Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১লা মুহাররম, ১৪৪৭ হিজরী || ২৭ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১লা মুহাররম, ১৪৪৭ হিজরী || ২৭ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় শহীদ আরও ৭১ ফিলিস্তিনি


    ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৭১ জন শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ২৭ জুন, শুক্রবার আল জাজিরার লাইভে এ তথ্য জানানো হয়।

    গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৬ জুন, বৃহস্পতিবার গাজা জুড়ে দখলদার ইসরায়েলের সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৭১ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। গাজার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, শহীদদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    এদিকে গাজা সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গত এক মাসে বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের পরিচালিত সহায়তাকেন্দ্রে শহীদ হয়েছেন অন্তত ৫৪৯ জন। কেন্দ্রগুলোকে ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ আখ্যা দিয়ে মিডিয়া অফিস বলছে এসব ঘটনায় এখনো ৩৯ ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন, যারা খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

    আল জাজিরা বলছে, সহায়তা সরবরাহ দুই দিনের জন্য বন্ধ রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। এরইমধ্যে উত্তর গাজাগামী সহায়তা করিডোরগুলো বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। এতে দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা লাখো মানুষের জন্য সরাসরি সহায়তা প্রবেশ পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে।

    গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনে গাজায় ৫৬ হাজার ২৫৯ জন শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৩২ হাজার ৪৫৮ জন।


    তথ্যসূত্র:
    1.Updates: Israeli attacks kill 71 people, including aid seekers, across Gaza
    https://tinyurl.com/43pfa3j2
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    গাজায় ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সরবরাহের সরাসরি পথ বন্ধ করল দখলদার ইসরায়েল



    উত্তর গাজায় ক্রসিং পয়েন্টগুলো বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল, যার ফলে ভূখণ্ডটিতে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে থাকা শত-সহস্র মানুষের জন্য ত্রাণ সরবরাহের সবচেয়ে সরাসরি পথটি বন্ধ হয়ে গেল। এই পদক্ষেপ গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দুর্বৃত্ত ইসরায়েল বেশ কয়েক মাস ধরে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে। মাঝেমধ্যে কিছু ট্রাককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। এর ফলে ফিলিস্তিনের এই উপত্যকাটিতে অনাহার, ওষুধের অভাব এবং স্বাস্থ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘ এই অবরোধে গাজার পুরো জনগোষ্ঠী মানবিক বিপর্যয়ে ধুঁকছে, এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এটিকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

    সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসী নেতানিয়াহু গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

    ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এলো যখন গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ইতিমধ্যেই উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষের চরম শঙ্কা দেখা দিয়েছে, কারণ অক্টোবর মাস থেকে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী এই অঞ্চলকে প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।

    এদিকে, গাজা প্রশাসনের তথ্যমতে, গত চার সপ্তাহে বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে সহায়তা নিতে গিয়ে ৫৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ৪ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৩৯ জন নিখোঁজ হয়েছেন। গাজার কর্তৃপক্ষ এই কেন্দ্রগুলোকে ‘মৃত্যুফাঁদ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলছে, দখলদার ইসরায়েল খাদ্যকে গণহত্যার অস্ত্রে রূপান্তরিত করেছে।


    তথ্যসূত্র:
    1.Israel closes the most direct route for aid to Palestinians in Gaza
    https://tinyurl.com/drmx5ewr
    2. Israel Gaza News | Israel Closes The Most Direct Route For Aid To Palestinians In Gaza | N18G
    https://tinyurl.com/3k8s97sd
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতীয় সেনাদের গুলিতে আরও এক কাশ্মীরি যুবক শহীদ



      ​কাশ্মীরে দখলদার ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে আরও এক নিরপরাধ কাশ্মীরি যুবক শহীদ হয়েছেন। গত ২৬ জুন কাশ্মীরের উধমপুর জেলার বসন্তগড় এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

      কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস (কেএমএস)-এর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় সেনারা কথিত ‘তল্লাশি অভিযান’-এর নামে ওই এলাকায় ঢুকে নির্বিচারে তাণ্ডব চালায় এবং এক নিরস্ত্র যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই শহীদ হন।

      সম্প্রতি প্রতিদিনই দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে ‘নিরাপত্তা’ অজুহাতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে মোদি সরকারের হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। ইসরায়েলি কায়দায় আচমকা বাড়ি ও জনপদ ঘিরে ফেলে কাশ্মীরি যুবকদের আটক কিংবা গুলি করে হত্যা করছে ভারতীয় বাহিনী। এসব বর্বর অভিযানের অধিকাংশই হয় কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা প্রমাণ ছাড়াই।

      এছাড়া, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কাশ্মীরের কৃষিজমি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গা ‘সরকারি’ বা ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে দখল করে নেওয়ার ঘটনাও বেড়েছে। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতেই এসব ভূমি দখলের ঘটনা বেশি ঘটছে, যা কাশ্মীরিদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করে দেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


      তথ্যসূত্র:
      1. Indian troops martyr one Kashmiri youth in Udhampur
      https://tinyurl.com/s4v3dmxt
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        দখলদার ইসরায়েলের অবরোধে গাজায় অনাহারে ২ নবজাতক শিশুর মৃত্যু


        ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের অব্যাহত অবরোধ এবং বর্বর আগ্রাসনের কারণে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনুস শহরের নাসের হাসপাতালে ২৬ জুন, বৃহস্পতিবার দুই নবজাতক শিশু অনাহারে মারা গেছে।

        স্থানীয় ও চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে, এই দুই শিশুর মৃত্যুর কারণ মারাত্মক অপুষ্টি ও শিশুখাদ্যের সংকট। কয়েক মাস যাবত অবরুদ্ধ গাজায় কোনো ধরনের খাদ্য, ওষুধ বা শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় ফর্মুলা দুধ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না দখলদার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। ফলে হাজার হাজার শিশু এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

        এই শিশুদের পরিবার জানায়, তাদের সন্তানেরা খাবার না পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধুঁকছিল। আশপাশে কোনো হাসপাতাল কাজ করছে না, আর নাসের হাসপাতালেও প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন বা দুধ ছিল না। মৃত্যুর পরে দুই শিশুর দেহ দাফনের সময় বহু মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন। এক অভিভাবক বলেন, “আমরা যেন জীবিত অবস্থাতেই আমাদের সন্তানদের কবর দিলাম।”

        নাসের হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, “খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে ইসরায়েল একটি নতুন ধরনের যুদ্ধ চালাচ্ছে—এটা হলো মানবিক অবকাঠামো ধ্বংস করে গণহত্যা। এই দুই শিশুর মৃত্যু কেবল শুরু মাত্র।”

        গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, অবরোধের ফলে প্রায় ৩০ হাজার নবজাতক চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গাজায় বর্তমানে শিশুখাদ্য, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, এবং জীবন রক্ষাকারী ওষুধের চরম সংকট চলছে।

        ইসরায়েলি এই মানবতাবিরোধী বর্বরতার বিরুদ্ধে তথাকথিত মানবাধিকারের বড় বড় মুখোশধারী পশ্চিমা দেশগুলো বরাবরের মতো এবারও নির্লিপ্ত। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা আমেরিকা— কেউই এসব শিশু হত্যার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং তারা অবরোধের পেছনে নীরব সমর্থন দিয়েই চলেছে।

        এই দুই শিশুর মৃত্যু কেবলমাত্র একটি ঘটনার প্রতিফলন নয়—বরং এটি এক গোটা জাতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক গণহত্যার প্রমাণ। ইসলামফোবিয়ায় আক্রান্ত পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের এই জোট মুসলিম শিশুদের জীবনকেও রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। গাজার দুই শিশুর এই মৃত্যু আমাদের মনে করিয়ে দেয়—ইহুদিবাদী ইসরায়েল কেবল বোমা-গুলির মধ্য দিয়েই নয়, বরং খাদ্য, পানি ও ওষুধের পথ বন্ধ করেও একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে।


        তথ্যসূত্র:
        1.Amid ‘Israel’s’ brutal blockade, 2 babies die of malnutrition in Gaza
        https://tinyurl.com/yc8f7hsy
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে স্মার্টফোন সহ কেন্দ্রে ঢুকল ছাত্রদল নেতা


          নাটোরের বড়াইগ্রামে এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে ছাত্রদলের নেতাকে পরীক্ষার্থীদের নির্দেশনা প্রদান করতে দেখা যায়। একই সময় কক্ষ পরিদর্শক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তরপত্র বিতরণ করছে। এ সময় ছাত্রদলের নেতার এক সহযোগী ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

          বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) উপজেলার বনপাড়া কলেজ কেন্দ্রের ২০৫ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

          অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতার নাম রাকিব সরদার। সে ছাত্রদলের বনপাড়া শহর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বনপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব সরদার রফিকের ছেলে।

          প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন শুধু পরীক্ষার্থী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা রয়েছে। একই সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রের ১০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

          এই সময় ছাত্রদল নেতা রাকিব সরদার ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে তার সহযোগীসহ কেন্দ্রে প্রবেশ করে বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের নির্দেশনা-অভয় দিতে থাকে। সবশেষ ২০৫ নম্বর কক্ষে গিয়ে স্মার্ট ফোন দিয়ে নিজের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে। অথচ কোনোভাবেই পরীক্ষাকেন্দ্রে স্মার্ট ফোন অনুমোদিত নয়।


          তথ্যসূত্র:
          ১.পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে ছাত্রদল নেতার নির্দেশনা, ৪ শিক্ষককে অব্যাহতি
          -https://tinyurl.com/4zbb7v4d
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X