Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১৯ মুহাররম,১৪৪৭ হিজরী || ১৫ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১৯ মুহাররম,১৪৪৭ হিজরী || ১৫ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    গাজায় গণহত্যায় অংশ নেওয়া আরও এক দখলদার সেনার আত্মহত্যা


    ইসরায়েল অধিকৃত সিরিয়ার গোলান মালভূমির একটি সামরিক ঘাঁটিতে এক দখলদার ইসরায়েলি সেনা আত্মহত্যা করেছে। নিহত ওই সেনা ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় অংশ নিয়েছিল।

    গত ১০ দিনের মধ্যে এটি তৃতীয়বারের মতো কোনো সক্রিয় সেনার আত্মহত্যার ঘটনা বলে জানিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ওই সেনাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে, তবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল ১২-এর খবরে বলা হয়, ওই সেনা ‘নাহাল ব্রিগেড’-এর সদস্য ছিল এবং গাজায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনে অংশ নিয়েছিল।

    এর আগে গত সপ্তাহে এক রিজার্ভ সেনা আত্মহত্যা করেছে, আরেক সেনাকে ঘাঁটি থেকে একইভাবে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ইসরায়েলি সেনাদের একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে, বিশেষ করে রাজনীতিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

    ইসরায়েলি সংসদের বিরোধী নেতা ইয়াইর লাপিদ এক্স-এ লিখেছে, “গত এক সপ্তাহে তিনজন সেনা আত্মহত্যা করেছে। এটা এক দমবন্ধ করা বাস্তবতা।”

    স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন ইসরায়েলি সেনা আত্মহত্যা করেছে। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই এ প্রবণতা বেড়েছে।

    এর আগে গত ৬ জুলাই সাফেদ শহরের কাছে একটি জঙ্গলে এক রিজার্ভ সেনা নিজেকে শেষ করে দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, যুদ্ধ-পরবর্তী মানসিক আঘাত থেকেই সে এই সিদ্ধান্ত নেয়। ইসরায়েল হায়োম পত্রিকার হিসাবে, ২০২৪ সালে ২১ জন সেনা আত্মহত্যা করেছে। হারেৎজ আরও আগেই জানিয়েছিল, গাজা আগ্রাসন শুরুর পর ৪২ জন সেনা আত্মহত্যা করেছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Another Israeli soldier commits suicide, in 3rd death in 10 days
    https://tinyurl.com/4mbajrwx
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    সিরিয়া-লেবাননে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্ত ইসরায়েল



    সিরিয়ার সুওয়াইদা শহর ও লেবাননের বাক্কা উপত্যকা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র ইসরায়েল। গত কয়েকদিন ধরে দ্রুজ সংখ্যাগুরু শহর সুওয়াইদাতে দ্রুজ ও বেদুঈন জাতির মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে। এই সংঘর্ষ ঠেকাতে শহরটিতে প্রবেশের চেষ্টা করে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। তবে দখলদাররা সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকটি ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    ১৫ জুলাই, মঙ্গলবার সিরীয় বাহিনী শহরটিতে প্রবেশ করার পর দখলদাররা সেখানে আবারও হামলা চালিয়েছে।
    দখলদার ইসরায়েল হুমকি দিয়েছে দ্রুজদের তারা কোনো ক্ষতি করতে দেবে না। এমন অজুহাত দেখিয়ে সিরিয়ার সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে তারা।

    তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল দ্রুজদের রক্ষা করার অজুহাতে ইতোমধ্যেই দখলকৃত গোলান হাইটসের বাইরে তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সিরিয়ায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

    সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুরহাফ আবু কাসরা জানিয়েছেন, দ্রুজ ও বেদুঈনরা যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে।

    এদিকে লেবাননের বাক্কা উপত্যকায় সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা।

    এর বাইরে গাজাজুড়ে আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী। ১৪ জুলাই, সোমবার গাজায় কমপক্ষে ৭৮ জন ফিলিস্তিনিকে শহীদ করার একদিন পরও ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৮ হাজার ৩৮৬ জন শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৩৯ হাজার ৭৭ জন মানুষ।


    তথ্যসূত্র:
    1. Netanyahu, Katz confirm Israeli strikes on Syria
    https://tinyurl.com/bdfma4y3
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজায় ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে ৩ দখলদার ইসরায়েলি সেনা নিহত


      উত্তর গাজায় সামরিক আগ্রাসন চালাতে গিয়ে ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর তিন সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে একই ব্রিগেডের আরেকজন অফিসার।

      নিহত তিনজন হল ২১ বছর বয়সী স্টাফ-সার্জেন্ট শোহার মেনাহেম, ২০ বছর বয়সী সার্জেন্ট শ্লোমো ইয়াকির শ্রেম, এবং ১৯ বছর বয়সী সার্জেন্ট ইউলি ফ্যাক্টর। তারা সবাই আইডিএফের সাঁজোয়া কোরের ৪০১তম ব্রিগেডে কর্মরত ছিল।

      ঘটনাটি ঘটেছে গাজার জাবালিয়া এলাকায়। সেখানে স্থানীয় অবকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্যে সেনা অভিযান চলছিল। ১৪ জুলাই, সোমবার দুপুর নাগাদ ওই ট্যাঙ্কের ভেতর হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে।

      প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, এটি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ছোড়া অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ঘটেছে। কিন্তু পরে আইডিএফ জানায়, এটি একটি অপারেশনাল (কার্যক্রম সংক্রান্ত) দুর্ঘটনা, যেখানে ট্যাঙ্কের ভেতরেই একটি শেল (গোলা) বিস্ফোরিত হয়। কী কারণে গোলাটি বিস্ফোরিত হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

      এই তিন সেনার মৃত্যুর পর, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় আগ্রাসন চালাতে গিয়ে নিহত ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৯৩ জনে।

      ঘটনাটি দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের জন্য এক গুরুতর ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। গাজার ধ্বংসস্তূপে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আক্রমণের কৌশল ইতোমধ্যেই দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।


      তথ্যসূত্র:
      1. Updates: Hamas says ‘war of attrition’ in Gaza as 3 Israeli soldiers killed
      https://tinyurl.com/muprvth4
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় একদিনেই শহীদ দুই সাংবাদিক


        ১৪ জুলাই, সোমবার গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় আবারও প্রাণ গেল দুই ফিলিস্তিনি সাংবাদিকের। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। তাদের একজন শহীদ হয়েছেন নিজের বিধ্বস্ত বাড়ি পরিদর্শনের সময়, আরেকজন শহীদ হয়েছেন পরিবারসহ। সাংবাদিকদের উপর এমন সহিংসতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন উদ্বেগ তৈরি করছে।

        ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ জুলাই, সোমবার গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে। আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহীদ দুই সাংবাদিকের একজন হলেন ফাদি খলিফা। তিনি গাজার দক্ষিণ-পূর্বে আল-জাইতুন এলাকায় নিজের ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ি দেখতে গিয়েছিলেন। তখন সেখানে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর এক বিমান হামলায় তার মৃত্যু হয়। হামলায় তার সঙ্গে আরও একজন বেসামরিক নাগরিকও শহীদ হন।

        অন্যদিকে, গাজা শহরের খান ইউনিসের উত্তরের আল-কারারা এলাকায় শহীদ হয়েছেন আরেক সাংবাদিক হুসাম সালেহ আল-আদলুনি। ইসরায়েলি বিমান বাহিনী তার পরিবারের তাবু লক্ষ্য করে হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই তিনি, তার স্ত্রী এবং তাদের তিন শিশুসন্তান শহীদ হন। ওই পরিবারটি ইসরায়েলি হামলার কারণে গৃহহারা হয়ে সেখানেই অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছিল বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা।

        ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “এই ঘটনা সাংবাদিকদের প্রতি সন্ত্রাসী ইসরায়েলের ভয়াবহ সহিংসতা ও দমননীতির ধারাবাহিকতা।” সংগঠনটি বলেছে, সাংবাদিকদের হত্যা কেবল মানবিক অধিকার লঙ্ঘন নয়, এটি সঠিক তথ্যের প্রবাহ ও সত্য অনুসন্ধানের পথকেও ধ্বংস করছে।

        গাজায় বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হিসাবে মোট ২৩১ জন সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন। এছাড়া, গাজাজুড়ে চলমান হামলায় বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যাও প্রতিদিন বাড়ছে। চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে, ১৪ জুলাই, সোমবারের হামলায় অন্তত ৭৮ জন বেসামরিক মানুষ শহীদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৫২ জন কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দা।


        তথ্যসূত্র:
        1. Two more Palestinian journalists killed in Israeli airstrikes on Gaza
        https://tinyurl.com/yck5farc
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          গাজায় শিশুসহ ৭৮ ফিলিস্তিনিকে শহীদ করল দখলদার ইসরায়েল



          ফিলিস্তিনের গাজায় এখনো নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে হামলা চালিয়ে ত্রাণপ্রার্থী শিশুসহ অন্তত ৭৮ ফিলিস্তিনিকে শহীদ করেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী। দখলদারদের অবরোধে গাজায় জ্বালানি ও খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে গাজায়। এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

          ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফার বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৪ জুলাই, সোমবার সকালে দক্ষিণ গাজার রাফায় একটি সরকারি খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রের কাছে বর্বর ইসরায়েলি হামলায় অন্তত পাঁচজন শহীদ হন। হতাহতরা সবাই ত্রাণ নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

          ওয়াফা আরও জানায়, গত দুই মাসে দখলদার ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর আশপাশে ত্রাণ নিতে গিয়ে হামলায় শহীদ হয়েছেন অন্তত ৮৩৮ জন ফিলিস্তিনি।

          সোমবারই খান ইউনিসের একটি বাস্তুচ্যুত শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলায় প্রাণ হারান আরও নয়জন, আহত হন অনেকে। একই দিনে মধ্য গাজার বুরেইজ শিবিরেও ইসরায়েলি হামলায় শহীদ হন চারজন।

          উত্তর গাজা ও গাজা শহরেও হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী। তুফাহ এবং শুজাইয়া পাড়ার আশেপাশে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে আবাসিক ভবনগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় গাজা শহরে অন্তত শহীদ হয়েছেন ২৪ ফিলিস্তিনি। হতাহত মানুষের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ওপরও নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল।

          ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত শহীদ হয়েছেন ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ।

          বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অগ্রগতির কথা বলা হলেও, বাস্তবতা হচ্ছে মাটিতে প্রতিদিন আরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন এবং মানবিক বিপর্যয় আরও তীব্র হচ্ছে।


          তথ্যসূত্র:
          1 Israel bombards Gaza, killing 78, as truce talks stall
          https://tinyurl.com/t539nxst


          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভিডিও || আসামে নতুন করে ১,০৮০টি মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ করল বিজেপি সরকার





            ভারতের আসামের গোলপাড়া জেলার পাইকান সংরক্ষিত বন থেকে প্রায় ১,০৮০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এদের অধিকাংশই বাংলাভাষী মুসলিম সম্প্রদায়ের। জেলা প্রশাসন প্রায় ৪০টি বুলডোজার এবং কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এতে ২,৭০০টি বসতবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়, যার ফলে এসব পরিবার এখন আশ্রয়হীন অবস্থায় রয়েছে।

            এর আগে, আদানি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আসামের ধুবরি জেলায় প্রায় ১,৪০০টি বাংলাভাষী মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল, যার ফলে তাদের জীবনে বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।

            গত ১৩ জুলাই মুসলিম মিররের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, উচ্ছেদকৃত জমি কৃষ্ণাই রেঞ্জ এর আওতাধীন পাইকান সংরক্ষিত বনের অংশ। তবে, উচ্ছেদ হওয়া বাসিন্দারা দাবি করেছেন, তারা এই জমিতে বহু বছর ধরে বসবাস করে আসছেন এবং এটি সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণার আগে থেকেই সেখানে তাদের বসবাস ছিল।

            মিজানুর রহমান নামে উচ্ছেদ হওয়া এক বাসিন্দ বলেন, আমরা বহু বছর ধরে এখানে বসবাস করে আসছি। সরকার আমাদের জন্য বিকল্প কোন জায়গা দেয়নি। এখন আমরা কোথায় যাব?

            আসাম সরকার ১৯৫৯ সালে পাইকানকে একটি সংরক্ষিত বন হিসেবে মনোনীত করার প্রস্তাব করে, এবং ১৯৮২ সালে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা দেয়।

            উল্লেখ্য যে, গোলপাড়া জেলার ৪৭২টি গ্রাম গত কয়েক দশকে ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙনের কারণে বিলীন হয়ে গেছে, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ ভূমিহীন ও গৃহহীন হয়ে পড়ে। এই সকল পরিবারই জীবিকার জন্য পাইকান সংরক্ষিত বনে আশ্রয় নিয়েছিল, কিন্তু এখন তারা সেই আশ্রয় থেকেও উচ্ছেদ হচ্ছেন।

            এর মধ্যে গত ১৬ জুন গোলপাড়া শহরের কাছে হাসিলাবিল নামক জলাভূমিতে ৬৯০টি পরিবারের ঘর-বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়, যার ফলে গত এক মাসে আসামের পাঁচটি জেলায় অন্তত ৩,৫০০ পরিবার তাদের বাসস্থান হারিয়েছে। উচ্ছেদ হওয়া এইসব পরিবারের অনেকে পাইকান সংরক্ষিত বনে আশ্রয় নিয়েছিল, কিন্তু এখন তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।

            এদিকে, আসামের উগ্র হিন্দুত্ববাদী মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেছে যে ‘কেউ আমাদের থামাতে পারবে না। বাংলাদেশি নাগরিকদের উচ্ছেদ করা হবে।’

            ভিডিও দেখুন:


            ​তথ্যসূত্র:
            1. Assam: 1,080 families evicted in Goalpara, days after 1,400 families displaced in Dhubri, mostly Bengali Muslims
            https://tinyurl.com/3pf9aawd​
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X