিশ এসে আলামিনের খোঁজ নিয়ে চলে যায়। পুলিশ আসার খবর পেয়ে পরদিন সন্ধ্যায় কয়েকজন সন্ত্রাসী আজগরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে জরুরিভাবে ঢাকা পাঠানো। পরে আজগরকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

          এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাকিব আল মেহেদী শুভ গণমাধ্যমকে বলেন, রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।


          তথ্যসূত্র:
          ১. নাতনিকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা
          https://tinyurl.com/2cn8s4kh
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            গাজায় আরো অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত


            দখলদার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একদিনে কমপক্ষে ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এতে করে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫২ হাজার ৩৬০ ছাড়িয়ে গেছে।

            এছাড়া গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে বর্বর ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ২৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

            আনাদোলু বলছে, গাজা উপত্যকায় ২৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ হাজার ৩৬৫ জনে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

            মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া আরও ১১৩ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে আগ্রাসনে শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯০৫ জনে পৌঁছেছে। এছাড়াও বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি ও স্থাপনার ধ্বংসস্তূপে এখনও ১০ হাজারের বেশি মরদেহ পড়ে আছে। ভারী উদ্ধার সরঞ্জামের অভাব এবং রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ও অব্যাহত হামলার কারণে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে না পারায় এসব দেহাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।


            তথ্যসূত্র:

            1. Israeli attacks kill 51 more Gazans as death toll nears 52,400
            -https://tinyurl.com/36z6dw57
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ‘কলিজা টানি ছিঁড়ি ফেলবো, চেনো বিএনপিকে’ পছন্দের প্রার্থীকে সভাপতি না করায় স্কুল শিক্ষককে বিএনপি নেতার হুমকি



              ‘কলিজা টানি ছিঁড়ি ফেলবো-একবারে টানি ছিঁড়ি ফেলবো তোমার, চেনো তুমি-এ চেনো! খুব পাওয়ার দেখাও, একবারে নিশ্চিহ্ন করে দেবো তোমাক, চেনো বিএনপিকে? তোমার নামে আমি মামলা দেবো। আমি থানায় যায়া ওখানে লিখবো, উয়াকে অ্যারেস্ট করি দিয়ো তারপরে আমি আসবো।’

              কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিছুর রহমানের এসব কথার ৩৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

              বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিও নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। স্কুলের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাজারহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা বায়তুলমাল সম্পাদক রুবেল মিয়াকে উদ্দেশ্য করে সে এসব কথা বলেছে বলে জানা গেছে। হুমকির পাশাপাশি মারধরেরও অভিযোগ করেছে রুবেল মিয়া।

              রুবেল মিয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে চান্দামারী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে কমিটি নিয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি পদের জন্য রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিছুর রহমান তিনজনের নাম প্রস্তাব করে।

              তারা হলেন, রাজারহাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক রুশো চৌধুরী, যুগ্ম-আহ্বায়ক বাদশা মিয়ার ছোট ভাই শাহ আলম মাস্টার ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম। এই তালিকার বিপরীতে আমি রাজারহাট উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আহমদ আলীর নাম প্রস্তাব করি। এ নিয়ে সেখানে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজারহাট বাজারে থানা মোড়ে আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন আমাকে পথরোধ করে পাশের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যায়ি। সেখানে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে চড়, থাপ্পড় মেরে লাঞ্ছিত করেন ও গালিগালাজ করে।


              তথ্যসূত্র:
              ১. ‘কলিজা টানি ছিঁড়ি ফেলবো, চেনো বিএনপিক’
              https://tinyurl.com/4jes3vuk
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ধানের ট্রাকে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে আটক বিএনপি নেতাসহ তিনজন




                নাটোরের সিংড়ায় ধানের ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে বিএনপি নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করে।

                মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের রানীনগর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

                আটককৃতরা হল— শেরকোল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সম্প্রতি ঘোষিত শেরকোল সমজান আলী উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পলাশ আহমেদ ও জয়নাল আবেদীনের অনুসারী মিলন হোসেন।

                জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের রানীনগর এলাকা থেকে ধান নিয়ে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় দুটি ট্রাক। ট্রাক দুটি শেরকোল শাহী বাজারে আসলে তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে শেরকোল ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনসহ তার অনুসারীরা। এরপর ধানের মালিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি জানালে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।


                তথ্যসূত্র:
                ১. নাটোরে ধানের ট্রাকে চাঁদাবাজির সময় বিএনপি নেতাসহ তিনজন আটক
                https://tinyurl.com/mwsjxt4u
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  পাঠ্য বই থেকে ‘মুঘল ও সুলতানি’ আমলের সকল তথ্য মুছে দিল বিজেপি সরকার




                  ভারতের শিক্ষাক্রম ও প্রশিক্ষণ গবেষণা কাউন্সিল (এনসিআরটি) সম্প্রতি ক্লাস-০৭ এর পাঠ্য বই সংশোধন করেছে। সংশোধিত পাঠ্য বই থেকে মুঘল আমল ও সুলতানি আমলের সকল তথ্য মুছে দিয়েছে। ভারতের শিক্ষা নীতি আইন ও ন্যাশনাল কারিকুলাম ফর স্কুল এডুকেশন (এনসিএফএসসি) এর সুপারিশে মুসলিম শাসনের সাথে জড়িত সকল তথ্য বাদ দেয়া হয়েছে।

                  মুসলিমদের ইতিহাসকে বাদ দিয়ে প্রাচীন মৌর্য, শুঙ্গ এবং সাতবাহন রাজবংশের ইতিহাস যুক্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে মুসলিমদের ইতিহাস মুছে হিন্দুত্ববাদী ধারা তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রাচীন ভারতের একাধিক রাজবংশের ইতিহাসকে গুরুত্ব দিয়েছে।

                  এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মের তীর্থস্থানগুলোর উপর একটি নতুন অধ্যায় যুক্ত করেছ। ওই অধ্যায়ে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, ইহুদি ও শিখ ধর্মের তীর্থস্থানগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

                  পাঠ্যবইয়ে মুসলিম সালতানাত ও মুঘলদের সমস্ত তথ্য মুছে ফেলায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছে, পাঠ্য বইয়ের ‘গেরুয়া-করণ’ করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ক্ষমতাসীন উগ্রবাদী বিজেপির মতাদর্শের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয়গুলো রাখা হয়েছে।

                  এর আগেও পাঠ্য বই যৌক্তিকিকরণের নামে দিল্লি সালতানাত ও মুঘল সাম্রাজ্য সম্পর্কে কিছু তথ্য বাদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই প্রথমবার পাঠ্যবই থেকে দিল্লি সালতানাত ও মুঘল সাম্রাজ্য সম্পর্কে সকল প্রকার তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে।

                  নতুন এই পাঠ্য বইয়ে হিন্দুত্ববাদী চিন্তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি অধ্যায় যোগ করা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কীভাবে এই ভূমি পবিত্র হল?’। এই শিরোনামের অধীনে হিন্দুদের কাছে তীর্থস্থান খ্যাত চার ধাম যাত্রা, ১২ জৌর্তিলিঙ্গ, শক্তি পীঠা এই জায়গাগুলোর মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে।

                  নিকৃষ্ট বর্ণ প্রথার মাহাত্ম্য উল্লেখ করে নতুন একটি অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে নতুন পাঠ্য বইয়ে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বর্ণ-জাতি’ প্রথা। এই অধ্যায়ের অধীনে আদিম ভারতে বৈষম্য সৃষ্টিকারী বর্ণ বৈষম্য প্রথার মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে।

                  আগেও পাঠ্য বইয়ের একটি সংস্করণ নিয়ে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ২০০২ সালে গুজরাট গণহত্যার বিষয়ক একটি অধ্যায় বাদ দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে তারা গুজরাটের মুসলিম গণহত্যার বিষয়টি বাদ দেয়। তারা দাবি করে, গণহত্যা ও দাঙ্গা শিক্ষা দিলে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে।


                  তথ্যসূত্র:
                  1. Mughals Erased from Revised NCERT Class 7 Textbooks, Opposition Slams ‘Saffronisation’
                  https://tinyurl.com/3szwx5nx
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের আশ্রয়কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিলো জর্ডান


                    জর্ডানের রাজধানী আম্মানে একটি শরণার্থী শিবির থেকে শতাধিক ফিলিস্তিনিকে জোর করে উচ্ছেদ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এই তথ্য জানিয়েছে।

                    এইচআরডব্লিউ জানায়, আম্মানের আল-মাহাত্তা এলাকায় গত বছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে গ্রেটার আম্মান মিউনিসিপ্যালিটি (জিএএম) কর্তৃপক্ষ অন্তত ২৫টি বাড়ি ও দোকান গুঁড়িয়ে দেয়। সেখানে ১০১ জনের মতো মানুষ বাস করছিলেন।

                    এসব মানুষকে পর্যাপ্ত সময়, তথ্য বা বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা না করেই উচ্ছেদ করা হয়েছে। শহর পুনর্গঠনের প্রকল্পের নাম দিয়ে এই উচ্ছেদ চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এখানে ১৯৪৮ সালের নাকবার সময় বাস্তুচ্যুত হওয়া প্রায় আট হাজার ফিলিস্তিনি পরিবারের বাস।

                    অনেক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, তাদের মাত্র দুই সপ্তাহ থেকে এক মাস সময় দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণ নিয়ে অস্পষ্ট মৌখিক প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা বলা হলেও সময়সূচি বা প্রক্রিয়া সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু জানানো হয়নি।

                    এইচআরডব্লিউ-এর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের উপপরিচালক অ্যাডাম কুগল বলেন, আবাসন ছাড়াই পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করলে তারা কার্যত সাহায্যের জন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা পায় না। যথাযথ সুরক্ষা ও ক্ষতিপূরণ ছাড়া এমন উচ্ছেদ মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।


                    তথ্যসূত্র:
                    1. Jordan: Informal Camp Residents Displaced
                    https://tinyurl.com/9u82mjkh
                    2.Jordan ‘forcibly evicted’ Palestinians from informal refugee camp: HRW
                    https://tinyurl.com/8wvwaz8x
                    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মৌখিক পরীক্ষায় নিকাব না খোলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে হেনস্তা



                      বান্দরবানে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (পিটিআই) কেন্দ্রে চূড়ান্ত মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন নিকাব না খোলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে প্রটেস্ট অ্যাগেইনস্ট হিজাবোফোবিয়া নামের একটি সংগঠন।

                      সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উদ্বেগজনক একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো খুবই নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য একটি ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো, যা আমাদের বোন, মাশরুফা সাঈদীর সঙ্গে ঘটেছে। যিনি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বেসিক ট্রেনিং ফর প্রাইমারি টিচার্সের (বিটিপিটি) প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন।

                      সোমবার (২৮ এপ্রিল) বান্দরবানের প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (পিটিআই) কেন্দ্রে চূড়ান্ত মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ওই শিক্ষিকাকে তার পোশাক এবং হিজাব পরিধানের কারণে অকথ্য মানসিক অত্যাচার এবং হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। এটি শুধু একটি সাধারণ দুর্ব্যবহার নয়, বরং এটি তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রতি তীব্র আঘাত এবং নারীর প্রতি সামাজিক অবজ্ঞার শামিল।

                      এই ঘটনার সময় বান্দরবানের ডিপিও মোফাজ্জল হোসেন খান ও ইন্সট্রাক্টর জেনারেল মশিউর রহমান মন্ডল- মাশরুফাকে প্রকাশ্যে অপমান করে এবং তাকে তার পোশাক নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

                      তাদের কাছ থেকে পাওয়া কিছু অবমাননাকর প্রশ্ন ছিল এমন-আপনার মুখ বন্ধ কেনো? আপনি এ রকম হলে প্রাইমারিতে কেনো আসছেন? এখনো আপডেট হতে পারেন না কেনো? আপনি এ রকম হলে চাকরি ছেড়ে চলে যান? আপনার মুখ বন্ধ রাখলে কোনো পাপ মোচন হবে? আপনার মুখ বন্ধ কেনো থাকবে? আপনি জানেন, আমি এই পর্দা করার কারণে একজনকে সাসপেন্ড করেছি?


                      তথ্যসূত্র:
                      ১. ‘নিকাব’ না খোলায় প্রাথমিকের শিক্ষিকাকে হেনস্তা
                      https://tinyurl.com/yw7dzns3
                      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        কোকা-কোলা বর্জনের ঢেউ এবার ইউরোপেও




                        ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে কোকা-কোলা বর্জনের ঢেউ উঠেছিল। সেই ঢেউয়ের ধাক্কা লেগেছে এবার ইউরোপের দেশ ডেনমার্কেও। দেশটিতে কোকা-কোলা বাজারজাতকারী কোম্পানি কার্লসবার্গ জানিয়েছে, ডেনিশ ভোক্তারা কোকা-কোলা বর্জন করছে।

                        বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ২৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার কার্লসবার্গের সিইও জ্যাকব অ্যারাপ-অ্যান্ডারসেন এই তথ্য জানিয়েছে। কার্লসবার্গ ডেনমার্কে কোকা-কোলা বোতলজাত করে। সে জানায়, এই বর্জনের ফলে স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বীরা বাজার দখল করছে এবং কোকা-কোলার বিক্রি কমে গেছে।

                        কার্লসবার্গ ক্রোনেনবার্গ বিয়ার ও টুবোর্গ সোডার মতো কোমল পানীয়ও বিক্রি করে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ডেনমার্কে তাদের কোকের বিক্রি ‘কমেছে।’ অ্যারাপ-অ্যান্ডারসেন বলেছে, মার্কিন ব্র্যান্ডগুলোর প্রতি ভোক্তাদের একটি নির্দিষ্ট মাত্রার বর্জন কাজ করছে।

                        মার্কিন শুল্ক, পররাষ্ট্রনীতি বা ইলন মাস্কের রাজনৈতিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে ভোক্তারা টেসলার মতো ব্র্যান্ড, মার্কিন হুইস্কির মতো পণ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন।

                        অ্যারাপ-অ্যান্ডারসেন কার্লসবার্গের প্রথম প্রান্তিকের আয় সম্মেলনে বিনিয়োগকারীদের জানায়, ডেনমার্কে কিছু স্থানীয় ব্র্যান্ড কোকের মতো মার্কিন ব্র্যান্ডগুলোর শেয়ার দখল করছে।

                        কোক প্রায়শই বিশ্বব্যাপী বর্জনের মুখে পড়ে। ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের প্রতিবাদে পাকিস্তান, মিসর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে কোকের বিক্রি ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল। ভোক্তারা তখন স্থানীয় ব্র্যান্ডের দিকে ঝুঁকেছিল।

                        কোকা-কোলা এখন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে হিস্পানিক ভোক্তাদের বর্জনের প্রভাবও অনুভব করছে। এমনকি একটি ভিডিওতে কোম্পানিকে তাদের লাতিন কর্মীদের ছাঁটাই করতে এবং অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের রিপোর্ট করতে দেখা গেছে।


                        তথ্যসূত্র:

                        1.Danes boycotting US products like Coca-Cola, Carlsberg says
                        -https://tinyurl.com/3wuup446
                        2. Carlsberg says Danes boycotting Coca-Cola
                        https://tinyurl.com/3pu2996u
                        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          আবারও দাউ দাউ করে জ্বলছে দাবানল, পালাচ্ছে ইসরায়েলিরা




                          দখলদার ইসরায়েলের দখলকৃত জেরুজালেমের বিভিন্ন জায়গায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এরমধ্যে দখলদার ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব থেকে জেরুজালেম যাওয়া রুট-১ মহাসড়কে ছড়িয়েছে আগুন। এতে সড়কে চলা বেশ কিছু গাড়ি আটকে পড়ে। আগুন কাছে চলে আসার পর ইসরায়েলিদের গাড়ি রেখে দৌড়ে পালাতে দেখা গেছে।

                          দখলদার ইসরায়েলের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস ৩০ এপ্রিল, বুধবার জানিয়েছে, ওই সড়কে যেসব মানুষ গাড়িসহ আটকে পড়েছে বা যারা আগুনের ঝুঁকিতে পড়েছে তাদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে। সেখানে একাধিক দাবানল জ্বলছে।

                          দাবানল বর্তমানে এতটাই তীব্র যে এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১১৯টি দল এ কাজ করছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস। তাদের সঙ্গে কাজ করছে অগ্নিনির্বাপক ১০টি বিমান। ১১৯টি দলের সঙ্গে যোগ দিতে সেখানকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে আরও ২২টি দল।

                          ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তারা ৯ জনকে উদ্ধার করেছে। তাদের গাড়িগুলো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল। ধোঁয়ার ভেতর পড়ে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

                          এদিকে জেরুজালেমে গত কয়েকদিন ধরে তীব্র বাতাস বইছে। যা দাবানলকে আরও উস্কে দিচ্ছে।


                          তথ্যসূত্র:

                          1.‘National Emergency’: Huge fires rage around Jerusalem; overseas help sought; Independence Day torch-lighting canceled
                          -https://tinyurl.com/ncxz4aba
                          2. Firefighters battle to extinguish massive fires across Jerusalem area – watch
                          https://tinyurl.com/2rrt874p
                          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            ভারতে কাশ্মীরি শাল বিক্রেতাদের হেনস্তা করছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা



                            ভারতের উত্তরাখণ্ডের মুশোরি এলাকায় দুই কাশ্মীরি শাল বিক্রেতাকে হেনস্তা ও হুমকি দিয়েছে উগ্রহিন্দুত্ববাদী বজরং দলের সদস্যরা। আর আগেও ১৬ জন কাশ্মীরি শাল বিক্রেতাকে হেনস্তা করা হয়। কাশ্মীরি এই শাল বিক্রেতারা মূলত ভারত সরকার কর্তৃক অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলা থেকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে এসেছে। পেহেলগামের ঘটনার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তাদের হেনস্তা ও হুমকি দিয়ে ভাড়া বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।

                            মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

                            কাশ্মীরি ওই শাল বিক্রেতারা দীর্ঘ বছর যাবৎ এই এলাকায় শাল বিক্রি করে আসছে। তারা ওই এলাকার অর্থনীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। শান্তিপূর্ণভাবে ওই এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখছিল ওই শাল বিক্রেতারা। শাল বিক্রেতাদের দীর্ঘদিনের অবস্থান সত্ত্বেও তাদের উপর শারিরীক ও মানসিক হামলা চালিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।

                            স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আক্রমণের বিপরীতে সাহায্যের পরিবর্তে পুলিশ কর্তৃক হয়রানির শিকার হচ্ছেন এসব কাশ্মীরি শাল বিক্রেতা। স্থানীয় পুলিশ তাদের ওই এলাকা খালি করে দ্রুত রাজ্য ত্যাগ করার হুমকি দিয়েছে। পুলিশের এই নির্দেশনা তাদের অসহায় অবস্থায় ফেলে দিয়েছে, ক্রমবর্ধমান মুসলিম বিদ্বেষের ফলে ব্যবসা রেখে তাদের চলে যেতে হচ্ছে।

                            ভুক্তভোগী একজন কাশ্মীরি ব্যবসায়ী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘এখানে আমাদের আরও কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকারও বেশি মালামাল রয়েছে। কোনো উপায় না পেয়ে এগুলো রেখেই বাধ্য হয়ে চলে যেতে হচ্ছে।’


                            তথ্যসূত্র:
                            1. Right-Wing Members Attack Kashmiri Shawl Sellers in Mussoorie, Traders Forced to Leave
                            https://tinyurl.com/2je5k7nb
                            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                            Comment


                            • #15
                              উত্তর প্রদেশে একটি মাদ্রসা ও মুসলিম মালিকানাধীন দোকান গুড়িয়ে দিল হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন




                              ভারতের উত্তর প্রদেশের লখনৌ এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে বুলডোজার দিয়ে একটি মাদ্রাসা, কয়েকটি দোকান ও কিছু কাঁচা ঘর গুড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি সরকার। উত্তর প্রদেশের সিমনা শাহ বাবার দরগাহ এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। এই ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলছেন, উত্তর প্রদেশের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ইচ্ছাকৃত মুসলিমদের স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে এবং গুড়িয়ে দিচ্ছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এই ঘটনার একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘দি মুসলিম মিরর।’

                              টানা দুইদিন যাবত বিরতিহীভাবে বুলডোজার দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসা সহ ১০টি দোকান, ৩৬ টি কাঁচা বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

                              স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ওই এলাকায় ‘কিং জর্জ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ নাম একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়টিই মাদ্রাসা ও তার আশেপাশে কিছু স্থাপনার বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম অবৈধ জমি দখলের অভিযোগ তোলে।

                              স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনের দাবি করে তারা ছয় মাস আগে স্থাপনাগুলো সরানোর নোটিশ দিয়েছে।

                              অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই ভাঙচুর মুসলিমদের দমন করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ। ঘর-বাড়ি ছাড়া অসহায় মুসলিমরা বলছেন তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। তারা বলেছেন, এই ঘটনার মুসলিমদের উপর বিজেপি শাসিত সরকারের রাষ্ট্রীয় আগ্রাসনের একটি রূপ।

                              নিজেদের দীর্ঘদিনের ত্যাগে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানকে চেখের সামনে মাটির সাথে গুড়িয়ে যেতে দেখে তীব্র হতাশা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষকগণ।


                              তথ্যসূত্র:
                              1. Authorities bulldoze Madrasa, homes, shops near KGMU; victims allege targeted brutality against Muslims in Lucknow
                              https://tinyurl.com/9sv7jfph
                              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                              Comment

                              Working...
                              X