Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ৩রা মুহাররম,১৪৪৭ হিজরী || ২৯ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ৩রা মুহাররম,১৪৪৭ হিজরী || ২৯ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    লেবাননে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, নিহত ৩



    যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও ২৮ জুন, শনিবার দক্ষিণ লেবাননে বর্বর বিমান হামলা চালিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র ইসরায়েল। বর্বর এ হামলায় তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। লেবাননের বৈরুত থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

    লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের কুনিনে একটি গাড়িতে ‘দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী’ ড্রোন হামলা চালায়। হামলায় এক ব্যক্তি নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছে।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র সিনহুয়াকে জানায়, মোটরসাইকেল আরোহী এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়, এতে ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পাশ দিয়ে যাওয়া একটি গাড়িতে থাকা এক নারীও নিহত হন এবং তার স্বামী আহত হন।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অন্য এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, টাইর এলাকার কাছে মাহরুনায় একটি মোটরসাইকেলের ওপর বর্বর ইসরায়েলি হামলায় এক নারীসহ দুইজন শহীদ এবং একজন আহত হয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ‘এই কার্যকলাপগুলো ইসরায়েল এবং লেবাননের মধ্যে যুদ্ধবিরতি স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

    লেবাননে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসন বন্ধ করার লক্ষ্যে নভেম্বরের যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল তার উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশগুলোতে বারবার বোমাবর্ষণ করেছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Israeli attacks on southern Lebanon kill three people
    https://tinyurl.com/k8up3jaj
    2. Israeli strikes on south Lebanon kill three: ministry
    https://tinyurl.com/2dauhts3
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    বিগত সপ্তাহে ইরান থেকে নিজ দেশে ফিরে এসেছেন প্রায় ১ লক্ষ আফগান শরণার্থী


    বিগত ১ সপ্তাহে হেরাত প্রদেশের ইসলাম কালা সীমান্ত পারাপার দিয়ে প্রায় ১ লক্ষ আফগান শরণার্থী ইরান থেকে নিজ দেশে ফিরে এসেছেন। ইমারতে ইসলামিয়ার শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন এই তথ্য জানিয়েছে।

    হেরাত প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান মৌলভী আহমাদুল্লাহ মুত্তাকি হাফিযাহুল্লাহ জানান, গত বৃহঃস্পতি ও শুক্র, কেবল এই ২ দিনে ৬০ হাজারের অধিক আফগান শরণার্থী ইরান থেকে দেশে ফিরে এসেছেন।

    প্রত্যাবর্তন বৃদ্ধির কারণ হিসেবে কর্মকর্তাগণ উল্লেখ করেছেন, রেসিডেন্সি পারমিটের মেয়াদ শেষ হওয়া, ইরানের অর্থনৈতিক ও অভ্যন্তরীণ সমস্যা এবং শরণার্থীদের ক্রমবর্ধমান অনিশ্চিত পরিস্থিতি। হেরাত প্রদেশের শরণার্থী বিষয়ক প্রধান মৌলভী আদম খান সাদ হাফিযাহুল্লাহ বলেন, শরণার্থীদের স্থায়ী ও অস্থায়ী আবাসনের জন্য আড়াই হাজার জেরিব (১২৩৫.৫ একর) জমি বরাদ্দ করেছে প্রাদেশিক কার্যালয়।

    এছাড়া ইসলাম কালাতে খাবার, পানি ও স্বাস্থ্যসেবাসহ শরণার্থীদের প্রয়োজনীয় সেবা সরবরাহ করা হচ্ছে। নিজ জেলায় স্থানান্তর করতে দৈনিক ৩০০টি বিনামূল্যে বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Over 100,000 Afghan Refugees Return from Iran in One Week
    https://tinyurl.com/4fpkxb7j
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বর্বর ইসরায়েলি অবরোধে গাজায় অপুষ্টিতে ৬৬ শিশুর মৃত্যু


      গাজা ভূখণ্ডে অনাহারে ও অপুষ্টিতে শিশু মৃত্যুর মর্মান্তিক চিত্র আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। দখলদার ইসরায়েলের অবরোধ ও মানবিক সহায়তা বন্ধ থাকার কারণে অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৬৬ শিশু মারা গেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।

      মিডিয়া অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুধ, পুষ্টিকর খাদ্য এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়াতেই এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। ২৮ জুন, শনিবার গাজার মিডিয়া প্রশাসন বলেছে, ‘ইসরায়েলের এই অবরোধ একটি যুদ্ধাপরাধ। এটি একপ্রকার ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত শিশু হত্যাকাণ্ড, যেখানে না খেতে দিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যু নিশ্চিত করা হচ্ছে। গাজার শিশুদের ওপর চলমান এই অপরাধ এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের লজ্জাজনক নীরবতা- উভয়ই মানবতার প্রতি চরম অবহেলার পরিচয়।’



      মানবিক এই বিপর্যয়ের জন্য ইসরায়েল ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির মতো পশ্চিমা মিত্রদেরও দায়ী করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে জাতিসংঘকে আহ্বান জানানো হয়েছে, যেন অবিলম্বে গাজার সীমান্ত পথগুলো খুলে দেওয়া হয়।

      এর আগে ইউনিসেফ সতর্ক করে জানায়, গাজায় অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা ভয়াবহ গতিতে বাড়ছে। চলতি বছরের মে মাসেই ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী অন্তত ৫ হাজার ১১৯ শিশুকে তীব্র অপুষ্টিজনিত সমস্যার কারণে ভর্তি করা হয়েছে। আর এটি গত এপ্রিল মাসের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ এবং ফেব্রুয়ারির তুলনায় ১৫০ শতাংশ বেশি।

      সংস্থাটি আরও জানায়, জানুয়ারি থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৫০ দিনে ১৬ হাজার ৭৩৬ শিশু — অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১১২ জন শিশু — অপুষ্টির চিকিৎসা নিতে এসেছে। অথচ, এদের প্রতিটি ঘটনাই প্রতিরোধযোগ্য ছিল। খাদ্য, পানি, পুষ্টি — সবকিছুই সীমান্তে আটকে আছে। মানবসৃষ্ট সিদ্ধান্তের ফলেই এই মৃত্যু।

      এদিকে গাজার তুফাহ, দেইর আল বালাহ, রাফা, খান ইউনিসসহ বেশ কয়েকটি এলাকাতেই চলছে বর্বর ইসরায়েলি বিমান হামলা। শনিবার একদিনে নিহত হয়েছেন অন্তত ৮১ নিরীহ ফিলিস্তিনি, তাদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী।

      তথ্যসূত্র:
      1. At least 66 children dead of malnutrition in Gaza as Israel tightens siege
      https://tinyurl.com/2mx9p2c3
      2. 66 children die from malnutrition in Gaza under Israeli blockade since October 2023
      https://tinyurl.com/ycy32ek5
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        গাজায় আরও ৮১ নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল দুর্বৃত্ত ইসরায়েল


        গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চার শতাধিক মানুষ। ২৮ জুন, শনিবার গাজার বিভিন্ন স্থানে এসব হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

        প্রত্যক্ষদর্শী ও আল-শিফা হাসপাতালের কর্মীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজা নগরে একটি স্টেডিয়ামের অদূরে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় শিশুসহ অন্তত ১১ জন নিহত হন। উদ্বাস্তু হাজারো ফিলিস্তিনি তাঁবু গেড়ে ওই স্টেডিয়ামে আশ্রয় নিয়েছেন।

        বিবিসির যাচাই করা ছবি ও ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, হামলার পর লোকজন খালি হাতে মাটি খুঁড়ে মরদেহ খুঁজছেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তাঁরা কয়েকজন সেখানে বসে ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ পাশের একটি সড়ক থেকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান।

        আহমেদ কিশাউই নামের এই ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘এখানে পুরো এলাকা তাঁবুতে পূর্ণ। এখন সেসব তাঁবু বালুর নিচে তলিয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে তো কোনো সন্ত্রাসী নেই। কিন্ত শিশুসহ সাধারণ মানুষের প্রতি কোনো দয়া না দেখিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে।’

        আল–মাওয়াসি এলাকায় আবাসিক ভবন ও তাঁবুতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও অন্তত ১৪ জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশুও আছে। নিহত ব্যক্তিদের কয়েকজন স্বজন মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, হামলা যখন হয়, তখন শিশুদের নিয়ে মানুষগুলো ঘুমাচ্ছিল।

        হামলায় নিহত শিশুদের দাদি সৌদ আবু তেইমা নামের প্রবীণ এক নারী বলেন, ‘এই শিশুরা তাদের (ইসরায়েলের) কী ক্ষতি করেছে? তাঁদের কী অপরাধ ছিল?’

        জাফা স্কুলের অদূরে তুফাহ নামের একটি এলাকায় বিমান থেকে বোমা ফেলে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে শত শত উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এই হামলায় অন্তত আটজন নিহত হন। তাদের মধ্যে পাঁচটিই শিশু।

        মোহাম্মদ হাবিব নামে একজন রয়টার্সকে জানান, হামলায় তাঁর বাবা, ভাতিজা ও প্রতিবেশী কয়েকটি শিশু নিহত হন। তাঁর প্রশ্ন, ‘আমরা তাদের (ইসারয়েলের) কিছুই করিনি, তাহলে কেন তারা আমাদের ক্ষতি করছে? আমরা কী তাদের কোনো ক্ষতি করেছি। আমরা তো সাধারণ মানুষ।’

        গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাবে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় দুর্বৃত্ত ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলায় ৫৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।


        তথ্যসূত্র:
        1. At least 81 people killed in Israeli strikes in Gaza, Hamas-run health ministry says
        https://tinyurl.com/y3rcw2rx
        2. Gaza health ministry says 81 people killed by Israel in past 24 hours
        https://tinyurl.com/mr3ndyxz


        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসনে পশ্চিমতীরে ১,০০০ ঘরবাড়ি ধ্বংস


          পশ্চিমতীরের জেনিন, তুলকারেম ও নূর শামস শরণার্থী শিবিরে ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের চলমান বর্বর অভিযান “আয়রন ওয়াল” অভিযানে ধ্বংস হয়েছে এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি। এই অভিযানের মাধ্যমে দখলদার ইহুদি রাষ্ট্রটি পশ্চিমতীরের উত্তরাঞ্চলকে কার্যত মানববিরোধী নিষ্ঠুরতার পরীক্ষাগারে পরিণত করেছে।

          জেনিন ক্যাম্পের মিডিয়া কমিটি জানিয়েছে, শুধু তাদের শিবিরেই ৬০০’র অধিক বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বাকি অনেক ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ও বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। গত ১৫৯ দিন ধরে টানা চলে আসা এই আগ্রাসনে শহীদ হয়েছেন অন্তত ৪২ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। আহত ও আটক ব্যক্তিদের সংখ্যা অসংখ্য। কমিটি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২২,০০০ মানুষকে জোরপূর্বক গৃহত্যাগে বাধ্য করেছে দখলদার বাহিনী।

          অন্যদিকে, তুলকারেম ও নূর শামস শিবিরে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে আরও ৪০০টি বাড়ি। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২,৫৭৩টি ঘর। ইহুদিবাদী সেনারা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, শিগগিরই ওই দুটি শিবিরের আরও ১০৬টি ভবন ধ্বংস করা হবে, যার আওতায় রয়েছে ২৫০টির অধিক আবাসিক ইউনিট।

          এই অব্যাহত আগ্রাসনে তুলকারেমে শহীদ হয়েছেন ১৩ জন, যাদের মধ্যে এক শিশু ও দুজন নারী রয়েছেন, এর মধ্যে একজন ছিলেন গর্ভবতী। মিডিয়া কমিটির হিসেব অনুযায়ী, এই অঞ্চলে আরও ৫,০০০ পরিবার — অর্থাৎ প্রায় ২৫,০০০ মানুষ — গৃহহীন হয়ে চরম মানবিক সংকটে পড়েছে। শিবিরগুলোর প্রবেশপথ সম্পূর্ণভাবে সিল করে ‘মৃত অঞ্চল’তে পরিণত করেছে দখলদার বাহিনী।

          জেনিন, তুলকারেম ও নূর শামস শিবিরে দখলদার ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন নিছক সামরিক অভিযান নয়—এটি একটি পরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল প্রচেষ্টা। মুসলিমদের ঘরবাড়ি ধ্বংস, শিশু-নারীদের হত্যা ও জোরপূর্বক গৃহত্যাগে বাধ্য করা একটি সুপরিকল্পিত মানবতাবিরোধী অপরাধ। ইসলামের এই পবিত্র ভূমিতে মুসলিমদের অস্তিত্বই যেন সহ্য করতে পারছে না ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্রটি।


          তথ্যসূত্র:
          1. IOF destroys 1,000 Palestinian homes in 3 West Bank refugee camps since January
          https://tinyurl.com/4fnv6tdv
          2. Israel has demolished 1,000 Palestinian homes in West Bank camps since January: Media committees
          https://tinyurl.com/33me9cwv
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X