Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২রা মুহাররম,১৪৪৭ হিজরী || ২৮ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২রা মুহাররম,১৪৪৭ হিজরী || ২৮ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    গাজায় তিন দিনে ১৫ সেনা হারাল দখলদার ইসরায়েল



    ফিলিস্তিনের গাজার বিভিন্ন এলাকায় ২৭ জুন (শুক্রবার), এবং গত ২ দিনে অন্তত ১৫ জন দখলদার ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

    কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ২৭ জুন (শুক্রবার) উত্তর গাজার তুফাহ এলাকায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনীর একটি সাঁজোয়া যানকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরক রকেট ছোড়ে আল কাসসাম ব্রিগেড।

    এতে ওই সাঁজোয়া যানে থাকা ১৭ জন দখলদার সেনার মধ্যে ৭ জন নিহত হয় এবং আহত হয় বাকি ১০ জন। তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ২৬ জুন, বৃহস্পতিবার গাজার প্রধান শহর গাজা সিটি এলাকায় আল কাসসাম ব্রিগেডের মুজাহিদদের গুলিতে নিহত হয় এক ইসরায়েলি সেনা। এছাড়া এ সময় বিস্ফোরক রকেট ছুড়ে দখলদার বাহিনীর দু’টি মারকাভা ট্যাংক, একটি সাঁজোয়া যান এবং একটি বুলডোজার ধ্বংস করা হয়।

    তার আগের দিন বুধবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে আল কাসসাম ব্রিগেডের গুলি ও রকেট হামলায় নিহত হয় আরও ৭ জন ইসরায়েলি সেনা। নিহতদের মধ্যে একজন লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তা ছিল। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুসারে, গত মার্চে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ফের ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এই প্রথম এত অল্প সময়ের ব্যবধানে গাজায় এত সংখ্যক ইসরায়েলি সেনা নিহত হলো।

    ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চে গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েলের নতুন অভিযান শুরুর পর এত অল্প সময়ের মধ্যে এতজন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য এক গুরুতর মনস্তাত্ত্বিক ও কৌশলগত ধাক্কা।


    তথ্যসূত্র:
    1.Al-Quds Brigades: We Blew Up Israeli Vehicle in Jabaliya
    https://tinyurl.com/b3wfxctw
    2. اليوم الـ 630.. “السرايا” تُدمر آلية صهيونية شرق مخيم جباليا وتواصل التصدي للعدوان
    https://tinyurl.com/mubbapfe
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    লালমনিরহাটে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননা; মিডিয়ার প্রোপাগান্ডায় সত্য ঘটনা আড়ালের অপচেষ্টা




    দেশে বাক স্বাধীনতার নামে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সময়ে সময়ে কটূক্তি করে আসছে এক শ্রেণির ইসলাম বিদ্বেষী মানুষ। এই জঘন্য কাজকে ব্যক্তি স্বাধীনতা কিংবা বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে বৈধতা উৎপাদন করেছে দেশের সেক্যুলার মিডিয়া। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে কটূক্তি করেছে খোদ সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক থেকে নিম্ন পর্যায়ের নাপিত পর্যন্ত। কিন্তু সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিমদের ভালোবাসা ও বিশ্বাসকে নিরাপত্তা দেওয়ার দৃশ্যমান কোনও উদ্যোগ নেয়নি সরকার।

    গত বছরের ০৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মুসলিমরা। তারা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস আবেগের নিরাপত্তার দাবিতে বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়েছিল। তারা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছিল হাসিনা ও আওয়ামী জাহিলিয়্যাতকে। শহীদদের অধিকাংশই উজ্জীবিত হয়েছিল শাহাদাতের মর্যাদা লাভের আশায়।

    সেই হিসেবে অনেকের আশা ছিল দেশে কিছুটা হলেও মুসলিমদের জান, মাল ও বিশ্বাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। কিন্তু ০৫ আগস্টের পর শুরু হয় এর সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। শুরু হয় একের পর এক আল্লাহ ও রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি ও অবমাননার ঘটনা।

    পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটির রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদুর রহমান আল্লাহ তায়ালাকে নিয়ে অত্যন্ত জঘন্য ভাষায় ফেসবুকে পোস্ট করে।

    তার এই ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে কোনা পদক্ষেপই গ্রহণ করা হয়নি তার বিরুদ্ধে। তার বিপক্ষে কোন মিডিয়া লেখেনি। তার বিরুদ্ধে আলেম সমাজসহ সবাই আওয়াজ তুললেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলে তা শুনানির পূর্বেই খারিজ করে দেওয়া হয়। এমনকি ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত সকল আইনও বাতিল করা হয়েছে।

    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননার সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে লালমনিরহাটে। স্থানীয় একটি সেলুনের মালিক হিন্দু পরেশ চন্দ্র শীল (৬৯) ও বিষ্ণু চন্দ্র শীল (৩৫) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে। দীর্ঘদিন যাবত ধরেই দোকানে আসা মুসলিমদের চুল কাটানোর সময় তারা সুযোগে ইসলাম ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি করে। বিশেষ করে তারা কম বয়সী মুসলিম যুবকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। কম বয়সী যুবকদের দ্বীন সম্পর্কে কম জানা শোনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাদের মাঝে সংশয় বিস্তার করার অপচেষ্টা চালায়। বিশেষ করে পরেশ চন্দ্র শীল নিয়মিত ভাবেই এই কাজ করে আসছে। স্থানীয়রা তাকে একাধিকবার সতর্কও করেছেন বলে জানা যায়। কিন্তু তাতে থোড়াই কেয়ার করেছে পরেশ চন্দ্র শীল ও তার ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র শীল। এমনকি তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি স্কুল পড়ুয়া ছোট শিশুও। এমনটিই উঠে এসেছে গণমাধ্যমের রিপোর্টে। অল্প বয়সী এসব ছোট বাচ্চারা চুল কাটাতে গেলে পরেশ কৌশলে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি করে এবং ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মনে সংশয়ের সৃষ্টি করে।

    ঘটনার সূত্রপাত:

    গণমাধ্যমকে দেওয়া ভুক্তভোগী যুবক ও স্থানীয়দের সাক্ষাতকারের বরাতে জানা যায়, গত শুক্রবার (২০ জুন) পরেশের দোকানে চুল কাটাতে যান ১৯ বছর বয়সী মোঃ নাজমুল ইসলাম। চুল কাটানোর এক পর্যায়ে পরেশ তার চিরায়ত অভ্যাসের ধারাবাহিকতায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ইসলামকে নিয়ে গল্প শুরু করে। আলাপের এক পর্যায়ে সে সুযোগ বুঝে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে শুরু করে।

    ওই যুবক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ চুল কাটার মাঝ পথে সে (পরেশ) আমাকে জিজ্ঞেস করে, তোমাদের নবীর নাম কি? আমি বললাম, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তারপর সে প্রশ্ন করে তার কতজন স্ত্রী ছিলেন? আম উত্তরে বলি ১১ জন স্ত্রী ছিলেন। তারপর সে বলে, সবার ছোট স্ত্রী জয়নাব না কি যেন নাম? উত্তরে আমি বলি তার নাম হযরত আয়েশা রাদ্বিআল্লাহু আনহা’

    ওই যুবক আরও বলেন, এক পর্যায়ে পরেশ আয়েশা রাদ্বিআল্লাহু আনহার সাথে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিয়ে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে এবং আপত্তিকর কথা বলে।

    ভুক্তভোগী নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে আরও জানান, চুল কাটানোর সময় পরেশের নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননার সময় তাকে চুপ করে কাজ করতে বলেন। কিন্তু সে তার কথায় কোনোর কর্ণপাত না করে একের পর এক অবমাননার মাধ্যমে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করে।

    এমনকি পরেশ ভুক্তভোগী ওই যুবককে দাড়ি রাখতেও নিষেধ করে।

    পরে এই ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় জনতা। স্থানীয় জনতা একত্রিত হয়ে এই ঘটনার কারণ জানতে চায় পরেশ ও বিষ্ণুর কাছ থেকে।

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ঘটনার একাধিক ভিডিও গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, স্থানীয় লোকজন তাদের কাছ থেকে এই ঘটনার ব্যাখা জানতে চাইলে তারা ঘটনার কথা শিকার করে মাফ চাইতে থাকে। পরে স্থানীয় জনতা পুলিশকে খবর দেয় এবং তাদেরকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

    দশ টাকা কান্ড:

    গ্রেফতারের ঘটনার পর পরেশের ছেলের বৌ একটি ভিডিওতে দাবি করে, তার শ্বশুরের সাথে এক লোকের দশ টাকা নিয়ে কথা কাটাটি হয় যার জের ধরে পরেশকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। যার জের ধরে পরে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং মামলা দায়ের করা হয়।

    কিন্তু এই ঘটনা অস্বীকার করেছেন ভুক্তভোগী নাজমুল ইসলাম। তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, দশ টাকার কাহিনী সম্পূর্ণ বানোয়াট। এই ঘটনার সাথে দশ টাকার কোনো সম্পর্ক নেই।

    এছাড়াও, স্থানীয় জনতা যখন তাদের দোকানে ঘেরাও করে ও পুলিশের হাতে সোপর্দ করে তখন এই ধরনের কোনও দাবিই করেনি পরেশ ও বিষ্ণু। যদি বাস্তবেই এমন কোনও ঘটনা ঘটে থাকতো তারা পুলিশের সামনে বলতে পারতো যা তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনে ব্যবহার করার সুযোগ থাকতো। কিন্তু তারা সরাসরি দোষ স্বীকার করেছে এবং ক্ষমা চেয়েছে। যার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে পরবর্তীতে।

    মামলা দায়ের ও বিদেশি বিভিন্ন নম্বর থেকে বাদী ও সাক্ষীদের হুমকি:
    এই ঘটনার জেরে আজিজুর রহমান নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি লালমনিরহাট সদর থানায় ধর্ম-অবমাননার একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মামলা দায়েরের পর থেকে তাকে এবং মামলার সাক্ষীদের ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে তাদেরকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে।

    আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে আরও বলেন, যে সমস্ত নাম্বার থেকে হুমকি আসছে সেগুলোর অধিকাংশই বিদেশি নাম্বার, দেশি নাম্বার নয়। মামলার এজহার থেকে তাদের নাম্বার সংগ্রহ করা হয়েছে।

    বিদেশি ওই সকল নাম্বারগুলো থেকে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কাবাঘরসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাজে ভাষায় গালিগালাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার এক সাক্ষী।

    এমনকি লালমনিরহাট থানার ওসিকেও মামলা গ্রহণ করার জন্য হুমকি দেয়া হয়েছে। হোয়াটসআ্যপে মেসেজের মাধ্যমে তাকে হুমকি প্রদান করা হয়েছে।

    ভুক্তভোগীদের দাবি, এইসকল নম্বর ভারতের। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের উগ্র হিন্দুরা নাম্বার সংগ্রহ করে এইসব হুমকি প্রদান করছে।

    মিডিয়ার মিথ্যাচার:

    যখনই ইসলাম ও মুসলিমদের বিশ্বাসের অবমাননা সম্পর্কিত কোনও ঘটনা ঘটে দেশের সেক্যুলার মিডিয়া সবসময় সেইটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে ডেমানাইজ করার চেষ্টা করে।

    সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এই ঘটনার দীর্ঘ একটি সংবাদ প্রকাশ করে। সেখানে তারা মূল ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে। তারা এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা চেষ্টা করেছে। এছাড়াও, দোকানে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা উল্লেখ করেছে যার সাথে বাস্তবের কোনো সম্পর্ক নেই।

    এছাড়াও ‘গ্রেফতারের পর পরেশ বিষ্ণুর বাড়িতে হামলা ভাঙচুর করা হয়েছে’ এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশের একাধিক গণমাধ্যম। কিন্তু বাস্তবে এই ধরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পরেশ শীলের স্ত্রী। এমনটাই উঠে এসেছে গণমাধ্যমের রিপোর্টে।


    তথ্যসূত্র:
    ১. https://tinyurl.com/cvnj2sm5
    ২. https://tinyurl.com/ms3mxcza
    ৩. https://tinyurl.com/yw3e5vtj
    ৪. https://tinyurl.com/2tsevcy5
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মুসলিমদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে নির্বাসন দিচ্ছে ভারত



      কোনোরকম বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াই শতশত ভারতীয়কে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা জানিয়েছে শত শত মানুষকে কোনোরকম বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াই বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। এর নিন্দা জানিয়েছেন উচ্চ পর্যায়ের আইনজীবীরা। তারা বলেছে এভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে মানুষ পাঠানো অবৈধ। যদিও নয়াদিল্লির দাবি বহিষ্কৃত লোকজন অবৈধ অভিবাসী। সম্প্রতি কথিত এমন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বেশ চড়াও হয়েছেন ভারতের উগ্ৰ হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকারের প্রধান নরেন্দ্র মোদি। বিশেষ করে যারা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিবেশী বাংলাদেশের কথিত অভিবাসী তাদের বিরুদ্ধে বেশ কঠোর দিল্লি।

      মোদি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতারাও এসব কথিত অভিবাসীদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাদের এই পদক্ষেপ প্রায় ২০ কোটি ভারতীয় মুসলমানের মধ্যে বেশ উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। এরমধ্যে বাংলাভাষীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এখানে বলে রাখা ভালো ভারতের পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশে বাংলাভাষীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রবীণ ভারতীয় মানবাধিকার কর্মী হর্ষ মান্ডার বলেছেন, ভারত সরকারের এমন পদক্ষেপে দেশের পূর্বাঞ্চলের মুসলিমরা বেশ আতঙ্কিত। এর মাধ্যমে লাখ লাখ ভারতীয় মুসলিমকে উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে বর্তমান ভারত সরকার।

      বাংলাদেশের বেশির ভাগ সীমান্তই ভারত বেষ্টিত। ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার পতন হওয়ায় ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের বরফ আরও শক্ত হয়েছে। এদিকে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে কথিত সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নাগরিক নিহত হওয়ার পর অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করে দিল্লি সরকার। কেননা ২৪ এপ্রিলের ওই হামলায় নিহত বেশির ভাগই ছিল হিন্দু। ওই ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা হয়। যার ফলে দুই দেশের মধ্যে ৪ দিনের সংঘাত হয় এবং তাতে ৭০ জনের বেশি নিহত হয়।

      এদিকে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের বাসিন্দা রহিমা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, মে মাসের শেষের দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে যায়। যদিও তিনি ও তার পরিবার, তাদের গোটা জীবন ভারতেই কাটিয়েছে। তিনি বলেন, আমি আমার পুরো জীবন এখানেই কাটিয়েছি। আমার বাবা-মা, দাদা-দাদিরাও এখানের বাসিন্দা। এরপরেও তাকে কেন জোরপূর্বক সীমান্তে ঠেলে দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। রহিমা বেগমের সঙ্গে আরও পাঁচজনকেও আটক করে সীমান্তে নিয়ে যায় পুলিশ। যাদের সকলেই মুসলমান। এদের সবাইকে জোর করে অন্ধকারে ছেড়ে দিয়েছিল পুলিশ। রহিমা বেগম এএফপিকে বলেন, পুলিশ আমাদের দূরের একটি গ্রাম দেখিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে সেদিকে যেতে বলেন। পাশাপাশি আমাদের দাঁড়িয়ে হাঁটতে নিষেধ করেন, যদি এমনটি করা হয় তাহলে পেছন থেকে গুলি করবে বলে ভয় দেখায়।

      রহিমা বেগম আরও বলেন, একসময় তারা বাংলাদেশিদের হাতে ধরা পড়েন। তারা তাদেরকে বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষীদের কাছে হস্তান্তর করে। এদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করে রহিমা বলেন, তারা আমাদের ভারতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে আমরা যখন সীমান্তে পৌঁছলাম তখন আমাদের লক্ষ্য করে অপর প্রান্ত (ভারত) থেকে গুলি করা হয়। আমরা ভেবেছিলাম এটাই হয়ত আমাদের শেষ দিন, আর হয়ত বাঁচব না। তবে অলৌকিকভাবে রহিমা বেঁচে গেলেন। পরে তাকে চুপ থাকার শর্তে আসামে ফিরে যেতে দেয়া হয়েছে।

      বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে গত মে থেকে এভাবে অন্তত ১৬০০ ভারতীয়কে সীমান্তে ঠেলে দিয়েছে দিল্লি। তবে এই সংখ্যা আরও বেশি বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ওই সংখ্যা প্রায় ২৫০০।


      তথ্যসূত্র:
      1.India accused of illegal deportations targeting Muslims
      -https://tinyurl.com/2mse4yj5
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        অপুষ্টিতে ভুগছে গাজার অন্তত ১৭ হাজার শিশু



        যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার একটি চিকিৎসা সহায়তা হাসপাতালের পরিচালক আলজাজিরার এক সাংবাদিককে জানিয়েছেন, গাজায় শিশুদের অবস্থা ক্রমেই খারাপ হয়ে উঠছে। অন্তত ১৭ হাজার শিশু পুষ্টিহীনতায় ভুগছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

        ২৮ জুন, শনিবার আলজাজিরার প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

        আলজাজিরার ওই সাংবাদিককে তিনি আরো জানিয়েছেন, এ বিষয়ে যদি কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ না হয় তাহলে পুষ্টিহীনতার কারণে অনেক শিশু মারা যেতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

        চিকিৎসা ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘কর্মী, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। শিশুদের জন্য দুধ ও ওষুধ বর্তমানে জরুরি হয়ে পড়েছে।’

        ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৭ হাজারের বেশি শিশু মারা গেছে বলে জানিয়েছে গাজা সরকারি দপ্তর।


        তথ্যসূত্র:
        1. مدير الإغاثة الطبية في غزة: 17 ألف طفل في قطاع غزة يعانون من سوء التغذية والأمر يزداد سوءا
        https://tinyurl.com/bddrbvpn
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          গাজায় ইসরায়েলের মৃত্যুফাঁদ, যায়নবাদী হামলায় আরো ৬২ ফিলিস্তিনি শহীদ



          গাজায় ২৭ জুন, শুক্রবার ইহুদিবাদী দখলদার সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েলের সামরিক হামলায় অন্তত ৬২ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এই শহীদদের মধ্যে ছিলেন অন্তত ১০ জন সাধারণ মানুষ, যারা সাহায্য কেন্দ্রের সামনে খাদ্য সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

          শহীদদের একটি বড় অংশই ছিলেন বেসামরিক, যাদের একমাত্র ‘অপরাধ’ ছিল—ক্ষুধার তাড়নায় খাবার সংগ্রহের চেষ্টা। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে এমন এক সময়ে, যখন গাজায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সহায়তা কার্যক্রম দখল করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত তথাকথিত “Gaza Humanitarian Foundation”।

          এই তথাকথিত সহায়তা কেন্দ্রগুলোর আশপাশে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে সম্প্রতি বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, মে মাসের শেষ দিক থেকে এখন পর্যন্ত ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন এসব তথাকথিত ‘সহায়তা’ কেন্দ্রে।

          আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সংস্থা ‘ডাক্তারস উইদআউট বর্ডারস’ (MSF) এক বিবৃতিতে এই সহায়তা কার্যক্রমকে “মানবিক সহায়তার ছদ্মবেশে গণহত্যা” বলে আখ্যায়িত করেছে। সংস্থাটি জানায় যদি কেউ সহায়তা কেন্দ্রের সামনে আগে পৌঁছায়, সে গুলিবিদ্ধ হয়। যদি ঠিক সময়ে আসে, ভিড়ের চাপে বেড়ার ওপরে উঠলে তাকেও গুলি করে। দেরি করে এলে সে ‘নিষিদ্ধ এলাকা’য় প্রবেশ করেছে বলে —তাকেও গুলি করে।

          একদিকে যখন খাদ্য ও পানি সংকটে মানুষ প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে, অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইহুদিবাদী গোষ্ঠীর মদদে গড়ে উঠা তথাকথিত মানবিক সহায়তা এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।


          তথ্যসূত্র:
          1.
          62 Palestinians killed by Israeli forces, say Gaza rescuers
          https://tinyurl.com/hrba9vjp
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            গাজায় ত্রাণের মধ্যে মাদক মিশিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল!




            দুর্ভিক্ষে প্রতিদিনই যখন নাজুক হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষের জীবন, তখন সেই ক্ষুধার্ত জনগণের জন্য বিতরণকৃত ত্রাণে পাওয়া যাচ্ছে মরণঘাতী মাদক!

            গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, মার্কিন ত্রাণ কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে বিতরণকৃত আটার ব্যাগে পাওয়া গেছে ভয়ংকর মাদক অক্সিকোডোন। যা সাধারণত ক্যান্সার রোগীদের জন্য ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু এটা অত্যন্ত আসক্তিকর এবং অতিরিক্ত গ্রহণে জীবন হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে।

            গাজার সরকারের মিডিয়া অফিস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত চারজন নাগরিকের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে, যারা সরাসরি আটার ভেতরে এই বড়িগুলো খুঁজে পেয়েছেন। এ বিষয়ে ধারণা করা হচ্ছে, কিছু ওষুধ ইচ্ছাকৃতভাবে পিষে ময়দার মধ্যেই মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে সাধারণ গাজাবাসী বুঝতেই না পারে কী খাচ্ছে তারা!

            উল্লেখ্য, অক্সিকোডোন একটি শক্তিশালী ওপিওয়েড যা শ্বাসকষ্ট, হ্যালুসিনেশন এবং মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। এমন মাদক গোপনে খাদ্যের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হলে গাজার মতো সংকটে থাকা অঞ্চলে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

            গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এই জঘন্য অপরাধের জন্য দখলদার ইসরায়েলকেই আমরা সম্পূর্ণভাবে দায়ী করি। এটি ফিলিস্তিনি সমাজকে ভেতর থেকে ধ্বংসের একটি সুপরিকল্পিত নীতি, যা চলমান গণহত্যারই অংশ।

            বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নাগরিকদের বিরুদ্ধে ‘মাদক’ নামক নরম অস্ত্র ব্যবহারে ইসরায়েল যে ঘৃণ্য কৌশল নিয়েছে, এবং অবরোধ পরিস্থিতিকে পুঁজি করে সহায়তার আড়ালে এসব মাদক পাচার করছে – তা যুদ্ধাপরাধ এবং মানবাধিকার আইনের চরম লঙ্ঘন।


            তথ্যসূত্র:
            1. Gaza authorities say drugs found inside US-dispatched flour bags
            https://tinyurl.com/5n7xtp3e
            2. Flour mixed with drugs: A new weapon in the Gaza blockade
            https://tinyurl.com/36sc33x7
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              হে আল্লাহ! গাযা ও গাযাবাসিদেরকে হিফাযত করো।

              Comment

              Working...
              X